Wednesday, June 24, 2020

করোনায় ভুল ভোগান্তি

।। মোহাম্মদ ইমাম হোসাইন খান।।

করোনা প্রতিরোধে আমাদের বিছমিল্লায় গলদ হয়েছে প্রথম ও বড় ভুলটি হল চীন থেকে ভাইরাসটি বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার দৃশ্য দেখার পরও বিদেশ থেকে আশা যাত্রীদের করোনা সনাক্তের যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণ করে আক্রান্তদের আলাদা না করা তখন বিদেশী যাত্রীদের ব্যাপারে আমরা যে ব্যাবস্থা গ্রহণ করেছি তাতে করোনাভাইরাসের সংক্রামক প্রভাব সম্পর্কে আমাদের অজ্ঞতাই প্রকাশ পেয়েছে উন্নত দেশগুলোর ক্ষেত্রেও এ উদাসীনতা লক্ষনীয় যার ফলে ইতালী, আমেরিকা, বৃটেন, কানাডা, রাশিয়া ও অস্ট্রেলিয়াসহ বহু দেশকেই করোনা  ভাইরাসের  মরণথাবা ভোগ করতে হয়েছে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট  ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেবেছিলেন, এই ভাইরাস যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাবে না অথচ যুক্তরাষ্ট্রকে সবচেয়ে বেশি মূল্য দিতে  হয়েছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা উভয়দিক থেকেই যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে অবস্থান করছে করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবা প্রথমে সাধারনের মধ্যে থাকলেও এখন কৃষক-দিনমজুর থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের কর্ণধার পর্যন্ত কেউ বাদ যাচ্ছেনা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নিজেও ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন আমাদের দেশে ইতিমধ্যে সাবেক একজন মন্ত্রী ও বর্তমান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মৃতুবরণ করেছেন অনেক সাংসদও আক্রান্ত  রয়েছেন আক্রান্তের তালিকায় রয়েছেন  ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্য, ব্যাংকার, ব্যাবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী নারী-পুরুষ দুশতাধিক দেশের মধ্যে আক্রান্তের বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান আঠারতম 

সরকারের উচ্চপর্যায়ের অনেকের কাছ থেকে দেশের মানুষকে বার বার আশ্বস্থ করা হয়েছে যে, আমরা করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছি কিন্তু ধীরে ধীরে ভাইরাসটির প্রভাব যখন বাড়তে  থাকে তখন আমাদের প্রস্তুতির চিত্রও মানুষের সামনে প্রকাশ পেতে থাকল প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের জন্য  ডাক্তারদেরকেও আহাজারি করতে হয়েছে একটি সরকারি হাসপাতাল সেতো নোটিশ বোর্ডে ঝু্লিয়েই দিয়েছে যেপ্রত্যেকে ব্যাক্তিগতভাবে সুরক্ষা সরঞ্জামাদি ব্যাবস্থা করে নিতে

যথেষ্ট কীট মজুদ রয়েছে বলে ঘোষণা করলেও বাস্তবে দেখা গেছে কীটের অভাবে মানুষ পরীক্ষাই করাতে পারছেনা দেশে করোনা সনাক্তের তিন মাসের অধিক অতিবাহিত হলেও এখনও আক্রান্তরা চাইলেই যাথাসময়ে পরীক্ষা করাতে পারছেনা  আর যারা পরীক্ষা করাচ্ছেন অনেক জায়গায় তাদের ফলাফল পেতে কয়েকদিন সময় লেগে যাচ্ছে সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি ১১০টি হাসপাতাল করোনা চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে ও ৬১টি ল্যাবে করোনা পরোক্ষা করা হচ্ছে

স্বাস্থ্য অধিদপ্ত সূত্র বলেছে ১১০টি হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা রয়েছে ৩৩৯টি বিশ্বসাস্থ্য সংস্থার মতে, আক্রান্তদের মধ্যে ৫ শতাংশ রোগীর আইসিইউ সেবার দরকার হয় ২৪ জুন ২০২০ পর্যন্ত দেশে করোনারোগীর সংখ্যা ১ লাখ ২২ হাজার ৬৬০ জন সে অনুপাতে ৬,১৩৩টি আইসিইউ শয্যা প্রয়োজন আক্রান্তের সংখ্যা অনুযায়ী ৫,৭৯৪ আইসিইউ শয্যা কম 

এই স্বল্পতার নেতিবাচক প্রভাব ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খুবই স্পষ্ট সেখানে ভর্তি হওয়া  রোগীর ২১ শতাংশকে বাঁচানো যাচ্ছেনা, যদিও সারা দেশে শনাক্তের বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.২৯ শতাংশ অথচ এখন প্রয়োজন ছিল জেলা সদরের সকল হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতেও পর্যাপ্ত পরীক্ষার ব্যাবস্থা রাখা বিশ্বে করোনা সনাক্তের বয়স সাড়ে পাঁচ মাস অতিক্রান্ত হলেও দেশে গড়ে মাত্র  দৈনিক পনের হাজার পরীক্ষা করা হচ্ছে যা জনসংখ্যা ও বিদ্যমান রোগীর তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল বিশ্বসাস্থ্য সংস্থার মতে, একজন রোগীর বিপরীতে যদি দশ থেকে ত্রিশ জনের পরীক্ষা করানো যায়, তাহলে পর্যাপ্ত পরীক্ষা  হচ্ছে বলে ধরে  নেয়া যায় বর্তমানে দেশে একজন সনাক্তের বিপরীতে ৫.৫ জন পরীক্ষা করা পার্শ্ববর্তী সকল দেশেই আমাদের চেয়ে  করোনার বেশী পরীক্ষা করা হয়  

বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী ধরা পরে আট মার্চ ক্রমে ক্রমে যখন বাড়তে থাকে তখন বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ও লকডাউনের সিদ্ধান্ত  হয় ধাপে ধাপে মে মাসের শেষ পর্যন্ত  বলবৎ থাকে ছুটির শুরুর দিকে ছাত্র, অভিবাবকদের কক্সবাজারে প্রমোদভ্রমণ করতেও দেখা গেছে এখন দেশের অর্থনীতির কথা বিবেচনা করে সাধারণ লকডাউন তুলে নিলেও এখন আবার বিভিন্ন জোন নির্ধারণ করে এলাকাভিত্তিক লকডাউন চালু রয়েছে

সরকার থেকে বিভিন্ন প্রচারণা থাকলেও এ নতুন রীতি সম্পর্কে মানুষ যেন বুঝতেই চাইলনা লকডাউন কার্যকার না হওয়ার ক্ষেত্রে সরকার ও জনগণ উভয়ই দায়ী রয়েছেন সরকার লকডাউন ঘোষণা করলেও কার্যকর করার ক্ষেত্রে ততটা কঠোরতা প্রদর্শন করেনি আক্রান্তের সংখ্যা লক্ষাধিক ছাড়ালেও এই কঠোরতা এখনও তেমন লক্ষ্যণীয় নয় আর সাধারণ মানুষ এমনকি বহু শিক্ষিত লোকও শুরু থেকেই এ ব্যাপারে উদাসীন উন্নত বিশ্বের লকডাউনের চিত্র ও মানুষের আচরণের  সাথে আমাদের দেশকে তুলনা করলে লকডাউনের সংজ্ঞাই পাল্টে যাবে এখনও দেশের রাস্তা, বাজার, দোকানপাঠে মানুষের উপচে পড়া ভীড় গাদাগাদি করে দেশের অভ্যন্তরীন রাস্তা দিয়ে মানুষ ইচ্ছামত যাতায়াত  করছে  

লকডাউন ঘোষণা করার পর সরকার অসহায়, দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষের জন্য ত্রাণ বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের তদারকীতে চেয়ারম্যান, মেম্বার, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে ত্রাণ  বিতরনের ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয় এতে করে সকলের  কাছে ত্রাণ পৌঁছাতে না পারলেও বড় একটি অংশ ত্রাণ দ্বারা উপকৃত হয়েছেন কিন্তু ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে যে চিত্র প্রকাশ পেয়েছে তা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত জাতি হিসেবে অত্যন্ত লজ্জাজনক ত্রাণ বিতরণের নামে দায়িত্বে থাকা অসাধু নেতারা হরিলুট চালিয়েছেন বাধ্য হয়ে সরকার এ পর্যন্ত একশত জন এর বেশি জনপ্রতিনিধিদের বরখাস্ত করেছেন আমাদের প্রশ্ন হল- এই বিপদের সময় অন্যের পেঠের আহার ভক্ষণ করতে গিয়ে ওদের বুক কি একটুও কাঁপেনি ?

করোনাকে কেন্দ্র করে অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীকে চাকুরিচ্যুত করেছেন, আবার অনেকে বেতন কমানোর  সিদ্ধান্ত নেয়েছেন কেউবা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বিজিএমই সভাপতি রুবানা হক তাদের  আর্থিক ক্ষতির হিসাব করে ঘোষণাই দিয়েছে জুন থেকে কর্মী ছাটাই করার বেসরকারী ব্যাংক  আল আরাফাহ, সিটি ও এক্সিম ব্যাংক ইতিমধ্যে বেতন কমিয়েছেন বিএবি সভাপতি ও এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার অন্যান্য ব্যাংকেও বেতন কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন বছরের বছর যে কর্মীদের ঘামঝড়া পরিশ্রমে প্রতিষ্ঠান দাঁড় করিয়েছে ও মালিকদের বিত্তশালী বানিয়েছে সেই মালিকরা বিপদের সময় কয়েক মাসের দায়িত্ব নিতে  না পারাটা তাদের মানসিক দৈনতা বৈ কিছুই নয়

এই সময়ে করোনারোগী ছাড়া অন্যান্য জঠিল রোগে আক্রান্তরা চরম দুর্ভোগে রয়েছেন ক্যান্সার, কিডনী, লিভার, প্রসূতিসহ অন্যান্য রোগীরা চরম বিপাকে পড়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, করোনায় আক্রান্ত কিডনী রোগীদের ডায়ালাইসিসের ব্যাবস্থা ঢাকার বাইরে নেই

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়ালাইসিস দরকার হয় এমন রোগী করোনায় আক্রান্ত হলে জটিল অবস্থা ধারণ করেএকজন রোগীকে ডায়ালাইসিস যন্ত্রের সাথে তিন থেকে চার ঘন্টা যুক্ত থাকতে হয় যা নিয়মিতই করতে হয় রাজধানির চারটি সরকারি হাসপাতালে মাত্র ১০১টি ডায়ালাইসিস যন্ত্র আছে

করোনার চাপ সামলাতে গিয়ে এ সমস্থ রোগীদের কথা আমরা অনেকটাই ভুলে গেছি হাসপাতালের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও তারা যথাযথ চিকিৎসা পাচ্ছেননা  সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরণের রোগীরা চিকিৎসা পাচ্ছে বলা হলেও বাস্তবতা ভিন্ন আবার রোগীরা নিজেও করোনার ভয়ে অনেকে চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে যাচ্ছেন না আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে রোগী চিকিৎসা নিতে আগ্রহী থাকলেও রোগীর আত্নীয়-স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করাতে রাজি হচ্ছেন না ফলে বিনা চিকিৎসায় অনেক জটিল রোগীরা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন    

করোনা আক্রান্ত ও মৃতদের  সাথে আমাদের অনেকের  ব্যাবহার অত্যন্ত লজ্জাজনক আক্রান্ত ও মৃতদের সাথে আমরা তাদের প্রাপ্য অনুযায়ী ব্যাবহার করছিনা আক্রান্তদের ভিন্নগ্রহের মানুষ ভাবা হয় তাদের প্রতি  সদাচারণ করা হয়না এমনকি মৌলিক অধিকার থেকেও তারা বঞ্চিত হচ্ছেন মৃত ব্যাক্তির অনেক পরিবার দাফন করার জন্য মসজিদের খাটিয়াটুকুও পাচ্ছেননা আবার অনেক আপনজনও মৃতকে ফেলে চলে যাচ্ছেন  নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মধ্যরাতে এক করোনা রোগীকে বাড়িওয়ালা বের করে দিয়েছে সাভারে করোনা সন্দেহে আপনজনকে ফেলে চলে যান তার স্ত্রী ও সন্তান করোনা সন্দেহে মা-কে ঢাকা মেডিকেলে ফেলে চলে যায় সন্তান এরকম অনেক হৃদয় বিদারক ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে তাদের প্রতি আমরা এমনই আচরণ করছি যেন আমাদের এ রোগ কখনই পাবেনা বা আমরা কখনই মৃত্যুবরণ করব না

সরকার যাতায়ত সুবিধার কথা বিবেচনা করে দুরত্ব বজায় রাখার শর্তে জুনের শুরুতে গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার গণপরিবহনের মালিকদের চাপে ৬০শতাংশ বর্ধিত ভাড়া নির্ধারণ করে দিল, কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় গণপরিবহনের মালিকেরা তার চেয়েও বেশি ভাড়া আদায় করছেন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে খবর আসছে, বাসমিনিবাসগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে ১০০ থেকে ১২০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি ভাড়া আদায় করছে একদিকে তারা সরকারের নির্ধারিত ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়ার চেয়েও প্রায় দ্বিগুণ হারে ভাড়া আদায় করছে, অন্যদিকে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার সরকারি নির্দেশ অগ্রাহ্য করে সর্বোচ্চসংখ্যক যাত্রী পরিবহনের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছেসাধারণ মানুষের এমনিতেই আয় রোজগার নেই, তার উপর ভাড়া বৃদ্ধি এ যেন মরার উপর খড়ের গা সড়ক পরিবহন আইনে বাড়তি ভাড়া আদায়ের দায়ে এক মাস কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ ১০হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান আছে এক্ষেত্রে আইন বা করোনা সতর্কতা কোনটাই মানা হচ্ছেনা

করোনাকালীন লকডাউন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে মানুষের মোবাইলে কথা বলার পরিমাণ ও ইন্টারনেটের ব্যাবহার ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে  বিটিএলসির দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, দেশের ৯ কোটি ৩০ লাখ ব্যবহারকারীর মধ্যে ৩ কোটি ৪০ লাখ মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করেন  ২১ জুন প্রকাশিত দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকা  থেকে জানা যায়, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় করোনাকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষের আনাগোনা বেড়েছে ৬১ শতাংশ ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ চালাচালি বেড়েছে ৫০ শতাংশ এক বছর আগের তুলনায় ২৩ শতাংশ বেশি ব্যবহারকারী পাচ্ছে টুইটার এই সময়ে যখন মোবাইল কলরেট ও ইন্টারনেটের খরচ কমানোর কথা সেখানে এর খরচ আরো বৃদ্ধি পেয়েছে অর্থনীতির নিয়মে পন্যের চাহিদা বাড়লে যোগান বাড়ে, দামও কমে কিন্তু বাংলাদেশে তার বিপরীত  ফোনকল ও  ইন্টারনেটের ব্যাবহার যত বৃদ্ধি পাচ্ছে তার দামও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে   

এ বিপদ থেকে মুক্তির জন্য সরকার ও জনগণ উভয়কেই আন্তরিক হতে হবে সরকারের উচিৎ সারাদেশে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার   দ্রুত উন্নয়ন করা পরীক্ষার সক্ষমতা বৃদ্ধি করা করোনা রোগীর পাশাপাশি অন্যান্য রোগীর চিকিৎসা নিশ্চিত করা প্রকৃত অসহায়ের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেয়া যার যার দায়িত্ব আন্তরিকতার সাথে পালন করা জনগণেরও উচিৎ সরকারের নির্দেশনা   সঠিকভাবে মেনে চলা কেউ আক্রান্ত হলে লুকিয়ে না রেখে, অযথা ঘুরাঘুরি না করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা পারস্পরিক আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া নিজে সচেতন থেকে  অন্যকেও সচেতন করা আক্রান্তদের সাথে মানবিক আচরণ করা মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে এর থেকে মুক্তি চেয়ে সর্বদা সাহায্য চাওয়া সবার আন্তরিক সহযোগিতায় দ্রুতই আমরা করোনামুক্ত বাংলাদেশ দেখতে পাব ইনশাআল্লাহ

লেখক:

প্রাবন্ধিক   

অফিসার, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড

ehossainkhan@gmail.com

Mobile- 01710033001



শেয়ার করুন

Author:

0 coment rios:

You can comment here