।। মামুন সুলতান।।
লক্ষ্য করুন মাননীয়
কাকে কান ধরে উঠবস করাচ্ছেন?
কয়েকটা ছবি ফেইসবুকে প্রায় প্রত্যেকে শেয়ার করেছেন। দেখলাম কয়েকজনের পিঠে চাবুক মারার মতো জঘন্য আঘাত। বাইন মাছের মত দাগ পড়ে আছে। দগদগে পিঠের মাঝে রক্তের লাল রেখা অঙ্কিত হয়েছে।
চোখে দেখা মাত্রই যেকোন সংবেদনশীল হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হবে। সেই কথাগুলোই ফেইসবুকাররা জানাচ্ছেন। এক ধরনের প্রতিবাদের ভাষা ব্যবহার করেছেন। কষ্টের কথা জানাচ্ছেন। প্রতিবাদে কেউ অমানবিক নির্যাতন।
চোখে দেখা মাত্রই যেকোন সংবেদনশীল হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হবে। সেই কথাগুলোই ফেইসবুকাররা জানাচ্ছেন। এক ধরনের প্রতিবাদের ভাষা ব্যবহার করেছেন। কষ্টের কথা জানাচ্ছেন। প্রতিবাদে কেউ অমানবিক নির্যাতন।
এগুলো ত গুজব নয়। কিন্তু এ ঘটনাগুলো যারা ঘটিয়েছেন তাদেরকে আমরা চিনি। রাষ্ট্রের মহান দায়িত্ব পালন করতে তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ। এখানে কজন মানুষ সচেতন। বুঝলাম সচেতন। কিন্তু অভাব এমন এক ভয়ানক মহামারি যার যন্ত্রণায় এই অভাবী মানুষগুলো আর হোমকোয়ারিন্টিনে থাকতে পারছেন না। পেটের দায়ে কাজের সন্ধানে তারা ঘর থেকে বের হয়েছে। এই অপরাধে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষিত অতি দায়িত্বশীল ব্যক্তি এদের ধরে আচ্ছা মত পিটিয়েছেন।
কী মধুর লাগে পেটাতে। কী মজা বাবার বয়সী লোকদের কানে ধরে উঠবস করাতে। বুঝলাম মারাত্মক ভুল তারা করেছে এই সব সাধারণ অশিক্ষিত মানুষ। গ্রামবাংলার মানুষ হিসেবে একবার ভাবুন ত আমরা যারা শিক্ষিত হয়েছি এরাই তো আমাদের শিক্ষিত করতে মানুষের মত মানুষ বানাতে স্কুল কলেজে পাঠিয়েছেন। এদের এই দিন মজুরী পয়সা দিয়েই আমরা শিক্ষিত।
এখন এরাই আমাদের হাতে নির্যাতনের শিকার। কী ভুল নয় কত মারাত্মক ভুল তারা করেছেন। এদের ভুল আমরা আইনের নিক্তিতে মেপেছি। সেই জঘন্য অপরাধে জনসমক্ষে লাঠিপেটা আর কানধরা শাস্তি দিয়ে শিক্ষিত বিরাট অফিসার হিসেবে মহান হয়ে গেছি।
রাষ্ট্র আপনাদের জন্য বিরাট ম্যাডেল তৈরি করে দেশ স্বাধীনের পুরস্কার দেবেন। কী লোভ! কিন্তু একবারও কি ভেবেছেন এদের প্রতিটি রক্তকণা আপনার জন্য কী অভিশাপের বার্তা নিয়ে আসছে। খবরদার। এসব আর করতে যাবেন না। শিক্ষিত সমাজের মুখে চুনকালি দেবেন না। রাষ্ট্র কে কলঙ্কিত করবেন না।
আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন। আমিন।
লেখকঃ কবি ও উপস্থাপক
0 coment rios:
You can comment here