Sunday, May 3, 2020

মানব জাতির শ্রেষ্ঠ নিয়ামত মহাগ্রন্থ আল-কোরআন


 
।। ইমাম মাওলানা এম নুরুর রহমান।।

মহাগ্রন্থ আল-কুরআন লাওহে মাহফুযে সংরক্ষিত বিশ্বজাহানের একমাত্র প্রতিপালক মহান আল্লাহ তাআলার অবিনশ্বর কালাম। মানবজাতির হেদায়তের অভিনব ও অপূর্ব এ মহাগ্রন্থ সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবি মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর অবতীর্ণ হয়, যা বিশ্বনবি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সর্বশ্রেষ্ঠ মুজিযা। মানবজাতির সর্বময় কল্যাণের এ আলোকবর্তিকা ইসলামি শরিআতের প্রথম ও প্রধান উৎস।

মানুষের ইহলৌকিক কল্যাণ  পারলৌকিক মুক্তির দিগদর্শণ মুসলিম উম্মাহর জন্য শ্রেষ্ঠতম নিয়ামত আল্লাহর বাণী পবিত্রআল-কোরআন
এটি বিশ্বমানবতার মুক্তিদূত মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা:) এর প্রতি আল্লাহর কাছ থেকে জিবরাইল ফেরেশতা মারফত সুদীর্ঘ ২৩বছরে অবতীর্ণ হয়।
কোরআন মানবজাতির সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ  মুক্তির দিশারি বা পথপ্রদর্শক। পবিত্র কোরআনকে সর্বকালেরসর্বদেশেরসর্বলোকের জীবনবিধান  মুক্তির সনদ হিসেবে আল্লাহ তাআলা ওহীর মাধ্যমে নাজিল করেছেন।
পবিত্র কোরআন নাজিলের ছয় মাস আগে থেকেই আল্লাহ তাআলা উনার পেয়ারে হাবিব হযরত মুহম্মদ (সা:) কে স্বপ্নের মাধ্যমেএ মহান কাজের জন্য প্রস্তুত করে নিচ্ছিলেন।

মানুষের ইহলৌকিক কল্যাণ  পারলৌকিক মুক্তির দিগদর্শণ মুসলিম উম্মাহর জন্য শ্রেষ্ঠতম নিয়ামত আল্লাহর বাণী পবিত্রআল-কোরআনএটি বিশ্বমানবতার মুক্তিদূত মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা:) এর প্রতি আল্লাহর কাছ থেকে জিবরাইল ফেরেশতা মারফত সুদীর্ঘ ২৩বছরে অবতীর্ণ হয়।
কোরআন মানবজাতির সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ  মুক্তির দিশারি বা পথপ্রদর্শক। পবিত্র কোরআনকে সর্বকালেরসর্বদেশেরসর্বলোকের জীবনবিধান  মুক্তির সনদ হিসেবে আল্লাহ তাআলা ওহীর মাধ্যমে নাজিল করেছেন।
পবিত্র কোরআন নাজিলের ছয় মাস আগে থেকেই আল্লাহ তাআলা উনার পেয়ারে হাবিব হযরত মুহম্মদ (সা:) কে স্বপ্নের মাধ্যমেএ মহান কাজের জন্য প্রস্তুত করে নিচ্ছিলেন।

হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (:) হতে বর্ণিত আছেপ্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (সা:) এর উপর ওহী নাজিলের সূচনা হয়েছিল স্বপ্নেরমাধ্যমে তিনি স্বপ্নে যা দেখতেন তা দিনের আলোর মতো তাঁর জীবনে প্রতিভাত হতো।

হযরত জিবরাইল (:) এর মাধ্যমে ওহী প্রাপ্তির আগে আস্তে আস্তে তিনি নির্জনতা প্রিয় হয়ে ওঠেনহেরা গুহায় নিভৃতে আল্লাহতাআলার ধ্যানে তিনি মশগুল হয়ে পড়েন এবং বিশাল সৃষ্টি  তার উদ্দেশ্য সম্পর্কে গভীর চিন্তা ভাবনা করতে থাকেন।
খাবার পানি শেষ হয়ে গেলে সেসব নেয়ার জন্যেই তিনি শুধু বাড়ি যেতেন। মাঝে মাঝে উনার অতি প্রিয় সহধর্মিণী হযরত বিবিখাদিজা (:) উনাকে হেরা গুহায় খাবার দিয়ে আসতেন।

একদিন জিবরাইল (:) হযরত মুহম্মদ (সা:) এর কাছে এসে গভীর কণ্ঠে তাঁকে বলেন ‘ইকরা‘ পড়ুন। প্রিয় নবী (সা:) বিস্ময়েহতবাক হয়ে গেলেন। উদ্বেলিত কণ্ঠে তাকে বললেন ‘আমি তো পড়তে জানি না
জিবরাইল (:) তখন হুজুরে পাক হযরত মুহম্মদ (সা;) কে বুকে চেপে ধরে আবার বলেনপড়ুন। তৃতীয় বার যখন জিবরাইল(:) তাঁকে বুকে আলিংগন করে ছেড়ে দিয়ে বলেনপড়ুন!

তখন হুজুরে পাক (সা:) ওহীর প্রথম পাঁচটি আয়াত
اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ (1) خَلَقَ الْإِنْسَانَ مِنْ عَلَقٍ (2) اقْرَأْ وَرَبُّكَ الْأَكْرَمُ (3)
 الَّذِي عَلَّمَ بِالْقَلَمِ (4) عَلَّمَ الْإِنْسَانَ مَا لَمْ يَعْلَمْ
 অর্থাৎ, পাঠ করুনআপনার পালনকর্তার নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি করেছেনমানুষকে জমাট রক্তপিন্ড থেকে। পাঠ করুনআপনার পালনকর্তা মহা দয়ালুযিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেনশিক্ষাদিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না। -সূরা আলাক্বপ্রথম পাঁচ ( - আয়াত।পড়লেন। তারপর সাথ সাথে হযরত জীবরাঈল(:) সেখান থেকে চলে গেলেন। 

৬১০ খ্রিস্টাব্দ  রমজান মাসের কদরের রজনীতে হেরা পর্বতের গুহায় সর্বপ্রথম কোরআন অবতীর্ণ হয়
অবতীর্ণের মোট সময়কাল ২২ বছর পাঁচ মাস ১৪ দিন।
প্রথম নাজিলকৃত পূর্ণ সুরা হলো সুরা ফাতিহা।
সর্বপ্রথম নাজিলকৃত কোরআনের আয়াত হলো সুরা আলাকের প্রথম পাঁচ আয়াত।
কোরআনের প্রথম শব্দ হলো ‘ইকরা’—তুমি পড়ো।
কোরআনের সর্বশেষ নাজিলকৃত সুরা হলো সুরা আন-নসর এবং সর্বশেষ নাজিলকৃত আয়াত হলো সুরা বাকারার ২৮১ নম্বরআয়াত।
কোরআন নাজিল শেষ হয় হিজরি ১১ সালের সফর মাসে।
কোরআনের সর্ববৃহৎ সুরা হলো সুরা বাকারা। এর আয়াত সংখ্যা ২৮৬।
কোরআনের সবচেয়ে ছোট সুরা হলো সুরা কাওসার। এর আয়াত সংখ্যা ৩।
পবিত্র কোরআনের মোট সুরা ১১৪টি এর মধ্যে মাক্কি সুরা (হিজরতের আগে বর্ণিত৯২টিমাদানি সুরা (হিজরতের পরেবর্ণিত২২টি।
কোরআনে মোট ৫৪০টি রুকু আছে।
প্রসিদ্ধ অভিমত অনুযায়ী কোরআনের মোট আয়াত ছয় হাজার ৬৬৬টি। কিন্তু গবেষকদের দৃষ্টিতে মোট ছয় হাজার ২৩৬টি।
কোরআনের আয়াতের ধরআদেশসূচক আয়াত এক হাজারনিষেধসূচক এক হাজারসুসংবাদসূচক এক হাজারভীতিপ্রদর্শনসূচক এক হাজারকাহিনীমূলক এক হাজারদৃষ্টান্তমূলক এক হাজারহালালসংক্রান্ত ২৫০হারামসংক্রান্ত ২৫০দোয়াজিকির  তাসবিহসংক্রান্ত ১০০টি।
কোরআনের মোট শব্দ ৮৬ হাজার ৪৩০টি।
কোরআনের মোট অক্ষর তিন লাখ ৪৭ হাজার ৮৩৩টিমতান্তরে তিন লাখ ৪৯ হাজার ৩৭০টিমতান্তরে তিন লাখ ৫১ হাজার২৫২টি।
কোরআনের মোট মনজিল সাতটি এবং পারা ৩০টি।
কোরআনের মোট হরকতজের ৩৯ হাজার ৫৮২জবর ৫২ হাজার ২৩৪পেশ হলো আট হাজার ৮০৪জজম এক হাজার৭৭১নুকতা এক লাখ পাঁচ হাজার ৬৮১তাশদিদ এক হাজার ৪৫৩ওয়াকফ্ ১০ হাজার ৫৬৪মাদ এক হাজার ১৭১  আলিফমামদুদাহ ২৪০টি।
কোরআনে হরফের সংখ্যাআলিফ ৪৮ হাজার ৪৭৬ বা ১১ হাজার ৪৪২তা ১০ হাজার ১৯৯ছা এক হাজার ২৭৬জিম তিনহাজার ২৭৩হা তিন হাজার ৯৭৩খা দুই হাজার ৪৪৬দাল পাঁচ হাজার ৬৪২জাল চার হাজার ৬৭৭রা ১১ হাজার ৭৯৩জাএক হাজার ৫৯৩সিন এক হাজার ৮৯১শিন দুই হাজার ২৫৩ছোয়াদ দুই হাজার ১৩দোয়াদ এক হাজার ৬০৭তোয়া একহাজার ২৭৭জোয়া ৮৪২আইন  হাজার ২২০গাইন দুই হাজার ১০৮ফা আট হাজার ৪৯৯ক্বাফ ছয় হাজার ৮১৩কাফ ৯হাজার ৫০২লাম ৩৩ হাজার ৪৩২মিম ২৬ হাজার ৫৬০নুন ৪৫ হাজার ১৯০ওয়াও ২৫ হাজার ৫৩৬হা ১৯ হাজার ৭০লামআলিফ চার হাজার ৭২০ইয়া ৪৫ হাজার ৯১৯টি।
সর্বপ্রথম কোরআনে নুকতা  হরকত প্রবর্তন করেন আবুল আসওয়াদ দুয়াইলিমতান্তরে হাজ্জাজ বিন ইউসুফ।
হানাফি মাজহাব মতেকোরআনে তিলাওয়াতে সিজদা ১৪টি এবং সাকতার সংখ্যা চারটি।
কোরআনে নবী  রাসুলের নাম এসেছে ২৫ জনের। ফেরেশতার নাম এসেছে চারজনের। শয়তান শব্দটি এসেছে ৮৫ বারইবলিস এসেছে ১১ বার। জিনজাতির প্রসঙ্গ এসেছে ৩২ বার।
নবীদের মধ্যে পবিত্র কোরআনে সবচেয়ে বেশি এসেছে মুসা (.)-এর নাম। তার নাম এসেছে ১৩৫ বার।
কোরআনে ছয়জন কাফিরের নাম আছে।
কোরআনে বিসমিল্লাহ নেই সুরা তওবায়।
কোরআনে বিসমিল্লাহ দুইবার এসেছে সুরা নামলে।
কোরআনে বর্ণিত একজন সাহাবি হজরত জায়েদ (রা.)
কোরআনে বর্ণিত একজন নারী মারইয়াম বিনতে ইমরান।
কোরআনের প্রথম ওহি লেখক জায়েদ বিন সাবেত (রা.)
কোরআনের মুখপাত্র হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস।
কোরআনকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেন হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) ৬৩৩ খ্রিস্টাব্দে।
কোরআনের প্রথম সংকলক হজরত ওসমান (রা.)
কোরআনের প্রথম  প্রধান তাফসিরবিদ আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই মাহে রমজানে বেশী বেশী তেলাওয়াত করতেন।তিনি প্রতি রমজানে জিব্রাইল (আঃএর সাথে পবিত্র কুরআন দাওর করতেন। মানে একবার জিব্রাইল (আঃতিনি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কেকোরআন শোনাতেনআবার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিব্রাইলকে কোরআন শোনাতেন। এভাবে তারা একেঅপরকে শোনাশুনি করতেন পবিত্র কোরআন শরীফ।

রমজান মাস আসলে আমাদের আকাবির আছলাফগণ বেশী বেশী কোরআন তেলাওয়াতে মগ্ন থাকতেন। সকল ইবাদতের সাথেকোরআন তেলাওয়াতকে বেশী প্রাধান্য দিতেন।
তার কারণ নফল ইবাদতের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম ইবাদত হলো কোরআনের তেলাওয়াত। একারনে সকল বুজুর্গদের নিয়ম ছিলবেশী বেশী তেলাওয়াত। বুজুর্গদের খানকায় কোরআন তেলায়াতের প্রতি বেশী গুরত্বারোপ করা হয়

একে তো রমজান মাসরোজাদারের উপর আল্লাহর বিশেষ রহমত থাকে। এরপর আবার যদি কোরআনের তেলাওয়াত করা হয়তাহলে তো “নুরুন আলা নুর
রোজার দ্বারা যেমন আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জিত হয়আত্মার শুদ্ধি লাভ করা যায়। তেমনী ভাবে তেলাওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহরসাথে বিশেষ সম্পর্ক স্হাপন হয়।
একারণে রোজার মাসের তেলাওয়াতের গুরুত্বটা যেন অনেক বেশী।
আসুন, আমরা কোরআনের মাস রামাদান উপলক্ষ্যে কোরআন তিলাওয়াত শিক্ষা করি। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন :
﴿خَيْرُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَهُ﴾
অর্থাৎ,তোমাদের মধ্য থেকে যে ব্যক্তি কোরআন শিক্ষা করে ও শিক্ষা দান করে সেই সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি। (সহীহ বুখারী, খণ্ড-, পৃ. ১৯১৯)

﴿مَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنْ كِتَابِ اللَّهِ فَلَهُ بِهِ حَسَنَةٌ وَالْحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا﴾
অর্থাৎ, “যে ব্যক্তি কোরআনের একটি বর্ণ পাঠ করবে সে একটি পুণ্য বা নেকী অর্জন করবে। পুণ্য বা নেকীকে দশগুণ বৃদ্ধি করে প্রদান করা হবে। (তিরমিযী,খণ্ড-, পৃ. ১৭৫, হাদীস নং ২৯১০)  হাদীসটি সহীহ। অন্য হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন :
﴿الْمَاهِرُ بِالْقُرْآنِ مَعَ السَّفَرَةِ الْكِرَامِ الْبَرَرَةِ وَالَّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَيَتَتَعْتَعُ فِيهِ وَهُوَ عَلَيْهِ شَاقٌّ لَهُ أَجْرَانِ﴾
অর্থাৎ, “যে ব্যক্তি কোরআন তিলাওয়াতে সুপারদর্শী সে সম্মানিত ফিরিশতাগণের সঙ্গে। আর কোরআন তিলাওয়াত করতে যার জিহ্বা জড়িয়ে যায়, উচ্চারণে কষ্ট হয়, কিন্তু কষ্ট করে অপারগতা সত্ত্বেও সে তিলাওয়াত করে তার জন্য রয়েছে দ্বিগুণ পুরস্কার।(সহীহ বুখারী,খণ্ড-, পৃ. ২৭৪৩, সহীহ মুসলিম, খণ্ড-, পৃ. ৫৪৯)

অন্য হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন:
﴿اقْرَءُوا الْقُرْآنَ فَإِنَّهُ يَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ شَفِيعًا لأَصْحَابِهِ﴾
অর্থাৎ, “তোমরা কোরআন পাঠ করবে; কারণ কুরআন কিয়ামতের দিন তার সঙ্গীদের (কুরআন পাঠকারীগণের) জন্য শাফাআত করবে।(সহীহ মুসলিম ১, পৃ. ৫৫৩)

কোরআন সাধারণভাবে দিবারাত্র সকল সময়ে পাঠ করা যায়। আর মুমিনের কুরআন পাঠের বিশেষ সময় হলো রাত্রে কিয়ামুল্লাইল বা তাহাজ্জুদের মধ্যে কোরআন তিলাওয়াত করা। কোরআন কারীমে এরূপ তিলাওয়াতকে মুমিনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। রামাদানের রাত্রিতে সালাতুল্লাইল আদায় করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত। কিয়ামুল্লাইল বা তারাবীহে এক বা একাধিকবার পূর্ণ কোরআন তিলাওয়াত বা শ্রবণ করাও গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত। এরূপ রাতের তিলাওয়াতের কথাই রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
﴿اَلصِّيَامُ وَالْقُرْآنُ يَشْفَعَانِ لِلْعَبْدِ يَقُوْلُ الصِّيَامُ رَبِّ إِنِّيْ مَنَعْتُهُ الطَّعَامَ وَالشَّرَابَ بِالنَّهَارِ فَشَفِّعْنِيْ فِيْهِ وَيَقُوْلُ الْقُرْآنُ رَبِّ مَنَعْتُهُ النَّوْمَ بِاللَّيْلِ فَشَفِّعْنِيْ فِيْهِ فَيُشَفَّعَانِ.
অর্থাৎ,রোযা ও কোরআন বান্দার জন্য শাফাআত করবে। রোযা বলবে : হে রব্ব, আমি একে দিনের বেলায় খাদ্য ও পানীয় থেকে বিরত রেখেছি, কাজেই তার পক্ষে আমার শাফাআত কবুল করুন। কুরআন বলবে : হে রব্ব, আমি রাতের বেলায় তাকে ঘুম থেকে বিরত রেখেছি, কাজেই তার পক্ষে আমার শাফাআত কবুল করুন। তখন তাদের উভয়ের শাফাআত কবুল করা হবে।(মুসতাদরাক হাকিম, খণ্ড-, পৃ. ৭৪০, মুসনাদ আহমদখণ্ড-, পৃ. ১৭৪, আত-তারগীব, খণ্ড-, পৃ. ১০, ৩২৫, মাজমাউয যাওয়াইদ,খণ্ড-১০, পৃ. ৩৮১। হাদীসটি সহীহ)

আর পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতে তো প্রতিটি হরফের বিনিময়ে কমপক্ষে দশ নেকী দান করা হয়। আর রমজানে তেলওয়াতকরলে তো তার ছওয়াব ৭০ গুন বৃদ্ধি হয়ে যাবে বলে আশা করা হয় মানে অফুরন্ত সওয়াবের মালিক বনে যাবেন তেলাওয়াতকারী।
এমনি ভাবে আত্মশুদ্ধির এই মাসে কোরআন তেলাওয়াতে তার অন্তরাত্মা আরো পরিশুদ্ধ হবে। সে আরো অনেক পুত পবিত্রহতে পারবে , কেননা কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে তিনটি ফায়দার কথা উল্লেখ করা হয়,
এক, কোরআন তেলাওয়াতের দ্বারা মনের কালিমা দুর হয়। মনের অশান্তি চলে যায়।
দুই, তেলাওয়াতের দ্বারা আল্লাহর সাথে নিগুড় ভালবাসা স্হাপন হয়। আল্লাহর খালেছ বান্দায় পরিণত হয়।
তিনতেলাওয়াতের বিনিময়ে প্রতিটি হরফে কমপক্ষে ১০ নেকী তেলাওয়াত কারী পেয়ে থাকে।
তাই ভাইবন্ধুদের প্রতি বিশেষ আবেদনআসুনআমরা কোরআন তেলাওয়াতের প্রতি মনোনিবেশ করিমাহে রমজানের এইমোবারক সময় গুলো বেশী বেশী তেলাওয়াত করি।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকল কে তাওফিক দান করুন। আমীন।

উপসংহার
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সাথী সঙ্গীদের প্রদর্শিত পদ্ধতির অনুসরণেই মানবজাতির ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি নিহিত। কোরআন তিলাওয়াত করা ও তা শ্রবণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। উক্ত ইবাদতের বহুবিধ উপকারিতা রয়েছে। তাই প্রত্যেক মুসলিমের উচিত রাসুলুলল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নির্দেশিত পদ্ধতি অনুসরণ পূর্বক উক্ত ইবাদত পালনে আন্তরিকভাবে সচেষ্ট হওয়া।
 রমজান কোরআন নাজিলের মাসআসুনবেশী বেশী কোরআন তেলাওয়াত করি। রমজান কোরআন নাজিলের মাস। এমাসেই পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছিল। তাই  মাসের সাথে পবিত্র কুরআনের বড় সম্পর্ক রয়েছে। 


লেখক: বহুগ্রন্থ প্রণেতা
সেক্রেটারি:
শারীয়া কাউন্সিল ব্যাডফোরড ও মিডল্যনড ইউ কে- 
ইমাম ও খাতিব:
মাসজিদুল উম্মাহ লুটন, ইউ.কে
সত্যয়ান কারী চেয়ারম্যন:
নিকাহ নামা সার্টিফিকেট ইউ কে
 প্রিন্সিপাল:
আর রাহমান একাডেমি ইউ কে
পরিচালক:
আর-রাহমান এডুকেশন ট্রাস্ট ইউ কে

📞07476136772 📞 07476 961067
nrahmansky@googlemail.com
Arrahmaneducationtust@gmail.com
https://www.facebook.com/Imam.Nurur
https://www.facebook.com/ARET.OR.UK/

https://www.youtube.com/user/nurur9



শেয়ার করুন

Author:

0 coment rios:

You can comment here