মানবতার কল্যাণে আমরা আপনাদের পাশে ... প্রতিপাদ্য নিয়ে গঠিত মানবতাবাদী সংগঠন আর-রাহমান এডুকেশন ট্রাস্ট ইউ কে বিশ্বনাথ, সিলেট, দাঁড়ালো ১ লক্ষ টাকা নিয়ে তিনটি পরিবারের পাশে।
গত ১৫ জুলাই ২০২০ আর-রাহমান এডুকেশন
ট্রাস্ট
বাংলাদেশ এর অর্থায়নে ডিপ-টিউবওয়েল, বিবাহ ও ঘরনির্মানে
আর-রাহমান এডুকেশন ট্রাস্ট এর অনুদান সংশ্লিষ্টদের হাতে হস্তান্তর করা হয়। ট্রাস্ট
এর অর্থ সম্পাদক পীর আমিনুর রহমানের সরাসরি তত্ত্ববধানে অনুষ্ঠিত অনুদান হস্তান্তর
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আর-রাহমান এডুকেশন ট্রাস্ট বাংলাদেশ এর স্থায়ী সদস্য এম মাহফুজুর রহমান, হাফিজ মাহমুদুর
রহমান সুলতান ও আবিদুর রহমান প্রমুখ।
২০০০ সালের পথচলা সেই আর-রাহমান এডুকেশন
ট্রাস্ট ইউকে বাংলাদেশ সহ বহি:বিশ্বে মানবতার
সেবায় কাজ করে যাচ্ছে দীর্ঘ প্রায় দুই যুগের বেশী সময় ধরে। ট্রাস্ট এর কার্যক্রমের
মধ্যে অন্যতম হলো-
▪︎এলাকার অসহায় মানুষের চিকিৎসা সেবায় সাহায্য করা।
▪︎ এলাকার গরিব ও অসহায় মানুষের কন্যা বা বোনের বিবাহতে সাহায্য
করা।
▪︎ এলাকার গরিব ছাত্র ছাত্রীদের লেখা পড়াতে সাহায্য করা।
▪︎ কোন দুর্ঘটনা ও দুর্যোগের সময় সাহায্যের হাত প্রসারিত করা।
ইত্যাদি।
আর-রাহমান এডুকেশন ট্রাস্ট এলাকার
মানুষের পাশে সবসময় ছিল,
আজো আছে, ভবিষ্যতে ইনশা আল্লাহ্
সবার পাশে থাকবে।
ডিপ-টিউবওয়েল
স্থাপন
সিলেটের বিশ্বনাথ ২নং খাজানসী ইউনিয়নে
তেলিকোনা (এলাহাবাদ) হাজী ময়না মিয়ার পরিবারকে একটি ডিপ-টিউবওয়েল হস্তান্তর করা
হয়।
বিবাহে সাহায্য
সিলেটের বিশ্বনাথ ২নং খাজানসী ইউনিয়নে
তেলিকোনা (এলাহাবাদ) জনাব তৈয়ব আলী সাহেবের মেয়ের বিবাহে আর-রাহমান এডুকেশন ট্রাষ্ট’ ইউ কে পাশে দাড়িয়ে ছিল।
কোনো মানুষের পক্ষে পৃথিবীতে একাকী
বাস করা সম্ভব নয়। বিভিন্ন প্রয়োজনে একে অপরের সাহায্য ছাড়া মানুষ চলতে পারে না। এছাড়াও
নানা বিপদসঙ্কুল পরিস্থিতিতে অন্যের সাহায্যে এগিয়ে
যাওয়া বড়ই প্রয়োজন পড়ে।
কোনো মানুষের পক্ষে পৃথিবীতে একাকী
বাস করা সম্ভব নয়। বিভিন্ন প্রয়োজনে একে অপরের সাহায্য ছাড়া মানুষ চলতে পারে না। এছাড়াও
নানা বিপদসঙ্কুল পরিস্থিতিতে অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন পড়ে। কেননা কোনো মানুষ যখন কোনো
বিপদের সম্মুখীন হয়,
সে তখন সবচেয়ে বেশি অসহায়ত্ব অনুভব করে। ওই সময় সে আন্তরিকভাবে
অন্যের সাহায্য প্রত্যাশা করে।
ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে মুমিনের
পারস্পরিক সম্পর্ক হলো- একটি দেহের ন্যায়। দেহের একটি অঙ্গ যেকোনো ধরনের বিপদে পড়ার
সঙ্গে সঙ্গে অন্য অঙ্গ তাকে সাহায্যের জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠে।
উদাহরণ স্বরূপ- কারো চোখে কোনো কিছু
পড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেহের অন্য সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আপন কাজ বন্ধ হয়ে যায় এবং তারা সবাই
কীভাবে চোখকে তার বিপদ থেকে রক্ষা করবে সেদিকে নিমগ্ন হয়ে পড়ে। প্রয়োজনে অন্যেরও শরণাপন্ন
হয়। অনুরূপ কোনো মুসলমান ভাই যখন কোনো প্রকার বিপদে পড়ে, তখন অপর মুসলমান ভাইয়ের কর্তব্য হলো- তাকে সাহায্য করা। কেননা
যে মানুষকে সাহায্য করে মহান আল্লাহতায়ালা তাকে সাহায্য করেন।
এ মর্মে হাদিসে অনকে বর্ণনা রয়েছে।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ
(সা.) বলেন,
‘যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের পার্থিব দুঃখ-কষ্ট দূর করবে, আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতে তার দুঃখ-কষ্ট দূর করবেন। যে ব্যক্তি
কোনো সংকটাপন্ন ব্যক্তির সংকট নিরসন করবে, আল্লাহ তার দুনিয়া
ও আখেরাতের যাবতীয় সংকট নিরসন করে দিবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের দোষ-ত্রুটি গোপন
রাখে,
আল্লাহ দুনিয়া ও আখেরাতে তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন। আর আল্লাহ
ততক্ষণ পর্যন্ত বান্দার সাহায্য করে থাকেন, যতক্ষণ পর্যন্ত
বান্দা নিজ ভাইয়ের সাহায্যে রত থাকে। (মুসলিম ও তিরমিজি)
ঘর নির্মাণে
সাহায্য
সিলেটের বিশ্বনাথ ২নং খাজানসী ইউনিয়নে
তেলিকোনা (এলাহাবাদ) জনাব আসিক আলীর পরিবারের জন্য আর-রাহমান এডুকেশন ট্রাষ্ট’ইউ কে পাশে দাড়িয়েছিল।
অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো
এবং তাদের প্রতি দানের হাত বাড়িয়ে দেওয়া রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত
এবং মানবিক কর্তব্য। বর্তমান দুর্যোগ ও মহামারীতে গরিবদের সাহায্যার্থে বিত্তবানদের
এগিয়ে আসা উচিত এবং বর্তমান প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে উত্তম নেক আমল এটিই। যেমন- কোরআনে জান্নাতিদের
দানের প্রশংসায় আল্লাহ তায়ালা বলছেন, তারা আল্লাহর
প্রেমে অভাবগ্রস্ত,
এতিম ও বন্দীকে খাদ্য দান করে। (সূরা দাহর, আয়াত ৮)। অর্থাৎ, জান্নাতবাসীরা নিজেদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত
খাদ্যই দান করে না বরং নিজেদের প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও গরিব ও অভাবী মানুষদেরকে আল্লাহর
ভালোবাসায় দান করে। তাই সমাজের উঁচু শ্রেণির বিত্তবানদের উচিত খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষের
কল্যাণে ঝাঁপিয়ে পড়া।
আল্লাহ সকলকে কল্যাণমুলক কাজে সকলকে
সাহায্য করার তাওফীক দান করুন। আমিন।
0 coment rios:
You can comment here