।। হাফিজ
মোঃ মাশহুদ চৌধুরী।।
মানবজাতির সূচনা থেকেই ধর্ম ও বিজ্ঞানের আবির্ভাব।
প্রথম মানুষ আদম (আলাইহিসসালাম) সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেছেন "ওয়াআল্লামা আদামাল
আসমাআ কুল্লাহা" অর্থাৎ আল্লাহ আদমকে যাবতীয় কিছুর নাম বা পরিচয় শিখিয়ে দিয়েছেন।
(সূরা বাক্বারা আয়াত ৩১)
এ থেকে বোঝা যায়, সৃষ্ট জগতের
সব বিষয়ের মৌলিক জ্ঞান আল্লাহ আদমকে শিখিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর ব্রেইনের মধ্যে যাবতীয়
কিছুর জ্ঞান ডাউনলোড করে দেয়া হয়েছিল। সে জ্ঞান জেনেটিকভাবে সারা বিশ্বের মানুষের
মধ্যে ছড়িয়ে আছে এবং ছড়াচ্ছে। কিয়ামত পর্যন্ত এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। মানুষ
যতো গবেষণা করবে ততোই ঐ শেখানো (বা ডাউনলোড করে) দেয়া সুপ্ত জ্ঞান থেকে নব নব বিষয়
আবিষ্কার করতে পারবে।
ধর্ম ও বিজ্ঞানের সমন্বয় থাকার কারণে মানব জীবনে
প্রথমদিকে কোনো সাংঘর্ষিক কিছু ছিলো না।
প্রথমে সকল মানুষ একই উম্মাত বা একই জাতির অন্তর্ভুক্ত
ছিল।
পরে তারা পারস্পরিক জেদ-হঠকারিতা, হিংসা-বিদ্বেষ
ও বাড়াবাড়ির কারণে শতধা বিভক্ত হয়ে পড়লো।
তাদেরকে সঠিক পথে নিয়ে আসার জন্য আল্লাহ যুগে যুগে
নবী-রাসূল অবতার বা সংবাদ বাহক পাঠালেন এবং তাঁদের সাথে গাইডবুক হিসেবে ধর্মগ্রন্থ
দিলেন, যা দিয়ে তাঁরা মানুষকে জীবন চলার পথ নির্দেশনা দিতেন এবং মন্দ
কাজের পরিণতির ভয় ও ভালো কাজের উত্তম পুরস্কারের সুসংবাদ দিতেন।
ধর্মগ্রন্থ পাওয়ার পরও পরস্পর জেদ হঠকারিতা হিংসা-বিদ্বেষ
বাড়াবাড়ি ও সীমা লঙ্ঘনের কারণে তারা মতবিরোধ করতে থাকলো। ধর্মগ্রন্থ থেকে শিক্ষা
গ্রহণ না করে ব্যক্তি থেকে এবং আবেগ কামনা বাসনা খেয়াল খুশি ইচ্ছা থেকে কর্মপন্থা
নির্ধারণ করতে থাকলো।
ধর্মগ্রন্থে নেই এমন অনেক বিষয় (বিদয়াত) আবিষ্কার
করে সেগুলোকে ধর্মের অন্তর্ভুক্ত করে সেসবের ভিত্তিতে পারস্পরিক বিভেদ করতে লাগলো।
আবার ধর্মে কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে অধিক গুরুত্ব
এবং অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে কম গুরুত্ব দিতে লাগলো।
এসবকে কেন্দ্র করে পারস্পরিক বিতর্ক ও দুরত্ব বাড়তে
থাকলো। ফলে তারা বিভিন্ন ধর্ম ও মাযহাবে এবং অনেকগুলো দল ও উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়লো।
যার ধারাবাহিকতা এখনো চলছে।
![]() | |
|
এ শতধা বিভক্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য যথাসাধ্য
প্রচেষ্টা চালানো আমার একান্ত ইচ্ছা।
বিষয়টি অনেকের কাছে অস্বাভাবিক ও অসম্ভব মনে হতে
পারে। তাদের জ্ঞাতার্থে বলছি। ধর্মসমূহের ভবিষ্যৎবাণীতে বিশ্বের সকল ধর্ম বর্ণ দল ও
জাতির লোকেরা সবাই একই নেতার পতাকাতলে এক সময় আসবে বলে উল্লেখ রয়েছে। আমি সেই মহান
কাজের শুভ সূচনা করতে চাই। আর এ কাজের ধারাবাহিকতায় এক পর্যায়ে সেই বিশ্বনেতার সাথে
সংযুক্ত হলে পরে তাঁর মাধ্যমে এ কাজ পূর্ণতায় পৌঁছবে ইনশাআল্লাহ।
(চলবে)
লেখকঃ
হাফিজ মোঃ
মাশহুদ চৌধুরী,
(জাতীয়
পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক স্বর্ণপদক প্রাপ্ত)
প্রধান
শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত)
সরকারি এস.
সি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ।
মোবাইলঃ
01715 142715
ইমেইল:
mashhudchowdhury@gmail.com
mashhudchowdhury@gmail.com
ইউটিউব চ্যানেল:
https://www.youtube.com/channel/UC8ZSiWdwj6NkC67WPd5I1sQ?view_as=subscriber
শুভেচ্ছা টিভি - Shuveccha TV
শুভেচ্ছা টিভি - Shuveccha TV
Facebook:
Hafiz Md Mashhud Chowdhury
Hafiz Md Mashhud Chowdhury
Facebook Page:
হাফিজ মোঃ
মাশহুদ চৌধুরী
Somewhereinblog.net:
হাফিজ মোঃ
মাশহুদ চৌধুরী
0 coment rios:
You can comment here