ইমদাদ বিন আফতাব: একদিকে
চলছে মাহে রামাদ্বান অন্যদিকে বিশ্ব আজ আক্রান্ত বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস
দ্বারা। এহেন পরিস্থিতিতে সরকার, সামাজিক বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা, বিত্তশালী সবাই
বিভিন্নভাবে সাহায্যের হাত প্রসারিত করছেন অসহায় দরিদ্র পীড়িত মানুষের দিকে।
কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বিপদে আছে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো। এদের মধ্যে
রয়েছেন, আলিম, ইমাম, হাফিজে কুরআন, ডাক্তার শিক্ষকসহ মধ্যবিত্ত হাজার হাজার পরিবার। কারা
ভাবছে তাদের কথা। কে চিন্তা করছে তাদের নিয়ে। যারা নিজেদের অভাব অভিযোগের কথা কাউকে বলতে পারেন না। সাহায্যের জন্য
কারও কাছে হাত পাততে পারে না। অথচ এদের জন্য আমরা কিছুই করতে পারছি না। সে সকল মধ্যবিত্ত পরিবারের কথা চিন্তা করেই তাদের পাশে ঈদ উপহার নিয়ে হাজির হলেন শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবী ইমাম মাওলানা এম. নুরুর রহমান।
বৈশ্বিক মহামারীর ছোবলে ক্ষত বিক্ষত আজ পুরো বিশ্ব। সমাজের নিম্নবিত্ত
পরিবারের পাশে সরকারসহ অনেকেরই সক্রীয় অংশ গ্রহণের ছবি দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন
মিডিয়ায় কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকগুলো করোনার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। কারণ
আপাতত তারা কর্মহীন, কিন্তু হাত
পাতার অভ্যাস তাদের নেই। এমন অসহায় প্রায় শতাধিক মধ্যবিত্ত পরিবারের হাতে ঈদ উপহার
তুলে দিলেন ইমাম মাওলানা এম. নুরুর রহমান। উদাহরণ স্থাপন করলেন সমাজের সচেতন এ গোষ্ঠীর পাশে নিজেকে
দাঁড় করিয়ে। তার এই উদ্দ্যোগ সত্যিই প্রশংসার দাবীদার। তার মতো আমাদের
বিত্তশালীরাও অসহায় মধ্যবিত্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানো আজ সময়ের দাবী।
জানায় যায়, মাওলানা ইমাম এম. নুরুর রহমান প্রতি বছর এ জতীয়
ব্যাতিক্রমধর্মী উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এবার প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকা সমাজের গুরুত্বপূর্ণ এ শ্রেণি পেশার মানুষের হাতে নির্জনে পৌঁছে দেন এ উপহার। তাঁর এ অনুদানে খুশি মধ্যবিত্ত পরিবারের এ লোকগুলো।
তাদের সকলের মনের আকুতি মহান রব্বেকারীমের নিকট, গোপনে পৌঁছে দেয়া এ ঈদ
উপহারগুলো কবুল করে যেন আল্লাহ ইমাম নুরুর রহমানকে দুনিয়া আখেরাতে কল্যাণ দান করেন
এবং সকল বালা মুসিবত থেকে তাঁকে ও তার পরিবারকে হেফাজত করেন। কিয়ামতের দিন যেন এ
দানগুলো তার নাজাতের ওসীলা বানিয়ে দেন। (আল্লাহুম্মা আমীন)
ইমাম মাওলানা এম. নরুর রহমান ১৯৭৯ সালের ৩০ জানুয়ারী,
বুরাইয়া কামিল মাদরাসার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম পিতা হযরত মাওলানা এটি এম
ওলিউর রহমান (রহ.) ও শিক্ষিকা মাতা রাবেয়া আক্তারের ঔরষে সভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে
জন্মগ্রহণ করেন। ২০০৫ সালে মাধবপুরের হাফিজ আকরাম আলী রহ. দ্বিতীয় কন্যা সালমা বেগমকে জীবন সঙ্গী করে দাম্পত্য জীবন শুরু করেন। ২০০১ সাল থেকে জীবনকে প্রতিষ্ঠিত ও দ্বীন ইসলামের প্রচারক হিসেবে
বিলেতে স্ত্রী সালমা বেগম ও ৬ সন্তানসহ সপরিবারে স্থায়ী বসবাস শুরু করেন।স্ত্রী সালমা রহমান এমন এক মহিয়সী নারী যিনি তাকে পারিবারিক ঝামেলা থেকে মুক্তি দিয়ে সমাজ ও শিক্ষা কল্যাণ কাজে তাকে সর্বদা সহযোগিতা ও উৎসাহ দিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখান।
তিনি একজন সুলেখক, প্রাবন্ধিক ও গবেষক। তিনি স্থানীয় ও জাতীয়
স্থানীয় প্রিন্ট ও অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন পত্রিকায় কুরআন ও হাদীসের দলীল ভিত্তিক
ইসলামের মৌলিক বিষয় নিয়ে লিখে যাচ্ছেন। তার রচনাসমূহ পড়ে ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষ
ইসলামের অনেক মৌলিক বিষয় সম্পর্কে সহজে জানতে পারছে।
এছাড়া শিশুতোষ ইসলামী বইসহ ইসলামের মৌলিক বিষয় নিয়ে
গুরুত্বপূর্ণ প্রায় ২০টি বই প্রকাশিত হয়েছে এবং ৯টি বই প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে।
জনাব এম. নুরুর রহমানের এ সকল বরেণ্য কাজের পিছনে যাদের একান্ত পরামর্শ , সহযোগিতা পেয়ে তিনি দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন, তার বড় বোন ফাতিমা আখতার নার্গিস, ছোট ভাই মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, ছোট বোন নাজমা আখতার রায়হানা ও কনিষ্ট ভাই পীর আমিনুর রহমান। মাথার ছায়ার মতো যাঁরা সার্বক্ষণিক উৎসাহ দিয়ে কাছে আছেন তার ফুফু নেহার বানু, ফাফাতো বোন স্বপ্না খাতুন, মুরশেদা খাতুন ও ফুফাতো ভাই মুহিব উল্লাহ। যাদের অবদান অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই।
নিকাহনামা সার্টিফিকেট ইউ.কে এর সত্যয়ানকারী চেয়ারম্যন ও শারীয়া কাউন্সিল ব্যাডফোরড ও মিডল্যনড ইউ কে- সেক্রেটারি হিসেবে অত্যান্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন ইমাম মাওলানা এম. নুরুর রহমান।শরীয়া কাউন্সিল চেয়ারম্যান হাকিম মাওলানা আব্দুল গাফফার, সহযোগি বন্ধু হাফিজ মাওলানা ফখরুল ইসলাম তাকেঁ সার্বিক পরামর্শ, উৎসাহ ও সহযোগিতা করে তাকে কাজে অনুপ্রাণিত করেন।
ইমাম মাওলানা এম. নুরুর রহমান শিক্ষানুরাগী
এক সমাজসেবী মহান ব্যক্তি। শিক্ষা ক্ষেত্রে তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান অস্বীকার করার নয়। ছাত্র জীবন
শেষ করেই তিনি তার পিতার প্রতিষ্ঠিত এলাহাবাদ ইসলামীয়া আলীম মাদরাসায় শিক্ষকতা
শুরু করেন। শিক্ষকতা যার পেশা আর নেশা তিনি তো আর দমে থাকার পুরুষ নন। তিনি বিলেতে
পাড়ি দিয়েই প্রতিষ্ঠা করেন আর রাহমান একাডেমি ইউ.কে। বর্তমানে তিনি এর প্রিন্সিপাল
হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সমাজের দরিদ্র মেধাবী ছাত্র/ছাত্রী গরিব-বিধবা, এতিম,
ছাত্র-ছাত্রীদের সাহায্য প্রদানের জন্য তথা মানবতার কল্যাণে গড়ে তোলেন আর-রহমান
এডুকেশন ট্রাষ্ট। তার প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত আর-রাহমান এডুকেশন ট্রাষ্ট
এর মাধ্যমে তিনি সমাজের দরিদ্র অসহায় মানুষের মধ্যে বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতার
জন্য নিয়মিতই বিভিন্ন প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করে যাচ্ছেন। ২০০১ সালে আর রহমান
এডুকেশন ট্রাষ্ট ইউকে শাখা প্রতিষ্ঠার পর থেকে সুনামের সাথে আর্তমানবতার সেবায়
দেশে ও বিদেশে কাজ করে যাচ্ছেন।
তার অংশ হিসেবে এবারে পবিত্র মাহে রামাদ্বান ও করোনা
ভাইরাসকে উপলক্ষ্য করে ‘মানবতার কল্যাণে আমরা আপনাদের পাশে’ শ্লোগানকে বক্ষে ধারণ করে, গত ১২ মে ২০২০ তারিখে
ঐতিহ্যবাহী আর-রাহমান এডুকেশন ট্রাষ্ট’ ইউ.কে বিশ্বনাথ, সিলেট-কর্তৃক গরিব ও অসহায়দের মধ্যে চাল বিতরণ
করা হয়।
খাজান্সি ইউনিয়নে স্বনামধন্য চেয়ারম্যান তালুকদার গিয়াস এর সার্বিক তত্বাবধানে ‘আর-রাহমান এডুকেশন ট্রাষ্ট ইউ.কে এর উদ্যোগে এলাকার হতদরিদ্র অর্ধ শতাধিক
পরিবারের মধ্যে তা বিতরণ করা হয়। বিতরণ অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিল- রাজাগঞ্জ বাজারের ব্যাংক অব এশিয়া।
আর-রাহমান এডুকেশন ট্রাষ্ট’ বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল ও ব্যাংক এর পরিচালক এম.মাসুদ আহমেদ এর পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন খাজান্সি ইউনিয়নের চেয়ারম্যন এম.তালুকদার গিয়াস, রাজাগঞ্জ বাজার বেবী কেয়ার এর চিপ ডিরেক্টর এম মুহিবুর রহমান সুইট, আর-রাহমান এডুকেশন ট্রাষ্ট বাংলাদেশ এর উপদেষ্টা মেম্বার এম. আমির উদ্দীন ও এলাকার বিশিষ্ট সমাজ সেবক এম.আমিনুর রহমান ছুনু, আর-রাহমান এডুকেশন ট্রাষ্ট এর বিশিষ্ট সংগঠক এম.আলি হুসেন, আর-রাহমান এডুকেশন ট্রাষ্ট এর সদস্য এম.তারেক আহমেদ ও এম.তাজুল আহমেদ সুমন এবং এম.ফাহিম আহমেদ প্রমুখ।
আর-রাহমান এডুকেশন ট্রাষ্ট’ বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল ও ব্যাংক এর পরিচালক এম.মাসুদ আহমেদ এর পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন খাজান্সি ইউনিয়নের চেয়ারম্যন এম.তালুকদার গিয়াস, রাজাগঞ্জ বাজার বেবী কেয়ার এর চিপ ডিরেক্টর এম মুহিবুর রহমান সুইট, আর-রাহমান এডুকেশন ট্রাষ্ট বাংলাদেশ এর উপদেষ্টা মেম্বার এম. আমির উদ্দীন ও এলাকার বিশিষ্ট সমাজ সেবক এম.আমিনুর রহমান ছুনু, আর-রাহমান এডুকেশন ট্রাষ্ট এর বিশিষ্ট সংগঠক এম.আলি হুসেন, আর-রাহমান এডুকেশন ট্রাষ্ট এর সদস্য এম.তারেক আহমেদ ও এম.তাজুল আহমেদ সুমন এবং এম.ফাহিম আহমেদ প্রমুখ।
মানুষের কল্যাণে কাজ করাই মানুষের দায়িত্ব। পৃথিবীতে মানব
জীবনের মূল মিশনই হচ্ছে মানবতার কল্যাণের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জন
করা। আর মানব জীবনের প্রত্যেকটি ভাল কাজ হচ্ছে ইবাদত। ক্ষুধার্তকে খাদ্য দান, তৃঞ্চার্তকে
পানি দান, বস্ত্রহীনকে বস্ত্রদান, চক্ষুহীনকে
চক্ষুাদান, শিক্ষার্থীকে শিক্ষাদান এবং পীড়িতের সেবার মধ্য দিয়েই মহান
আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। আর এ লক্ষ্য কে সামনে রেখেই গত ২৩ এপ্রিল ২০২০
বৃহস্পতিবার, সিলেট জেলার, বিশ্বনাথ
উপজেলাধীন আর-রাহমান
এডুকেশন ট্রাষ্ট, উই কে -এর সভাপতি
ও এলাহাবাদ ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাওঃ
মুখলিছুর রহমানের সভাপতিত্বে, আর-রাহমান এডুকেশন ট্রাষ্টের সহ-সভাপতি জনাব, আব্দুল
মালিকের উপস্থিতে সেক্রেটারী মাসুদ আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আর-রাহমান এডুকেশন ট্রাষ্ট, ইউ কে, বিশ্বনাথ, সিলেট -এর ব্যবস্থাপনায় এলাহাবাদ রহমান মনজিল এর পক্ষ
থেকে নগদ অর্থ ও খাদ্য সমগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তারা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সিলেটস্থ বিশ্বনাথের তেলিকোনা গ্রামে “আর-রাহমান এডুকেশন ট্রাষ্ট” ইউ কে পক্ষ
থেকে করোনাভাইরাসের মহামারীর সংকটময় মুহূর্তে ২ (দুই) লক্ষ টাকাসহ কর্মহীন-অসহায় ও
দরিদ্র পরিবারের সদস্যদের মধ্যে নগদ আর্থিক সহায়তা ও খাদ্য সমগ্রী প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশের অনেক হিতকামী মানুষের মতো প্রবাসী বাংলাদেশীরাও
এ ধরণের কর্মকান্ডে জড়িত। এভাবে প্রবাসীদের আয়ের একটি অংশ শিক্ষা, দীক্ষা ও
দরিদ্র মানুষের কল্যাণে ব্যয় হচ্ছে। বিষয়টি অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এভাবে প্রবাসীদের
অর্থায়নে গড়ে উঠা একটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ‘আর-রাহমান এডুকেশন ট্রাষ্ট। এই সংগঠনটি
নাম এডুকেশন ট্রাষ্ট হলেও শিক্ষার উন্নয়নের পাশাপাশি দরিদ্র মানুষের কল্যাণে নিরলস
প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- খাজান্সী
ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তালুকদার গিয়াস উদ্দীন, বিশেষ
অতিথি ছিলেন: সিংগেরকাছ আলিয়া মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মাওঃ এম. মাহবুবুল ওয়াছে, ৫নং ওয়ার্ড
মেম্বার ও আর রাহমান এডুকেশন ট্রাস্ট এর উপদেষ্টা এম আমির উদ্দীন, আর-রাহমান
এডুকেশন ট্রাষ্ট্রের সভাপতি এলাহাবাদ ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক
মাওঃমুখলিছুর রহমান, সহ-সভাপতি জনাব, আব্দুল
মালিক, সেক্ষেরেটারী মাসুদ আহমদ, আর রাহমান
এডুকেশন ট্রাস্ট এর উপদেষ্টা ও বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সদস্য নুর উদ্দীন, তেলিকোনা
গ্রামের বিশিষ্ট সমাজ সেবক হাজী মনু মিয়া, মোতাওয়াল্লী
হাজী আবুল লেইছ।
এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আর-রাহমান এডুকেশন
ট্রাষ্ট্রের সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাসুদ মোফাস্সির, উপদেষ্টা
মাও: ফারুক আহমদ, রাজাগঞ্জ বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এম.মোজাহিদ আলী, আর-রাহমান
এডুকেশন ট্রাষ্ট্রের অর্থ সম্পাদক পীর আমিনুর রহমান, আর-রাহমান
এডুকেশন ট্রাষ্ট্রের তরুন সদস্য মাহফুজুর রহমান, কমর উদ্দীন, হাজী ময়না
মিয়া, বারিক মিয়া, সাদ্দাম, আলোর
কুড়ির সদস্য ফাহিম আহমদ প্রমূখ।
নির্বাহী সম্পাদক,
মাসিক প্রান্তিক জনপদ
0 coment rios:
You can comment here