Friday, May 8, 2020

মানসিক দুশ্চিন্তা: প্রেক্ষিত করোনা ভাইরাস

 
।। মুহাম্মদ জিয়াউর রহমান।।

ভূমিকা
বর্তমান করোনা ভাইরাস মহামারিতে আমরা কঠিন সময় পার করছি। একটি অভূতপূর্ব অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে চলছে আমাদের জীবন। ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছুই বন্ধ। শত শত কোটি মানুষ ঘরবন্দি হয়ে সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন থাকায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। অনেকের চাকরি নাই, বেতন নাই, কাজ নেই; বাড়িতে অবস্থান করতে করতে অস্থিরতা বেড়েই চলেছে। সংবাদপত্রে কারো কারো আত্মহত্যার খবরও প্রকাশিত হচ্ছে। কোনো কোনো দেশে করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে গো-মূত্র পান, আবার কোনো কোনো দেশে করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে মদ পানে শতাধিক লোকের মৃত্যু বরণের খবর সংবাদ পত্রের মাধ্যমে আমরা জানতে পারছি। আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মদের উপর করোনা কেন্দ্রিক অতিরিক্ত কর আরোপের পরও মদ ক্রয়ে মানুষের ভিড় থামানো যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে নিয়ে কুরআন ও হাদীসের আলোকে মানসিকভাবে সুস্থতার প্রয়াসে বক্ষমান প্রবন্ধ।

মানসিক অস্থিরতার কারণ
বহুদিন মনের মধ্যে চেপে রাখা ক্ষোভ, মানসিক অস্থিরতা, দুশ্চিন্তা, নিরাপত্তাহীনতা ও ভয়ভীতি ইত্যাদি নানাবিধ কারণে মানসিক অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে। যেমন- সামাজিক বৈষম্য, অর্থনৈতিক দৈন্যতা, দাম্পত্য কলহ, বেকারত্ব এবং অনিয়ন্ত্রিত আবেগ, দীর্ঘদিন গৃহবন্দি, অদেখা মহামারিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা, যথাযথ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়া ইত্যাদি। মানসিক অস্থিরতার ফলে স্ট্রোক, মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা এমনকি আত্মহত্যার মত জঘন্য ঘটনা ঘটে থাকে। ২০০০ সালে সার্স মহামারির সময়ে মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা উল্লেযোগ্যহারে বেড়ে গিয়েছিল। সম্প্রতি করোনা ভাইরাস আতঙ্কে ঢাকায় পাঁচতলা ভবন থেকে লাফ দিয়ে পুলিশ সদস্যের মৃত্যু, মানসিক অস্বাভাবিকতার কারণেই সন্তান কর্তৃক মাকে করোনায় আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে ফেলে যাওয়াসহ অনেক অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে চলেছে। এমনকি পারাবারিক অশান্তি, বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ও ঘটছে।

চলমান বৈশ্বিক মহামারিতে অভাব-অনটন, ঋণগ্রস্থ, ব্যবসায় লোকসান, চাকুরী হারানোর ভয়ে মানসিক চাপ সামলানো অনেকের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়তে পারে। এহেন ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় হলো ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা। বিশেষ করে বিশ্বনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাস্তব কর্মনীতি অবলম্বন করা। আমরা দেখতে পাই খন্দকের যুদ্ধে বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর অনেক সঙ্গীরা ক্ষুধা নিবরনের উপায় হিসেবে পেটে পাথর বেঁধে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে এ নিয়ে কোনো দুঃখ ছিলনা। রইসুল মুহাদ্দিসীন আবু হুরায়রা রা. পেটের ক্ষিধায় রাস্তায় অজ্ঞান পড়ে থাকতেন। তবুও সৃষ্টিকর্তাকে ভূলেননি। এসব ইতিহাস পড়লে মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে সহায়তা করবে।

মানুষ যখন সর্বদিক থেকেই লাঞ্ছনা-বঞ্চনার শিকার হয় তখনই ব্রেন অ্যাটাক (স্ট্রোক) করে। ডা. মোহিত কামাল (মনোচিকিৎসক, মনোশিক্ষাবিদসাইকোথেরাপিস্ট ও সাইকোথেরাপিস্ট) বলেন, ‘স্ট্রোকের কারণে বাংলাদেশে মৃত্যুর হার বেড়েছে। এর ফলে সামাজিক পঙ্গুত্বের বোঝা বাড়ছে। বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর তৃতীয় একটি কারণ স্ট্রোক। বাংলাদেশে মোট প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ প্রতিবন্ধীর বড় অংশই স্ট্রোকে আক্রান্ত। আমাদের দেশে ব্রেইন অ্যাটাক বা স্টোকের চিকিৎসা অপ্রতুল। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ কারণগুলো ব্যাপকভাবে বিদ্যমান। সময়মতো সঠিক প্রতিরোধ এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হলে এসব পঙ্গুত্ব এড়ানো সম্ভব।(ব্রেন অ্যাটাক অনিদ্রা ও মাথাব্যথা, পৃ. ১৫)।
 
মানসিক রোগ ও স্ট্রোক থেকে বাঁচতে করণীয়
মানসিক ও স্ট্রোকের মতো জটিল রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে ইসলাম অত্যন্ত চমৎকার পদ্ধতি বাতলিয়ে দিয়েছে। ডা. মুহাম্মদ তারেক মাহমুদ তাঁর সুন্নাতে রাসূল ও আধুনিক বিজ্ঞান বইয়ে উল্লেখ করেন, মানসিক রোগীদের জন্য লাহোরের আল্লামা ইকবাল কলেজ হাসপাতাল এর মানসিক ও মস্তিষ্ক চিকিৎসা শাখায় এক গবেষণামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।  তা হল, প্রথমে সমস্ত রোগীকে একত্রিত করে দুটি গ্রুপে বিভক্ত করে প্রথম ও দ্বিতীয় গ্রুপের নাম যথাক্রমে, মুতালাআত গ্রুপ ও নেগরান গ্রুপ রাখা হয়। মোট ৬৪ জন রোগীকে ৩২ জন করে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। উল্লেখ্য যে, এসব মানসিক রোগীকে সম্ভাব্য সকল প্রকার চিকিৎসা ও বিভিন্ন ধরনের ঔষধপত্র প্রয়োগের পরও যখন কোনো উপায় হচ্ছিল না তখনই তাদের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে চিকিৎসার এক নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। সকল রোগীর জন্য রাত ২ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত জাগ্রত থাকা অত্যাবশ্যক করা হয়। প্রথমে মুতালাআত গ্রুপকে উক্ত সময়ে যিকর, কুরআন তিলাওয়াত তাহাজ্জুদ ও পবিত্র কুরআনের নির্ধারিত কিছু আয়াত বার বার পাঠ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এসব কাজে আন্তরিকতা অবলম্বনের তাগিদ দেয়া হয়। পরে নেগরান গ্রুপকে ছোট খাটো কাজ কর্ম কিংবা পড়া লেখার কাজে ব্যস্ত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।

ফলাফল
চার সপ্তাহ চিকিৎসার পর আরোগ্যলাভকারী রোগীর সংখ্যা মুতালাআত গ্রুপ  ২৫, নেগরান গ্রুপ ০৫ মোট ৩০, আরোগ্যহীন রোগীর সংখ্যা মুতালাআত গ্রুপ ০৭,   নেগরান গ্রুপ ২৭ মোট ৩৪, সর্বমোট ৬৪।

উপরোক্ত পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মুতালাআত গ্রুপের ৩২ জন রোগীর মধ্যে ২৫ জন অর্থাৎ শতকরা ৭৮ জন  তাদের রোগ থেকে মুক্তি লাভ করে এবং অবশিষ্ট ৭ জন রোগীর অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। পক্ষান্তরে নেগরান গ্রুপের ৩২ জন থেকে মাত্র ৫ জন রোগী সুস্থ হয়। আর অবশিষ্ট ২৭ জন অর্থাৎ শতকরা ৮৪ জন রোগীই সুস্থ হয় নি। (সুন্নাতে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও আধুনিক বিজ্ঞান, খ. ১, পৃ. ৬৫-৬৬)

উক্ত রিপোর্ট থেকে প্রমাণিত হয় যে, যিকর, কুরআন তিলাওয়াত ও সালাত মানসিক রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। যিকর প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ  পবিত্র কুরআনের ঘোষণা,
﴿أَلَا بِذِكْرِ اللَّهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوبُ﴾
অর্থাৎ আল্লাহর স্মরণ দ্বারাই অন্তরসমূহ প্রশান্ত হয়।৩৮ (আল কুরআন, ১৩:২৮) অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন,
﴿وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْآَنِ مَا هُوَ شِفَاءٌ وَرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ وَلَا يَزِيدُ الظَّالِمِينَ إِلَّا خَسَارً﴾
অর্থাৎ আর আমি কুরআন নাযিল করি যা মুমিনদের জন্য শিফা ও রহমত, কিন্তু তা জালিমদের ক্ষতিই বাড়িয়ে দেয়।(আল কুরআন, ১৭:৮২)

শয়তান মানুষদেরকে আল্লাহর যিকর থেকে গাফেল রাখতে চায়। যাতে করে মানুষ হতাশা ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকে। আল্লাহ তাআলা বলেন,
﴿إِنَّمَا يُرِيدُ الشَّيْطَانُ أَنْ يُوقِعَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَاءَ فِي الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ وَيَصُدَّكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللَّهِ وَعَنِ الصَّلَاةِ فَهَلْ أَنْتُمْ مُنْتَهُونَ﴾
অর্থাৎ শয়তান শুধু মদ ও জুয়া দ্বারা তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চার করতে চায়। আর (চায়) আল্লাহর স্মরণ ও সালাত থেকে তোমাদের বাধা দিতে। অতএব, তোমরা কি বিরত হবে না?” (আল কুরআন, ৫:৯১)

আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ যিকর কুরআন তিলাওয়াত। হাদীসে কুরআন করীমের একটি আয়াত শিক্ষা করা ১০০ রাকআত নফল সালাতের চেয়েও উত্তম বলা হয়েছে। তাই এ পরিস্থিতিতে বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করতে পারি। এর মাধ্যমে যেমন বেশি বেশি ছাওয়াব হাসিল হবে পাশাপাশি মানসিক অস্থিরতা দূর হবে। কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে ইমান বৃদ্ধিপায়। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
﴿وَإِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ آَيَاتُهُ زَادَتْهُمْ إِيمَانًا﴾
অর্থাৎ যখন তাঁদের (মুমিনদের) নিকট আল্লাহর (কুরআনের) আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করা হয়, তখন তাঁদের ইমান বৃদ্ধি পায়।(আল কুরআন: ৮: ২)

মাহগ্রন্থ কুরআন আল্লাহ তাআলার নিকট পাঠকারীর জন্য শাফাআত করবে। এ প্রসঙ্গে আবু উমামা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
﴿اقْرَءُوا الْقُرْآنَ فَإِنَّهُ يَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ شَفِيعًا لِأَصْحَابِهِ
অর্থাৎ তোমরা কুরআন পাঠ করবে; কারণ কুরআন কিয়ামতের দিন তার সঙ্গিদের (কুরআন পাঠকারীগণের জন্য) শাফাআত করবে।(সহীহ মুসলিম, খ. ১, পৃ. ২৭০)।
 
অতএব, বলা যায় যে, পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত নফল ইবাদত হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্ব ও সর্বশ্রেষ্ঠ যিকর যা মহান আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভের অন্যতম পন্থা। তাই প্রত্যেক মুসলমানেরই উচিত সুন্নাহ সম্মত পদ্ধতিতে যথাযথভাবে কুরআনুল কারিম তিলাওয়াত করা।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহবারা খুব বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করতেন। নিম্নে একটি হাদীস উল্লেখ করা হলো যা থেকে আমরা বুঝতে পারব যে, তাঁরা কুরআন তিলাওয়াতে কী পরিমাণ মনোযোগী ছিলেন। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রা. বলেন,
﴿جَمَعْتُ الْقُرْآنَ فَقَرَأْتُهُ كُلَّهُ فِي لَيْلَةٍ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنِّي أَخْشَى أَنْ يَطُولَ عَلَيْكَ الزَّمَانُ وَأَنْ تَمَلَّ فَاقْرَأْهُ فِي شَهْرٍ فَقُلْتُ دَعْنِي أَسْتَمْتِعْ مِنْ قُوَّتِي وَشَبَابِي قَالَ فَاقْرَأْهُ فِي عَشْرَةٍ قُلْتُ دَعْنِي أَسْتَمْتِعْ مِنْ قُوَّتِي وَشَبَابِي قَالَ فَاقْرَأْهُ فِي سَبْعٍ قُلْتُ دَعْنِي أَسْتَمْتِعْ مِنْ قُوَّتِي وَشَبَابِي فَأَبَى﴾
অর্থাৎ আমি কুরআন মুখস্থ করলাম। অতঃপর একরাতে সম্পূর্ণ কুরআন পাঠ করে নিতাম। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আমার ভয় লাগছে তোমার যখন বয়স বেশি হবে তখন তোমার বিরক্তি আসবে, সুতরাং তুমি এক মাসে কুরআন সম্পূর্ণটুকু পাঠ কর। আমি (আব্দুল্লাহ ইবনে আমর) বললাম, আপনি আমাকে সুযোগ দিন যাতে আমার শক্তি ও যৌবন থেকে উপকৃত হতে পারি। তিনি (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তাহলে দশদিনে পুরো কুরআন পাঠ কর। আমি বললাম আপনি আমাকে সুযোগ দিন যাতে আমার শক্তি ও যৌবন থেকে উপকৃত হতে পারি। তখন তিনি বললেন, তাহলে সাত দিনে সম্পূর্ণ কুরআন তিলাওয়াত কর। আমি বললাম আমাকে সুযোগ দিন যাতে আমার শক্তি ও যৌবন থেকে উপকৃত হতে পারি। তখন তিনি তা অস্বীকার করলেন। (সুনান ইবনু মাজাহ, খ. ১, পৃ. ৯৫-৯৬)

সহিহুল বুখারীতে وَلَا تَزِدْ عَلَى ذَلِكَ শব্দটি অতিরিক্ত বাড়িয়ে বলা হয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে সাত দিনের কমে কুরআন খতম করো না। (সহীহুল বুখারী, খ. ৪, হাদীস নং- ৪৭৬৭)

বর্তমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে আমরা অনেকেই নানাভাবে মানসিক চাপে আছি। এহেন পরিস্থিতে যদি আমরা কুরআন তিলাওয়াতে মনোযোগ দেই তাহলে মানসিক অশান্তি দূর হবে। অফুরন্ত কল্যাণের অধিকারী হবো। আমরা কুরআনের অনুবাদ ও ব্যাখ্যা পড়তে পারি। দেখা যাবে, সময় পাওয়া যাচ্ছে না।

উপসংহারে বলা যায়, বর্তমান বৈশ্বিক মহামারির সময়ে আমরা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এহেন পরিস্থিতি একমাত্র ধর্মীয় অনুশাসন ছাড়া আমাদের মনে প্রশান্তি অর্জন অন্য কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তাই আসুন, আমরা আল্লাহর যিকরে ব্যস্ত হয়ে যাই, আশা করা যায় আমাদের জীবন শান্তিময় হয়ে উঠবে। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে তৌফিক দান করুন।


লেখকঃ
পি.এইচডি গবেষক ও শিক্ষক
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ,
লিডিং ইউনিভার্সিটি,
সিলেট।
ইমেইল:zia1290@gmail.com
মোবাইলঃ 01715610866




শেয়ার করুন

Author:

0 coment rios:

You can comment here