।। হাফিজ মোঃ মাশহুদ চৌধুরী।।
নোবেল করোনা ভাইরাস বা কোভিড ১৯ এর ভয়াবহতা থেকে
সবচেয়ে বড়ো যে দুটি শিক্ষা আমরা বিশ্ববাসী পেয়েছি তা হলো----------
১) বিশ্বের নাগরিক হিসেবে আমাদের সবাইকে মানুষ হতে
হবে।
ব্যাখ্যাঃ এ মানুষ হওয়া আকার-আকৃতিতে মানুষ হওয়া
নয়, চিন্তা চেতনা মন-মানসিকতা এবং কথা ও কাজের মাধ্যমে মানবতাবাদী
হয়ে প্রকৃত বিবেকবান মানুষ হওয়াকে বোঝাতে চেয়েছি।
এটা এজন্যে বলছি---
করোনা ভাইরাস যদি মানুষকে সংশোধনের সুযোগ দেয়ার
জন্যে সরাসরি আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে বলে ধরে নেয়া হয়, তাহলে এটা দেখেও
আমরা নিজেদেরকে সংশোধন করার ও যাবতীয় দায়-দেনা থেকে দায়মুক্ত হয়ে প্রকৃত দায়িত্বশীল
মানুষ হবার কী উদ্যোগ নিয়েছি?
আর যদি করোনা ভাইরাস মানুষের তৈরি বলে ধরে নেয়া
হয়, তাহলে এর পিছনে এক বা একাধিক রাষ্ট্রের মানুষ নামের অমানুষরূপী
সরকার জড়িত। এ ধরণের জীবাণু অস্ত্র, সামরিক অস্ত্র, পারমানবিক বোমা, অন্যায় যুদ্ধ, মিথ্যা প্রচার
মাধ্যম, অর্থনৈতিক শোষণ ইত্যাদি নানাবিধ অমানবিক কর্মের সাথে প্রত্যক্ষ
বা পরোক্ষভাবে বিশ্বের প্রায় সব রাষ্ট্র ও সরকার জড়িত। আমরা বিশ্বের সব নাগরিক প্রত্যক্ষ
বা পরোক্ষভাবে ঐসব সরকারের সমর্থনকারী হিসেবে আমরাও তাদের অমানবিক কর্মসমূহের সহযোগী।
তাই মানুষ হবার জন্যে এবং অপরাধমুক্ত ও দায়মুক্ত
হবার জন্যে আমাদেরকে সঠিক পন্থায় সক্রিয়ভাবে উদ্যোগী হতে হবে।
২) মৃত্যুর জন্য সবসময় আমাদেরকে প্রস্তুত থাকতে
হবে।
ব্যাখ্যাঃ করোনা বা অন্য যেকোনো কারণে মৃত্যু হতে
পারে আমাদের যেকোনো সময়। মৃত্যু থেকে পালানোর কোনো সুযোগ কারো নেই। তাই মৃত্যুকে ভয়
না করে মৃত্যুর জন্যে প্রস্তুত থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ।
মৃত্যুর জন্যে প্রস্তুত থাকা মানে নিজেকে বিশুদ্ধ
করা ও বিশুদ্ধ রাখা এবং সকল প্রকার দায় দেনা থেকে নিজেকে দায়মুক্ত করা ও দায়মুক্ত
রাখা। যাতে যেকোনো সময় মৃত্যু আসলে নিজের অপরাধ কর্মের জন্যে মনে কোনো প্রকার আফসোস
না থাকে। এক্ষেত্রেও আমাদেরকে দায়মুক্ত হবার জন্যে সঠিক ও উপযোগী পন্থায় সক্রিয়
উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
বিশ্বের প্রতিটি মানুষ আজ কমবেশি ভেজাল মিশ্রিত
হয়ে গেছি। অথচ একটি অতি ক্ষুদ্র ভাইরাস আজ যেমনিভাবে সারা দুনিয়াকে তছনছ ও উলট-পালট
করে দিচ্ছে, তেমনি বিপরীত দিকে অতি ক্ষুদ্র করোনার তুলনায় বিশালদেহী মানুষ
নির্ভেজাল মানুষে পরিণত হলে তারা সারা বিশ্বকে স্বর্গরাজ্যে পরিণত করতে সক্ষম হতে পারবে
অতি সহজেই।
ভেজাল মিশ্রিত মানুষদেরকে ভেজালমুক্ত মানুষে পরিণত
হতে হলে সবাইকে একটি 'জিরো' পয়েন্টে আসতে হবে। আর 'জিরো' পয়েন্টে পৌঁছতে
হলে ব্যক্তিগত সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে এবং
একটি দায়মুক্তির অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে হবে। আর ঐ দায়মুক্তির অনুষ্ঠান থেকেই পেছনের
সব কালিমা গ্লানি মুছে ফেলে শুরু হবে অগ্রগতির সম্মিলিত যাত্রা।
পাকিস্তানের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ঐ ধরণের ভুল
যাতে এ দায়মুক্তির অনুষ্ঠানে না হয়, সে জন্যে সতর্ক থাকতে হবে।
পারস্পরিক দোষারোপ মুক্ত 'জিরো' পয়েন্টে যাওয়ার
জন্য একটি জাতীয় দায়মুক্তি দিবস পালনের গুরুত্ব ও পদ্ধতি এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একটি
লেখা বিগত ০২/০৯/২০১৬ তারিখে আমার ফেসবুকে ও ব্লগে প্রচার করেছিলাম। বর্তমানে উক্ত
দায়মুক্তি দিবস পালনের পরিবেশ তৈরির আহ্বান সম্বলিত লেখাটি আমার লেখা 'শান্তির ডাক' ও 'প্রগতির ডাক' নামক দুটি বইয়ে
উল্লেখ রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, জাতীয় দায়মুক্তি
দিবস পালনের আহ্বান জানানোর অনুমতি চেয়ে আমি নিজে এবং আমার স্কুলের মেয়েরা সুনামগঞ্জের
জেলা প্রশাসক মহোদয়ের মাধ্যমে একাধিক দরখাস্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে পাঠিয়েছি।
সাবেক জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ সাবিরুল ইসলাম এবং বর্তমান জেলা প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ
আব্দুল আহাদ স্যারদ্বয় দরখাস্তগুলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠিয়েছেন বলে অফিসিয়ালি
জানিয়েছেন। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমতির অপেক্ষায় আমরা এখন প্রহর গুনছি।
লেখকঃ
হাফিজ মোঃ
মাশহুদ চৌধুরী,
(জাতীয়
পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক স্বর্ণপদক প্রাপ্ত)
প্রধান
শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত)
সরকারি এস.
সি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ।
মোবাইলঃ
01715 142715
ইমেইল:
mashhudchowdhury@gmail.com
mashhudchowdhury@gmail.com
ইউটিউব চ্যানেল:
https://www.youtube.com/channel/UC8ZSiWdwj6NkC67WPd5I1sQ?view_as=subscriber
শুভেচ্ছা টিভি - Shuveccha TV
শুভেচ্ছা টিভি - Shuveccha TV
Facebook:
Hafiz Md Mashhud Chowdhury
Hafiz Md Mashhud Chowdhury
Facebook Page:
হাফিজ মোঃ
মাশহুদ চৌধুরী
Somewhereinblog.net:
হাফিজ মোঃ
মাশহুদ চৌধুরী
0 coment rios:
You can comment here