ত্রাণ বিতরণ ও উন্নয়ন কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা
নিশ্চিত করতে দু'টি প্রস্তাব...
দুর্যোগ মোকাবিলা এবং উন্নয়নের নিমিত্তে সরকার যে পরিমাণ
ত্রাণ সহযোগিতার এবং নানাবিধ সেবা দানের পরিকল্পনা গ্রহণ করে থাকেন এবং বর্তমানে
করেছেন তার পরিমাণ একেবারে কম নয়। তাছাড়া নানা উপলক্ষে বিভিন্ন ব্যক্তি বা সংস্থার
পক্ষ থেকে যে পরিমাণ ত্রাণ সহায়তা ও সেবা দেয়া হয়ে থাকে সেসব যদি সঠিকভাবে ও
পরিকল্পিতভাবে স্বচ্ছতার সাথে জনগণের দোর গোড়ায় পৌঁছানো যায়, তাহলে যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলা এবং উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব। এ
ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্যে নীচের দু’টি প্রস্তাব বিবেচনায়
নেয়া যেতে পারেঃ
প্রস্তাবনা-১ঃ
প্রতিটি ওয়ার্ড ভিত্তিক একটি কমিটি থাকবে। এ কমিটিতে থাকবেন
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় কলেজ/মাদ্রাসা/হাইস্কুল/প্রাইমারি
স্কুলের প্রধান বা তাঁর মনোনীত প্রতিনিধি, স্থানীয়
মসজিদ/মন্দির বা উপাসনালয়ের ইমাম/পুরোহিত ও উপাসনালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বা
তাঁর প্রতিনিধি এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্য।
জনপ্রতিনিধি অথবা সকলের পরামর্শে একজন সভাপতি হবেন। স্থানীয়
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান বা ইমাম/পুরোহিত হবেন সদস্য সচিব। অথবা প্রয়োজনে এর
ব্যতিক্রমও করা যেতে পারে।
ওয়ার্ড কমিটির অধীনে বিভিন্ন গ্রাম/মহল্লা কেন্দ্রিক অনুরূপ
উপকমিটিও করা যেতে পারে।
কমিটির কাজঃ
সকল প্রকার সরকারি বরাদ্দ ও সেবা প্রাপ্যতা অনুসারে এলাকার
সকলের মাঝে ইনসাফ ভিত্তিক বন্টন করা এবং এলাকার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে স্বনির্ভর করা, বিভিন্ন দাতাদের থেকে দান ও সহযোগিতা আদায় করে প্রাপ্যদের কাছে পৌঁছিয়ে
দেয়া এবং সার্বিক কল্যাণমূলক কাজ করা হবে এ কমিটির কাজ।
কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার পক্ষ থেকে কোনো প্রকার সহযোগিতা
করতে হলে এ কমিটির মাধ্যমে করতে হবে। তাহলে সব কাজে সমন্বয় হবে।
প্রস্তাবনা-২ঃ
সরকারের পক্ষ থেকে সকল প্রকার বরাদ্দ ওয়ার্ডের মেম্বার/কমিশনারের
কাছে ইউনিয়ন/পৌরসভা থেকে লিখিতভাবে আসবে এবং তিনি উক্ত কমিটিকে বাধ্যতামূলকভাবে
অবহিত করবেন। বন্টন শেষে কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষরসহ ইউনিয়ন/পৌরসভার
চেয়ারম্যান/মেয়রের কাছে জমা দিবেন।
এভাবে উপরোল্লিখিত কমিটি গঠনের ন্যায় ইউনিয়ন/পৌরসভা, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে কমিটি গঠিত হবে এবং সরকারের সকল সহযোগিতা ও উন্নয়ন
কার্যক্রম উক্তসব কমিটির মাধ্যমে সম্পন্ন হবে।
উক্তরূপ ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়িত হলে সকল পর্যায়ে জবাবদিহিতা
ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনের কাজ দ্রুত
এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
প্রস্তাবকারীঃ
হাফিজ মোঃ মাশহুদ চৌধুরী,
(জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ
শিক্ষক হিসেবে
মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক স্বর্ণপদক প্রাপ্ত)
প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত)
সরকারি এস. সি বালিকা উচ্চ
বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ।
মোবাইলঃ 01715 142715
Facebook Page:
হাফিজ মোঃ মাশহুদ চৌধুরী
Somewhereinblog.net:
হাফিজ মোঃ মাশহুদ চৌধুরী
0 coment rios:
You can comment here