Sunday, July 12, 2020

ইসলামী আইনের গুরুত্বপূর্ণ উৎস ইজমা :একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ

 

প্রফেসর ড. সৈয়দ মাকসুদুর রহমান

সারসংক্ষেপ

 (Abstract )

قَدْ جَاءكُم بَصَآئِرُ مِن رَّبِّكُمْ فَمَنْ أَبْصَرَ فَلِنَفْسِهِ وَمَنْ عَمِيَ فَعَلَيْهَا وَمَا أَنَاْ عَلَيْكُم بِحَفِيظٍ

তোমাদের কাছে তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে নিদর্শনাবলী এসে গেছে। অতএব, যে প্রত্যক্ষ করবে, সে নিজেরই উপকার করবে এবং যে অন্ধ হবে, সে নিজেরই ক্ষতি করবে। আমি তোমাদের পর্যবেক্ষক নই।( আনাম-১০ )

"Now have come to you, from your Lord, proofs (to open your eyes): if any will see, it will be for (the good of) his own soul; if any will be blind, it will be to his own (harm): I am not (here) to watch over your doings

ইসলামী আইনে ইজমা এর অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে বিধান কুরআন হাদীস থেকে বর্ণিত হয়নি সে বিষয়ে সর্বোচ্চ অবস্থান উম্মাহর ইজমা। শরীআতের আহকামের মধ্যে কোনো হুকুমের উপর মুসলমানদের ইমামদের ঐক্যমত হওয়া। ছাড়া কোনো হুকুমের উপর ইজমা হলে সে হুকুম পরিত্যাগ করা সমিচিন কারণ উম্মত কখনই গোমরাহীর উপর ঐক্যমত হতে পারে না। অনেক মাসায়েল এর উপর কিছু লোক ভাবে যে এর উপর ইজমা আছে কিন্তু আসলে মাসালায় ইজমা হয় নি এক্ষেত্রে কিতাব এবং সুন্নাতই বেশি অধিকার প্রাপ্ত। মুসলিম উম্মতের অধিকাংশ আলিম উদ্ভুদ কোন কোন সংকটকালে কুরআন-হাদীসের শিক্ষার আলোকে যে সমাধান পেশ করবে তা গ্রহণ করতে হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া এর মৃত্যুর পর থেকে সাহাবা রাদিয়াল্লাহু আনহুমও মুজতাহিদগণ রাহমাতুললাহ আলাইহিম বিভিন্ন বিষয় মতৈক্য স্থাপন করেছেন। জন্য আলিমদের আহকাম সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করতে হবে।

ভূমিকা (Introduction )

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,

هَذَا بَصَائِرُ لِلنَّاسِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِّقَوْمِ يُوقِنُونَ

এটা মানুষের জন্যে জ্ঞানের কথা এবং বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য হেদায়েত রহমত।

These are clear evidences to men and a Guidance and Mercy to those of assured

আল কুরআন হাদীস আমদের শরীআতের মৌলিক উৎস। দুটি উৎস কোন সমস্যার সমাধান পাওয়া না গেলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মৃত্যুর পর সাহাবীদের মতামত গ্রহণ করতে হবে। ব্যাপারে যদি তাদের নির্দেশনা না থাকে তাহলে উম্মাতের ইজমা লক্ষ্য করা হবে। ছাড়া অন্য কোনও কারণ আমল করা যাবে না। যদি ইজমা না থাকে তাহলে কিয়াসের দিকে লক্ষ্য করা যায়। আলোচ্য প্রবন্ধে ইজমা শর্ত এবং হুকুম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। 

ইজমার শাব্দিক অর্থ

(literally meaning of ijmah )

الإجماع لغة : العزم والاتفاق

ইজমা (إجماع) একটি আরবি শব্দ এর অর্থ :

التصميم على الأمر والعزم على فعله ومنه قوله تعالى على لسان نوح: ﴿فأجمعوا أمركم وشركائكم..﴾ الآية.

এর আভিধানিক অর্থ কোন বিষয়ে সকল জনগণ একমত হওয়া।ইজমার শব্দটি জামউন শব্দ হতে এসেছে যার অর্থ হল সংগ্রহ,একত্রীকরণ ইত্যাদি।ঈজমার শব্দটির আভিধানিক অর্থ হল সন্নিবেশন করা,একত্রীত করা,জমা করা, মতৈক্যে পৌছা, একমত পোষণ করা ইত্যাদি।الاتفاقএবং ইজমা অর্থাৎ উম্মাতের ইজমাঃ ঐক্যমত

*الإجماع لغة : “والا جماع أي اجماع الأمة :  والاتفاقالعزم

ইজমার ইসলামিক পরিভাষা

(Islamic terminology of ijmah )

  মুজতাহিদদের একমত হওয়াকে ইজমা বলে।

*আহলে জাওয়াহের মতে, ইজমা হল মুমিনদের ঐক্যমত।

*ইবন হাযমের মতে, ইজমা হল সকল সাহাবাদের ভিতর মতৈক্য সৃষ্টি হওয়া।

*ইমাম শাফিয়ী মতে, কোন ব্যাপার মুজতাহিদগণের ঐকমত।

*عند الشافعي هو اتفاق المجتهدين. وهذا الاتفاق يكشف الحكم ولا ينشئه. لأن الإجماع ليس كتابا ولا سنة، ولذا فلا يمكن له إنتاج شرع جديد، بل إنما ينكشف الصحيح للمجتهدين.  ... فالشافعي يرى أن الإجماع لا يكون أبدا إلا على سنة ثابتة وإن لم يحكوها.

Al-Shafi’i is the agreement of the Mujahideen.  This agreement reveals the judgment and does not create it.  Because the consensus is not a book or a year, and therefore it is not possible for him to produce a new law, but rather to reveal the correct ones for the diligent.  ... Al-Shafi’i believes that there is never consensus except on a fixed year, even if they did not say it.

, কোন বিষয় মুসলিমদের ভিতর মতৈক্যকে ইজমা বলা হয়।

ইবন তাইমিয়া বলেন,

 الْإِجْمَاعِ: أَنْ تَجْتَمِعَ عُلَمَاءُ الْمُسْلِمِينَ عَلَى حُكْمٍ مِنْ الْأَحْكَامِ. وَإِذَا ثَبَتَ إجْمَاعُ الْأُمَّةِ عَلَى حُكْمٍ مِنْ الْأَحْكَامِ لَمْ يَكُنْ لِأَحَدِ أَنْ يَخْرُجَ عَنْ إجْمَاعِهِمْ؛ فَإِنَّ الْأُمَّةَ لَا تَجْتَمِعُ عَلَى ضَلَالَةٍ وَلَكِنْ كَثِيرٌ مِنْ الْمَسَائِلِ يَظُنُّ بَعْضُ النَّاسِ فِيهَا إجْمَاعًا وَلَا يَكُونُ الْأَمْرُ كَذَلِكَ بَلْ يَكُونُ الْقَوْلُ الْآخَرُ أَرْجَحَ فِي الْكِتَابِ وَالسُّنَّةِ.

ইমাম আবু হানীফা বলেন

, الإجماع: وهو اتفاق المجتهدين من الأمة الإسلامية في عصر الحكم في أمر من الأمور.

 ইসলামী শরীয়াতের কোন হুকুমের ব্যাপারে একই যুগের সকল মুজতাহিদদের একমত হওয়াকে ইজমা বলে"

*ইমাম মালিক রাহমাতুললাহ আলাইহি বলেন,

هذا هو اتفاق أهل الحل والعقد من هذه الأمة في أمر من الأمور ونعني بالإتفاق الإشتراك إما في القول أو في الفعل أو في الإعتقاد. وبأهل الحل والعقد المجتهدين في الأحكام الشرعية"

 واصطلاحاً : اتفاق مجتهدي هذه الأمة بعد النبي صلى الله عليه وسلم على حكم شرعي

ইংরেজি ভাষায় ইজমার সংজ্ঞা ভাবে বলা হয়েছে -

*Ijmāʿ, (Arabic: “consensus”) in Islamic law, the universal and infallible agreement of either the Muslim community as a whole or Muslim scholars in particular.

*মোল্লাজিউন বলেন,

মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উম্মাতের মধ্য হতে একই যুগের সকল পূণ্যবান মুজতাহিদগণের কোন বক্তব্যমূলক বিষয় একমত হওয়া হল ইজমা।

ইমাম গাযযালী (.) এর মতে,

 اتفاق مجتهدي هذه الأمة بعد النبي صلى الله عليه وسلم على حكم شرعي

ইজমা হল ধর্মীয়ব্যাপারে সকল উম্মতী মুহাম্মদের মতৈক্য

وأما تعريفه عند الأصوليون والفقهاء فهو : " اتفاق العلماء المجتهدين من أمة محمد صلى الله عليه وسلم بعد وفاته في عصر من العصور على حكم شرعي " .

সংজ্ঞা বিশ্লেষণ

 (Definition analysis)

উপরের সংজ্ঞা বিশ্লেষণ করলে আমরা বলতে পারি যে,

ক) ঐক্যমত হতে হবে ক্ষেত্রে মতানৈক্য গ্রহণ করা হবে না।

 فخرج بقولنا : "  اتفاق " : وجود خلاف ، ولو من واحد ؛ فلا ينعقد معه الإجماع

খ)মুজতাহিদর ইজমা হতে হবে। ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের ইজমা হলে হবে না। কারণ তাদের ঐক্যবদ্ধ বা মতানৈক্য হলে কিছু হবে না।

وخرج بقولنا " مجتهدي " : العوام والمقلدون ؛ فلا يعتبر وفاقهم ولا خلافهم

গ) এই উম্মাহকে বুঝতে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উম্মাত উদ্দেশ্য হবে। অন্য কোন ইজমা গ্রহণ করা হবে না।

 وخرج بقولنا  : " هذه الأمة " إجماع غيرها ؛ فلا يعتبر

ঘ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ওফাতের পরে হতে হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যুগে ইজমা গ্রহনযোগ্য হবে না। وخرج بقولنا : " بعد النبي صلى الله عليه وسلم " : اتفاقهم في عهد النبي صلى الله عليه وسلم ، فلا يعتبر إجماعاً من حيث كونه دليلاً ، لأن الدليل حصل بسنة النبي صلى الله عليه وسلم ، من قول أو فعل أو تقرير ، ولذلك إذا قال الصحابي كنا نفعل ، أو كانوا يفعلون كذا على عهد النبي صلى الله عليه وسلم ، كان مرفوعاً حكماً ، لا نقلاً للإجماع

ছ)  শরীআতের হুকুমের উপর হতে হবে। কোন যুক্তিতে বা অভ্যাসের বিষয়ে হবে না।

 وخرج بقولنا : " على حكم شرعي " : اتفاقهم على حكم عقلي أو عادي ، فلا مدخل له هنا ؛ إذ البحث في الإجماع كدليل من أدلة الشرع .

ইজমার হুকুম '.( Ruling of ijmah)

মূলত কোন কিছুর বিধানকে হুকুম বলে। সেটা কখন বৈধ বা অবৈধ। কিভাবে কোন অবস্থাতেই বিষয়ে আলোচনা করা হয়। ইজমা ইসলামে একটি বৈধ আইনের উৎস। মুসলিমদের নিকট এটি একটি শারঈ দলীল এবং এটি ত্যাগ করা গুনাহ এর কাজ। ইবনে তাইমিয়া রাহমাতুললাহ আলাইহি বলেন,শরীআতের কোন মাসআলা ব্যাপারে মুসলিম আলিমদর ইজমা হয়ে যায় তখন তার অনুকরণ করা উচিত। অন্যদিকে অনেক বিষয়ে মনে করা হয় আলিমদর ঐক্যবদ্ধ কিন্তু বাস্তবে তা নয়।

*১) এই ব্যাপারে জুমহুর ওলামাগণ

من هم جمهور العلماء إنّ جمهور العلماء في الفقه الإسلامي يطلق على أصحاب المذاهب الأربعة؛ وهم: المذهب الحنفي، والمذهب الشافعي، والمذهب المالكي، والمذهب الحنبلي. ورأي الجمهور في حكم مسألةٍ ما، يعني رأي الأغلبية والأكثرية

মতৈক্য পোষণ করেছেন যে, ইজমার দ্বারা( عام اليقين ) ইলমে ইয়াকীন তথা অকাট্য ইলম প্রতিষ্ঠিত হয়। তা অস্বীকার করার কোন অবকাশ নেই।ইজমার অস্বীকারকারী হল কাফির সম্প্রদায়ভূক্ত।

শীআদের মতে, ইমাম মাসুম ছাড়া কারোর ইজমা দলীল

*২) মুতাযিলাগণ অভিমত, ইজমা শরীয়াতের  কোন দলীল হতে পারে না। তাদের অভিমত কুরআন হাদীস ব্যতীত শরীআতের দলীল হিসেবে উপস্থাপন করা যাবে না।

*তবে ইজমা ক্ষেত্রবিশেষে অস্বীকারকারী কাফির হবে না। কারণ এখানে কয়েকটি দিক বিবেচনা করার বিষয় রয়েছে যা হলঃ

*) প্রথম দুই প্রকারের ইজমার দ্বারা অকাট্য ইলম অর্জিত হয়। তা অস্বীকার করার কোন অবকাশ নেই।

*) তন্মধ্যে সাহাবীদের নীরবতামূলক ইজমার ব্যাপারে বলা হয়ে থাকে যে, তা অস্বীকার করলে কেউ কাফির হবে না।কারণ তা প্রথম স্তরের ন্যায় ইজমা নয়।

) অন্যদিকে পরবর্তী দুই স্তরের ইজমা অস্বীকারকারী কাফির হিসেবে বিবেচিত হবে না,কারণ তার দ্বারা ইলমে ইয়াকীন প্রতিষ্ঠিত হয় না।এর মাধ্যমে ইলম আল যান প্রতিষ্ঠিত হয়।

اختلف العلماء في دلالة الإجماع هل هي قطعية أوظنية على ثلاثة أقوال هي :

*القول الأول

 وهو الصحيح : قول أكثر أهل العلم من أهل الفقه والأصول أنه دلالته قطعية بحيث أن من خالف هذا الإجماع يكفّر مخالفه أو يضلل ويبدّع وهذا عند النقل المتواتر الصحيح ومن هؤلاء الآمدي والإسنوي وابن الحاجب وقالوا أنه إذا اشتهر بين العوام هذا الإجماع فإنه يكفر وإلا فلا

*القول الثاني :

 وقال جماعة من الأصوليين أنه يفيد الظن ومن هؤلاء الرازي

*القول الثاث

: وهو التفصيل فقال بعضهم : أنه حجة قطعية إذا اتفق عليه المعتبرون وحجة ظنية إذا لم يتفقوا عليه

*وقال بعضهم : اجماع الصحابة مثل الكتاب والسنة المتواترة فهو قطعي وأما اجماع من بعدهم من التابعين وتابعيهم فهو المشهور فهو كالظني والإجماع عندهم الذي سبق فيه الخلاف في العصر السابق هو بمثابة خبر الواحد . ومن هؤلاء جماعة من الحنفية منهم البزدوي .

ثم إن اطلاق التكفير في حق من أنكر حكم الإجماع لايصح كما ذكر ذلك الآمدي

 যদি সাহাবীদের ইজমা হয় তবে এর দ্বারা অকাট্য দলীল সাবিত হবে। যদি ইজমা সুকুতি হয় তবে অকাট্য সাবিত করে না। তাবিযী এবং তাবযুত তাবিযী ইজমা হলে ইলমুল যান সাবিত হবে। ক্ষেত্রে তা অস্বীকার কারীদের কাফির বলা যাবে না।

শীআদের মতে শুধু মাত্র তাদের ইমামের ইজমা ছাড়া অন্য কোন ইজমা দলীল হবে না।

 والشيعة لا ترى إجماع الصحابة والسلف أو إجماع الأمة إجماعاً، ولها في هذا الباب عقائد مخالفة

 أن الشيعة تقول: "إن الإجماع حجة لا لكونه إجماعاً، بل لاشتماله على قول الإمام المعصوم، وقوله بانفراده عندهم حجة"

মূলকথা হলো, ইজমা সাহাবী দলীল এবং ইলমুল ইকীন অর্জন হবে আর অস্বীকার করলে কাফির হবে।

ইজমার প্রকার(Types of Ijmah )

ইজমা তিন প্রকারের হয়ে থাকে।

(১)ইজমাউল কাওল(إجماع القول)

 বানী দ্বারা যখন কোন বিষয় মুজতাহিদরা প্রত্যক্ষ মতামত ব্যক্ত করেন।যেমন-সকল সাহাবী রাদিয়াল্লাহু আনহুম যদি এই কথা বলেন যে, আমরা মেনে নিলাম তাহলে তা ইজমাউল কাওল বলা হয় আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু কে খলীফা হিসেবে নির্বাচিত করা এর উদাহরণ। ব্যাপারে সাহাবীদের ইজমা হয়েছে।

(২)ইজমাউল ফে'ল(إجماع الفعل )

 কর্মের দ্বারা-কার্যক্ষেত্রে মুজতাহিদগনএকই পথ অনুসরণ করে। যেমন- জমি বর্গাচাষ করা, অংশীদার ব্যবসা করা ইত্যাদি।

(৩)ইজমাউল তাকরীর ( إجماع التقرير )

মৌন সম্মতির দ্বারা কখনও কখনও ইজমা হয়।যখন কোন বিষয় কিছু করা হয় আর যদি সেই সময়ে যদি সকলে নীরববব সম্মতি প্রদান করে এবং নিশ্চুপ থাকে তাহলে তা ইজমাউল তাকবীর হিসেবে খ্যাত হবে। যেমন- আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু এর খিলাফতকালে ভণ্ড নবীদের বিরুদ্বে যেই জিহাদ হয় তা ইজমাউল তাকরীর হিসেবে গণ্য করা হয়। فالقطعي :(আল কাত'যী)

ما يعلم وقوعه من الأمة بالضرورة ، كالإجماع على وجوب الصلوات الخمس ، وتحريم الزنى ، وهذا النوع لا أحد ينكر ثبوته ، ولا كونه حجة ، ويكفر مخالفة إذا كان ممن لا يجهله

Al-Qata'i: What necessarily teaches that it occurs from the ummah, such as unanimity on the necessity of the five daily prayers, and the prohibition of adultery, and this type does not deny its evidence, nor is it an argument, and an infidelity is infringed if someone is not ignorant of it

*الظني (আল যান্নী)

 : ما لا يعلم إلا بالتتبع والاستقراء ، وقد اختلف العلماء في إمكان ثبوته ، وأرجح الأقوال في ذلك رأي شيخ الإسلام ابن تيمية حيث قال في العقيدة الواسطية : " والإجماع الذي ينضبط ما كان عليه السلف الصالح ، إذ بعدهم كثر الاختلاف وانتشرت الأمة

Al-Dhani: What is known only by succession and extrapolation, and the scholars differed as to whether it can be proven, and the most likely sayings are the opinion of Shaykh al-Islam Ibn Taymiyyah, who said in the Al-Wasiti creed: “And the consensus that controls what the righteous predecessors used to be, as after them there was a lot of difference and the nation spread

ইজমার রুকন

(consensus  of ijmah ) )

ইজমার রুকন হল দুইটি।তা হল আযীমাত এবং রুখসাত। এই দুই ধরনের ইজমা সম্পর্কে বর্ণনা নিম্নে দেওয়া হলঃ

১) আযীমাত(العزيمة)

العزيمة هي: صفة للحكم المؤكد بدليل شرعي، فتتعلق بالفعل والترك

আযীমাত অর্থ হল দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করা। ইজামার রুকন হিসেবে বুঝায়, আযীমাত বলতে কোন কথায় বা কাজে সকল মুজতাহিদ ঐক্যমত পোষণ করে বলবে আমরা এই বিষয়ের উপর ঐক্যবদ্ব হয়েছি। এর দ্বারা আযীমত প্রকাশ পায়। যেমনঃ আবূ বকর (রাঃ)কে খলীফা হিসেবে নির্বাচিত করা,বর্গাচাষ করা,শেয়ার ব্যবসা করা ইত্যাদি আযীমাতের উদাহরণ। এই ধরনের ইজমা গ্রহণে কারও কোন ধরনের আপত্তি নেই।

২) রুখসাত(الرخصة )

والرخصة هي: صفة للحكم الثابت على خلاف دليل شرعي لمعارض راجح

কথাটির অর্থ হল অবকাশ,বিরতি, ঐচ্ছিক, অনুমোদন ইত্যাদি।পারিভাষিকভাবে বলা যায় যে, কোন মুজতাহিদ যদি কোন একটি বিষয়ের ব্যাপারে বক্তব্য রাখে অথবা তার উপর যদি আমল করে তাহলে অন্য কোন মুজতাহিদ নীরবতা পালন করে আর যদি কোন ধরনের প্রতিবাদ না করে তাহলে তা রুখসাত হিসেবে বিবেচিত হবে।

ইমাম শাফিয়ী রাহমাতুললাহ আলাইহি এর মতে এই ধরনের ইজমা গ্রহণযোগ্য নয়।কারণ তিনি মনে করেন যে, কোন কোন ক্ষেত্রে মুজতাহিদ ভয়ের কারণে তা প্রতিবাদ করেন নাই।

 ইমাম আবূ হানীফা রাহমাতুললাহ আলাইহি তার এই মতবাদের বিরোধীতা করেছেন এবং তিনি এই ব্যাপারে

 قول السلف  الساكت عن الحق شيطان أخرس، والناطق بالباطل شيطان ناطق، فالذي يقول الباطل ويدعو إلى الباطل؛ هذا من الشياطين الناطقين.

যে, চুপ থাকা বোবা শয়তানের সমতুল্য। তাই এই ধরনের ইজমা গ্রহণযোগ্য হবে।

*الأول: أن يوجد في عصر وقوع الحادثة عدد من المجتهدين

*أن يتفق علي الحكم الشرعي في الواقعة جميع المجتهدين من المسلمين في وقت وقوعها،

*أن يكون اتفاقهم بإبداء كل واحد منهم رأيه صريحاً في الواقعة سواء كان إبداء الواحد منهم رأيه  قولا بأن أفتي في الواقعة بفتوي، أو فعلا إن قضي فيها بقضاء، وسواء أبدي كل واحد منهم

*أن يتحقق الاتفاق من جميع المجتهدين علي الحكم، فلو اتفق أكثرهم لا ينعقد باتفاق الأكثر

ইজমার শর্তাবলী (Ijma Terms)

* ـ لابد أن يكون الإجماع مبنياً على مستند صحيح من كتاب أوالسنة

( there is no consensus based on authentic authentic Qur’an and Sunnah)

أن يتفق جميع المجتهدين على الحكم في زمن معين صراحة أو وجود إمارة على الرضا

(If all the mujtahids agree on the ruling in the time specified or the existence of the Emirate on the will

أن يقع الإتفاق من من أهل الإجتهاد الموصوفين بالعدالة ومجانبة البدع

(there is a consensus among the people of the Ijtihad Ijtihad with justice and the side of innovation)

ثبوت صفة الإجتهاد في المجتهدين

(Proof of ijtihad in mujtahids)

ছাড়া ইজমা করার শর্তগুলি নিম্নোক্ত।

১)মুসলিম হওয়া

মুসলিম ছাড়া আর কেউ ইজমা করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।

২) মুজাতাহিদ হওয়া

যাদের মতামতের উপর ইজমা হবে তাদের সকলকে মুজতাহিদ হতে হবে। কারণ ইজতিহাদী বিষয়ে মুজতাহিদ ছাড়া অন্য সকলের মতামত অগ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।উল্লেখ্য যে, মুজতাহিদের ইজমা ছাড়া অন্য কোন কিছু গ্রহণ করা হবে না।

৩) আমল সালেহ হওয়া

ইজমা সঙ্ঘটিত হওয়ার জন্য মুজতাহিদকে অবশ্যই নেককার হতে হবে।কারণ গুনাহগারের শরীআতের ব্যাপারে কোন অবস্থায়  ইজমা গ্রহণযগ্য হতে পারে না।

৪) একই যুগের ফকীহ হওয়া জরুরি।

সকলকে একই যুগের মুজতাহিদ হতে হবে।

৫) কুরআন ও সুন্নাহের বিরোধী হবে না

শরীআতের যেই সকল বিষয়াবলী কুরআন-হাদীসভিত্তিক নয় তা কোনভাবেই ইজমার অংশ হতে পারে না। বরং তা প্রত্যাখ্যাত হবে।

ইজমা শরীআতের দলীল

 (Documents of Ijma  in Shariah )

ইজমা শরীআতের দলীল এটা কুরআন হাদীস থেকে প্রমাণিত হয়েছে। যেমন আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,

  .وَكَذَلِكَ جَعَلْنَاكُمْ أُمَّةً وَسَطًا لِتَكُونُوا شُهَدَاءَ عَلَى النَّاسِ وَيَكُونَ الرَّسُولُ عَلَيْكُمْ شَهِيدًا وَمَا جَعَلْنَا الْقِبْلَةَ الَّتِي كُنْتَ عَلَيْهَا إِلَّا لِنَعْلَمَ مَنْ يَتَّبِعُ الرَّسُولَ مِمَّنْ يَنْقَلِبُ عَلَى عَقِبَيْهِ وَإِنْ كَانَتْ لَكَبِيرَةً إِلَّا عَلَى الَّذِينَ هَدَى اللَّهُ وَمَا كَانَ اللَّهُ لِيُضِيعَ إِيمَانَكُمْ إِنَّ اللَّهَ بِالنَّاسِ لَرَءُوفٌ رَحِيم

 অর্থ :"এভাবেই তোমাদেরকে মধ্যপন্থী জাতিরূপে প্রতিষ্ঠিত করেছি, যাতে তোমরা মানব জাতির জন্য সাক্ষ্যদাতা হতে পার এবং রাসূল তোমাদের জন্য সাক্ষ্যদাতা হতে পারে। (হে রাসূল!) আপনি যাবত যে কেবলা অনুসরণ করেছিলেন, তাকে এই উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম-যাতে জানতে পারি কে রাসূলের অনুসরণ করে এবং কে ফিরে যায়। আল্লাহ যাদের সৎ পথে পরিচালিত করেছেন তারা ব্যতীত অপরের নিকট তা নিশ্চয় কঠিন। আল্লাহ এরূপ নন যে, তোমাদের বিশ্বাসকে ব্যর্থ করেন। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি স্নেহশীল দয়াময়। " (:১৪৩)

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,

 وَمَنْ يُشَاقِقِ الرَّسُولَ مِنْ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُ الْهُدَى وَيَتَّبِعْ غَيْرَ سَبِيلِ الْمُؤْمِنِينَ نُوَلِّهِ مَا تَوَلَّى وَنُصْلِهِ جَهَنَّمَ وَسَاءَتْ مَصِيرًا

অর্থ :"সরল পথ তথা হেদায়েতের পথ সুস্পষ্ট হওয়ার পর যে কেউ রাসূলের বিরুদ্ধাচারণ করে এবং মুমিনদের পথ ব্যতিত অন্য কোনো পথের অনুসরণ করে, তাকে তার অনুসৃত পথের দিকেই ফেরাব এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব। আর তা নিকৃষ্টতর গন্তব্যস্থান।" (:১১৫)

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنْكُمْ فَإِنْ تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللَّهِ وَالرَّسُولِ إِنْ كُنْتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآَخِرِ ذَلِكَ خَيْرٌ وَأَحْسَنُ تَأْوِيلًا

অর্থ :"হে বিশ্বাসীগণ, যদি তোমরা আল্লাহ পরকালে বিশ্বাস কর তবে, তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রাসূলের অনুগত হও, আর তোমাদের মধ্য থেকে ঐসব নেতৃবৃন্দের যারা আদেশ দেয় কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে মতভেদ ঘটলে সে ব্যাপারে আল্লাহর কোরআন রাসূলের শরণাপন্ন হও। এটাই কল্যাণকর শ্রেষ্ঠ পরিণতি।" (:৫৯)

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,

قُلْ أَطِيعُوا اللَّهَ وَالرَّسُولَ فَإِنْ تَوَلَّوْا فَإِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ الْكَافِرِينَ

অর্থ :: হে নবী! আপনি বলে দিন: তোমরা আল্লাহ এবং রসূলের আনুগত্য কর। কেননা, আল্লাহ তাআলা কাফেরদেরকে ভালোবাসেন না। (সূরা আলে ইমরান: ৩২)আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,

أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَلَا تَوَلَّوْا عَنْهُ وَأَنْتُمْ تَسْمَعُونَ

: হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ তাঁর রসূলের আনুগত্য কর এবং শোনার পরে তা থেকে বিমুখ হয়ো না। (সূরা আনফাল: ২০)

 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَلَا تُبْطِلُوا أَعْمَالَكُمْ

হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ রসূলের আনুগত্য কর। আর তোমাদের আমলসমূহ বাতিল করো না। (সূরা মুহাম্মাদ: ৩৩)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,

عَنْ أَبِي بَصْرَةَ الْغِفَارِيِّ صَاحِبِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: سَأَلْتُ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ أَرْبَعًا فَأَعْطَانِي ثَلَاثًا وَمَنَعَنِي وَاحِدَةً: سَأَلْتُ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ لَا يَجْمَعَ أُمَّتِي عَلَى ضَلَالَةٍ فَأَعْطَانِيهَا وَسَأَلْتُ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ لَا يُظْهِرَ عَلَيْهِمْ عَدُوًّا مِنْ غَيْرِهِمْ فَأَعْطَانِيهَا  وَسَأَلْتُ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ لَا يُهْلِكَهُمْ بِالسِّنِينَ كَمَا أَهْلَكَ الْأُمَمَ قَبْلَهُمْ فَأَعْطَانِيهَا وَسَأَلْتُ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ لَا يَلْبِسَهُمْ شِيَعًا وَيُذِيقَ بَعْضَهُمْ بَأْسَ بَعْضٍ فَمَنَعَنِيهَا

আবু বাসরাহ গিফারী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন ইরশাদ, আমি আল্লাহ তাআলার নিকটে চারটি জিনিস চেয়েছিলাম। তিনি আমাকে তিনটি জিনিস দান করেছেন। আর একটি দিতে অস্বীকার করেছেন। আমি চেয়েছিলাম: যেন আমার উম্মাত কোন ভ্রষ্টতার ওপর ঐক্যবদ্ধ না হয়। তিনি আমাকে তা দান করেছেন। আমি চেয়েছিলাম: বিজাতি কোন শত্রু যেন তাদের বিরুদ্ধে জয় লাভ করতে না পারে। তিনি আমাকে তা দান করেছেন। আমি চেয়েছিলাম: পূর্ববর্তী উম্মাতগণের মতো যেন দুর্ভিক্ষে আমার উম্মাতকে তিনি ধ্বংস করে না দেন। তিনি আমাকে তা দান করেছেন। আমি চেয়েছিলাম: যেন তিনি আমার উম্মাতকে দলে দলে বিভক্ত করে একদলকে দিয়ে অপরদলকে শাস্তি না দেন। কিন্তু তিনি আমাকে তা দেননি। (মুসনাদে আহমাদ: ২৭২২৪)

 রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,

, قوله صلى الله عليه وسلم : ( لَيْسَ أَحَدٌ يُفَارِقُ الجَمَاعَةَ شِبْرًا فَيَمُوتُ ، إِلَّا مَاتَ مِيتَةً جَاهِلِيَّةً ) وروى البخاري (7143) ، ومسلم (1849) ، وقوله صلى الله عليه وسلم : ( مَنْ فَارَقَ الْجَمَاعَةَ شِبْرًا فَقَدْ خَلَعَ رِبْقَةَ الْإِسْلَامِ مِنْ عُنُقِهِ ) رواه أبو داود (4758

 ابْنِ عُمَرَ رضي الله عنهما ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( إِنَّ اللَّهَ لَا يَجْمَعُ أُمَّتِي عَلَى ضَلَالَةٍ ، وَيَدُ اللَّهِ مَعَ الجَمَاعَةِ

হযরত ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, আল্লাহ তাআলা আমার উম্মাতকে অথবা বলেছেন: আল্লাহ তাআলা মুহাম্মাদ .-এর উম্মাতকে ভ্রষ্টতার ওপর ঐক্যবদ্ধ করবেন না। আল্লাহর সাহায্য জামাআতের সাথে। যে ব্যক্তি দল থেকে সরে যাবে সে জাহান্নামের দিকে যাবে।উক্ত আয়াতসমূহ এবং হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ইজমা শরীয়াতের দলীল। উম্মাতের ইজমা প্রতিষ্ঠিত হলে তা মেনে নিতে হবে কোন ধরনের বিরোধিতা করা যাবে না।

উপসংহার (Conclusion )

উপরের আলোচনা থেকে বুঝতে পারি যে, ইজমা ইসলামী শরীআতের গুরুত্বপূর্ণ আইন। যদি সাহাবীদের সরসম্মত ইজমা হয় তথে তার উপর আমল করা অবশ্যই কর্তব্য। আর মদি ইজমা সুকুতি হয় তাহলে ইলমুল ইয়াকীন অর্জন হবে না। জুমহুর আলিমদর ইজমা উপর আমল করা যাবে।রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন

عن ,أبي أمامة قال: قال صلى الله عليه وسلم: "لا تزال طائفة من أمتي على الدين ظاهرين، لعدوهم قاهرين، لا يضرهم من خالفهم إلا ما أصابهم من لأواء، حتى يأتيهم أمر الله. وهم كذلك"، قالوا: يا رسول الله وأين هم؟ قال: "ببيت المقدس وأكناف بيت المقدس" وأخرجه أيضا الطبراني

 আমার উম্মতের একদল সর্বদা হক্কের উপর বিজয়ী থাকবে। যারা তাদের পরিত্যাগ করবে অথবা যারা তাদের বিরুদ্ধাচরণ করবে এতে তাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।

আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে আমল করার তাওফীক দান করুন, আমীন

 

লেখক:

প্রফেসর ড. সৈয়দ মাকসুদুর রহমান

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া

বাংলাদেশ।



শেয়ার করুন

Author:

0 coment rios:

You can comment here