।। মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।।
গীবতের অপর নাম পরনিন্দা বা পরচর্চা। এটি ধর্মীয়ভাবে
যেমন মারাত্মক গোনাহের কাজ এবং পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ, তেমনি সামাজিকভাবেও
গীবতকারীকে ঘৃণ্য এবং নিকৃষ্টতম ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত করা হয়। ইসলামি পরিভাষায়
গীবত একটি কবিরা গোনাহ বা বড় ধরণের গোনাহ। আর সকল কবিরা গোনাহ-ই ভয়ঙ্কর। কুরআন-হাদীসে
কবিরা গোনাহের জন্য কঠিন শাস্তির কথা উল্লেখ হয়েছে। সাধারণত দ্বীনদার আল্লাহ্ ভীরু মানুষেরা অধিকাংশ কবিরা গোনাহ বা বড় ধরণের পাপগুলি
বর্জন করে থাকেন। কিন্তু কিছু ভয়ঙ্কর পাপ আছে যা দ্বীনদার মানুষেরাও পছন্দ করেন এবং
তাতে লিপ্ত হয়ে পড়েন। এগুলির মধ্যে রয়েছে হিংসা, উপহাস, অহঙ্কার, গীবত ইত্যাদি।
অধিকাংশ সময় দ্বীনদার মুমিনও এ সকল পাপে লিপ্ত
হতে মজা পান। অবশ্য এর একটা কারণ তো আছেই। দ্বীনদার মুমিন ব্যক্তিকে শয়তান মদ, ব্যভিচার, জোয়া, ফরয তরক ইত্যাদি
কাজে লিপ্ত করতে পারে না। এজন্য দ্বীনদার মানুষদের জাহান্নামে নেয়ার জন্য শয়তানের
অন্যতম ফাঁদ হলো কিছু কবিরা গোনাহকে তাদের কাছে প্রিয় করে তোলা। শয়তান পরনিন্দা বা
গীবতকে মানুষের নিকট প্রিয় করে তোলে। একজন
নামাজি ব্যক্তিও বসে বসে অন্যের গীবত করে যান অনায়াসেই। অথচ এ জাতীয় প্রিয় কাজের
জন্য যে ভয়াবহ শাস্তি অপেক্ষা করছে সেদিকে কোনো পরোয়া নেই।
এখন কথা হলো গীবত কী? কোন ধরণের কাজকর্ম
গীবতের অন্তর্ভুক্ত? আসুন আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদীস থেকে গীবতের পরিচয়
জেনে নিই। রাসুলুল্লাহ'র সাহাবী আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন-
﴿حَدَّثَنَا
يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ،
عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم قَالَ " أَتَدْرُونَ مَا الْغِيبَةُ " . قَالُوا اللَّهُ
وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ " ذِكْرُكَ أَخَاكَ بِمَا يَكْرَهُ
" . قِيلَ أَفَرَأَيْتَ إِنْ كَانَ
أَخِي مَا أَقُولُ قَالَ " إِنْ كَانَ فِيهِ مَا تَقُولُ فَقَدِ اغْتَبْتَهُ
وَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِيهِ فَقَدْ بَهَتَّهُ " .﴾
অর্থাৎ, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কি জান গীবত কি জিনিস? নবীজির সাহিবীরা
বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই ভাল জানেন। তিনি বললেন, (গীবত হল) তোমার
ভাই এর সম্পর্কে এমন কিছু আলোচনা করা, যা সে অপছন্দ করে। প্রশ্ন করা
হল, আমি যা বলছি তা যদি আমার ভাই এর মধ্যে থেকে থাকে তবে আপনি কি
বলেন? তিনি বললেন, তুমি তার সম্পর্কে যা বলছ তা
যদি তার মধ্যে থাকে তাহলেই তুমি তার গীবত করলে। আর যদি তা তার মধ্যে না থাকে তা হলে
তো তুমি তার প্রতি অপবাদ আরোপ করলে।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৬৩৫৬)
আরেকটু পরিষ্কার করে নিই। এই হাদীস থেকে আমরা এটাই
বুঝতে পারছি যে, অনুমানের উপর নির্ভর করে বা ধারণা করে কথা বলা এবং অন্যের দোষ
অনুসন্ধান করা হারাম। শুধু তাই নয়, অনুসন্ধান ছাড়াও যদি অন্যের
কোনো দোষত্রুটি মানুষ জানতে পারে তবে তার অনুপস্থিতিতে সেগুলিও উল্লেখ করা হারাম।
(غيب) গাইব থেকে গীবত এসেছে। গীবত অর্থ অনুপস্থিত
ব্যক্তির দোষ বলা। মানে কোনো ব্যক্তির ১০০% সত্য দোষত্রুটির কথা তার অনুপস্থিতিতে উল্লেখ
করাই গীবত। আর যদি সেটা অসত্য হয় তাহলে হবে মিথ্যা অপবাদ। আশা করছি এবার কিছুটা হলেও
গীবত কী সেটা বোঝাতে পেরেছি ইন শা আল্লাহ্।
গীবত শুধু ধর্মকে কলঙ্কিত করে না, সমাজেও বিশৃঙ্খলা
সৃষ্টি করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। এজন্য আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুল আমাদেরকে গীবত জাতীয়
আমলে জড়াতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। এমনকী আল্লাহ্ তা'লা গীবত করাকে
নিজের মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার নামান্তর বলেছেন। যেমন আল্লাহ্ তা'লা বলেন-
﴿يا أَيُّهَا
الَّذينَ ءامَنُوا اجتَنِبوا كَثيرًا مِنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعضَ الظَّنِّ إِثمٌ ۖ وَلا
تَجَسَّسوا وَلا يَغتَب بَعضُكُم بَعضًا ۚ أَيُحِبُّ أَحَدُكُم أَن يَأكُلَ لَحمَ أَخيهِ
مَيتًا فَكَرِهتُموهُ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ تَوّابٌ رَحيمٌ﴾
অর্থাৎ, হে মুমিনগণ, তোমরা অনেক
রকম (খারাপ) ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান
করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা (গীবত) না করে। তোমাদের কেউ কি তার
মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই
কর। সুতরাং, আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু।
(সূরা হুজরাত, আয়াতঃ১২)
একটু ভাবুন, চিন্তা করুন। আল্লাহ্ তা'লা কত কৌশলে
বান্দাকে প্রশ্ন করেছেন। জিজ্ঞেস করেছেন কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পারবে কি না? তিনি জানেন
আমরা কখনও এমন জঘন্য কাজ করতে পারব না। তাই তিনি নিজেই বলে দিয়েছেন, যেহেতু তোমরা
তা করতে পারবে না সেহেতু তোমাদেরকে গীবত থেকে বেঁচে থাকতে হবে। কারণ গীবত করা আর মৃত
ভাইয়ের গোশত খাওয়া একই কথা।
বেশিরভাগ গীবত মানুষ ধারণার উপর করে থাকে। সুষ্ঠু
প্রমাণ নেই, কোনো সাক্ষী নেই, তবুও আন্দাজে ঢিল মেরে নিজ
দায়িত্বে নিজের পাপের পাল্লাটা ভারী করে। অথচ মানুষকে নিয়ে ধারণার উপর খারাপ মন্তব্য
করতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন। হাদীসে
এসেছে-
﴿حدثنا عبد
الله بن مسلمة، عن مالك، عن ابي الزناد، عن الاعرج، عن ابي هريرة، ان رسول الله صلى
الله عليه وسلم قال " اياكم والظن فان الظن اكذب الحديث ولا تحسسوا ولا تجسسوا
" .﴾
অর্থাৎ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কারো সম্পর্কে খারাপ ধারণা করবে না। কেননা, এরূপ করা- নির্ভেজাল
মিথ্যা স্বরুপ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেনঃ তোমরা অন্যের দোষ-ক্রটি
অন্বেষণ করবে না এবং অপরকেও এরূপ করার সুযোগ দেবে না।
(সুনান আবু
দাউদ, হাদীস নং ৪৮৩৭, সহীহ)
আবার অনেক সময় মানুষ হিংসার কারণেও গীবত করে থাকে।
একটা প্রবাদ আছে না? যারে দেখতে নারী তার চলন বাঁকা। গীবতটাও অনেকাংশে এমনই হয়ে
থাকে। একজনকে আমার পছন্দ হয় না, আমার ভালো লাগে না, তার প্রতি হিংসাত্মক মনোভাব
তৈরি হয়েছে, তার মানে তার অনেক দোষ আছে। এবার তার নিন্দায় লেগে গেলাম। কারণ
আমি এতে মজা পাচ্ছি এবং শয়তানও আমাকে স্বাদ তৈরি করে দিতে সহযোগিতা করছে। অথচ হাদীস
থেকে প্রমাণিত যে, হিংসা মুমিনের ভালো কাজগুলি খেয়ে ফেলে। অর্থাৎ হিংসা করার কারণে
বান্দার ভালো আমল ধ্বংস হয়ে যায়। যেমন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
﴿حدثنا عثمان
بن صالح البغدادي، حدثنا ابو عامر، - يعني عبد الملك بن عمرو - حدثنا سليمان بن بلال،
عن ابراهيم بن ابي اسيد، عن جده، عن ابي هريرة، ان النبي صلى الله عليه وسلم قال
" اياكم والحسد فان الحسد ياكل الحسنات كما تاكل النار الحطب " . او
قال " العشب " .﴾
অর্থাৎ, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা হিংসা পরিহার কর। কেননা, হিংসা ভাল কাজকে
সেরূপ খেয়ে ফেলে, যেরূপ আগুন কাঠকে খায় (অর্থাৎ জ্বালিয়ে ভস্মীভূত করে দেয়।)
(সুনান আবু
দাউদ, হাদীস নং ৪৮২৩)
গীবতের চেয়েও ভয়াবহ হলো মানুষের প্রতি মিথ্যা
দোষ দেয়া। দ্বীনদার মুসলিমগণ প্রায়ই অনুমানের উপর অপবাদ দেন। আগেই বলেছি দোষ থাকা
সত্ত্বেও অনুপস্থিতিতে আলোচনা করার নাম গীবত, আর যদি দোষ না থাকে এবং ধারণার
উপর আলোচনা করা হয় তাহলে সেটা হয় মিথ্যা অপবাদ। মিথ্যা অপবাদকরীদের ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
﴿حدثنا احمد
بن يونس، حدثنا زهير، حدثنا عمارة بن غزية، عن يحيى بن راشد، قال جلسنا لعبد الله بن
عمر فخرج الينا فجلس فقال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول " من حالت
شفاعته دون حد من حدود الله فقد ضاد الله ومن خاصم في باطل وهو يعلمه لم يزل في سخط
الله حتى ينزع عنه ومن قال في مؤمن ما ليس فيه اسكنه الله ردغة الخبال حتى يخرج مما
قال " .﴾
অর্থাৎ, ...........যে ব্যক্তি
কোনো মুমিনের ব্যাপারে এমন কথা বলবে যা তাঁর মধ্যে নেই, আল্লাহ্ ঐ ব্যক্তিকে
জাহান্নামীদের মলমূত্র, রক্তপূঁজের সমুদ্রে ততক্ষণ রেখে দিবেন, যতক্ষণ না সে
যা বলেছে তা প্রমাণ করবে।
(সুনান আবু
দাউদ, হাদীস নং ৩৫৫৮)
গীবতকারীর শাস্তি কবরেই শুরু হয়ে যায়। হাদীসে
এসেছে, হযরত ইবনু ‘আববাস হতে বর্ণিত। তিনি বলেন-
﴿حَدَّثَنَا
يَحْيَى، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، قَالَ سَمِعْتُ مُجَاهِدًا، يُحَدِّثُ
عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ مَرَّ رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم عَلَى قَبْرَيْنِ فَقَالَ " إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ،
وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ، أَمَّا هَذَا فَكَانَ لاَ يَسْتَتِرُ مِنْ بَوْلِهِ،
وَأَمَّا هَذَا فَكَانَ يَمْشِي بِالنَّمِيمَةِ ". ثُمَّ دَعَا بِعَسِيبٍ
رَطْبٍ، فَشَقَّهُ بِاثْنَيْنِ، فَغَرَسَ عَلَى هَذَا وَاحِدًا وَعَلَى هَذَا وَاحِدًا
ثُمَّ قَالَ " لَعَلَّهُ يُخَفَّفُ عَنْهُمَا، مَا لَمْ يَيْبَسَا
".﴾
অর্থাৎ, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম
দু’টি কবরের পার্শ্ব দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তিনি বললেনঃ নিশ্চয়ই এ
দু’জন কবরবাসীকে শাস্তি দেয়া হচ্ছে। তবে বড় কোনো গুনাহের কারণে কবরে
তাদের আযাব দেয়া হচ্ছে না। এই কবরবাসী প্রস্রাব করার সময় সতর্ক থাকত না। আর ঐ কবরবাসী
গীবত করে বেড়াত। এরপর তিনি খেজুরের একটি কাঁচা ডাল আনিয়ে সেটি দু’টুকরো করে এক
টুকরো এক কবরের উপর এবং এক টুকরো অন্য কবরের উপর পুঁতে দিলেন। তারপর বললেনঃ এ ডালের টুকরো দু'টি শুকিয়ে না
যাওয়া পর্যন্ত আল্লাহ তা‘আলা অবশ্যই তাদের শাস্তি কমিয়ে দিবেন। (বুখারি, আধুনিক প্রকাশনী- ৫৬১৭,
ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫১৩)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মে'রাজে গিয়েছিলেন তখনও গীবতকারীরদের শাস্তির ধরণ আল্লাহ্ তাঁর
রাসুলকে দেখিয়ে দিয়েছেন। হাদীসে এসেছে-
﴿حدثنا ابن
المصفى، حدثنا بقية، وابو المغيرة، قالا حدثنا صفوان، قال حدثني راشد بن سعد، وعبد
الرحمن بن جبير، عن انس بن مالك، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم " لما
عرج بي مررت بقوم لهم اظفار من نحاس يخمشون وجوههم وصدورهم فقلت من هؤلاء يا جبريل
قال هؤلاء الذين ياكلون لحوم الناس ويقعون في اعراضهم " . قال ابو داود حدثناه
يحيى بن عثمان عن بقية ليس فيه انس . حدثنا عيسى بن ابي عيسى السيلحيني، عن ابي المغيرة،
كما قال ابن المصفى .﴾
আর্থাৎ, আনাস ইবন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ শবে মি'রাজে যখন আমি আসমানের উপর গমন
করি, তখন এমন কিছু লোকের পাশ দিয়ে গমন করি যারা তাদের চেহারা ও মুখমণ্ডল আচঁড়াতে ছিল। তখন আমি জিজ্ঞাসা
করিঃ হে জিবরাঈল! এরা কারা? তিনি বলেনঃ এরা তারা, যারা অন্য লোকের গোশত ভক্ষণ
করতো,
(অর্থাৎ গীবত করতো।) এবং মানুযের ইজ্জত নষ্ট করতো।
(সুনান আবু
দাউদ, হাদীস নং ৪৮০১)
সুতরাং আলোচনার শেষ প্রান্তে এসে এটাই প্রত্যাশা
যে, আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক তথা
রাষ্ট্রীয় জীবনে আত্মার পরিশুদ্ধতা আনয়নে গীবত পরিহার করা সবার জন্য খুবই জরুরি। আল্লাহ্
তা'লা আমাদের এই প্রত্যাশা পূরণ করুন সেটাই কামনা।
লেখকঃ
শিক্ষক ও প্রাবন্ধিক
শিক্ষক ও প্রাবন্ধিক
মোবাইল:
01712353643
0 coment rios:
You can comment here