Saturday, May 9, 2020

মুমিনের সর্বশ্রেষ্ঠ যিকর কুরআন তিলাওয়াত


।। ইমদাদুল হক যুবায়ের।।

“বিশ্বনবির সেরা মুজিজা বিশ্ব রবের মহান দান,
মানবতার মুক্তির সনদ মহাগ্রন্থ আল কুরআন।”

আল্লাহ তায়ালা মানব জাতিকে শ্রেষ্ঠত্বের মযার্দা দিয়ে সৃষ্টি করে তাদের হেদায়েতের জন্য যুগে যুগে তাঁর পথপ্রদর্শক নবি-রাসূলদের এ পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। তাদেরকে সত্য পথের দিশা দেয়ার জন্য নাজিল করেছেন আসমানি কিতাবসমূহ। আল-কুরআন সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ট আসমানী কিতাব;  যা সূদীর্ঘ তেইশ বছরে আল্লাহ তায়ালা জিবরাইল (আ.) এর মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর উপর মানব জাতির বিভিন্ন প্রয়োজনে অবতীর্ণ করেন।

মানব জীবনের সকল দিক ও বিভাগ সম্পর্কে আলোচিত হয়েছে আল-কুরআনে। এটা মানব জাতির হেদায়ত সমতে মহা নেয়াতম। যে গ্রন্থ নাজিল হয় সিয়াম সাধনার মাস মাহে রমজানে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমরা সিয়ামকে গ্রহণ করলেও যেভাবে কুরআনকে গ্রহণ করা উচিত ছিল ঠিক সেইভাবে গ্রহণ করতে পারিনি। মহান আল্লাহ কুরআনের সাথে রমজানের সিয়ামকে জড়িত করেছেন। হাদীস থেকে জানা যায় যে, রমজানের সাথে কুরআনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে দুভাবে।

প্রথমত: রমজানে রাতদিন কুরআন তিলাওয়াত করা এবং
দ্বিতীয়ত: রাতে কিয়ামুল্লাইল বা তারাবিহের সালাতে কুরআন পড়া বা শুনা।

মুমিনের অন্যতম ইবাদত ও সর্বশ্রেষ্ঠ যিক্র হলো কুরআন তিলাওয়াত করা। কুরআন কারীমের একটি আয়াত শিক্ষা করা ১০০ রাকআত নফল সালাতের চেয়েও উত্তম বলে আল-হাদীসে বলা হয়েছে। যদিও সারা বৎসরই তিলাওয়াত করা উচিত তদুপরিও বিশেষত: রমজান মাসে বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করা রাসূলুল্লাহ (সা.) এর বিশেষ সুন্নাত, যাতে রয়েছে অতিরিক্ত সাওয়াব ও বরকত।

অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, এখনো অনেক মুসলমান কুরআন বুঝা তো দূরের কথা কুরআন পড়তেই পারেন না। যদি দুনিয়ার কোনো দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, মন্ত্রী বা এম.পি আপনাকে ইংরেজি বা অন্য কোনো ভাষায় একটি চিঠি প্ররণ করেন তাহলে তা পড়তে ও বুঝতে আপনি কত ব্যস্ত হন প্রয়োজনে শিক্ষিত লোকের দ্বারস্থ হন। আর রাব্বুল আলামীন আল্লাহ তাঁর হাবীব মুহাম্মাদ (সা.) এর মাধ্যমে আপনাকে এ কিতাব সদৃশ যে গুরুত্বপূর্ণ চিঠি প্রেরণ করলেন অথচ আপনি একটু পড়েও দেখলেন না। অথবা পড়ার জন্য পেরেশানীও মনের মধ্যে রাখলেন না। আল্লাহর কাছে যেয়ে কি জবাব দিবেন। যে কিতাব পাঠ করে এখনো হাজার হাজার কাফির মুসলিম হচ্ছে, আপনি মুসলিম হয়েও সে কিতাবটা পড়লেন না। এছাড়া অনেক নও-মুসলিম আছেন যারা মুসলিম হওয়ার পরে ৩ বা ৪ বৎসরের মধ্যে কুরআন তিলাওয়াত ও অর্থ বুঝার যোগ্যতা অর্জন করেন। অথচ আমরা জন্ম থেকে মুসলমান কিন্তু অনেকেই কুরআন পড়তে পারি না।

আমরা ক্ষণস্থায়ী এ দুনিয়ার বিভিন্ন সংবাদ শুনে, পড়ে, সংবাদ পর্যালোচনা করে, অকারণে গীবত করে, বাজে গালগল্প করে কত সময় নষ্ট করি। অথচ আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করা বা অর্থসহ কুরআন শেখার সময় আমরা বের করতে পারিনা। আসলে কুরআন তিলাওয়াত শিখতে বেশি সময় লাগে না। শুধু দরকার মজবুত সিদ্ধান্ত বা সহীহ নিয়ত। 

তাই আসুন, রমজান মাসকে কুরআন শিক্ষার সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করি। অর্থসহ কুরআন তিলাওয়াত শিক্ষা করি এবং অর্থ বুঝার চেষ্টার করি। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- তোমাদের মধ্য থেকে যে ব্যক্তি কুরআন শিক্ষা করে ও শিক্ষা দান করে সেই সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি।(সহীহ বুখারী, খন্ড- ৪, হাদীস নং ১৯১৯) অন্য হাদীসে বলা হয়েছে- যে ব্যক্তি কুরআনের একটি বর্ণ পাঠ করবে সে একটি পুণ্য বা নেকী অর্জন করবে। পুণ্য বা নেকীকে দশগুণ বৃদ্ধি করে প্রদান করা হবে। (তিরমিযী, খন্ড-৫, পৃ. ১৭৫, হাদীসনং ২৯১০)
 
কুরআন সাধারণভাবে দিন রাত সব সময়ে পাঠ করা যায়। তবে মুমিনের কুরআন পাঠের বিশেষ সময় হলো তাহাজ্জুদের মধ্যে কুরআন তিলাওয়াত করা। তারাবিহে এক বা একাধিকবার পূর্ণ কুরআন তিলাওয়াত বা শ্রবণ করাও গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত। এরূপ রাতের তিলাওয়াতের কথাই রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন এভাবে- সাওম ও কুরআন বান্দার জন্য শাফাআত করবে। সাওম বলবে : হে রব্ব, আমি সাওম পালনকারীকে দিনের বেলায় খাদ্য ও পানীয় থেকে বিরত রেখেছি, কাজেই তার পক্ষে আমার শাফাআত কবুল করুন। কুরআন বলবে : হে রব্ব, আমি রাতের বেলায় তাকে ঘুম থেকে বিরত রেখেছি, কাজেই তার পক্ষে আমার শাফাআত কবুল করুন। তখন তাদের উভয়ের শাফাআত কবুল করা হবে।(মাজমাউয যাওয়াইদ, খন্ড-১০, পৃ. ৩৮১)

কুরআনুল কারীম তিলাওয়াতের ন্যায় তা শোনাও একইরূপ সাওয়াব। এজন্য তারাবিহের সালাতে পরিপূর্ণ আদবের সাথে মনোযোগ দিয়ে কুরআন শুনতে হবে। এ ক্ষেত্রে আমরা খুবই অবহেলা করে থাকি। রাসূলুল্লাহ (সা.) এর সুন্নাত হলো ধীরে ধীরে ও টেনে টেনে তিলাওয়াত করা এবং প্রত্যেক আয়াতের শেষে থামা। এভাবে তিলাওয়াত করলেই তিলাওয়াতের সাওয়াব পাওয়া যাবে এবং এরূপ তিলাওয়াত শুনলেও তিলাওয়াতের মতই সাওয়াব পাওয়া যাবে। তাড়াহুড়ো করে কুরআন পড়তে হাদীসে কঠিনভাবে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু আমরা তারাবিহের সালাতে হাফেযদেরকে দ্রুত পড়তে বাধ্য করি। ফলে কুরআনের সাথে বেয়াদবী হয়।

এছাড়া এরূপ পাঠে কুরআনের অনেক শব্দই হাফেজদের মুখের মধ্যে থেকে যায়, ফলে মুক্তাদিরা সুস্পষ্টভাবে পুরো কুরআন শুনতে পান না। এতে কোনোভাবেই খতমের সাওয়াব পাওয়া যায় না। সুন্নাত পদ্ধতিতে তিলাওয়াত করলে হয়ত এক ঘন্টা লাগে। আর এরূপ দ্রুততার সাথে পড়লে হয়ত ৪০ বা ৪৫ মিনিট লাগবে। মাত্র ১৫ বা ২০ মিনিটের জন্য আমরা অগণিত সাওয়াব থেকে বঞ্চিত হই, উপরন্তু দ্রুত পড়ার কারণে গোনাহ হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। আমাদের উদ্দেশ্য রাকাত গণনা বা খতম করেছি দাবি করা নয়, আমাদের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত সাওয়াব অর্জন করা। আর সাওয়াব পেতে হলে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর নির্দেশ মতই তারাবিহের সময় কুরআন তিলাওয়াত ও শ্রবণ করতে হবে।

তিলাওয়াত ও শ্রবণ উভয় ক্ষেত্রেই কুরআনের অর্থ বুঝলেই শুধু পরিপূর্ণ সাওয়াবের আশা করা যায়। অধিকাংশ মুসলিমই না বুঝে কুরআন পড়েই সদা অভ্যস্ত। না বুঝে তিলাওয়াত করলে হয়ত আল্লাহর কালাম মুখে আউড়ানোর কিছু সাওয়াব আমরা পেতে পারি। তবে আমাদেরকে মনে রাখতে হবে যে, না বুঝে পড়ার জন্য আল্লাহ কুরআন নাজিল করেননি। আল্লাহ বারবার বলেছেন যে, কুরআন নাজিলের উদ্দেশ্য হলো- যেন মানুষেরা তা বুঝে, চিন্তা করে এবং উপদেশ গ্রহণ করে। যেমন- আল্লাহ তায়ালা বলেছেন :
﴿كِتَابٌ أَنْزَلْنَاهُ إِلَيْكَ مُبَارَكٌ لِيَدَّبَّرُوا آَيَاتِهِ وَلِيَتَذَكَّرَ أُولُو الْأَلْبَابِ
‘‘এক বরকতময় কল্যাণময় গ্রন্থ আমি আপনার প্রতি অবতীর্ণ করেছি যেন তারা এর আয়াতসমূহ অনুধাবন করে এবং বোধশক্তি সম্পন্ন ব্যক্তিগণ উপদেশ গ্রহণ করে।’’ (সূরা সাদ, আয়াত: ২৯)

আল্লাহর কিতাব পাঠ করাকে কুরআন কারীমে তিলাওয়াতবলা হয়েছে, কারণ তিলাওয়াত এর শাব্দিক অর্থ পিছে চলা বা অনুসরণ করা। শুধুমাত্র না বুঝে পাঠ করলে তিলাওয়াত হয় না। তিলাওয়াত মানে পাঠের সময় পাঠকের মন পঠিত বিষয়ের পিছে চলবে, এরপর জীবনটাও তার পিছে চলবে। আল্লাহ বলেন-
﴿الَّذِينَ آَتَيْنَاهُمُ الْكِتَابَ يَتْلُونَهُ حَقَّ تِلَاوَتِهِ أُولَئِكَ يُؤْمِنُونَ بِهِ وَمَنْ يَكْفُرْ بِهِ فَأُولَئِكَ هُمُ الْخَاسِرُونَ
যাদেরকে আমি কিতাব প্রদান করেছি তাঁরা তা হক্কভাবে তেলাওয়াত করে, তাঁরাই এই কিতাবের উপর ঈমান এনেছে।(সূরা আল বাকারা, আয়াত: ১২১)

তাই বলা যায়, বুঝে পাঠের নামই হক্ক তিলাওয়াত। আর যারা এরূপ তিলাওয়াত করেন তারাই প্রকৃত ঈমানদার। বিভিন্ন হাদীসে কুরআন তিলাওয়াতের সাথে সাথে অর্থ চিন্তা করতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। এমনি কোনো কোনো হাদীসে বলা হয়েছে যে, যারা কুরআনের বিভিন্ন আয়াত পাঠ করবে কিন্তু তার অর্থ নিয়ে চিন্তা করবে না তাদের জন্য শাস্তি রয়েছে। (তাফসীরে কুরতুবী, খন্ড-২, পৃ. ২০১)
 
আমরা অনেক সময় মনে করি, কুরআন বুঝা কঠিন কাজ, বা তা বুঝা শুধু আলিমদের দায়িত্ব। আলিমদের দায়িত্ব কুরআনের গভীর জ্ঞান অর্জন করে হাদীস ঘেটে ফিকহের বিধিবিধান বের করা। তাই কুরআন পড়া ও বুঝা এবং সেই অনুযায়ী জীবন ও সমাজ গড়ার চেষ্টা করা প্রতিটি মুমিনের নৈতিক ও ঈমানি দায়িত্ব। কারণ, আল্লাহ তাঁর বান্দার জন্য কুরআনকে বুঝা সহজ করে দিয়েছেন। আল্লাহ কুরআনে চার স্থানে বলেছেন-
﴿وَلَقَدْ يَسَّرْنَا الْقُرْآَنَ لِلذِّكْرِ فَهَلْ مِنْ مُدَّكِرٍ
 নিশ্চয় আমি কুরআনকে বুঝার ও উপদেশ গ্রহণের জন্য সহজ করে দিয়েছি, কে আছে উপদেশ গ্রহণ করার ?’’ (সূরা কামার, আয়াত: ১৭,২২,৩২, ৪০)
﴿مَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنْ كِتَابِ اللَّهِ فَلَهُ بِهِ حَسَنَةٌ وَالْحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا﴾
 এরপরও আমরা যদি বলি যে, কুরআন বুঝা কঠিন তাহলে কি কুরআনকে অবজ্ঞা করা হবে না? বস্তুত কুরআন একটি অলৌকিক গ্রন্থ। এর অলৌকিকতার একটি দিক আমরা সকলেই দেখতে পাই। যেমন- একজন ৭ বা ৮ বছরের অনারব শিশুও তা আগাগোড়া মুখস্থ করতে পারে। 

আল কুরআনের আরেকটি অলৌকিকত্ব হলো এটি বুঝার সহজত্ব। আপনি যদি আরবী একটি শব্দ বা বাক্যও না বুঝেন, কিন্তু কুরআনের একটি অর্থানুবাদ নিয়ে আরবী আয়াত ও বাংলা অর্থ পাশাপাশি পড়ে যান, তবে আপনি দেখবেন যে, অলৌকিকভাবে অর্থটি হৃদয়ে গেঁথে যাচ্ছে। এভাবে দু’একটি খতম পড়ার পরে আপনি যখন সালাতে দাঁড়াবেন এবং ইমামের তিলাওয়াত শুনবেন, তখন দেখবেন যে, আরবী শব্দের অর্থ না জানলেও আয়াতের অর্থটি আপনার হৃদয়ে জাগরুক হচ্ছে।

আল-কুরআনকে পড়া বা বুঝা বাদ দিয়ে সিয়াম পালন করার কারণেই আমরা প্রকৃত তাকওয়া অর্জন করতে পারছি না। রমজানে যতটুকু আমরা কুরআন চর্চা করছি, ততটুকুও যদি বুঝে করতাম তাহলে অনেক বেশি তাকওয়া অর্জন করতে পারতাম। আমরা দিনে তিলাওয়াতে এবং তারাবিহে, ইশা, ফজরে বা মাগরিবে ইমামের মুখে কুরআনের ভাষায় পিতামাতা,  এতিম, প্রতিবেশী, দরিদ্র ও অন্যদের অধিকারের কথা, হক্ক কথা ও ইনসাফের নির্দেশ, জুলুম, মিথ্যা, ওজনে কম দেওয়া, ফাঁকি দেওয়া, গীবত করা, উপহাস করা, অহঙ্কার করা ও অন্যান্য পাপের ভয়াবহতা ইত্যাদি সবই শুনছি, কিন্তু কিছুই বুঝতে পারছিনা বা না বুঝতে তা বুঝে পড়ার চেষ্টা করছি না।
 
বর্তমানে বাংলা ভাষায় গ্রহণযোগ্য অনেক তাফসীরুল কুরআন গ্রন্থ বা শাব্দিক অর্থসহ বঙ্গানুবাদ কুরআন অহরহ বিভিন্ন লাইব্রেরিতে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া কুরআন ও হাদীসের অনেক এপস আমরা মোবাইলে ব্যবহারের মাধ্যমে সহজে কুরআন-হাদীস অধ্যায়ন করতে পারি। শুধু প্রয়োজন আমাদের ইচ্ছা ও পরিকল্পনার। 

তাই আসুন, আমরা সকলেই রমজান উপলক্ষ্যে আল-কুরআনের ছাত্র হয়ে যাই। কুরআনের বিশুদ্ধ তিলাওয়াত শিক্ষা করি এবং কুরআনের অর্থ বুঝার চেষ্টা করি। তাহলে আমরা কুরআন তিলাওয়াতের পরিপূর্ণ সাওয়াব ও বরকত লাভ করে প্রকৃত ঈমানদার হতে পারব। রমজান মাসে আমরা তারাবিহে অন্তত এক খতম কুরআন শুনি। এ সময়ে যদি কিছুটা হলেও অর্থ বুঝতে পারি তাহলে আমাদের ঈমান বৃদ্ধি পাবে এবং আমরা সত্যিকার আল্লাহ-ভীরু মুত্তাকীদের গুণাবলি অর্জন করতে পারব। যারা কুরআনের মানুষ- অর্থাৎ কুরআন পাঠ, হৃদয়ঙ্গম, প্রচার ও পালনে রত- তারাই পৃথিবীতে আল্লাহর পরিজন।

বরকত লাভের জন্য কুরআন ভেবো না শুধু তাই,
কুরআন হলো জীবনবিধান বুঝবার মানবার চাই।

আল্লাহ আমদেরকে তাঁর পরিজন হওয়ার তাওফীক দান করুন। আমীন।
লেখকঃ প্রাবন্ধিক ও গবেষক
শিক্ষক
জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজসিলেট।
মোবাইল: 01712374650
ইমেইল: zubairjcpsc@gmail.com
facebook: Imdadul Haque Zubair
Facebook Page ইমদাদুল হক যুবায়ের


শেয়ার করুন

Author:

0 coment rios:

You can comment here