Tuesday, April 21, 2020

ধৈর্য ও সংযম সাধনার মাস মাহে রমজান

।। ইমাম মাওএম.নুরুর রহমান।।  

শুরু হলো মহিমান্বিত মাস রমজান।খোশ আমদেদ মাহে রমজান।বিশ্ব মুসলিমের কাছে সবচেয়ে মর্যদাপূর্ণ মাস এটি। এ মাসেই মহান আল্লাহ তায়ালা বিশ্ব মানবতার মুক্তি পথ নির্দেশক হিসেবে নাযিল করেছেন আল কুরআন। কুরআন হলো মানুষের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে পাঠানো সর্বশেষ হেদায়াতের গ্রন্থ। কিয়ামত পর্যন্ত মানুষের জন্য আর কোনো আসমানী কিতাব আসবে না।আর তাই কিয়ামত পর্যন্ত মানুষকে সুন্দরভাবে তার জীবন চালাবার জন্য যা দরকার তার সবই আল্লাহ কুরআনে বলে দিয়েছেন। কুরআন নাযিলের কারণে  মাসের এতো মর্যাদা। 
রমজান মাস সিয়াম সাধনার মাস। রমজানকে ধৈর্য  সংযম সাধনার মাস বলা হয়।কারণ  মাসে সকল পাপ কার্য থেকে মুক্ত থাকার জন্য ধৈর্যসংযম  সহিষ্ণুতার কঠোর প্রশিক্ষণ নিতে হয়।রমজানের এই এক মাসের সিয়াম সাধনা অর্থাৎ অন্যায় অপকর্ম তথা সব ধরণের গোনাহর কাজ থেকে বিরত থাকার কঠোর অনুশীলনের মাধ্যমে অর্জিত প্রশিক্ষণ বছরের বাকী ১১ মাস সঠিক পথে চলতে সবাইকে অনুপ্রাণিত করে থাকে।সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্থ পর্যন্ত খাদ্য  পানীয় গ্রহণ এবং ইন্দ্রিয়জ সুখ আস্বাদন থেকে বিরত থাকাই হচ্ছে সিয়াম বা রোজার প্রধান বৈশিষ্ট্য।শুধু মহানবী (সাঃএর মাধ্যমে প্রেরিত ইসলাম ধর্মেই যে সিয়াম সাধনা রয়েছে তা নয়মহান আল্লাহ পাক অতীতে অন্যান্য নবী রসুলদের মাধ্যমে প্রেরিত ধর্মেও রোজার বিধান ছিলো।

আল্লাহ  তায়ালা সিয়াম সাধনার মাধ্যমে মানুষকে মুত্তাকী হওয়ার কথা বলেছেন।মুত্তাকী হওয়ার মানে তাকওয়া বা খোদাভীরুতা অর্জন।কারণ একজন খোদাভীরু মানুষ অন্যায় বা গোনাহর কাজ থেকে বিরত থাকবে এটাই স্বাভাবিক।এভাবে মহান সৃষ্টিকর্তা মানুষকে সৎকর্মশীল পূণ্যবান মানুষ হিসেবে নিজেকে গঠনের হাতিয়ার হিসেবে সিয়াম অর্থাৎ রোজা অনুশীলনের বিধান বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন।  অবস্থায় আমাদের উচিতযথাযথভাবে এই ঐশী বিধান পালন করা।
কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়এই পবিত্র মাসেও এক শ্রেণীর মানুষকে দেশ  জাতির তথা মানুষের জন্য   ক্ষতিকর  কর্ম থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করতে দেখা যায় না।বরং অনেককে এই পবিত্র মাসকে পুঁজি করে অধিক মুনাফা অর্জনের লোভ লালসায় জড়ি হতে দেখা যায়। সৎ আমদানি কারকব্যবসায়ী  মজুতদারদের বিভিন্ন নিত্যপণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি  মূল্যবৃদ্ধি করে সাধারণ  সীমিত আয়ের মানুষকে সীমাহীন আর্থিক কষ্টে ফেলতে দেখা যায়। অথচ আল্লাহ তায়ালা রমজানে কুরআন নাযিল করেছেন কেন? এর মূল উদ্দেশ্যে কী তা বর্ণি
ত হয়েছে নিম্নোক্ত আয়াতে। এরশাদে বারী হলো-
﴿شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ هُدًى لِلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِنَ الْهُدَى وَالْفُرْقَانِ فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ وَمَنْ كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍفَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ يُرِيدُ اللَّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ الْعُسْرَ وَلِتُكْمِلُوا الْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُوا اللَّهَ عَلَى مَا هَدَاكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ﴾ 
অর্থাৎ, রমযান মাসযাতে কুরআন নাযিল করা হয়ে মানুষের জন্য হিদায়াত স্বরূপ এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী  সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী রূপে।সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে মাসটিতে উপস্থিত হবেসে যেন তাতে সিয়াম পালন করে।আর যে অসুস্থ হবে অথবা সফরে থাকবে তবে অন্যান্য দিবসে সংখ্যা পূরণ করে নেবে।আল্লাহ তোমাদের সহজ চান এবং কঠিন চান না। আর যাতে তোমরা সংখ্যা পূরণ কর এবং তিনি তোমাদেরকে যে হিদায়াত দিয়েছেনতার জন্য আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা কর এবং যাতে তোমরা শোকর কর। (সুরা বাকারাহ, আয়াত: 185)

রমজান মাস রহমতমাগফেরাত  নাজাতের মাস।রমজান পেয়েও যে ব্যক্তি এই রহমতমাগফেরাত  নাজাতের মহা সুযোগকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়তাকে দুর্ভাগা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।আল্লাহর দরবারে অতীতের গোনাহ মাফ করিয়ে নেওয়া এবং অসীম পূণ্য লাভের সুযোগ এনে দেয় এই পবিত্র মাস।  
এই মাসে মহাগ্রন্থ আল কোরআন নাজেল হয়।শবে ক্বদরের রাতে অবতীর্ণ হয় এই ঐশী গ্রন্থমহান দিক নির্দেশক  পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। আল্লাহ পাক শবে ক্বদরের রাত কে হাজার মাসের চেয়েও উত্তম বলে উল্লেখ করেছেন।এই মহান রাতকে ধারণ করে আছে রমজান মাস।সিয়াম সাধনার পাশাপাশি এই মহান রাতে ইবাদত বন্দেগীর সুযোগ কে কাজে লাগানো সকল বিশ্বাসী মুসলমানের একান্ত কর্তব্য।

মানব জাতির ইতিহাস কে বদলে দিয়ে সঠিক  সভ্যতার সঠিক পথে পরিচালনাকারী ঐশীগ্রন্থ আল কোরআনের মাস রমজান যেনো আমরা সত্য  সঠিক পথে নিজেদের চালিত করার ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারি মহান আল্লাহর দরবারে রমজানের শুরুতে এই প্রার্থনা 
রোজা ফজিলত সম্পর্কে নিম্নে পাঁচটি হাদীস উল্লেখ করছি:

এক: হযরত আবু হুরায়রা (রাহতে বর্ণিত। তিনি বলেনরাসূলুল্লাহ (সো:) ইরশাদ করেন
﴿حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَامٍ قَالَ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ صَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ﴾
অর্থাৎ,“ যে ব্যক্তি ঈমান  ইহতিসাব সহ রমজান মাসের সিয়াম পালন করবেতার পূর্ববর্তী  পরবর্তী গুণাহ মাফ করে দেওয়া হবে।”  (সহীহ বুখারী৩৮সহীহ মুসলিম:৭৬০)

দুই: হযরত সাহল বিন সা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনরাসূলুল্লাহ (সো:) ইরশাদ করেন
﴿حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو حَازِمٍ عَنْ سَهْلٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ فِي الْجَنَّةِ بَابًا يُقَالُ لَهُ الرَّيَّانُ يَدْخُلُ مِنْهُ الصَّائِمُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ لَا يَدْخُلُ مِنْهُ أَحَدٌ غَيْرُهُمْ يُقَالُ أَيْنَ الصَّائِمُونَ فَيَقُومُونَ لَا يَدْخُلُ مِنْهُ أَحَدٌ غَيْرُهُمْ فَإِذَا دَخَلُوا أُغْلِقَ فَلَمْ يَدْخُلْ مِنْهُ أَحَدٌ﴾

অর্থাৎ, “জান্নাতের একটি দরজা আছেএকে রাইয়ান বলা হয়এই দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন একমাত্র সায়িম ব্যক্তিই জান্নাত প্রবেশ করবে। তাদের ছাড়া অন্য কেউ এইপথে প্রবেশ করবে না।সেদিন এই বলে আহবান করা হবে সায়িমগণ কোথায়তারা যেন এই পথে প্রবেশ করেএভাবে সকল সায়িম ভেতরে প্রবেশ করার পর দরজাটি বন্ধ করে দেওয়া হবে।অত:পর  পথে আর কেউ প্রবেশ করেবে না।”(সহীহ বুখারী, হাদীস নং :১৮৯৬সহীহ মুসলিম, হাদীস নং১১৫২)

তিন: হযরত আবু হুরায়রা (রাহতে বর্ণিত। তিনি বলেনরাসূলুল্লাহ (সা:) ইরশাদ করেন
﴿حَدَّثَنَا بَهْزٌ حَدَّثَنَا سَلِيمُ بْنُ حَيَّانَ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الصَّوْمُ جُنَّةٌ فَإِذَا كَانَ أَحَدُكُمْ يَوْمًا صَائِمًا فَلَا يَرْفُثْ وَلَا يَجْهَلْ فَإِنْ امْرُؤٌ شَتَمَهُ أَوْ قَاتَلَهُ فَلْيَقُلْ إِنِّي صَائِمٌ﴾
অর্থাৎ, “সিয়াম ঢালস্বরূপ। তোমাদের কেউ কোনো দিন সিয়াম পালন করলে তার মুখ থেকে যেন অশ্লীল কথা বের না হয়।কেউ যদি তাকে গালমন্দ করে অথবা ঝগড়ায় প্ররোচিত করতে চায় সে যেন বলেআমি সায়িম।” (মুসনাদে আহমদ, খণ্ড-১৭ হাদীস নং ৭৭১৪  হাদীস নং মুসলিম, হাদীস নং:১১৫১)

চার: রাসূলুল্লাহ (সা.)  বলেন, আল্লাহ বলেন:
﴿حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ قَالَ أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ عَنْ أَبِي صَالِحٍ الزَّيَّاتِ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اللَّهُ كُلُّ عَمَلِ ابْنِ آدَمَ لَهُ إِلَّا الصِّيَامَ فَإِنَّهُ لِي وَأَنَا أَجْزِي بِهِ وَالصِّيَامُ جُنَّةٌ وَإِذَا كَانَ يَوْمُ صَوْمِ أَحَدِكُمْ فَلَا يَرْفُثْ وَلَا يَصْخَبْ فَإِنْ سَابَّهُ أَحَدٌ أَوْ قَاتَلَهُ فَلْيَقُلْ إِنِّي امْرُؤٌ صَائِمٌ وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَخُلُوفُ فَمِ الصَّائِمِ أَطْيَبُ عِنْدَ اللَّهِ مِنْ رِيحِ الْمِسْكِ لِلصَّائِمِ فَرْحَتَانِ يَفْرَحُهُمَا إِذَا أَفْطَرَ فَرِحَ وَإِذَا لَقِيَ رَبَّهُ فَرِحَ بِصَوْمِهِ﴾
অর্থাৎ, “আদম সন্তানের সকল কর্ম তার জন্য। একমাত্র ব্যতিক্রম হলো সিয়াম, তা শুধু আমারই জন্য এবং আমিই তার প্রতিদান দিব। সিয়াম হলো ঢাল। তোমাদের কেউ যে দিনে সিয়াম পালন করবে সেই দিনে সে অশ্লীল বা বাজে কথা বলবে না ও চিল্লাচিল্লি, হৈচৈ বা ঝগড়াঝাটি করবে না। যদি কেউ তাকে গালি দেয় অথবা তার সাথে মারামারি করে তবে সে যেন বলে, আমি সিয়ামরত, আমি সিয়াম রত। মুহাম্মাদের জীবন যাঁর হাতে তার শপথ, সিয়ামরত ব্যক্তির মুখের ক্ষুধা-জনিত গন্ধ আল্লাহর নিকট মেশকের সুগন্ধির চেয়েও প্রিয়। সিয়াম পালনকারীর জন্য দুইটি আনন্দ রয়েছে যখন সে আনন্দিত হয়:
(১) যখন সে ইফতার করে তখন সে তার ইফতারীর জন্য আনন্দিত হয় এবং
(২) যখন সে তার প্রতিপালকের সাথে সাক্ষাত করবে তখন সে তার সিয়ামের জন্য আনন্দিত হবে।(বুখারী, আস-সহীহ, খণ্ড-২, পৃ. ৬৭৮; মুসলিম, আস-সহীহ, খণ্ড-২, পৃ. ৮০৭)

পাঁচ: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন-
﴿أَخْبَرَنَا بِشْرُ بْنُ هِلَالٍ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ أَبِي قِلَابَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتَاكُمْ رَمَضَانُ شَهْرٌ مُبَارَكٌ فَرَضَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَيْكُمْ صِيَامَهُ تُفْتَحُ فِيهِ أَبْوَابُ السَّمَاءِ وَتُغْلَقُ فِيهِ أَبْوَابُ الْجَحِيمِ وَتُغَلُّ فِيهِ مَرَدَةُ الشَّيَاطِينِ لِلَّهِ فِيهِ لَيْلَةٌ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ مَنْ حُرِمَ خَيْرَهَا فَقَدْ حُرِمَ ﴾
অর্থাৎ, তোমাদের নিকট রামাদান মাস এসেছে। এই মাসটি বরকতময়। আল্লাহ তোমাদের উপর এই মাসের সিয়াম ফরয করেছেন। এই মাসে আসমানের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়। এবং এ মাসে জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই মাসে দুর্বিনীত শয়তানদেরকে শৃঙ্খলিত করা হয়। এই মাসে এমন একটি রাত আছে যা এক হাজার রাত অপেক্ষা উত্তম। যে ব্যক্তি সেই রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত সে একেবারেই বঞ্চিত হতভাগা।(নাসাঈ, আস-সুনান, খণ্ড-৪, পৃ. ১২৯; আলবানী, সহীহুত তারগীব, খণ্ড-১, পৃ. ২৪১। হাদীসটি সহীহ)


যে কারণে রমজান মাস বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত
. এই মাসে কোরআনে কারিম নাজিল হয়েছে।
. এই মাসে লাইলাতুল কদর আছে।
. এই মাসে ইসলামের প্রথম জিহাদ বদর যুদ্ধে মুসলমানরা বিজয়ী হয়েছে।
. এই মাসে মক্কা বিজয় হয়েছে।
. রমজান মাসে বেহেশতের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয় এবং দোজখের দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়।
. রমজান মাসে শয়তানকে শিকলে আবদ্ধ করা হয়।
. রমজান মাসে নফল ইবাদতের ফরজ ইবাদতের মর্যাদা আর ফরজ ইবাদতে সত্তর গুণ অধিক মর্যাদা।

রমজানের শিক্ষা
ক. নিজেকে আল্লাহর একজন একনিষ্ঠ বান্দা হিসেবে গণ্য করার চেষ্টা করা।
খ. আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ছাড়া জীবনের দ্বিতীয় কোনো লক্ষ্য থাকবে না।
গ. যে কোনো পরিস্থিতিতে যে কোনো সময় আল্লাহর হুকুম মেনে চলার জন্য প্রস্তুত থাকা।
. আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান।
তিনি সবকিছু শুনেনদেখেন  জানেন এই অনুভূতি সর্বদাই অন্তরে জাগ্রত রাখা।
আল্লাহ ছাড়া দুনিয়ার সবকিছুর কৃতিত্ব অস্বীকার করা এবং নিজের  আশেপাশের সবকিছুর ওপর আল্লাহর হুকুমের কৃতিত্ব প্রতিষ্ঠা করা
. বান্দা  আল্লাহর মধ্যে একটি একনিষ্ঠ সম্পর্কের সূত্রপাত হয়
তাই আসুন, আমরা যারা নিজেদেরকে আল্লাহর বান্দা  রাসূল (সা.)-এর উম্মত দাবি করি আমাদের উচিত রোজারমাসে আল্লাহ প্রদত্ত ও রাসূল (সা.) প্রদর্শি ত বিধান অনুসারে নিজের জীবনে পরিপূর্ণ রূপে গঠন করার জন্য প্রানান্তকর চেষ্টা করি। যদি সকল কাজে  কথায় আল্লাহর আদেশ  নিষেধকে প্রাধান্য দিতে পারি এবং নিজেকে মুত্তাকি হিসেবে গঠন করতে পারি তবেই মোবারক হবে এই রমজান।

আল্লাহ আমাদেরকে রমজানের রহমাত, বরকত ও মাগফিরাত দিয়ে ধন্য করুন। আমীন।।



লেখক: বহুগ্রন্থ প্রণেতা
সেক্রেটারি:
শারীয়া কাউন্সিল ব্যাডফোরড ও মিডল্যনড ইউ কে- 
ইমাম ও খাতিব:
মাসজিদুল উম্মাহ লুটন ইউ কে
সত্যয়ান কারী চেয়ারম্যন:
নিকাহ নামা সার্টিফিকেট ইউ কে
 প্রিন্সিপাল:
আর রাহমান একাডেমি ইউ কে
পরিচালক:
আর-রাহমান এডুকেশন ট্রাস্ট ইউ কে
📞07476136772 📞 07476 961067
nrahmansky@googlemail.com
Arrahmaneducationtust@gmail.com
https://www.facebook.com/Imam.Nurur
https://www.facebook.com/ARET.OR.UK/
https://www.youtube.com/user/nurur9


শেয়ার করুন

Author:

0 coment rios:

You can comment here