।। মোঃ আব্দুল হান্নান।।
বিষয়ঃ প্রকৃতি ও প্রত্যয়
শ্রেণি: নবম ও দশম
শ্রেণি: নবম ও দশম
প্রাতিপদিক: বিভক্তিহীন নাম শব্দকে
প্রাতিপদিক বলে।
যেমন : কলম, হাত, বই ইত্যাদি।
সাধিত শব্দ: মৌলিক শব্দ ছাড়া
অন্যসব শব্দকে সাধিত শব্দ বলে।
যেমন : হাতা, গরমিল, দম্পতি ইত্যাদি।
সাধিত শব্দ দুই প্রকার। যেমন: নাম শব্দ ও ক্রিয়া।
প্রত্যেকটি
সাধিত শব্দ বা নাম শব্দেরও ক্রিয়ার দুটি অংশ থাকে।
যেমনঃ
এক: প্রকৃতি ও
দুই: প্রত্যয়।
এক: প্রকৃতি ও
দুই: প্রত্যয়।
এক: প্রকৃতি
যে শব্দকে বা কোনো শব্দের যে অংশকে আর কোনো ক্ষুদ্রতর অংশে ভাগ করা যায় না তাকে প্রকৃতি বলে ।
যে শব্দকে বা কোনো শব্দের যে অংশকে আর কোনো ক্ষুদ্রতর অংশে ভাগ করা যায় না তাকে প্রকৃতি বলে ।
প্রকৃতি দুই প্রকার । যেমন :
ক) নাম প্রকৃতি ও
খ) ক্রিয়া প্রকৃতি বা ধাতু ।
ক) নাম প্রকৃতি ও
খ) ক্রিয়া প্রকৃতি বা ধাতু ।
ক) নাম প্রকৃতি: হাতল, ফুলেল , মুখর - এ শব্দগুলো
বিশ্লেষণ করলে আমরা পাই -
হাত+ল=হাতল
(বাঁট) ,
ফুল+এল=ফুলেল
(ফুলজাত) ও
মুখ+র=মুখর
(বাচাল)। হাত, ফুল ও মুখ ইত্যাদি শব্দকে বলা হয়
প্রকৃতি বা মূল অংশ। এগুলোর নাম প্রকৃতি ।
খ) ক্রিয়া প্রকৃতি
বা ধাতু: আবার চলন্ত , জমা ও লিখিত-শব্দগুলো বিশ্লেষণ
করলে আমরা পাই -
চল্+অন্ত=চলন্ত
(চলমান) ,
জম্ +আ= জমা
(সঞ্চিত) ও
লিখ্+ইত= লিখিত
(যা লেখা হয়েছে) । এখানে চল্ , জম্ ও লিখ্ তিনটি ক্রিয়ামূল বা
ক্রিয়ার মূল অংশ । এদের বলা হয় ক্রিয়া প্রকৃতি বা ধাতু ।
দুই: প্রত্যয়
শব্দ গঠনের উদ্দেশ্যে শব্দ বা নাম প্রকৃতির এবং ক্রিয়া প্রকৃতির পরে যে শব্দাংশ যুক্ত হয় তাকে প্রত্যয় বলে। কয়েকটি শব্দের প্রকৃতি ও প্রত্যয় বিশ্লেষণ করে দেখানো হলো:
শব্দ গঠনের উদ্দেশ্যে শব্দ বা নাম প্রকৃতির এবং ক্রিয়া প্রকৃতির পরে যে শব্দাংশ যুক্ত হয় তাকে প্রত্যয় বলে। কয়েকটি শব্দের প্রকৃতি ও প্রত্যয় বিশ্লেষণ করে দেখানো হলো:
১। নাম প্রকৃতি
প্রত্যয় প্রত্যয়ান্ত শব্দ
হাত + ল = হাতল
ফুল + এল = ফুলেল
মুখ + র = মুখর
২। ক্রিয়া প্রকৃতি
প্রত্যয় প্রত্যয়ান্ত শব্দ
চল্ + অন্ত
= চলন্ত
জম্ + আ = জমা
৩। বাংলা শব্দ
গঠনে দুই প্রকার প্রত্যয় পাওয়া যায়।
যেমন :
(ক) তদ্ধিত প্রত্যয় ও
(খ) কৃৎপ্রত্যয়।
(ক) তদ্ধিত প্রত্যয় ও
(খ) কৃৎপ্রত্যয়।
(ক) তদ্ধিত প্রত্যয়: শব্দমূল বা নাম শব্দের সঙ্গে
যে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি হয় তাকে বলে তদ্ধিত প্রত্যয়। যেমন: হাতল, ফুলেল ও মুখর
শব্দের যথাক্রমে ল, এল ও র তদ্ধিত প্রত্যয়।
(খ) কৃৎপ্রত্যয়: ক্রিয়ামূল বা ধাতুর সঙ্গে যে প্রত্যয়
যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি হয় তাকে বলে কৃৎপ্রত্যয়। যেমন: চলন্ত, জমা ও লিখিত
শব্দের যথাক্রমে অন্ত, আ ও ইত কৃৎপ্রত্যয়।
৪. তদ্ধিতান্ত শব্দ: তদ্ধিত প্রত্যয় সাধিত শব্দকে
বলা হয় তদ্ধিতান্ত শব্দ। যেমন: হাতল, ফুলেল ও মুখর।
৫. কৃদন্ত শব্দ: কৃৎপ্রত্যয় সাধিত শব্দকে বলা হয়
কৃদন্ত শব্দ। যেমন: চলন্ত, জমা ও লিখিত।
চলবে ------
রচনায়ঃ
মোঃ আব্দুল হান্নান
প্রভাষক (বাংলা)
লিয়াকতগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজ
লক্ষীপুর, দোয়ারা বাজার, সুনামগঞ্জ।
ইমেইলঃ
মোবাইলঃ ০১ ৭২৩৮১১৪৪৪
মোবাইলঃ ০১ ৭২৩৮১১৪৪৪
0 coment rios:
You can comment here