Thursday, April 2, 2020

জান্নাত কী? কেমন হবে সেই জান্নাত?


।। মুহাম্মদ আতিকুর রহমান তারেক।।

জান্নাত কী?

জান্নাত শব্দটি আরবি জানন (جنن) ধাতু হতে উদ্গত। আর এমন বস্তুকে জানন (جنن) বলা হয় যা অন্য কিছুকে ঢেকে দেয় । এজন্য আরবিতে বাগান (بستان) কে জান্নাত বলা হয়। কেননা তার অভ্যন্তরভাগ অতি ঘন ও সাজানো গাছ-গাছালি ও সবুজ শ্যামল ঘাস ও ফুলে ফলে ঢাকা থাকে। আর এ কারণেই বিভিন্ন ধরনের প্রচুর গাছপালার সমাবেশ না ঘটলে আরবরা কোনো স্থানকে জান্নাত বলা সমীচীন মনে করেন না।

জান্নাতকে জান্নাত বলার কারণ হলোএটা বাহ্যিকভাবে দুনিয়ার জান্নাতের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণযদিও দুনিয়ার জান্নাত ও আখেরাতের জান্নাতের মধ্যে অকল্পনীয় ব্যবধান রয়েছে। আর “জান্নাতের নেয়ামত রাজি আমাদের দৃষ্টির অগোচরে (ঢাকা) থাকায় একে জান্নাত বলা হয়।” আল-মুফরাদাত/ যেমন- আল্লাহ বলেছেন:
 ﴿فَلَا تَعْلَمُ نَفْسٌ مَّا أُخْفِيَ لَهُم مِّن قُرَّةِ أَعْيُنٍ جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ 
-“নয়ন জুড়ানো কি সব অকল্পনীয় নেয়ামত তাদের জন্য গোপন করে রাখা হয়েছে কেহই তা জানেনা।” -সূরা আস সেজদা, আয়াত:১৮

কুরআন ও সুন্নাহর বর্ণনা অনুযায়ী জান্নাত হল স্থায়ী নিয়ামতে পরিপূর্ণ সেই আবাসস্থলকেয়ামতের পর আল্লাহ তাঁর প্রিয় বান্দাদের পুরস্কার হিসেবে যেথায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতে দেবেন। পুরো বেহেশতই হবে অতি সুবিশাল একটি সবুজ-শ্যামল বাগান। অবশ্য সে সুবিশাল বাগানের মাঝে মাঝে অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্রায়তন ঘন পত্র-পল্লব বিশিষ্ট বাগান থাকবে। আল্লাহ বলেন:
﴿إِنَّ اللَّهَ يُدْخِلُ الَّذِينَ آَمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ إِنَّ اللَّهَ يَفْعَلُ مَا يُرِيدُ
- “যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্মসমূহ সম্পাদন করেছে নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদেরকে এমন বাগান সমূহে প্রবেশ করাবেন যার নিচ দিয়ে নদ-নদী ও ঝর্ণাসমূহ সদাসর্বদা প্রবাহিত হতে থাকবে।” -সূরা হজ, আয়াত:১৪
কেমন হবে সেই জান্নাত?
জান্নাত এমন এক শান্তি নিকেতনযার সুখ-সৌন্দর্য  অকল্পনীয় ও বর্ণনাতীত। একটি হাদিস হতে তার সংক্ষিপ্ত একটি চিত্র পাওয়া যায়। 

একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবীদের সম্মোধন করে বললেন:
﴿أَلاَ هَلْ مُشَمِّرٌ لِلْجَنَّةِ؟ فَإِنَّ الْجَنَّةَ لاَخَطَرَ لَهَا هِيَ وَرَبِّ الْكَعْبَةِ! نُورٌ يَتَلأْلأُ، وَرَيْحَانَةٌ تَهْتَزُّ، وَقَصْرٌ مَشِيدٌ، وَنَهَرٌ مُطَّرِدٌ، وَفَاكِهَةٌ كَثِيَرَةٌ نَضِيجَةٌ، وَزَوْجَةٌ حَسْنَاءُ جَمِيَلةٌ، وَحُلَلٌ كَثِيرَةٌ. فِي مقَامٍ أَبَدًا. فِي حَبْرَةٍ وَنَضْرَةٍ. فِي دُورٍ عَالِيَةٍ سَلِيمَةٍ بَهِيَّةٍ قَالُوا:نَحْنُ الْمُشَمِّرُونَ لَهَا يَا رَسُولَ اللهِ! قَالَ قُولُوا: إِنْ شَاءَ اللهُ قَالَ القوم: إِنْ شَاءَ اللهُ 
-“ওহে (আমার প্রিয় সাহাবীগণ)! তোমরা কি জান্নাত লাভের জন্য কঠোর পরিশ্রমী হবে না ? জেনে রাখজান্নাত এমন স্থান যার কোনো তুলনা নেই। কাবার রবের শপথ করে বলছিসেখানে সর্বদা আলো ঝলমল করে ও দীপ্তি ছড়ানো থাকে। যার সুঘ্রাণ ও খুশবু দেহ-মনে আনন্দের দোলা দেয়। তথায় আছে নিত্য প্রবাহমান নদ-নদী ও ঝর্ণাধারার প্রবাহ। রসালো ও সুস্বাদু ফল ফলাদি। অনিন্দ্যসুন্দরী মনমাতানো নারী ও স্ত্রীগণ। সূক্ষ্ম ঘন রেশমি অসংখ্য বস্ত্র। এমন এক চিরস্থায়ী আবাস যেথায় আছে শান্তিস্থিতি ও আনন্দে মেতে থাকার সব ধরনের সুবন্দোবস্ত। সবুজ-শ্যামল বাগবাগিচা ও নানান রঙ্গের খাদ্য সম্ভার। জীবন উপভোগ্য নিয়ামতে পরিপূর্ণ গগনচুম্বী রাজমহল। (তোমরা কি এসব পেতে উদ্যোগী হবে না ?) সাহাবীগণ বললেনআমরা এর জন্য পরিশ্রম করতে উদ্যোগী হব। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: বলোইনশাআল্লাহ (যদি আল্লাহ চাহেন)। তখন সকলেই বলে উঠলেনইনশাআল্লাহ।” - ইবনে মাজাহইবনে হাব্বানহাদিউল আরওয়াহ ইলা বিলাদিল আফরাহ আর ইতহাফুজ জুবাইদীর সংকলক বলেনহাদীসটির বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। 

অপার্থিব প্রশান্তি ও অফুরন্ত নিয়ামত এর মাহাত্ম্য উপলব্ধি করা পার্থিব জ্ঞান-বুদ্ধি ও ইন্দ্রিয় দ্বারা প্রায় অসম্ভব। এদিকে ইঙ্গিত করেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:  
﴿من يدخل الجنة ينعم لا يبأس ، لا تبلى ثيابه ، ولا يفنى شبابه ، في الجنة ما لا عين رأت ، ولا أذن سمعت ، ولا خطر على قلب بشر- رواه مسلم من حديث حماد بن سلمة به
-“যে জান্নাতে প্রবেশ করবেসে পাবে অনন্ত নেয়ামত যা থেকে কখনো তাকে হতাশ করা হবে না। তার পরিধেয় বস্ত্র কখনো পুরাতন হবে না এবং  তার যৌবনকাল কখনো নিঃশ্বেষ হয়ে যাবে না। জান্নাতে থাকবে এমন সব নেয়ামতযা কোনো চোখ কোনোদিন দেখেনিকোনো কান যার বর্ণনা কখনো শুনেনি এবং কোনো অন্তর যা কোনদিন কল্পনাও করতে পারেনি।”  
হাদীসটি  মুসলিম  কর্তৃক  হাম্মাদ  ইবনে  সুলাইমান  সূত্রে  বর্ণিত.
জান্নাত সমূহের নাম ও বৈশিষ্ট্যাবলী:
জান্নাতের পরিচয় ও সৌন্দর্য তুলে ধরতে আল-কোরআনে জান্নাতকে নানাবিদ নামে অভিহিত করা হয়েছে, চিত্রায়িত করা হয়েছে বহুবিদ গুন বৈশিষ্ট্যেআল্লামা ইবনুল কাইয়ুম (রহ.) জান্নাতের নিম্নলিখিত 12টি কুরআনী নাম উল্লেখ করেছেন: 

১. জান্নাত (বাগান) ও নির্ঝরিণী: আল্লাহ তায়ালা বাণী-
﴿ادْخُلُوهَا بِسَلَامٍ آمِنِينَ-إِنَّ الْمُتَّقِينَ فِي جَنَّاتٍ وَعُيُونٍ
 -“নিশ্চয় মুত্তাকীগণ থাকবে জান্নাত ও নির্ঝরিণীসমূহে। তোমরা তাতে প্রবেশ কর শান্তিতে, নিরাপদ হয়ে।” সূরা আল-হিজর, আয়াত:৪৫

২. দারুস সালাম (শান্তির আবাস): আল্লাহ তায়ালা বাণী-
﴿لَهُمْ دَارُ السَّلَامِ عِندَ رَبِّهِمْ وَهُوَ وَلِيُّهُم بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
-“তাদের জন্যেই তাদের প্রতিপালকের কাছে নিরাপত্তার গৃহ (শান্তির আবাস) রয়েছে এবং তিনি তাদের বন্ধু তাদের কর্মের কারণে।” সূরা আনআম, আয়াত: ১২৭

৩. দারুস খুলদ (চিরস্থায়ী আবাস): আল্লাহ তায়ালা বাণী-
﴿قُلْ أَذَٰلِكَ خَيْرٌ أَمْ جَنَّةُ الْخُلْدِ الَّتِي وُعِدَ الْمُتَّقُونَ ۚ كَانَتْ لَهُمْ جَزَاءً وَمَصِيرًا
-“এদের বলো, এ পরিণাম ভালো অথবা সেই চিরন্তন জান্নাত (চিরস্থায়ী আবাস) যার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছ মুত্তাকীদেরকে? সেটি হবে তাদের কর্মফল এবং তাদের সফরের শেষ মনযিল।” সূরা আল-ফুরকান, আয়াত:১৫

৪. দারুল মাকামাহ (প্রতিষ্ঠিত নিবাস): আল্লাহ তায়ালা বাণী-
﴿وَقَالُوا الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَذْهَبَ عَنَّا الْحَزَنَ ۖ إِنَّ رَبَّنَا لَغَفُورٌ شَكُورٌ الَّذِي أَحَلَّنَا دَارَ الْمُقَامَةِ مِن فَضْلِهِ 
-“আর (জান্নাতে প্রবেশের পর তারা বলবে) সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদের কাছ থেকে সকল দুঃখ-কষ্ট দূরীভূত করে দিয়েছেনঅবশ্যই আমাদের মালিক ক্ষমাশীল ও গুণগ্রাহীযিনি তাঁর একান্ত অনুগ্রহে আমাদের এত সুন্দর (প্রতিষ্ঠিত) নিবাসের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।” -সূরা ফাতির, আয়াত:৩৪-৩৫

৫. জান্নাতুল মাওয়া (আশ্রয় উদ্যান): আল্লাহ তায়ালা বাণী-
﴿وَأَمَّا مَنْ خَافَ مَقَامَ رَبِّهِ وَنَهَى النَّفْسَ عَنِ الْهَوَى فَإِنَّ الْجَنَّةَ هِيَ الْمَأْوَى  
-“পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সামনে দন্ডায়মান হওয়াকে ভয় করেছে এবং খেয়াল-খুশী থেকে নিজেকে নিবৃত্ত রেখেছে, তার ঠিকানা হবে জান্নাত (আশ্রয় উদ্যান)।”-সূরা নাজিয়াত, আয়াত:৪০-৪১

৬. জান্নাতু আদন (চিরস্থায়ী জান্নাত): আল্লাহ তায়ালা বাণী-
﴿جَنَّاتِ عَدْنٍ الَّتِي وَعَدَ الرَّحْمَٰنُ عِبَادَهُ بِالْغَيْبِ ۚ إِنَّهُ كَانَ وَعْدُهُ مَأْتِيًّا
-“তাদের জন্য রয়েছে চিরস্থায়ী জান্নাত, যার প্রতিশ্রুতি করুণাময় নিজের বান্দাদের কাছে অদৃশ্য পন্থায় দিয়ে রেখেছেন ৷ আর অবশ্যই এ প্রতিশ্রুতি পালিত হবেই।” -সূরা মারয়াম, আয়াত:৬১

 ৭. দারুল হায়াওয়ান (জীবন গৃহ): আল্লাহ তায়ালা বাণী-
﴿وَمَا هَـٰذِهِ ٱلۡحَيَوٰةُ ٱلدُّنۡيَآ إِلَّا لَهۡوٌ۬ وَلَعِبٌ۬‌ۚ وَإِنَّ ٱلدَّارَ ٱلۡأَخِرَةَ لَهِىَ ٱلۡحَيَوَانُ‌ۚ لَوۡ ڪَانُواْ يَعۡلَمُونَ  
-“আর এ দুনিয়ার জীবন খেল-তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয় এবং নিশ্চয় আখিরাতের নিবাসই হলো প্রকৃত জীবন, যদি তারা জানত।” -সূরা আল আনকাবুত, আয়াত:৬৪

 ৮. আল ফিরদাউস (নিকুঞ্জ-কানন): আল্লাহ তায়ালা বাণী- 
﴿إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ كَانَتْ لَهُمْ جَنَّاتُ الْفِرْدَوْسِ نُزُلًا
-“নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে তাদের মেহমানদারির জন্য রয়েছে জান্নাতুল ফেরদাউস (নিকুঞ্জ-কানন)।” (সূরা কাহাফ, আয়াত:১০৭)

 ৯. জান্নাতুন নায়ীম (নিয়ামতপূর্ণ জান্নাত): আল্লাহ তায়ালা বাণী-
﴿إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَهُمْ جَنَّاتُ النَّعِيمِ
-“নিশ্চয় যারা ঈমান আনে আর সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে নিয়ামতে পরিপূর্ণ জান্নাত।” -সূরা লোকমান, আয়াত:8

১০. আল মাকামুল আমীন (নিরাপদ আবাসস্থল): আল্লাহ তায়ালা বাণী-
﴿إِنَّ الْمُتَّقِينَ فِي مَقَامٍ أَمِينٍ فِي جَنَّاتٍ وَعُيُونٍ يَلْبَسُونَ مِن سُندُسٍ وَإِسْتَبْرَقٍ مُّتَقَابِلِينَ 
-“আল্লাহভীরু লোকেরা শান্তি ও নিরাপত্তার জায়গায় থাকবে ৷ বাগান ও ঝর্ণা ঘেরা জায়গায় ৷ তারা রেশম ও মখমলের পোশাক পরে সামনাসামনি বসবে ৷” -সূরা আদ-দুখান, আয়াত:৫১-৫৩ 

 ১১ ও ১২. মাকাদু সিদ্ক ও খাদমু সিদ্ক (সত্য আসন ও প্রাপ্য আসন):
﴿إِنَّ الْمُتَّقِينَ فِي جَنَّاتٍ وَنَهَرٍ فِي مَقْعَدِ صِدْقٍ عِندَ مَلِيكٍ مُّقْتَدِر
-“আল্লাহর নাফরমানী থেকে আত্মরক্ষাকারীরা নিশ্চিতরূপে বাগান ও ঝর্ণাসমূহের মধ্যে অবস্থান করবে, সত্যিকার মর্যাদার স্থানে মহা শক্তিধর সম্রাটের সান্নিধ্যে৷”- সূরা আল ক্বামার: ৫৪-৫৫ [হাদিউল আরআহ ইলা বিলাদিল আফরাহ,পৃষ্টা:৮৬]

এসব নামে আখ্যায়িত করার পাশাপাশি  আল কুরআনের বহু আয়াতে বিভিন্ন আকর্ষণীয় শব্দাবলী ও ভাষা শৈলী দ্বারা জান্নাতকে চিত্তাকর্ষক আবাসস্থল হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে ।

যেমন বলা হয়েছে, ইহা হলো  উত্তম আবাস (৩:১৪), আল্লাহর রহমতের আশ্রয় (৩:১০৭), সম্মান ও মর্যাদার জায়গা (৪:৩১), শান্তির ভুবন (১০:২৫), বড়ই ভালো আবাস (১৬:৩০) এবং চমৎকার আশ্রয় ও আবাস (২৫:৭৬)।

কখনো জান্নাতকে বলা হয়েছে ভোগ বিলাসের জায়গা। যেমন, ইহা হলো সম্মানজনক জীবিকা (২২:৫০) মাগফিরাত ও সম্মানজনক রিযিক (৩৪:৪) এবং উৎকৃষ্টতর জিনিস (২৫:১০) ।

 কখনো আবার সৎ কর্ম ও উত্তম আমল আখলাকের বিনিময় বুঝাতে বলা হয়েছে যে, ইহা হলো  বিরাট প্রতিদান (১৭:৯), ক্ষমা এবং বিরাট প্রতিদান (১১:১১), ভালো প্রতিদান (১৮:২), উত্তম প্রতিদান (৫৩:৩১), সর্বোত্তম প্রতিদান (৫৭:১১), বিরাট পুরষ্কার (৬৭:১২), প্রতিদান ও যথেষ্ট পুরস্কার (৭৮:৩৬), অফুরন্ত পুরস্কার (৮৪:২৫) মাগফিরাত ও বড় পুরস্কার (৩৫:৭) এবং এমন পুরস্কার যা কোনো দিন শেষ হবে না (৯৫:৬)। 

 এছাড়াও জান্নাতকে শুভ পরিণাম (১৩:২৯), মাগফেরাত ও মর্যাদাপূর্ণ প্রতিদান (৩৬:১১), নৈকট্যের মর্যাদা ও উত্তম প্রতিদান (৩৮:২৫) এবং যেমন উত্তম তেমনি চিরস্থায়ী (৪২:৩৬) ইত্যাদি নানাবিদ বিশেষণে বিশেষিত করা হয়েছে ।

[এখানে উল্লেখিত প্রথম সংখ্যা দ্বারা সূরা ও দ্বিতীয় সংখ্যা দ্বারা আয়াত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে । যেমন (৩:১৪) মানে হলো ৩ নং সূরা আল ইমরানের ১৪ নং আয়াত] 

আসুন, ক্ষণিকের এই দুনিয়ায় চির সুখের স্থান জান্নাত পেতে, মহান রবের সন্তুষ্টির নিমিত্তে, তাঁর দেখানো পথে জীবন যাপনে সচেষ্ট হই। আল্লাহপাক আমাদের সেই তাওফীক দান করুন। আমীন।

উৎস: হৃদয় সৈকতে দাঁড়িয়ে জান্নাত ও জাহান্নাম দেখা (জান্নাত পর্ব)/ মুহাম্মদ আতিকুর রহমান তারেক

লেখকঃ ইমাম ও খতিব,
নিউক্যাল মুসলিম সেন্টার,
নিউক্যাসল, ইউ.কে.
ইমেইল: artquran1@gmail.com



শেয়ার করুন

Author:

0 coment rios:

You can comment here