।। ইমাম মাওলানা এম. নুরুর রহমান।।
সত্যের সন্ধানে
পর্ব-২
পর্ব- ১ দেখতে ক্লীক করুন এখানে
পূর্ব প্রকাশিত হওয়ার পর
মহানবি (সা.)
এর ভাষায় আল্লাহর পরিচয়:
আল্লাহ’ শব্দটি সৃষ্টিকর্তার ‘ইসমে যাত’ বা সত্তাবাচক নাম। আল্লামা তাফতাযানি বলেন, ‘আল্লাহ’
শব্দটি ঐ চিরন্তন সত্তার নাম যার অস্তিত্য অবশ্যাম্ভাবী এবং যিনি
সমস্ত প্রশংসনীয় ও উত্তম গুণের অধিকারী।
‘আল্লাহ’ শব্দ ইলাহুন
শব্দ থেকে এসেছে। এর অর্থ উপাস্য বা মা’বুদ। আল্লাহ সম্পর্কে
ধারণা লাভ করা ইসলামের মৌল ভিক্তি। এ বিষয়ে সুস্পষ্ট ও সঠিক জ্ঞান থাকা প্রতিটি
মুসলমানের অপরিহার্য কর্তব্য। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়। তিনি ছাড়া কোন উপাস্য নেই,
তাঁর সমকক্ষও কেউ নেই। আল্লাহ নামের কোন বহুবচন হয়না। আরবি ভাষায় ‘আল্লাহ’ শব্দের হুবহু অর্থজ্ঞাপক কোনো শব্দ নেই।
তিনি অনাদি, অনন্ত । মহান আল্লাহ সবকিছুর মালিক। তাঁর অপার
অনুগ্রহেই এ সুন্দর দুনিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
আসমান-জমিন, চন্দ্র-সূর্য,
গ্রহ-নক্ষত্র, পাহাড়-পর্বত এক কথায় সবকিছুই
মহান আল্লাহ তাআলার নিয়ন্ত্রণাধীন। তিনি সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করেন। নিম্নে মহানবি
(সা.) এর পবিত্র বাণী থেকে ‘‘আল্লাহ’’ সম্পর্কে যা জানা যায় তা নিয়ে সম্যক আলোচনা করছি।
হাদীসঃ আবু হুরায়রা (রা.)
থেকে বর্ণিত তিনি বলেন- রাসুলুল্লাহ (সা.) আমার হাত ধরে বললেন- আল্লাহ শনিবার দিন
মাটি সৃষ্টি করেছেন। রবিবার দিন পাহাড় পর্বত সৃষ্টি করেছেন। সোমবার দিন গাছপালা
সৃষ্টি করেছেন। মঙ্গলবার দিন খারাপ জিনিস সমূহ সৃষ্টি করেছেন, বুধবার দিন নুর সৃষ্টি করেছেন। বৃহস্পতিবার দিন জীবজন্তু
সৃষ্টি করেছেন। এবং সৃষ্টির শেষ দিকে শুক্রবার দিন শেষ প্রহরে আসর ও মাগরীবের
মধ্যবর্তী সময়ে আদম (আ.) কে সৃষ্টি করেছেন। (মুসলিম শরীফ)
হাদীসঃ আবু হুরায়রা (রা.)
হতে বর্ণিত,
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- আল্লাহর রহমতকে একশত অংশে বিভক্ত
করে তার নিকট নিরানব্বই অংশ রাখরেন এবং অবশিষ্ট একভাগ পৃথিবীতে বন্টন করলে। তার
দ্বারা সৃষ্ট জীব পরস্পর মায়া-মমতায় আবদ্ধ। এমনকি চতুষ্পদ জন্তু তার বাচ্চাকে বিপদ
থেকে বাঁচাবার জন্য তার ক্ষুর উত্তোলিত করে। (বুখারী শরীফ- মুসলিম শরীফ)
হাদীসঃ আবু হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে
বর্ণিত,
عَن أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ:
سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ، يَقُولُ: «جَعَلَ اللهُ الرَّحْمَةَ مِئَةَ جُزْءٍ،
فَأمْسَكَ عِنْدَهُ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ، وَأنْزَلَ في الأرْضِ جُزْءاً وَاحِداً،
فَمِنْ ذلِكَ الجُزءِ يَتَرَاحَمُ الخَلائِقُ، حَتَّى تَرْفَعَ الدَّابّةُ
حَافِرَهَا عَنْ وَلَدِهَا خَشْيَةَ أنْ تُصِيبَهُ» . وَفي رِوَايَةٍ: «إنّ للهِ
تَعَالَى مئَةَ رَحمَةٍ، أنْزَلَ مِنْهَا رَحْمَةً وَاحِدَةً بَيْنَ الجِنِّ
وَالإنسِ وَالبهائِمِ وَالهَوامّ، فَبِهَا يَتَعَاطَفُونَ، وبِهَا يَتَرَاحَمُونَ،
وبِهَا تَعْطِفُ الوَحْشُ عَلَى وَلَدِهَا، وَأخَّرَ اللهُ تَعَالَى تِسْعاً
وَتِسْعينَ رَحْمَةً يرْحَمُ بِهَا عِبَادَهُ يَوْمَ القِيَامَة ». مُتَّفَقٌ
عَلَيهِ . وَرَوَاهُ مُسلِمٌ أَيضاً مِنْ رِوَايَةِ سَلْمَانَ الفَارِسيِّ رضي الله
عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ: «إنَّ للهِ تَعَالَى مِئَةَ رَحْمَةٍ
فَمِنْهَا رَحْمَةٌ يَتَرَاحمُ بِهَا الخَلْقُ بَيْنَهُمْ، وَتِسْعٌ وَتِسعُونَ
لِيَومِ القِيَامَةِ». وَفي رِوَايَةٍ: «إنَّ اللهَ تَعَالَى خَلَقَ يَوْمَ خَلَقَ
السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ مَئَةَ رَحْمَةٍ كُلُّ رَحْمَةٍ طِبَاقُ مَا بَيْنَ
السَّماءِ إِلَى الأرْضِ، فَجَعَلَ مِنْهَا في الأَرضِ رَحْمَةً فَبِهَا تَعْطفُ
الوَالِدَةُ عَلَى وَلَدِهَا، وَالوَحْشُ وَالطَّيْرُ بَعْضُهَا عَلَى بَعْض،
فَإذا كَانَ يَوْمُ القِيَامَةِ أَكمَلَهَا بِهذِهِ الرَّحمَةِ ».
আবু হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, আল্লাহ রহমতকে একশ ভাগ করেছেন। তার মধ্যে নিরানববই ভাগ তিনি নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন। আর পৃথিবীতে একভাগ অবতীর্ণ করেছেন। ঐ এক ভাগের কারণেই সৃষ্টজগৎ একে অন্যের উপর দয়া করে। এমনকি জন্তু তার বাচ্চার উপর থেকে পা তুলে নেয় এই ভয়ে যে, সে ব্যথা পাবে।’’ অন্য এক বর্ণনায় আছে, নিশ্চয় আল্লাহর একশটি রহমত আছে, যার মধ্য হতে একটি মাত্র রহমত তিনি মানব-দানব, পশু ও কীটপতঙ্গের মধ্যে অবতীর্ণ করেছেন। ঐ এক ভাগের কারণেই (সৃষ্টজীব) একে অপরকে মায়া করে, তার কারণেই একে অন্যকে দয়া করে এবং তার কারণেই হিংস্র জন্তুরা তাদের সন্তানকে মায়া করে থাকে। বাকী নিরানববইটি আল্লাহ আখেরাতের জন্য রেখে দিয়েছেন, যার দ্বারা তিনি কিয়ামতের দিন আপন বান্দাদের উপর রহম করবেন।’’ এ হাদিসটিকে ইমাম মুসলিমও সালমান ফারেসী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ তাআলার একশটি রহমত আছে, যার মধ্য হতে মাত্র একটির কারণে সৃষ্টিজগৎ একে অন্যের প্রতি দয়া প্রদর্শন করে। আর নিরানব্বইটি (রহমত) কিয়ামতের দিনের জন্য রয়েছে।’’ অন্য এক বর্ণনায় আছে, আল্লাহ তাআলা আসমান জমিন সৃষ্টি করার দিন একশটি রহমত সৃষ্টি করলেন। প্রতিটি রহমত আসমান ও জমিনের মধ্যস্থল পরিপূর্ণ (বিশাল)। অতঃপর তিনি তার মধ্য হতে একটি রহমত পৃথিবীতে অবতীর্ণ করলেন। ঐ একটির কারণেই মা তার সন্তানকে মায়া করে এবং হিংস্র প্রাণী ও পাখীরা একে অন্যের উপর দয়া করে থাকে। অতঃপর যখন কিয়ামতের দিন হবে, তখন আল্লাহ এই রহমত দ্বারা সংখ্যা পূর্ণ করবেন।’’ [বুখারি ৬০০০, ৬৪৬৯, মুসলিম ২৭৫২, তিরমিযি ৩৫৪১, ইবন মাজাহ ৪২৯৩, আহমদ ৮২১০, ৯৩২৬, ৯৯১০, ১০২৯২, ১০৪২৯, দারেমি ২৭৮৫]
(১) নিশ্চয়ই আল্লাহ
নিদ্রা যান না এবং তার নিদ্রার প্রয়োজনও
হয়না;
(২) আমলের
মাপকাঠি হ্রাস ও বৃদ্ধি করেন।
(৩) রাত্রের
আমলগুলো দিনের আমল শুরু হওয়ার পূর্বে
(৪) দিনের
আমল রাত্রের আমল শুরু হওয়ার আগেই তার কাছে পৌঁছানো হয়।
(৫) তিনি
নুরের পর্দা দ্বারা বেষ্টীত যদি তিনি তা উম্মোচিত করেন তাহলে তার চেহারার জ্যোতি
সৃষ্টির প্রতি যতদুর পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। তা জালিয়ে দিবে। (মুসলিম শরীফ)
হাদীসঃ আবু হুরায়রা (রা.)
থেকে বর্ণিত- রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহর নিকট
সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট সেই ব্যক্তি যে রাজাধিরাজ নাম গ্রহণ করে। আল্লাহ ছাড়া কেউ
রাজা নেই।
হাদীসঃ ইবনে ওমর (রা.) হতে
বর্ণিত- রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন-
عن ابن عمر - رضي اللَّه عنهما- أن رسول اللَّه
صَلَّى اللَّه عليه وسَلَّم قال : . " مفاتِيح الغيبِ خمس لا يعلَمها إِلا
اللَّه : لا يعلم ما في غدٍ إِلا اللَّه ، ولا يعلم ما تَغِيض الأرحام إلا اللَّه
، ولا يعلم متى يأتي المطر أَحد إلا اللَّه ، ولا تدري نفس بأَيِّ أرضٍ تموت إلا
اللَّه ، ولا يعلم متى تقوم الساعة إلا اللَّه تبارك وتعالى .
অদৃশ্যের চাবি পাঁচটি, যা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেনা-
(১) আগামী
কাল কী ঘটবে?
(২)
মাতৃগর্ভে কী লুকায়িত আছে?
(৩) কখন
বৃষ্টি আসবে;
(৪) কে কোথায়
মারা যাবে;
(৫) কিয়ামত
কখন ঘটবে আল্লাহ ছাড়া কেউ তা জানে না।
হাদীসঃ ইবনে ওমর (রা.)
থেকে বর্ণিত,
তিনি রাসুলুল্লাহ (সা.) কে বলতে শুনেছেন- নিশ্চয়ই আল্লাহ
পৃথিবীকে মুষ্টিবদ্ধ করবেন,
আর আকাশ তাঁর ডান হাতে ভাঁজ করে রাখবেন অতঃপর বলবেন, আমি রাজাধিরাজ। পৃথিবীর শাসকেরা এখন কোথায়। (বুখারী শরীফ)
হাঃ নং- ৭৪১২
হাদীসঃ আবু
হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত- রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মহান আল্লাহ যখন কোন বান্দাহকে
ভালোবাসেন
তখন জিব্রাইল (ফিরিস্তা) কে ডেকে বলেন- হে জিব্রাইল, আল্লাহ
তাঁর অমুক বান্দাহকে ভালোবাসেন, সুতরাং তুমিও তাকে ভালোবাসো।
অতঃপর আসমানবাসীগণ তাকে ভালোবাসেন এবং দুনিয়াতেও তিনি গৃহীত হন। (বুখারী শরিফ, মুসলিম শরীফ)।
হাদীসঃ হাতেম তায়ীর পুত্র ‘‘আদী থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- অচিরেই তোমাদের
প্রত্যেকের সাথে তার রব কথা বলবেন। তখন উভয়ের মাঝে কোন দোভাষী থাকবেনা আর কোন
পর্দা থাকবেনা। (বুখারী শরীফ)
হাদীসঃ আবু হুরায়রা (রা.)
থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- আল্লাহ
তা’আলার নিরানব্বই তথা এক কম একশত নাম রয়েছে। যে সেগুলো আয়ত্ব
ও হিফাযত করবে সে বিহিস্তে প্রবেশ করবে। আল্লাহ বেজোড় (একক) বেজোড়কেই পছন্দ করেন।
(বুখারী শরীফ,
হা নং- ৬৪১০)
হাদীসঃ আবু জর (রা.) রাসুলুল্লাহ
(সা.) থেকে এবং তিনি আল্লাহ থেকে বর্ণনা করেন। আল্লাহ বলেন- হে আমার বান্দা, আমি যুলুম করাকে আমার জন্য হারাম করেছি
এবং তা তোমাদের পরস্পরের জন্য হারাম করে দিয়েছি। সুতরাং তোমরা একে অন্যের প্রতি
যুলুম করো না। হে আমার বান্দাহ! আমি যাকে হিদায়াত দান করি, সে ছাড়া আর সবাই পথভ্রষ্ট। সুতরাং তোমরা আমার কাছে পরিচয়
দাও। আমি তোমাদেরকে পরিচয় দান করব। হে আমার বান্দাহ! তোমরা রাত-দিন গুনাহ করছ। আমি
গুনাহকে মাফ করে থাকি। তোমরা আমার নিকট ক্ষমা চাও, আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করব। হে আমার বান্দাহ! আমার কোন ক্ষতি করার ক্ষমতা
তোমাদের নেই। আর আমার কোন উপকার করার ক্ষমতাও তোমাদের নেই। হে আমার বান্দাহ!
তোমাদের পূর্ব ও পরবর্তী কালের সকল মানুষ ও সকল জ্বিন যদি তোমাদের মধ্যকার সবচেয়ে
পরহেযগার লোকটির মতো খোদাভীরু হয়ে যায় তাতে আমার সাম্রাজ্যের কোন উন্নতি হবে না।
হে আমার বান্দাহ! আর যদি তোমাদের পূর্ব বা পরবর্তীকালের সকল মানুষ আর জ্বিন মিলে
তোমাদের মধ্যকার সবচেয়ে খারাপ লোকটির মত হয়ে যায়, তবে তাতেও আমার সাম্রাজ্যের কোন ক্ষতি হবে না। হে আমার বান্দাহ! তোমাদের পূর্ব
ও পরবর্তীকালের সকল মানুষ আর জ্বিন যদি একত্রিত হয়ে আমার কাছে চাও আর আমি যদি
প্রত্যেক ব্যক্তি তার ইচ্ছানুসারে দান করি তবে সমগ্র সমুদ্র থেকে যতটুকু পানি কমায়
ততোটুকু ছাড়া আমার ভান্ডার থেকে কিছুই কমবেনা। হে আমার বান্দাহ! তোমাদের সকল আমল
আমি গুনে গুনে রেকর্ড করে রাখি। অতপর তোমাদেরকে পরিপূর্ণ বিনিময় দান করবো। সুতরাং
তোমাদের যে কল্যাণ লাভ করে। সে যেন আল্লাহর শোকর আদায় করে, আর যার ভাগ্যে অন্য কিছু ঘটে সে যেন নিজেকে ছাড়া অন্য
কাউকেও তিরিস্কার না করে। (মুসলিম শরীফ)
হাদীসঃ মুয়াজ ইবনে জাবাল
(রা.) থেকে বর্ণিত,
নবী (সা.) (তাকে) বলেন, হে মুয়ায, তুমি কি জানো বান্দার কাছে আল্লাহর কী হক আছে? মুয়ায বললেন আল্লাহও তার রাসুলই ভালো জানেন। নবী (সা.)
বললেন (বান্দার কাছে আল্লাহর হক হলো) সে তার ইবাদত বা দাসত্ব করবে এবং তার সাথে
অন্য কিছুকে অংশীদার বানাবেনা। তিনি (নবী (সা.) আবার বললেন তুমি কি জানো আল্লাহর কাছে
বান্দার হক কী?
মুয়ায ইবনে জাবাল বলেন, বিষয়টি আল্লাহ ও তার রাসুল (সা.) ই-
ভালো জানেন। নবী (সা.) বললেন আল্লাহর কাছে বান্দার হক হলো আল্লাহ কর্তৃক বান্দাহকে
শাস্তি না দেয়া। (বুখারী শরীফ ৭৩৭৩- ৭৩৭৪, ৭৩৭৫)
হাদীসঃ আবু হুরায়রা (রা.)
নবী করীম (সা.) থেকে বর্ণনা করেছেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন! আল্লাহ ডান হাত ভরা।
রাত ও দিন খরচ করলেও তা কমে না। তোমরা কি দেখনা আসমান ও যমিনের সৃষ্টির সময় থেকে
(আজ পর্যন্ত) তিনি কত (বিপুল পরিমাণ) খরচ করেছেন। তবুও তার ডান হাতের কিছুই কমেনি।
আর তাঁর আরশ পানির ওপর অবস্থিত ছিল। তার অন্য হাতে রয়েছে ফয়েজ বা ফরয। তিনি কখনো
তা উত্তোলীত করেন আবার কখনো তা নিম্নমুখী করেন। (বুখারী শরীফ ৭৪১৯)
ইমাম মাওলানা এম. নুরুর রহমান
সেক্রেটারি:
শারীয়া কাউন্সিল ব্যাডফোরড ও মিডল্যনড ইউ কে-
ইমাম ও খাতিব:
মাসজিদুল উম্মাহ লুটন ইউ কে
সত্যয়ানকারী চেয়ারম্যন:
নিকাহ নামা সার্টিফিকেট ইউ কে
প্রিন্সিপাল:
আর রাহমান একাডেমি ইউ কে
পরিচালক:
আর-রাহমান এডুকেশন ট্রাস্ট ইউ কে
📞07476136772 📞 07476 961067
nrahmansky@googlemail.com
Arrahmaneducationtust@gmail.com
https://www.facebook.com/Imam.Nurur
https://www.facebook.com/ARET.OR.UK/
https://www.youtube.com/user/nurur9
0 coment rios:
You can comment here