।। হাফেজ মুফতি
মোস্তফা সোহেল হিলালী।।
দান গোপনে
দেওয়া সর্বোত্তম। তবে অন্যকে উৎসাহিত করার জন্য প্রকাশ্য দেওয়ার ও বিশেষ ফায়েদা
রয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে কখন প্রকাশ্যে উত্তম এবং কখনও গোপনে উত্তম, এই উসূল
আমরা কুরআন থেকেই পেতে পারি।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
অর্থাৎ: “যদি তোমরা
প্রকাশ্যে দান-খায়রাত করো, তবে তা কতইনা উত্তম। আর যদি
খায়রাত গোপনে করো এবং অভাবগ্রস্তদের দিয়ে দাও, তবে তা
তোমাদের জন্যে আরও উত্তম।” (আল-কুরআন, সূরা বাকারা, আয়াত: ২৭১)
এই আয়াত
থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, আমার দানটি যদি সরাসরি কোনো
ব্যক্তিকে না হয়ে কোনো সমাজকল্যাণ খাত, চ্যারিটি, মাদরাসা, মসজিদ
ইত্যাদিতে হয়, তখন অন্যকে উৎসাহিত করার জন্য
প্রকাশ্যে দেওয়া উত্তম হবে, যদি দাতার মন লোক দেখানো
লোকশুনানো থেকে মুক্ত হয়। আর যদি দান সরাসরি কোনো ব্যক্তিকে হয় সেক্ষেত্রে গোপনে
দেওয়া উত্তম। এদিকেই ইঙ্গিত করে আল্লাহ বলেন,
وَإِن تُخْفُوهَا وَتُؤْتُوهَا
الْفُقَرَاءَ
অর্থাৎ: “আর যদি
খয়রাত গোপনে করো এবং অভাবগ্রস্তদের দিয়ে দাও” (আল-কুরআন, সূরা বাকারা, আয়াত: ২৭১)
কেননা এ
ক্ষেত্রে অন্যকে উৎসাহ প্রদানের চেয়ে একজন মানুষকে লজ্জা থেকে বাঁচানো উত্তম। আর
মানুষ একান্ত অভাবে পড়েই দান গ্রহণ করে এবং সে তা লুকিয়ে গ্রহণ করতে চায়। অভাবী
সম্মানিত মানুষ অভাবের তাড়নায় দান গ্রহণ করতে বাধ্য হলেও লজ্জায় তার চেহারা লাল
হয়ে যায়। এখন আপনি যদি দান করে তা প্রকাশ করেন, তবে তার
অবস্থা কী হতে পারে একটু ভাবুন? তাই দানের সময় এই বিষয়টির
প্রতি নজর দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যক্তি পর্যায়ের দানকে কখনো ফেইসবুক
ইত্যাদিতে প্রকাশ করে কাউকে ছোট করবেন না প্লিজ।
লেখকঃ
পরিচালক ও প্রধান মুফতি, ইমাম আবু হানিফা
রহ. ফতোওয়া ও গবেষণা ইনিস্টিটিউট, সিলেট।
মোবাইলঃ 01911527903
0 coment rios:
You can comment here