Monday, March 23, 2020

করোনা পরিস্থিতিতে গ্রামীণ জনপদের খেটে খাওয়া অতি সাধারণ মানুষগুলো নিয়ে ভাবনা কী?


হাসান মাহমুদ ইমন। 

করোনা ভাইরাস যে মহামারি আকার ধারণ করে দেশে আক্রমণ করছে এখন পর্যন্ত গ্রামের অধিকাংশ মানুষ মানতেই চাচ্ছে না। আর মুরব্বিদের কথা তো বাদ-ই দিলাম। উনারা আগের সেকেলে ধ্যান ধারণার মানুষ; তারা করোনার এ পরিস্থিতিতে আরো উল্টো যুক্তি দিয়ে আমাদের অনেককে তাকদিরে অবিশ্বাসী ট্যাগ দিচ্ছে। অর্থাৎ গ্রামে সচেতনতা নেই বললেই চলে।
অথচ গ্রামগুলোতে যদি করোনা একবার আক্রমণ শুরু করে মৃত্যুর বন্যা বয়ে যাবে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কেউ জানতেই পারবে না সে কেন মরছে।

এখন আমরা যারা অল্প শিক্ষিত। ভার্চুয়াল থেকে করোনার নির্মমতা, করোনায় আক্রান্ত আর মৃত্যুর সংখ্যা  প্রতিনিয়ত  বৃদ্ধি ও করোনার কাছে বিশ্বের উন্নত দেশগুলো অসহায়ত্ব দেখে নিজেদের যথেষ্ট সচেতন করেছি বা রাখছি তাদের কী কর্তব্য নয় নিজের গ্রামকেও সচেতন রাখা?

তো এখন কী করবেন?

গ্রামের অধিকাংশ মুরব্বিদের সামনে করোনাকে উপস্থাপনাও করা যায় না। করার আগেই বেয়াদব, তাকদিরে অবিশ্বাসী, কাফের ব্লা ব্লা ট্যাগ পেয়ে চলে আসতে হয়।

আবার দেখা যায়, অনেকের সামনে করোনাকে উপস্থাপনা করা গেলেও উনারা আমাদের কথাকে আমলেই নেন না। এতটুকুও গুরুত্ব দেন না।

তো আর কী করবেন? 

এখন তো আমাদের আর কিছুই করার নেই। মরে যাক মুরব্বিগুলো। না। এমনটা না। মুরব্বিরা কারো দাদা, কারো নানা, কারো বাবা। ওদের ধরলে আমরাও ছাড় পাব না।

এখন বুঝতে হবে গ্রামের মুরব্বিরা কার কথা মানছেন। উনারা কাকে প্রাধান্য দিচ্ছেন।

হ্যা, উনারা একজনকেই মানেন একজনকেই বেশি প্রাধান্য দেন। উনি হলেন  মসজিদের ইমাম সাহেব। এই ইমাম সাহেবদের প্রতিটা কথা গ্রামের সরল মানুষরা খুব সহজে বিশ্বাস করে।
আমরা যদি তিন চার জন মিলে একেকটা মসজিদের ইমাম সাহেবের সাথে যোগাযোগ করি। এক ঘন্টারও বেশি সময় নিয়ে উনার সামনে বিভিন্ন তথ্য আর লজিকের মাধ্যমে খুব শান্তভাবে করোনাকে উপস্থাপনা করি। কীভাবে এই মরণঘাতী ভাইরাস থেকে সচেতন থাকতে হয় বুঝিয়ে বলি।

এতে সাহায্য হিসেবে ইন্টারনেট থেকে 

"করোনা ভাইরাস কী?", 

"এইটা কীভাবে ছড়ায়?",  

"এইটা থেকে বাঁচতে কী কী করতে হবে?" 

এমন তথ্যগুলো ভালোভাবে আয়ত্ব করতে হবে। 
তারপর শুধু যে আল্লহর উপর বিশ্বাস রেখে বসে থাকলে চলবে না এইটা বুঝাতে ইসলামি লেখক আরিফ আজাদ ও সেলিব্রেট Sohail Rahman এর পোস্ট আছে। আমি কমেন্টবক্সে লিংক দেব। এই পোস্টগুলোকে ভালোভাবে আয়ত্ব করে সাহায্য হিসেবে ইমাম সাহেবদের সামনে উপস্থাপনা করতে হবে।

সর্বশেষে ইমাম সাহেবকে হাত জোড় করে অনুনয় করে বলবো" গ্রামের মানুষদের এই করোনা থেকে সচেতন  করতে একমাত্র আপ্নারাই পারবেন। প্লিজ আপ্নারা প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পরে আমাদের কথাগুলো গ্রামের মানুষদের সামনে তুলে ধরবেন।"

প্লিজ এখনই আমাদের কাজ শুরু করার সময়। নইলে অচিরেই এই গ্রামগুলোতে মৃত্যুর মিছিল শুরু হয়ে যাবে। তখন আমি, আপনি বা আমরা কেউই রক্ষা পাব না করোনার ভয়াল থাবা থেকে।

প্লিজ কেউ আবার আমি ছোট মানুষ বলে অবজ্ঞা করবেন না। মাত্র ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে এত্ত পন্ডিতি করার কী দরকার এইগুলা ভাববেন না। দেশের এই দুঃসময়ের জন্যই পোস্টটা দিয়েছি। আমি চাই সবাই বাঁচুক এই মৃত্যু যাত্রা থেকে।

গ্রামীণ জনপদের খেটে খাওয়া অতি সাধারণ মানুষগুলো নিয়ে আপনার অন্য কোনো চিন্তাধারা থাকলেও তাও তাড়াতাড়ি বাস্তবায়ন করুন।

লেখকঃ শিক্ষার্থী   


শেয়ার করুন

Author:

1 comment:

  1. মাশাল্লাহ। আজকে দেখলাম আংকেল। অনেক ধন্যবা।

    ReplyDelete

You can comment here