।। মুন্সি আব্দুল কাদির।।
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ
الرَّحِيم কোরআনুল কারীমের প্রথম আয়াত। প্রত্যেক সুরার বিভাজ
এ আয়াত পড়া হয়। ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ
الرَّحِيمِ আয়াতটি নাযিল হলেই তিনি বুঝতেন যে, একটি সুরা শেষ হয়েছে এবং আরেকটি সুরা সুরা শুরু হতে যাচ্ছে।
ইমানদারগণ প্রত্যেক কাজের শুরুতে
بِسْمِ
اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ বলেন। সে জানে بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ
الرَّحِيمِ বলা ছাড়া তার কাজে কোনো বরকত আসবে না। কোনো কল্যান তার নসিবে
জুটবে না। তাই সে সব কাজের শুরুতে বলে بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ
الرَّحِيمِ ।
আর যদি কখনও بِسْمِ
اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ বলা ছুটে যায় তার মনে আফসোস
হতে থাকে। মনটা ছোট হয়ে যায়। بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ
الرَّحِيمِ বলার অভ্যাস মানুষকে খারাপ কাজ থেকে বাঁচিয়ে দেয়। আমরা জানি
কোনো ঘোষখোর بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ বলে ঘোষের টাকা
নেয় না, নিতে পার না।
অনুরূপভাবে কোনো নেশাখোর بِسْمِ
اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ বলে নেশা করে না। কোনো চোর بِسْمِ
اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ বলে চুরি করে না। সে যত বড়
গাদ্দার হোক না কেন খারাপ কাজের শুরুতে بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ
الرَّحِيمِ বলতে লজ্জাবোধ করে।
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ
الرَّحِيمِ বলে কাজটি শুরু করলে অনেক ঘুরে এসে সঠিক স্থান থেকে কাজটি শুরু
করতে হয় না। আল্লাহর রহমত সাথে সাথে থাকার কারনে সঠিক স্থান থেকেই কাজটি শুরু হয়। ফলে
অনায়াসে কাজটি সুন্দরভাবে কাজটি সমাপ্ত করা যায়। কাজটিতে আল্লাহর রহমত, সাহায্য লেগেই থাকে। بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ
الرَّحِيمِ বলা ছাড়া যে কাজ শুরু করা হয় সে কাজ বরকত শূন্য থাকে। بِسْمِ
اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ এর মধ্যে আল্লাহর জাতি নাম
ও সবচেয়ে রহম ওয়ালা দুটি গুণবাচক নামের সমাহার। بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ
الرَّحِيمِ বলার সাথে সাথে আল্লাহর রহম সাগরে ঢেউ খেলতে থাকে।
ওহুদ যুদ্ধে হযরত তালহা ইবনে
ওবায়দুল্লাহ রাঃ বিরত্বের কথা সর্বজন বিদিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
বলেন, তোমরা যদি কোনো জীবন্ত শহীদ দেখতে চাও,
তবে তালহাকে দেখ। ওহুদ যুদ্ধে তালহা রাঃ কৃতিত্বের খুশি হয়ে রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তালহা জান্নাত ওয়াজিব
করে নিয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে যখন কাফেররা বেষ্টন করে
ফেলে তখন তালহা রাঃ খুব বিরত্বের সাথে যুদ্ধ করে কাফেরদের হটিয়ে দেয়। যুদ্ধ করতে করতে
তালহা রাঃ এর আঙ্গুল কেটে যায় এতে তিনি ওহ শব্দ করে উঠেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, হে তালহা তুমি যদি ওহ না বলে بِسْمِ
اللَّهِ বলতে তাহলে ফেরেস্তারা তোমাকে আকাশে উঠিয়ে নিত এবং মানুষজন তা
দেখতে পেত। (আর রাহিকুল মাখতুম।)
হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ
রাঃ হইতে বর্ণিত তিনি বলেন, بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ নাযিলের পর
মেঘ পূর্বদিকে সরে গেল, বায়ু প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেল, সমুদ্র তরঙ্গ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠল, চতুস্পদ প্রাণীগুলো
উৎকর্ণ হয়ে উঠল, অগ্নিগোলক নিক্ষিপ্ত হয়ে আকাশ শয়তান মুক্ত হলো।
আল্লাহ তায়ালা তাঁর মর্যাদা ও পরাক্রমের শপথ করে বললেন, তাঁর
এই নাম যাহাতে উৎকীর্ণ হবে তাতে তিনি বরকত দিবেন। (তাফসীরে ইবনে কাছির।)
নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেন, আমার প্রতি এমন একটি আয়াত নাযিল করা হয়েছে যা
সুলাইমান আঃ ও আমি ছাড়া আর কারো উপর নাযিল করা হয়নি, ইহা হচ্ছে,
بِسْمِ
اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ। (তাফসীরে ইবনে কাছির)
একদিন হযরত উসমান রাঃ নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ
الرَّحِيمِ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ইহা আল্লাহ তায়ালার একটি নাম। চোখের পুতুল (মণি) ও এর সাদা অংশে যেমন পরস্পর
সন্নিহিত ও ঘনিষ্ঠ, আল্লাহ তায়ালার শ্রেষ্ঠতম নাম ও বিসমিল্লাহ
সেরূপ সন্নিহিত ও ঘনিষ্ঠ। (তাফসীরে ইবনে কাছির।)
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ
থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, যদি কেহ জাহান্নামের ১৯ দারোগার হাত থেকে আল্লাহর
রহমতে বাঁচতে চায় সে যেন بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ
الرَّحِيمِ পাঠ করে। আল্লাহ তায়ালা এর এক এক অক্ষরকে এক এক দারোগার হাত
হতে রক্ষাকারী বানাবেন।
নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম একদিন এক সাওয়ারীতে ছিলেন, তাঁর পিছনে
একজন সাহাবী আরোহী ছিলেন। সওয়ারীর সহচর বলেন, একদিন নবী করিম
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামসহ তাঁর সওয়ারী হোঁচট খেল। আমি বলে উঠলাম শয়তান গোল্লায়
যাক। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, শয়তান গোল্লায় যাক বলিওনা। এই
কথা বললে শয়তান গর্বে ফুলে উঠে এবং ভাবতে থাকে আমিই তাকে নিজ ক্ষমতায় ফেলে দিয়েছি।
পক্ষান্তরে তুমি যদি বিসমিল্লাহ পাঠ করো, তবে শয়তান দুঃখ ও সংকোচে
ক্ষুদ্র মক্ষিকার মত হয়ে যায়।
আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্নিত
তিনি বলেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
তুমি যদি তোমার স্ত্রীর সাথে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হও. তখন আল্লাহর নাম উচ্চারণ
কর। যদি তোমার ঔরসে কোনো সন্তান জন্ম নেয় তাহলে তার নিজের ও বংশধরদের নিঃশ্বাসের সমপরিমাণ
নেকি তোমাকে প্রদান করা হবে।
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ
الرَّحِيمِ এর ফজিলত নিয়ে মাওলানা মহিউদ্দিন খান রাহঃ খাযায়েনুল ইরফানে, ইকবাল কিলানী নেয়ামুল কোরআনে, মাওলানা আশরাফ আলী থানবী
রাহঃ আমালে কোরআনীতে অনেক ফযিলত উল্লেখ করেছেন, নিম্নে তার কিছু
উল্লেখ করা হলো:
ইমাম ফখরুদ্দিন রাজি রাহঃ তাফসীরে
কবীরে بِسْمِ
اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ এর ফযিলত ও বরকত বর্ণনা করতে গিয়ে লিখেছেন, ফেরাউন খোদায়ী দাবী করার আগে তার প্রাসাদের দরজায় بِسْمِ
اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ খোদাই করে রেখেছিল। সে যখন খোদায়ী দাবী করে বসে এবং আল্লাহর
নবী মুসা আলাইহিস সালাম তার নিকট দ্বীনের তাবলীগ করতে গেলেন তখন সে অহংকার ভরে মুসা
আলাইহিস সালামকে প্রত্যাখ্যান করে। মুসা আলাইহিস সালাম ফেরাউনের জন্য বদদোয়া করলেন।
হযরত মুসা আলাইহিস সালাম আরজ করলেন, হে আল্লাহ,
তুমি কেন এই দুর্বৃত্তকে ছাড় দিচ্ছ? তখন ওহী এলো
হে মুসা, এ তো নিঃসন্দেহে ধ্বংস হওয়ার যোগ্য। এর প্রাসাদের দরজায় بِسْمِ
اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ লিখা রয়েছে। যার বরকতে এখনও সে বেঁচে আছে। এই কারণে ফেরাউনকে
প্রাসাদে থাকা অবস্থায় আযাবে পতিত করা হয় নাই। প্রাসাদ থেকে বের করে নিয়ে সাগরে ডুবিয়ে
মারা হয়েছিল।
হযরত শাহ আব্দুল আজিজ মুহাদ্দেস
দেহলভী রাহঃ তাফসীরে আজীজীতে লিখেন, হযরত নুহ আলাইহিস
সালাম এর নৌকা ভয়ংকর তুফানের মধ্যে যে কালামটুকুর বরকতে নিরাপদ ছিল তা ছিল বিসমিল্লাহি
মাজরেহা ওয়া মুরছাহা ইন্না রাব্বি লা গাফুরুর রাহিম।
হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম
সাবার রাণী বিলকিসের নিকট যে পত্র প্রেরণ করেন, তাতে প্রথম
লিখা ছিল ইন্নাহু মিন সুলাইমানা ওয়া ইন্নাহু বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। এই বিসমিল্লাহর
বরকতেই রাণী বিলকিস বশীভূত হয়ে সুলাইমান আলাইহিস সালাম এর নিকট চলে এসেছিলেন এবং তার
রাজ্য সুলাইমান আলাইহিস সালাম এর নিকট অর্পণ করেছিলেন।
তাফসীরে আজীজীতে আছে, আলেমগণ এরূপ বিশ্লেষণ করেছেন, যে দিন রাতে মোট চব্বিশ
ঘন্টা। এই চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পাঁচ ঘন্টা। অবশিষ্ট ১৯ ঘন্টার মধ্যে
আল্লাহ তায়ালা ১৯ অক্ষর বিশিষ্ট বাক্য بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ
الرَّحِيمِ দান করেছেন। যাতে বান্দা চব্বিশ ঘন্টাই ইবাদতের
মধ্যে অতিবাহিত করে।
একবার একজন অমুসলিম হযরত খালিদ
বিন ওয়ালিদ রাঃ এর নিকট এক মারাত্মক বিষ মিশ্রিত এক পেয়ালা পানীয় এনে বলল, আপনার ধর্ম যদি সত্য হয় তবে এই বিষ মিশ্রিত পেয়ালার পানীয়টি পান করে প্রমান
করুন। হয়রত খালিদ বিন ওয়ালিদ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ
الرَّحِيمِ বলে বিষের পেয়ালার পানীয়টি পান করে ফেললেন, তাঁর কিছুই হল না।
তাফসীরে কবীরে উল্লেখ আছে, হযরত ওমর রাঃ এর শাসন আমলে রোমের সম্রাটের প্রচণ্ড মাথা ব্যথা হল। কোনো চিকিৎসাতেই
কোনো উপকার হচ্ছিল না। সম্রাট হযরত ওমর রাঃ বরাবরে দূত মারফতে চিঠি লিখে অনুরোধ করলেন,
কোনো চিকিৎসা থাকলে ব্যবস্থা করতে। হযরত ওমর রাঃ সম্রাটের জন্য একটি
টুপি পাঠিয়ে দিলেন। টুপিটি পরার সাথে সাথে সম্রাটের মাথা ব্যথা একদম বন্ধ হয়ে যেত।
কিছুদিন টুপিটি ব্যবহার করার পর সম্রাটের মাথা ব্যথা পুরোপুরি ভালো হয়ে গেল। তারপর
সম্রাট এর রহস্য উৎঘাটনের জন্য টুপিটি খুলার নির্দেশ দিলেন। দেখা গেল টুপির ভিতরে সেলাই
করা এক টুকরো কাগজে লেখা রয়েছে, بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ
الرَّحِيمِ ।
একদিন হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম
একটি কবরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় অনুভব করলেন, কবরটিতে ভীষণ
আযাব হচ্ছে। তিনি একটু অগ্রসর হয়ে অযু গোসল করলেন এবং করবটির পাশে ফিরে এলেন। তিনি
আশ্চর্য় হয়ে দেখতে লাগলেন যে, কবরটি থেকে আযাব উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে
এবং সেখানে রহমতের নুর ঝলমল করছে। হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন,
হে মাওলা, এই আশ্চর্য বিষয়টির রহস্য আমাকে অবহিত করুন। আল্লাহ
তায়ালার পক্ষ থেকে জবাব এল হে ঈসা, এই কবরের লোকটি ভয়ংকর পাপী
ছিল। যে কারনে তার কবরে আযাব দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু ইতিমধ্যে একটি ঘটনা ঘটে গেছে। লোকটি
যখন মৃত্যু বরণ করে তখন তার স্ত্রী গর্ভবতী ছিল। পরে সে একটি পুত্র সন্তান প্রসব করে।
তার সেই ছেলেটি মক্তবে যেতে শুরু করেছে এবং আজই সে بِسْمِ
اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ পাঠ আয়ত্ব করেছে। এমতাবস্থায়
আমার লজ্জাবোধ হচ্ছিল যে, যার রেখে আসা সন্তান জমিনের উপর আমার নামের
পাঠ গ্রহণ করেছে, তাকে মাটির নিচে আযাবে রাখি কি করে?
হযরত বিশরে হাফি রাহঃ একদিন
বিসমিল্লাহ লিখিত এক টুকরো কাগজ কুড়িয়ে পেলেন, সেটি যত্মের
সাথে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে পকেটে থাকা টাকা খরচ করে সুগন্ধি কিনলেন এবং ঐ টুকরোটিতে
লাগালেন। সে রাতেই বিশরে হাফি রাহঃ স্বপ্নে দেখলেন, আল্লাহ তায়ালা
তাকে বলছেন, হে বিশর, তুমি আমার নামের প্রতি
ভক্তি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতঃ সেটিকে যেভাবে সুগন্ধ মন্ডিত করেছ, তেমনি আমিও তোমার নাম দুনিয়া ও আখিরাতে উজ্জ্বল ও সুগন্ধমন্ডিত করে দেব।
ফকীহ মোহাম্মদ জমানী রাহঃ একবার
খুব জরাক্রান্ত হলেন। তার ওস্তাদ ফকীহ আলী ওমর রাহঃ তাকে দেখতে আসলেন। তিনি একটি কাগজে
কি যেন লিখে তাকে দিয়ে বললেন, এটি ধারণ করো। কিন্তু সাবধান এটা
খুলে দেখো না। এই কাগজটি ধারণ করা মাত্রই তার জ্বর ভালো হয়ে গেল। তিনি উৎসুক্য দমন
করতে পারলেন না। তিনি এটি খুলে ফেললেন। খুলে দেখেন কাগজে লেখার রয়েছে بِسْمِ
اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ। এতে তার মধ্যে একটি ভাব জাগল শুধু بِسْمِ
اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ । তার এতেকাদে ও বিশ্বাসে একটু
স্থবিরতা এলো, আবারো জ্বর চলে আসল। তৎক্ষণাৎ তিনি ওস্তাদের
নিকট গিয়ে ক্ষমা চাইলেন এবং বললেন তার জন্য দোয়া করতে।
ফকীহ আলী ওমর রাহঃ আবারো একটি
কাগজে কিছু লিখে দিয়ে ধারণ করতে বললেন। তিনি ধারণ করা মাত্রই জ্বর চলে গেল। এক বৎসর
পর তিনি ভাবলেন দেখা যাক এই কাগজে কি লিখা আছে। খুলে দেখেন তাতেও بِسْمِ
اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ লেখা রয়েছে। তখন তার ভক্তি ও বিশ্বাসের অন্ত রইল না।
কোরআনুল কারীমে এই আয়াত ১১৪
বার রয়েছে যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য। আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম হলো শয়তানের অনিষ্ট
থেকে বাঁচার হাতিয়ার। بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
সকল কল্যাণ লাভের মহা কৌশল।
যারা জীবনের সকল কাজের শুরুতে
بِسْمِ
اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ বলা চালু রাখবেন আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে সকল বিপদ আপদ থেকে হিফাজত
করবেন। আসুন, আমি আপনি সকলে সকল কাজের শুরুতে بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ
الرَّحِيمِ বলার অভ্যাস গড়ে তুলি। জীবনের সব কাজে আল্লাহর রহমতকে বেছে নেই।
আল্লাহ ওয়ালাগণ بِسْمِ
اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ দ্বারা অনেক রোগের শিফা, বিপদ মুসিবত দুর হওয়া, আল্লাহর রহমত প্রাপ্তির বিভিন্ন
আমল বাতলে দিয়েছেন। আমরা আমাদের ইলম, চিন্তা দ্বারা আমল হিসাবে
কোনটা বেছে নিতে পারি। তাছাড়া আমরা بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ আরো চিন্তা
করতে পারি। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে কোরআন দ্বারা দুনিয়ার জীবন সাজানোর তাওফিক দান করুন।
কোরআন দিয়ে উপকৃত হওয়ার তাওফিক দান করুন। পরকালীন মুক্তির পথে চলার তাওফিক দান করুন।
লেখকঃ কবি
ও প্রাবন্ধিক
সিনিয়র অফিসার
ও জিবি ইনচার্জ
ইসলামী ব্যাংক
বাংলাদেশ লিঃ
0 coment rios:
You can comment here