Saturday, March 21, 2020

রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে অর্জিত স্বাধীনতা: আমাদের করণীয়


।। ইমদাদুল হক যুবায়ের।।

রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন ভূখন্ড বাংলাদেশ। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। এদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস দীর্ঘ। অতি প্রাচীন যুগ থেকেই বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী অনার্য বা দ্রাবিড় জনগোষ্ঠী বসবাস করত। অনেক গবেষক এদেরকে নূহ (আ.)-এর পূত্র সামের বংশধর আবূ ফীরেরবংশধর বলে গণ্য করেছেন। আবূ ফীরের নামই বিকৃত হয়ে দ্রাবীড় রূপ ধারণ করে বলে তারা দাবি করেছেন। খ্রিস্টপূর্ব সময়ের প্রাচীন গ্রীক ও ল্যাটিন ইতিহাসে এদেরকে গঙ্গারিডাই বলা হয়েছে এবং এদের শক্তি ও সভ্যতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তারা ছিলেন অনার্য এবং ভারতের হিন্দুধর্মের প্রবর্তক আর্য ব্রাহ্মণদের শত্রুএদের ধর্ম, সভ্যতা ও কৃষ্টি ছিল আর্যদের থেকে পৃথক। এজন্য মহাভারত ও পুরাণে বাঙালীদেরকে সর্প, দাস, অসুর ইত্যাদি বলা হয়েছে।
পরবর্তীকালে আর্যরা ক্রমান্বয়ে এদেশ দখল করে। তবে বাংলার সাধারণ মানুষদের সাথে তাদের দূরত্ব থেকেই যায়। বিশেষত বর্ণবাদী হিন্দু ধর্মের রীতি অনুসারে সাধারণ বাঙালী অচ্ছ্যুৎ, অস্পৃশ্য নিম্নজাতি বলে গণ্য হতেন। এদের ভাষাও আর্যদের কাছে নিন্দিত ছিল। নবম খ্রিস্টীয় শতকে বাংলায় বৌদ্ধ ধর্মের প্রসার লাভ করে। তখন সেন বংশের শাসকগণ বাংলায় হিন্দু বর্ণবাদী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেন এবং বৌদ্ধদের উপর অত্যাচার করেন। এ সময়ে এদেশে অনেক মুসলিম ওলী-আউলিয়ার আগমন ঘটে। অনেক বাঙালি এদের হাতে ইসলাম গ্রহণ করেন।

১২০৪ খ্রিস্টাব্দে ইখতিয়ার উদ্দীন মুহাম্মাদ বিন বখতিয়ার খিলজী বাংলায় প্রথম স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্রের গোড়াপত্তন করেন। ক্রমান্বয়ে বাংলায় অনেক স্বাধীন মুসলিম সুলতান রাজত্ব করেন। মাঝে মাঝে দিল্লীর কেন্দ্রীয় শাসনের অধীন হলেও, অধিকাংশ  সময় বাংলা স্বাধীন ছিল। অনার্য গঙ্গারিডাই জাতি আর্য ধর্ম প্রত্যাখ্যান করে দলে দলে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের সাথে সৌহার্দ্য ও শান্তিতে বসবাস করেন। (বাংলাপিডিয়া)
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাম্রাজ্যবাদী ষড়যন্ত্রে ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩শে জুন পলাশীর যুদ্ধে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়। মুসলিম প্রধান পূর্ববঙ্গের মানুষদেরকে অধিকতর অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সুযোগ দানের জন্য ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর বৃটিশ শাসকরা বাংলা ভেঙ্গে পূর্ব বাংলা ও আসাম রাজ্য গঠন করে এবং ঢাকা পূর্ববাংলার রাজধানী হয়। এতে পূর্ব বাংলা বা বর্তমান বাংলাদেশের জনগণের জন্য অধিকার লাভের সুযোগ ঘটে। কিন্তু উগ্র ভারতীয় জাতীয়তাবাদী হিন্দু নেতৃবৃন্দ বাংলা মায়ের খণিইতকরণ রোধে বন্দেমাতরমবা মা তোমার বন্দান বা পূজা করিশ্লোগান দিয়ে জোরালো আন্দোলন করেন। একপর্যায়ে তারা সন্ত্রাস ও উগ্রতার পথ বেছে নেন।

৩০ এপ্রিল ১৯০৮ সালে ক্ষুদিরাম ও প্রফুল্ল চাকী বড়লাটকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। পরে প্রফুল্ল আত্মহত্যা করে এবং ক্ষুদিরামের ফাঁসি হয়। এক পর্যায়ে ১৯১১ সালে বৃটিশ সরকার বঙ্গভঙ্গ রদ করে। তবে এ বঙ্গভঙ্গের ধারাবাহিকতাতেই পূর্ববঙ্গের মুসলিম প্রধান বাঙালি জনগোষ্ঠী রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। এর ধারাবাহিকতায় ১৯৪৭ সালে আমরা বৃটিশ উপনিবেশের অধীনতা থেকে স্বাধীনতা লাভ করি।

পরবর্তীতে পাকিস্তানী শাসকবর্গের শোষণ, বঞ্চনা ও জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ধারায় এদেশের মানুষ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করে বিজয় লাভ করে। এ বিজয় প্রভু প্রদত্ত একটা নেয়ামত। এ নেয়ামতের প্রতি আমাদের বহুমুখি দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। 

প্রথম দায়িত্ব আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। কারণ, যেকোনো নেয়ামতের স্থায়িত্বের এবং বৃদ্ধির প্রথম শর্ত মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ। মহান আল্লাহ বনী ইসরাঈলদেরকে ফেরআউনের শোষণ ও নিপীড়ন থেকে স্বাধীনতা প্রদান করেন। এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন: এবং যখন তোমাদের প্রতিপালক ঘোষণা করেন, তোমরা কৃতজ্ঞ হলে আমি অবশ্যই তোমাদেরকে বাড়িয়ে দিব। আর অকৃতজ্ঞ হলে অবশ্যই আমার শাস্তি হবে কঠোর।” (আল-কুরআন, সূরা ইবরাহীম, আয়াত: ৭)

নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশের কয়েকটি পর্যায় রয়েছে। প্রথম পর্যায় হলো সর্বান্তকরণে এ নেয়ামত উপলব্ধি করা। মানবীয় প্রকৃতির একটি দুর্বল দিক যে, আল্লাহর নেয়ামত লাভ করার পরে তা নিজেদের যোগ্যতায় অর্জিত বলে দাবি করা। জীবনের সকল নেয়ামত, সৌভাগ্য ও সফলতাই মহান আল্লাহর দান। এসব অর্জনের পিছনে ব্যক্তির নিজের ও অন্য অনেক মানুষের অবদান থাকে। সকলের অবদানের স্বীকৃতি অত্যাবশ্যকীয়। তবে আমাদের সুদৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতে হবে যে, নিজের যোগ্যতা,  শ্রম বা অন্যান্য সকলের কষ্ট সবই ব্যর্থ হতো যদি আল্লাহর দয়া না হতো।

আমরা যদি স্বাধীনতার কথাই চিন্তা করি তাহলে দেখতে পাই যে, স্বাধীনতার জন্য বিশ্বের অনেক জনগোষ্ঠী যুগযুগ ধরে সংগ্রাম করছেন, আত্মাহূতি দিচ্ছেন, সশস্ত্র সংগ্রাম ও প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু স্বাধীনতা লাভ করতে পারছেন না। অথচ আল্লাহ সীমিত সময়ের মধ্যে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামকে সফলতা দান করেছেন। আমাদরেকে হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করতে হবে যে, এ সফলতা একান্তভাবেই মহান আল্লাহর দান। এ উপলব্ধি না থাকা বা নেয়ামতটি নিজেদের ত্যাগ, কষ্ট বা বুদ্ধি-কৌশলের মাধ্যমেই অর্জিত বলে বিশ্বাস করার অর্থ মহান আল্লাহর প্রতি কঠিনতম অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।

মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের দ্বিতীয় পর্যায় হলো- হৃদয়, মন ও মুখ দিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। নিজেদের সকল আলোচনা, বক্তব্য ও কর্মের মাধ্যমে আমাদের সর্বদা মহান আল্লাহর এ নেয়ামতের কথা স্মরণ ও প্রকাশ করা। যে সকল মানুষের মাধ্যমে বিজয়ের এ নেয়ামত অর্জিত হয়েছে তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা, তাঁদের অবদানের কথা স্মরণ ও আলোচনা করা, তাঁদের প্রশংসা করা এবং তাঁদের জন্য দোয়া করা। 

হাদীসে ভাষ্য হলো- যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ নয় সে আল্লাহর প্রতিও অকৃতজ্ঞ।অন্য হাদীসে এসেছে- সে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি সবচেয়ে বেশি কৃতজ্ঞ যে মানুষের প্রতি সবচেয়ে বেশি কৃতজ্ঞ।” (তিরমিযী, আস-সুনান, ণ্ড-, পৃ. ৩৩৯) 

অন্য হাদীসে এসেছে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন- কাউকে যদি কিছু প্রদান করা হয় তবে সে যেন তাকে প্রতিদান দেয়। যদি প্রতিদান দিতে না পারে তবে সে যেন তার গুণকীর্তন ও প্রশংসা করে। যে ব্যক্তি উপকারীর গুণকীর্তন ও প্রশংসা করল সে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করল। আর যে উপকারীর উপকারের কথা গোপন করল সে অকৃতজ্ঞ। (আবূ দাউদ, আস-সুনান, ণ্ড-, পৃ. ২৫৫) এছাড়া ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখতে পাই যে, কোনো অমুসলিম কাফির কোনো কল্যাণ করলে রাসূলুল্লাহ (সা.) তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেন, প্রশংসা করতেন এবং তাকে যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে স্মরণ করতেন।
এ সকল হাদীসের আলোকে আমরা বুঝতে পারি যে, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, দল, মত নির্বিশেষে স্বাধীনতা অর্জনের পিছনে যাদেরই অবদান রয়েছে তাঁদের সকলের প্রতি ব্যক্তিগত ও জাতীয়ভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা, তাঁদের অবদানের সঠিক তথ্য উল্লেখ করা, স্মরণ করা, আলোচনা করা, লিপিবদ্ধ ও সংরক্ষণ করা, তাঁদের মধ্যে যাঁরা জীবিত রয়েছেন তাঁদের প্রতিদান প্রদানের চেষ্টা করা ও তাঁদের কল্যাণের জন্য দুআ করা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব।

পূর্ববর্তী বা পরবর্তীকালে সৃষ্ট কোনো মতভেদ, দলভেদ, শত্রুতা বা অন্য কোনো কারণে কারো অবদান অস্বীকার করা, গোপন করা বা অবমূল্যায়ন করা কঠিন পাপ ও আল্লাহর প্রতি অকৃতজ্ঞতার অপরাধ; যা আমাদের ব্যক্তি ও জাতীয় জীবনে আল্লাহর শাস্তি এবং আখিরাতের অকল্যাণ বয়ে আনবে।

মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের চূড়ান্ত পর্যায় হলো, আল্লাহ প্রদত্ত নেয়ামতকে তাঁর সন্তুষ্টির পথে ব্যবহার করা। জীবনের প্রতিটি নেয়ামতকেই আল্লাহর নির্দেশিত ও তাঁরই সন্তুষ্টির পথে ব্যবহার করতে হবে। যেমন, সুস্থতাকে ইবাদত ও সেবায়, সম্পদকে মানব সেবায়, ক্ষমতাকে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনে ব্যবহার করাই মহান আল্লাহর প্রতি প্রকৃত কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। অর্জিত স্বাধীনতার এ  নেয়ামতকে এভাবে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণমুখি সেবা ও উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করতে হবে। মহান আল্লাহ বলেন: আমি যদি তাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা দান করি তবে, তারা সালাত কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, ন্যায় কাজে আদেশ করে এবং অন্যায় কাজ থেকে নিষেধ করে।” (সূরা আল-হাজ্জ, আয়াত: ৪১)

এখানে আল্লাহ স্বাধীনতা লাভকারীদের জন্য চারটি মৌলিক দায়িত্বের কথা উল্লেখ করেছেন: প্রথমত, সালাত কায়েম করা। দ্বিতীয়ত, যাকাত প্রদান করা। তৃতীয় ন্যায়ের আদেশ ও চতুর্থ অন্যায়ের নিষেধ, তথা দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন। বস্তুত, সমাজের অধিকাংশ মানুষই সততা পছন্দ করেন এবং ঝামেলা, দুর্নীতি, অন্যায় ও জুলুম থেকে দুরে থাকতে চান। কিন্তু সমাজে যদি আইনের শাসন না থাকে, দুষ্ট ব্যক্তি তার অন্যায় কর্মের শাস্তি না পেয়ে অন্যায়ের মাধ্যমে লাভবান হতে থাকে, সৎ ও যোগ্য ব্যক্তি তাঁর যোগ্যতার মূল্যায়ন ও পুরস্কার না পান তবে সে সমাজের সাধারণ মানুষের মধ্যে হতাশা ও দুর্নীতি মুখিতা সৃষ্টি হয়। আর দেশ ও সমাজের ধ্বংসের এটি বড় পথ। এজন্য স্বাধীনতা লাভকারী জনগোষ্ঠীর অন্যতম দায়িত্ব সমাজের সর্বস্তরে আইনের শাসন, ন্যায়ের আদেশ ও অন্যায়ের নিষেধের শক্তিশালী ধারা তৈরি করা। এটি সকল নাগরিকের দায়িত্ব।

এ বিষয়ে অবহেলা করা, অবহেলার পরিবেশ তৈরি করা বা অবহেলা মেনে নেওয়া সবই আমাদেরকে জাগতিক ক্ষতি ও আখিরাতের শাস্তির মুখোমুখি করবে। মহান আল্লাহ ঘোষণা করেছেন: কোনো জাতি যতক্ষণ না তাদের অবস্থার পরিবর্তন করে ততক্ষণ আল্লাহ তাদের অবস্থার পরিবর্তন করেন না।” (সূরা রাদ: আয়াত ১১) সুতরাং আমাদেরকে আমাদের অবস্থা পরিবর্তনের জন্য সচেষ্ট হতে হবে। শিক্ষা, কর্ম, সততা, দায়িত্ববোধ ইত্যাদির মাধ্যমে জাতির উন্নয়নের চেষ্টা করতে হবে। এভাবে আমরা আল্লাহর রহমত লাভে সক্ষম হবো।
রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার সার্থকতাকে রক্ষা করতে তাকে সঠিক মর্যাদা দিতে হবে। এটা যেন স্বেচ্ছাচারিতায় পর্যবসিত না হয়। জীবন, সম্পদ ও ইজ্জত-আব্রুর নিরাপত্তা এবং জীবনোপকরণে সহজলভ্যতা বা সচ্ছলতা একটি স্বাধীন জনগোষ্ঠীর জন্য মহান আল্লাহর অন্যতম নেয়ামত। আল্লাহর নেয়ামতের প্রতি অকৃতজ্ঞ হলে এর বিপরীতে ক্ষুধা, অসচ্ছলতা, ও নিরাপত্তাহীনতার পোশাক আল্লাহ পরিধান করান। এদিকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।

আলোচনার প্রান্থটিকায় এসে বলতে পারি যে, অনুভব দিয়ে স্বাধীনতার মতো বিশাল নেয়ামতকে আল্লাহর দয়ার দান বলে বিশ্বাস করতে হবে। প্রিয় জন্মভূমির স্বাধীনতা অর্জনে যাঁদের অবদান রয়েছে তাঁদের  কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, তাকওয়া ও আইনের শাসনের পরিপূর্ণ প্রতিষ্ঠা করে আমাদেরকে এ নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে ও অকৃতজ্ঞতা থেকে আত্মরক্ষা করতে হবে। আল্লাহ আমাদেরকে তাওফীক দিন। আমীন!!
লেখক: গবেষক, প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট। শিক্ষক, জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সিলেট।
ইমেইলঃ zubairjcpsc@gmail.com  
মোবাইল: ০১৭১২৩৭৪৬৫০



শেয়ার করুন

Author:

0 coment rios:

You can comment here