।। মিদহাদ আহমদ।।
মেও।
মেও মেও মেও...
কিউ কিউ
মেও...
তিনবার
তিনটা সুরে বিড়ালটা ডাক দিলো।
ইয়েস।ওয়েট
মিকি। রিয়েকশনটা স্টার্ট করেই আমি আসছি।
মেও।
মেও মেও মেও...
মেও মেও মেও...
ইউ ডোন্ট
ওয়ান্ট মি।
কিউ কিউ
মেও...
এবার আমি
অবাক হলাম। বিড়াল মানুষের মতো কথা বলছে কীভাবে? শুনেছি ময়না, টিয়া
মানুষের মতো কথা বলতে পারে। তা বলে এই বিড়ালটা মানুষের মতো কথা বলবে?
আমি প্রফেসর
লিও কে জিজ্ঞেস করবো করবো ভেবেও জিজ্ঞেস করলাম না। উনি আমার বসের বাবা। বয়স্ক লোক। বয়স আশির মতো
হবে। বসের মুখে শুনেছি, ওনার বাবা বিজ্ঞানী। মূলত
বিজ্ঞানী না হলেও, উনি বিজ্ঞানী মানেন উনার
বাবাকে। বাসায় একটা রুমে বসে সারাদিন কি জানি কি করেন। ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি, ক্যামিকেলের
রিয়েকশন, বিকার আর ইউটিউব দুনিয়া নিয়ে
পরে থাকেন। এই রোগটা উনার ধরা দিয়েছে বছর পাঁচেক হলো। আমি দেখলাম, উনার পোশাক
আশাক আবার একদম নরমাল মানুষের মতো।
বয়স্ক
লোকেরা যেভাবে সাধারণত পাঞ্জাবি পরে, তিনিও
সেভাবেই। যাস্ট নাকের নীচে মোটা করে গোঁফ। গোঁফে কড়া কালো রঙ দেয়া। স্পষ্টই বোঝা
যাচ্ছে বিষয়টা। উনার নাম প্রফেসর লিও। সেইটারও একটা অদ্ভুত কারণ। আমি বসকে এই
বিষয়ে জিজ্ঞেস করার পর উনি বলেছেন, বিখ্যাত
কেমিস্ট লিও ডেনকোর্টারের নাম অনুসরণ করে উনার বাবাও এখন নিজেকে লিও দাবি করেন।
আচ্ছা মূল
কথায় আসি। বিড়ালটা মানুষের মতো কথা বলে কীভাবে? এইটা
প্রফেসর লিওকে জিজ্ঞেস করতে পারলাম না। উনি অবাক করে দিয়ে আমাকে বললেন, কী ভাবছো
তুমি?
বিড়াল
মানুষের মতো কথা বলছে কীভাবে, এইটাইতো?
আমি আমতা
আমতা করে বললাম, ইয়ে মানে আসলে হ্যাঁ। এমনটাই
ভাবছিলাম আমি।
হা হা হা। ছোকরা প্রফেসর লিওকে চিনো?
হা হা হা। ছোকরা প্রফেসর লিওকে চিনো?
আমি হেসে
হেসে বললাম, এইতো আমার সামনেই দাঁড়িয়ে
আছেন।
চুপ! বজ্জাত কোথাকার। আমি প্রফেসর লিও? আমি মিস্টার ডি বেনপোর্টার।
আমি কিছুটা ভড়কে গেলাম। নরম সুরে বললাম, ডি বেন...
ডি...বে...ন...পো...র্টা...র
চুপ! বজ্জাত কোথাকার। আমি প্রফেসর লিও? আমি মিস্টার ডি বেনপোর্টার।
আমি কিছুটা ভড়কে গেলাম। নরম সুরে বললাম, ডি বেন...
ডি...বে...ন...পো...র্টা...র
আচ্ছা স্যার, কথাটার মানে?
এমন সময়
প্রফেসর লিও চিৎকার করে ডাকলেন, বেনপোর্টার কাম হেয়ার।
বিড়ালটা চলে আসলো। এসে বললো, ইয়েস লিও।
বিড়ালটা চলে আসলো। এসে বললো, ইয়েস লিও।
আমি অবাক। বিস্মিত
হলাম। কিচ্ছু বুঝলাম না। বসের ওয়াইফ আমাকে ডাক দিলেন। আমার হাতে ফাইল ধরিয়ে দিয়ে
বললেন, তাড়াতাড়ি যাও অফিসে। তোমার বস
কল দিয়েছেন।
আমি বাসা
থেকে বেরিয়ে গেলাম। আধ ঘন্টার মাথায় অফিস পৌঁছালাম। বসকে পুরো ঘটনা বললাম। আমি
রীতিমতো ঘামছি। বস হেসে হেসে আমার কথাটা উড়িয়ে দিয়ে বললেন, কুদ্দুস
তুমি সত্যিই বোকা। এইটা বেনপোর্টার।
বেনপোর্টার
মানে কী?
হাহাহা। এইতো
তোমার বসের বাপ মানে প্রফেসর লিওর আবিষ্কার করা বিড়াল বেনপোর্ট। এইটা আসলে একটা
রোবট।
রোবট?
ইয়েস কুদ্দুস। এইটার উপরে যে পশম দেখলে, এইটা আমি
ইন্দোনেশিয়া থেকে আনিয়েছি প্রফেসর লিওর আদেশে। প্রফেসর লিও এই রোবটে মানুষের
কৃত্রিম ভোকাল সেট করেছেন। সেখান থেকেই এইটা মানুষের গলায় কথা বলে।
অহ অ! এই তাহলে কাহিনী?
অহ অ! এই তাহলে কাহিনী?
স্যার, আমি তো ভয়
পেয়ে গিয়েছিলাম। বার বার মনে হচ্ছিলো প্রফেসর লিও কীভাবে কি করলেন। আর সত্যি কথা
বলবো স্যার?
হ্যাঁ হ্যাঁ
কুদ্দুস বলো।
ইয়ে স্যার, এক
মূহুর্তের জন্য আমার মনে হয়েছিলো,আপনিও প্রফেসর লিওর তৈরি করা
কোন যন্ত্রমানব নয়তো!
হা হা হা।
না
কুদ্দুস। তোমার বস মানুষ। কোনো রোবট না।
আচ্ছা যাও, এক কাপ চা
নিয়ে আসো আমার জন্য।
লেখকঃ
শিক্ষার্থী, জেসিপিএসসি, সিলেট।
ইমেইলঃ midhadkhan11@gmail.com
মোবাইলঃ 01762095729
0 coment rios:
You can comment here