।।সেলিম রেজা।।
প্রফেসর ড. সৈয়দ
মাকসুদুর রহমান, ১লা জানুয়ারী ১৯৭৪ সালে যশোর জেলার অভয়নগর
উপজেলার বাশুয়াড়ী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। বাবা সৈয়দ আনছার
আলী ও খন্দকার সালেহা বেগমের কনিষ্ঠ পুত্র। তিনি বাশুয়াড়ী প্রাথমিক ও পরবর্তীতে
বাশুয়াড়ী সিনিয়র মাদ্রাসা থেকে মাদ্রাসা থেকে দাখিল এবং খুলনা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে
আলিম বোর্ডবৃত্তিসহ কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন।
পরবর্তীতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া’র ধর্মতত্ত্ব ও ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের আল-হাদীস এন্ড
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, থেকে অনার্স ও মাস্টার্স উভয় পরিক্ষায় প্রথম
শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার সহ অনুষদীয় প্রথম হন এবং মেধার স্বীকৃতি স্বরূপ “চ্যান্সেলর স্বর্ণ পদ“ প্রাপ্ত হন।
তিনি ২০০১ সালে একই বিভাগে বিশ্ববিদ্যালয়ে
আল-হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৩ সালে
সহকারী অধ্যাপক এবং ২০০৮ সালে সহযোগী অধ্যাপকে উন্নীত হন। ইতোমধ্যে তিনি এমফিল ও
পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। তার থিসিসের শিরোনাম যথাক্রমে – “মাওলানা
মুহাম্মদ আলী শাহ ইরানী: ইসলাম প্রচারে তার অবদান” ও আল্লামা ইউসুফ বিননুরী: ইলমুল হাদীসে তার
অবদান”। তার তত্ত্বাবধানে এ পর্যন্ত দশের অধিক এমফিল
এবং তিনটি পিএইচডি ডিগ্রী সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া বহিস্ত সদস্য হিসেবে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এর পরীক্ষক হিসেবে ডিগ্রি প্রদান
করেছেন। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও লালন শাহ
হলের সহকারী প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির
কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্য ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের গুরুত্বপূর্ণ
পদে দায়িত্ব পালক করেন। তিনি পাকিস্তান, ভারত, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর ও মালদ্বীপ সফর করেন। তিনি “বিশ্বের
ধর্ম পরিচিত’’ গ্রন্থের
রিভোয়ার হিসেবে মতামত লিখেছেন। ২০১৩ সাল হতে তিনি অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। তার
প্রবন্ধের সংখ্যা শতাধিক যা দেশি বিদেশি অনেক গবেষণা জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি সম সাময়িক অনেক মিডিয়ায় মতামত পদান করেছেন। তিনি বিভিন্ন সংস্থা ও
প্রতিষ্ঠান থেকে অসংখ্য সম্মাননা পদক পেয়েছেন। তাঁর একাধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তার মধ্যে প্রসিদ্ধ হলো:
১। আল্লামা আল্লামা ইউসুফ বিননুরী: ইলমুল হাদীসে তার অবদান।
২। যাকাত ব্যবস্থাপনা: বাংলাদেশে দরিদ্র বিমোচনে এর ভূমিকা।
১। আল্লামা আল্লামা ইউসুফ বিননুরী: ইলমুল হাদীসে তার অবদান।
২। যাকাত ব্যবস্থাপনা: বাংলাদেশে দরিদ্র বিমোচনে এর ভূমিকা।
এ ছাড়া তিনি আর্তমানবতার সেবায় অনেক অবদান
রাখতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমান তিনি বিভিন্ন
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ছাত্রদের উদ্দেশ্য তার অভিমত ব্যক্ত
করেছেন এ প্রজন্মের ছাত্র-ছাত্রীরা অনেক মেধাবী। তারা যদি নৈতিকতাকে প্রাধান্য
দিয়ে দক্ষতা অর্জন করে তবে কোন ক্ষেত্রে তাদের পিছিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। সামাজিক
বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের সামাজিকভাবে সম্মানের সাথে জীবন যাপন করতে হবে।
সামাজিক দায়বদ্ধতা সবাইকে একযোগে নিতে হবে তাহলে একটি সূখী ও সূখী সমাজ উপহার
দেওয়া সম্ভব হবে। তিনি যে কোন বিপদে আল্লাহ তাআলা উপর নির্ভর ও ধৈর্য ধারণ করা
উচিত বলে মন্তব্য করেন।
লেখক,
সেলিম রেজা
প্রাক্তন ছাত্র
হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ
হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
ইমেইল: selimreza.iu@gmail.com
আল্লাহ তায়ালা স্যারকে নেক হায়াত দান করুন। দুনিয়া আখেরাতে সফল করুন। আমিন।
ReplyDelete