।। আব্দুল মুনিম জাহেদী ক্যারল।।
পর্ব-১
সালাম ও শুভেচ্ছা সবাইকে । দেশ বিদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আমার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানার জন্য গভীর আগ্রহে আছেন অনেক আপনজন, তাই দীর্ঘদিন পর আবার ফেইসবুকের মাধ্যমে আমার শারীরিক উন্নতির সুখবর জানাচ্ছি, আলহামদুল্লাহ প্রায় ৩ সপ্তাহ পর আমি এখন সুস্থ হয়ে উঠছি এবং অনেক ভালো বোধ করছি।
পর্ব-১
সালাম ও শুভেচ্ছা সবাইকে । দেশ বিদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আমার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানার জন্য গভীর আগ্রহে আছেন অনেক আপনজন, তাই দীর্ঘদিন পর আবার ফেইসবুকের মাধ্যমে আমার শারীরিক উন্নতির সুখবর জানাচ্ছি, আলহামদুল্লাহ প্রায় ৩ সপ্তাহ পর আমি এখন সুস্থ হয়ে উঠছি এবং অনেক ভালো বোধ করছি।
আমার যে লক্ষণগুলো ছিল তার মধ্যে অন্যতম, উচ্চ তাপমাত্রা, কাশি, বুকে ও গলায় প্রচন্ড ব্যথা এবং একটু শ্বাসকষ্ট। গলায় মনে হতো চাকু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে, কিছু পেট অসুখও ছিল, আমার তাপমাত্রা এবং শ্বাস কষ্ট এখন অনেক কমেছে তবে এখনও কাশি রয়েছে, তবে এটি আগের চেয়ে ভালো। পুরাপুরি সুস্থ না হলেও আলহামদুল্লাহ মোটামুটি ভালোর দিকে যাচ্ছি। আশাকরি এভাবে চলতে থাকলে আগামী সপ্তাহ থেকে সাধারণ জীবনযাপনে ফিরে যেতে সক্ষম হব ইনশাআল্লাহ।
গত ৩০ মার্চ সোমবার সকালে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে একজন নার্স এসে আমার শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন। নার্স জানিয়েছেন, ব্লাড প্রেসার, শ্বাস-প্রশ্বাস, ব্লাডসুগার স্বাভাবিক আছে। তবে টেম্পারেচার একটু বেশি। প্রায় ৩৮.৯ ডিগ্রী। কাশির কারণেই শ্বাসকষ্ট বেশি হচ্ছে। আমাকে এবং পরিবারের বাকি সবাইকে সেলফ আইসোলেশনে থাকতে হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৬/৮ গ্লাস গরম পানি খেতে হবে। সময় সময় প্যারাসিটামল খেতে হবে। কোনো ধরণের এন্টিবায়োটিক খাওয়া যাবেনা, কারণ এসব ভাইরাল ইনফেকশনে এন্টিবায়োটিক কোনো কাজ করে না। অ্যাম্বুলেন্স আসার আগেই বাসার সবাইকে বলে রেখেছিলাম, আমি হসপিটালে যাব না, আলহামদুল্লাহ প্যারামেডিকও আমাকে হসপিটালে নেয়ার প্রয়োজন মনে করে নি, যেহেতু গত রাত থেকে আমার শারীরিক অবস্থা একটু উন্নতি হচ্ছে l
সেলফ আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় ছেলে মেয়ের সাথে একটু দুরুত্ব রাখার চেষ্টা করলাম, স্ত্রী, বেচারি নাছুড় বান্দা, নিজের দিকে লক্ষ না করেই আমার সেবা যত্ন নিয়ে ব্যস্ত, যদিও চেষ্টা করেছি দুরুত্ব বজায় রাখতে। আলহামদুল্লাহ এখনো আমার পরিবারের সবাই সুস্থ আছেন l ভাই – বোন, ভাগ্না – ভাগ্নি, চাচাতো – ফুফাতো ভাই বোন, বাড়ীর মানুষ, শশুরালয়ের স্বজন, সাংবাদিক বন্ধুরা, মসজিদ কমিটির সদস্যরা, আত্মীয় স্বজন, সংগঠনের জনশক্তি সবাই আমাকে নিয়ে পেরেশান, দান দক্ষিণা, সদকা পরিবারের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে l ২/৩ দিন আমিও শারীরিক ও মানসিকভাবে মারাত্মক আক্রান্ত হয়ে ছিলাম, দিন রাত চোখে ঘুম নেই, শুধু কষ্ট আর কষ্ট, এই কয়দিন অনেক খারাপ স্বপ্নও দেখেছি, চোখের সামনে দিয়ে শুধু করোনা ভাইরাস উড়ছে শিমুল তুলার মত, ভোরে উঠে আমার স্ত্রী লাকীকে বলেছি এবং ওইদিনই সবচেয়ে বেশি মানুষ ইংল্যান্ড মৃত্যু বরণ করেছে l
আমিও সবসময় শুধু আল্লাহকে স্মরণ করেছি, বিছানায় শুয়ে শুয়ে নামাজ, দোআ দুরুদ করেছি, দুনিয়াকে প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম, শুধু কয়েকবার
আল্লাহকে বলেছি, “হে আল্লাহ ব্যবসায়িক কারণে কিছু মানুষের
সাথে দেনা পাওনা আছে, এই লেনদেনগুলো পরিশোধ করার পর আমাকে নিয়ে
যাও।” আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমার দোয়া কবুল করেছেন, তাড়াতাড়ি ব্যবসায়িক সকল সমস্যা সমাধান করে চিন্তামুক্ত করুন l
আলহামদুলিল্লাহ মাত্র ২/৩ দিনের মাথায় আমি একটু আরোগ্য হতে লাগলাম, যদিও তিন সপ্তাহ থেকে অসুস্থ, কিন্তু মূলত ঐ ২/৩ দিনই আমার আসল ব্যারাম ছিল, জীবনের এক চরম অধ্যায় অতিবাহীত হল l
আমার অসুস্থতার খবর প্রথম আমাদের লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এ প্রচার করে আমার একজন প্রিয়ভাজন ছোট ভাই, ব্রিট বাংলার নির্বাহী সম্পাদক সাংবাদিক আহাদ চৌধুরী বাবু এবং ২/৩ দিন পরে আরেকজন আপনজন ব্রিটেনের জনপ্রিয় সাপ্তাহিকী দেশ পত্রিকার সম্পাদক প্রিয় তাইসির মাহমু ফেইসবুকের মাধ্যমে আমার অসুস্থতার খবর জানিয়ে দিলেন সারা পৃথিবীর আপনজনদের কাছে, তাইসির এর নিউজ কপি করে আরো অনেকে প্রচার করেছেন যার যার ইচ্ছেমতো l
আলহামদুলিল্লাহ হায়াৎ ছিল এবং সবার দুয়ায় বেঁচে আছি, এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে প্রায় ৩৫ জন ব্রিটিশ বাংলাদেশী মৃত্যু বরণ করেছেন, আমাদের প্রাইম মিনিস্টারসহ হাজার হাজার মানুষ অসুস্থ আছেন l
আমার অসুস্থতার খবর জেনে দেশ-বিদেশে অবস্থানরত বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আমার আত্মীয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, স্কুল বন্ধুরা, সাংবাদিক বন্ধুরা, মসজিদ কমিটির সদস্যরা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বন্ধুরা, গ্রামের মানুষ, আত্মীয় স্বজন, বিভিন্ন সংগঠনের জনশক্তি, শুভাকাঙ্খী, পরিচিত-অপরিচিত হাজারো আপন ও প্রিয় স্বজনরা আমার জন্য দোয়া করেছেন এবং আমার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন, কয়েকজন উঁচু মানের ইমাম ও ইসলামিক ব্যক্তিত্ব সরাসরি টেলিফোনের মাধ্যমে আমার জন্য দোয়া দুরুদ করেছেন, সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও গভীর ভালোবাসা রইলো । সকলের দোয়ায় সুস্থ হচ্ছি, এখনও কথা বলতে একটু কষ্ট হয়, তাই আপাতত ফোন না করে শুধু দোয়া করতেই অনুরোধ জানাচ্ছি।
সর্বশেষ গত ১৮ মার্চ বুধবার রাতে লন্ডন মুসলিম সেন্টারের সেমিনার রুমে কাউন্সিল অব মস্ক টাওয়ার হ্যামলেটস আয়োজিত একটি বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছিলাম করোনাকালীন সময়ে মসজিদগুলো বন্ধ রাখার ব্যাপারে আলোচনা হয় এবং পরের দিন থেকেই ইস্ট লন্ডন মসজিদসহ লন্ডনের অনেক মসজিদ অস্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয় l
একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সব সময়ই নিজেকে কমিউনিটির কাজে ব্যস্ত রাখি, এই মহামারির সময় অসহায় মানুষের পাশে থাকার জন্য একটি মহৎ কাজে যোগ দিয়েছিলাম, মুরব্বিদের ও আত্মীয় স্বজনের খবর নিবো, ২০ ও ২১ মার্চ শুক্রবার ও শনিবার দুদিন অনেকের সাথে ফোনে আলাপ করে বিভিন্ন জরুরি কথা ও বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি, কিন্তু আমার সকল পরিকল্পনা উল্ঠা হয়ে গেলো, অন্যরা আমার খবর নিচ্ছেন, আমাকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন । সবই আল্লাহর ইচ্ছা, তাতে আমাদের কোনো হাত নেই, আল্লাহ তায়ালার কাছে একান্ত প্রার্থনা, তিনি যেন এই কঠিন সময়ে আমাদের সবাইকে শান্তি দেন এবং সুস্থ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেয়ে আনেন l
আপনাদের সবার সহানুভূতি ও দোয়ার জন্য আবারো ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞ, আল্লাহ আমাদের সকলকে এই কঠিন সময়ে একে অন্যকে সাহায্য সহযোগিতা করার তৌফিক দান করুক, সবার মঙ্গল কামনা করি।
শুভকামনা
ক্যারল
৭ এপ্রিল’২০২০
ক্যারল
৭ এপ্রিল’২০২০
পর্ব-২
আমার লিখা “হায়াৎ ছিল এবং সবার
দুয়ায় বেঁচে আছি” প্রচার হওয়ার পরে, অসুস্থ
অবস্থায় কী কী করেছি তা অনেকেই জানতে আগ্রহ প্রকাশ করায় আবার দ্বিতীয় পর্ব লিখতে বাধ্য হই, আশাকরি অনেকের উপকারে আসবে l
সালাম ও শুভেচ্ছা প্রিয় বন্ধু-বান্ধব এবং পরিজন
সর্বশক্তিমান আল্লাহর অনুগ্রহে এখন আমি ভালো আছি, তাই আল্লাহ সুবহানু ওয়া তায়ালার শুকরিয়া আদায় করছি। COVID-19 এ আমার কী কী অভিজ্ঞতা হয়ে ছিল এবং
কী কী করেছি তা নিম্নরূপ :
২১ মার্চ শনিবার থেকে আমার যে
লক্ষণগুলো ছিল তার মধ্যে অন্যতম, প্রথম দিন উচ্চ তাপমাত্রা,
কাশি, বুকে ও গলায় প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করলাম,
দ্বিতীয় দিন আমার মনে হচ্ছে, আমার গলায় চাকু
দিয়ে আঘাত করা হয়েছে, শুকনো কাশি শুরু হল, প্রচন্ড জ্বর আসলো, গায়ে ব্যাথা ও কিছু পেট অসুখ এবং
একটু শ্বাস কষ্ট শুরু হলো, তৃতীয় দিন আমি স্বাদ এবং
গন্ধ হারিয়ে ছিলাম, আমি খেতে পারিনি, খাবারে
কোনও গন্ধ নেই, স্বাদ নেই, জ্বর আসছে
এবং যাচ্ছে, আমার মারাত্মক কাশি লাগছে। কিছু সময় মনে হয় আমি শ্বাস নিতে পারি না, ২/৩ দিন
দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলাম, আমিও শারীরিক ও মানসিকভাবে মারাত্মক আক্রান্ত হয়েছিলাম, দিন রাত চোখে ঘুম নেই, শুধু কষ্ট আর কষ্ট, তাই বাধ্য হয়ে আবার দ্বিতীয় বার
হসপিটাল যোগাযোগ করি, ৩০ মার্চ সোমবার সকালে অ্যাম্বুলেন্স
নিয়ে একজন নার্স এসে আমার শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন।
নার্স জানিয়েছেন, ব্লাড
প্রেসার, শ্বাস-প্রশ্বাস, ব্লাডসুগার
স্বাভাবিক আছে। তবে টেম্পারেচার একটু বেশি। প্রায় ৩৮.৯ ডিগ্রী। কাশির কারণেই
শ্বাসকষ্ট বেশি হচ্ছে। আমাকে এবং পরিবারের বাকি সবাইকে সেলফ আইসোলেশনে থাকতে হবে।
প্রতিদিন কমপক্ষে ৬/৮ গ্লাস গরম পানি খেতে হবে। সময় সময় প্যারাসিটামল খেতে হবে।
কোনো ধরণের এন্টিবায়োটিক খাওয়া যাবেনা, কারণ এসব ভাইরাল
ইনফেকশনে এন্টিবায়োটিক কোনো কাজ করে না। অ্যাম্বুলেন্স
আসার আগেই বাসার সবাইকে বলে রেখেছিলাম, আমি হসপিটালে যাব না,
আলহামদুল্লাহ প্যারামেডিক ও আমাকে হসপিটালে নেয়ার প্রয়োজন মনে করে
নি, যেহেতু গত রাত থেকে আমার শারীরিক অবস্থা একটু উন্নতি
হচ্ছে l
আমি এই মুহুর্তে কী করলাম :
সেলফ আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় ছেলে মেয়ের সাথে একটু দুরুত্ব
রাখার চেষ্টা করলাম, প্রথম ৩/৪ দিন সবাইকে নিয়ে একসাথে জামাতে
নামাজ আদায় করলেও ঐদিন থেকে তাদের আলাদা করে নিজে একা একা নামাজ পড়া শুরু করি,
স্ত্রী, বেচারি নাছুড় বান্দা, নিজের দিকে লক্ষ না করেই আমার সেবা যত্ন নিয়ে ব্যস্ত, যদিও চেষ্টা করেছি দুরুত্ব বজায় রাখতে l আলহামদুলিল্লাহ
এখনো আমার পরিবারের সবাই সুস্থ আছেন।
কী কী করলাম:
১: তাওবা ইস্তেফগার করে মহান প্রভু আল্লাহর শরণাপন্ন হই। দোয়া জিকির, তেলাওয়াত করে
শুধু আল্লাহর সাহায্য নিয়েছি, একমাত্র আল্লাহকে ডেকেছি এছাড়া
আর অন্য কিছু আমার মনে আসেনি l
২: প্রতি দুই তিন ঘন্টা পরে গরম পানি এবং লবণ দিয়ে গার্গেল করলাম অনবরত।
৩: নিয়মিত লেবু, আদা,
রসুন, লং, কালো গোলমরিচ
ও মধু দিয়ে রং চা পান করতে লাগলাম । দিনে ৮/৫ বার আদা/মধু মিশ্রিত রং চা পান করেছি।
৪: সবসময় গরম পানি পান করেছি, এখন ও আমার সাথে ফ্লাস্ক ভর্তি গরম পানি আছে। কোনো প্রকার আইসক্রিম ও ঠান্ডা পানীয় পান করবেন না, সম্ভব হলে
দিনে ৪ বার অবশ্যই গরম পানি পান করবেন ।
৫: দিনে ৩/৪ বার ভিস্ক ও গরম পানির
ভাপ নিচ্ছি, এর ফলাফল খুব দ্রুত কাজে এসেছে ।
৬: দিনে ২/৩ বার গরম দুধ পান, সকালে পরিস/সাগু/জাউ খাবার চেষ্টা করেছি, যেহেতু
অন্য কিছু খাবারের মুঠেই রুচি নেই, এইগুলো ও খুব কষ্ট করে
খেতে হচ্ছে l
৭: কালো জিরা (মধুর
সাথে, চিবিয়ে,অথবা পানিতে ভিজিয়ে ২/৩
বার পান/খেয়েছি, কালোজিরার তেল ও নিয়মিত পান করেছি, সেটাই ও খুব কাজ হয়েছে l
৮: ইচ্ছে করে শক্ত মনোবল ও এই অসুখ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য
খুবই জোর করে সুস্বাদু খাবার গ্রহণ করার চেষ্টা করেছি।
৯: নিয়মিত ভিটামিন সি খেয়েছি, মাল্টি ভিটামিন।
১০: হাত মুখ সবসময় পরিষ্কার পরিছন্ন রাখার চেষ্টা করেছি l
১১: নিয়মিত পবিত্র জম জম পানি পান করেছি l
নিজেকে এবং পরিবারের অন্যান সদস্যকে পরিস্কার পরিছন্ন রাখতে উৎসাহিত করেছি
এবং কখনোই অপ্রয়োজনে ঘরের বাহিরে বের হতে দেই নি। সব ধরনের সামাজিক মেলামেশা থেকে
বিরত থাকছি l
আমার ভাই বোন, মেয়ে,
মেয়ের জামাই, ভগ্নপতি, চাচাতো
ভাই, ফুফাতো ভাই, আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু
বান্ধব অনেকেই দুরুত্ব বজায় রেখে ঘরের বাইরে থেকে আমাদের দেখে এবং প্রয়োজনীয় খাবার,
শপিং ও ঔষধ পত্র দরজার বাইরে রেখে চলে গেছেন l
আলহামদুলিল্লাহ এখন সুস্থ হয়ে উঠছি এবং অনেক ভাল বোধ করছি।
এই অবসর সময়ে পবিত্র রমজান মাসের এতেকাফের মতো নিয়মিত কুরআন, ইসলামী সাহিত্য, রাসূলের সিরাত অধ্যয়ন করছি, এই মহামারীর দুঃসময়ে বেশি বেশি করে আল্লাহকে স্মরণ করে সকল ভালো এবাদত
করার তাওফিক চাই। আল্লাহ আমাদের সকলকে এই কঠিন সময়ে
একে অন্যকে সাহায্য সহযোগিতা করার তৌফিক দান করুক,
সবার সুসাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করি l
ঘরে থাকুন জীবন বাঁচান,
আবারো ধন্যবাদ
ক্যারল
লন্ডন ৯ এপ্রিল ২০২০
0 coment rios:
You can comment here