প্রফেসর ড. সৈয়দ মাকসুদুর রহমান
সারসংক্ষেপ
(Abstract)
Imam Malik (may Allah bless him and grant him peace) was a full
follower of the Prophet (peace and blessings of Allah be upon him). His
whole life was devoted to the study of knowledge and the worship of the great
God. His eighty-six years of life were a brilliant one. He wrote a
pure book of hadith called Muwatta after forty long years of hard work.
ভুমিকা :
(introduction )
ইমাম মালিক ইবনে আনাস ইবনে মালিক ইবনে আবি
আমির আল-আসবাহি রাহমাতুললাহ
আলাইহি জন্ম ৯৩ হিজরী -: ৭১১ খ্রিস্টাব্দ এবং মৃত্যু:১৭৯ হিজরী ৭৯৫ খ্রিস্টাব্দ ।
মোট আমু কাল ছিআশি বছর। তিনি একজন বিখ্যাত হাদীস বিশারদ এবং ফিকহের বিখ্যাত
পণ্ডিতদের অন্যতম ছিলেন। তিনি মুসলমানদের প্রধান চার ইমামের একজন। মালেকী মাযহাব
তারই প্রণীত মূলনীতির উপর প্রতিষ্ঠিত। তার সংকলিত মুয়াত্তা বিখ্যাত এবং প্রাচীনতম
হাদীসগ্রন্থ।আলোচ্য প্রবন্ধে ইমাম মালিক ইবনে আনাস রাহমাতুললাহ আলাইহি এর জীবনী ও
মুয়াত্তা গ্রন্থে তার অবদান সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
ইমাম মালিক ইবনে আনাস এর নাম
(Name of Imam malik)
মালিক বিন আনাস ইবনে মালিক, বিন আবি আমের বিন আমর ইবনুল হারিথ, বিন গাইমন, বিন
খাতল, বিন
আমর, বিন
আল-হরিত - যিনি হয়েছিলেন, বিন
আওফ, বিন
মালিক, বিন
জায়েদ, বিন
শাদ্দাদ, বিন
জারআ, যূল
আসবাহ বিন আওফ ইয়াহরিব বিন কাহতান
ইমাম মালিক ইবনে আনাস এর বংশ পরিচিতি
(Genealogy of Imam Malik Ibn Anas )
ইমাম মালেক রাহমাতুললাহ আলাইহি -এর
পূর্বপুরুষ ইয়েমেনের অধিবাসী ছিলেন। তার দাদা আবু আমের দ্বিতীয় হিজরীতে (৬২৩
খ্রিষ্টাব্দে) ইসলাম গ্রহণের পর সপরিবারে মদিনা চলে আসেন। পরবর্তীতে মদিনাতে ইমাম
মালেক জন্মগ্রহণ করেন।ইমাম মালেক রাহমাতুললাহ আলাইহি -এর বংশপরম্পরা ইয়েমেনের
শাহি খানদান হুমাইরের শাখা ‘আসবাহ’-এর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কারণে তাকে আল-আসবাহী
বলা হয়।
এ মতকেই প্রখ্যাত ইসলামি ইতিহাসবিদ শামসুদ্দীন আয যাহাবী রাহমাতুললাহ আলাইহি
প্রাধান্য দিয়েছেন।
তবে মুহাম্মদ বিন ইসহাক বলেন, ইমাম মালেক এবং তার পূর্বপুরুষ তায়ম গোত্রের
মাওয়ালি ছিলেন। তাঁর পিতা হলেন: আনাস বিন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু যিনি হাদীসের
অন্যতম বর্ণনাকারী। তার দাদা উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু কুরআন সংগ্রহ করার সময় তিনি
কুরআন সংকলনকারীদের একজন ছিলেন।
তিনি
সেই চারজনের মধ্যে একজন যিনি রাতে ওসমান ইবনে আফফানকে তাঁর কবরে নিয়ে গিয়েছিলেন। উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু
শাহাদাতবরন করার পরে তাকে দাফনের কাজ দিয়েছিলেন।
ইমাম মালিক রাহমাতুললাহ আলাইহি এর জন্ম
ও প্রতিপালন
(Birth and upbringing of Imam Malik Rahmatullah
Alaihi:)
ইমাম মালিক রাহমাতুললাহ আলাইহি মাদীনা মুনাওয়ারায় জন্মলাভ করেন। তার জন্ম তারিখ ও জন্মের সন নিয়ে কিছু
ভিন্নমত আছে।
علم الإمام مالك وصبره الإمام مالك -رحمه الله- من أسرة فيها الأب والجدّ وأب الجدّ جامعون لحديث النبيّ صلّى الله عليه وسلم
ইমাম শামসুদ্দীন আয যাহাবী রাহমাতুল আলাইহি বলেন, বিশুদ্ধ মতে ইমাম মালিক রাহমাতুললাহ আলাইহি এর জন্ম সন ৯৩
হিজরী, যে
সনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর খাদিম আনাস ইবনু মালিক
রাদিয়াল্লাহু আনহু মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি তাঁর শ্রদ্ধেয় পিতা আনাস ইবনু মালিক রাহমাতুললাহ আলাইহি এর
কাছে মাদীনা মুনাওয়ারায় প্রতিপালিত হন।ইমাম মালিক বিন আনাস আনাস রাহমাতুললাহ
আলাইহি সুনিমান বিন আবদুল মালিকের মদীনার গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময়ে
মদীনাতে যু-আল-মারওয়াহ
অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। আবু যাকারিয়া ইয়াহিয়া বিন আবদুল্লাহ বিন বাকির
আল-মাখজৌমি আল মিসরী (১৫৪ হিজরী - ২৩১ হি)) রাহমাতুললাহ আলাইহি বলেন, ইমাম মালিক ইবনে আনাস তিরানব্বই হিজরীতে
জন্মগ্রহণ করেন। ইমাম মালিকের চারটি সন্তান, তারা
হলেন: ইয়াহিয়া, মুহাম্মদ, হামদ এবং ফাতেমা।
তাঁর পিতা তাবি-তাবিঈ ও হাদীস বর্ণনাকারী
ছিলেন, যার
বরাত দিয়ে ইমাম শিহাব
আল-দীন যুহরী রাহমাতুললাহ
আলাইহি সহ অনেকেই হাদীস বর্ণনা করেন।
ইমাম মালিক রাহমাতুললাহ আলাইহি ও পিতার নিকট
থেকে হাদীস বর্ণনা করেন।
তাঁর দাদা আবু আনাস মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু
প্রসিদ্ধ তাবিঈ ছিলেন, যিনি
উমার, ‘আয়িশাহ্্
ও আবূ হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকে হাদীস বর্ণনা করেন। আমির ইবনু আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু প্রসিদ্ধ
সাহাবী ছিলেন। তিনি
ইলমের পরিবেশ ও পারিবারিক জ্ঞানপিপাসা নিয়েই তিনি প্রতিপালিত হন।
ইমাম মালিক ইবনে রাহমাতুললাহ আলাইহি এর শিক্ষা
জীবন
(Education of Imam Malik Ibn)
ইমাম মালিক ইবনে আনাস রাহমাতুললাহ আলাইহি
ইলমুল হাদীসের গভীর জ্ঞান অর্জন করতে রবীআতুর রাই এর নিকট গমন করেন। (রবি'আ বিন আবী আবদুল-রহমান ফাররুখ আল-তাইমি
আল-মাদানী, যিনি
রবি'আল রাই নামে পরিচিত,। তিনি - ১৩৬ হিজরী সনে জন্ম গ্রহণ করেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদীস মুখস্থকারী এবং অনুসারী ও মুজতাহিদ ফকীহ, যিনি আসহাবুল রাই হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ইবনে আল-মাজশৌন বলেছিলেন: “আমি কখনও রবিআর মত সুন্নাহকে অধিক মুখস্থকারী
আর কাউকে দেখিনি।) তার মাতা রবিআ রাহমাতুললাহ আলাইহি থেকে ইলম ও আদব শিক্ষার
অসিযাত করেন।
انتقل يطلب العلم على يد
ربيعة الرّأي، وقيل إنّه بدأ بطلب العلم عند ربيعة الرأي؛ حيث كانت أمّه توصيه بأن
يذهب إليه؛ ليتعلّم من أدبه قبل علمه.
ইমাম মালিকের ইলম অর্জন করতে প্রবল আগ্রহ
নিয়ে বড় বড় আলিমদর নিকট থেকে গভীর জ্ঞান লাভ করেন।
كان الإمام مالك حريصاً
على تلقّي العلم من العلماء الكبار، وقد منحه الله -سبحانه وتعالى- مواهب تُعينه على
طلب العلم؛ أهمّها الحفظ والفهم، في وقتٍ ساء فيه حفظ الناس
শৈশবেই তিনি পুরো কুরআন শরিফ মুখস্থ করেন।
এরপর তিনি মদিনার বিখ্যাত তাবেয়ী আবু সুহাইল নাফে রাহমাতুললাহ আলাইহি এর নিকট হাদিস শিক্ষা করেন। এছাড়াও ইমাম মালিক
তৎকালীন বহু বিখ্যাত ইসলামি ব্যক্তিত্বদের কাছে শিক্ষা গ্রহণ করেন। তাদের মাঝে
অন্যতম হলো হিশাম বিন উরওয়া,
জাফর
সাদিক এবং ইবনে শিহাব যুহরী।এভাবে তিনি বহু শায়খের সান্নিধ্য গ্রহণ করেন। তিনি
সাঈদ ইবনে মুসাইব ও উরযাহ এবং
কাসিম এর নিকট থেকে ইলম অর্জন করেন। প্রত্যেকের নিকট থেকে ৫০টি হাদীস মুখস্থ করেন।
فقد كان -رحمه الله- يذهب
إلى سعيد بن المسيب، وعروة، والقاسم، وحميد، وغيرهم، يسمع من كلّ واحد منهم نحو خمسين
حديثاً إلى مئة، ثمّ ينصرف وقد حفِظها من غير أن يخلط بينها، ولم يعتمد على ضبط صدره
فقط فيما يرويه، بل اعتمد على الكتابة أيضاً
তিনি হিজাযের মাসলাক অনুযায়ী ইলমুল ফিক্হ এর
জান চর্চা করেন। তিনি কুরআনের নস ও সুন্নাহের দ্বারা ফিক্হ মাজহাব নির্ধারণ করেন।
مبدأ الإمام مالك في الفقه
هو ذاته مبدأ أهل الحجاز، وقد بنى مذهبه على نصّ القرآن الكريم، وظاهره، وعمومه، ومفهومَي
المخالفة والموافقة، والتنبيه على العلّة، وعلى السُّنة النبويّة،
সাহাবীদের বর্ননা, ইজমা, কিয়াস
ও ইজতিহা, ইসতিহসান
ও মদীনা বাসীদের আমল Blocking the excuses ইত্যাদির
মাধ্যমে মাজহাব প্রতিষ্ঠা করেন।
والإجماع، والقياس، والاستحسان،
وعمل أهل المدينة، وقول الصحابيّ، وسدّ الذرائع
*ইমাম মালিকের (রহ.) শিক্ষকবৃন্দ
(Teachers of Imam Malik Rahmatullah)
ইমাম মালিক রাহমাতুললাহ আলাইহি এর অসংখ্য
আলিমদর নিকট শিক্ষালাভ করেন।
ইমাম যুরকানী রাহমাতুললাহ আলাইহি বলেন,‘ ‘ইমাম মালিক ইবনে আনাস রাহমাতুললাহ আলাইহি
নয়শত এর অধিক শিক্ষকের কাছে শিক্ষা গ্রহণ করেন।
* ইমাম
মালিক রাহমাতুললাহ আলাইহি স্বীয় গ্রন্থ মুয়াত্ত্বায় যে সব শিক্ষক হতে হাদীস বর্ণনা
করেছেন, তাদেরই
সংখ্যা হল ১৩৫ জন।অনেক ঐতিহাসিক ইমাম যুহরী, আবদুল্লাহ
ইবনে যায়েদ ইবনে হরমুয, ইবনে
যাকওয়ান এবং ইয়াহিয়া ইবনে সাঈদ প্রমুখ প্রসিদ্ধ আলেমদের কে তার শিক্ষক হিসাবে
উল্লেখ করেছেন।
*আল্লামা
জালালুদ্দীন সয়ূতী লিখিয়াছেন,
ইমাম
মালিক নয়শত মুহাদ্দিসের নিকটি হইতে হাদীস গ্রহণ করিয়াছেন। তন্মধ্যে তিনশত হইতেছে
তাবেয়ী ও ছয়শ হইতেছেন তাবে-তাবেয়ী। এই সকল উস্তাদকেই তিনি মদীনা শরীফে পেয়েছেন। এই কারণে হাদীস শিক্ষার উদ্দেশ্যে তিনি
মদীনার বাহিরে যাওয়ার প্রয়োজন বোধ করেন নাই।
*ইমাম
মালিক সকল প্রকারের হাদীস বর্ণনাকারীর নিকট হইতেই হাদীস গ্রহণ করিতেন না। তিনি
হাদীসের উস্তাদ হিসাবে কাহাকে গ্রহন করিবেন, তাহা
তিনি গভীর সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে চিন্তা করিয়া ছাঁটাই-বাছাই করিয়া লইতেন।
*এই
সম্পর্কে তাহার প্রিয় ছাত্র হাবীবের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন , “হে হাবীব ! এই মসজিদেই (মসজিদে নববী) আমি
সত্তর জন এমন মুহাদ্দিস পেয়েছি যাঁরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম এর সাহাবীরে সাক্ষাত ও সংস্পর্শ লাভ করেছেন এবং তাবেয়ীদের থেকে ও হাদীস
বর্ণনা করতেন । (আমি তাঁদের নিকট হইতেই হাদীস শিক্ষা ও গ্রগণ করেছি ।) এবং হাদীসকে
উহার উপযুক্ত লোকদের নিকট হইতেই গ্রহণ করেছি , অনুপযুক্ত
ব্যক্তির নিকট থেকে কখনো গ্রহণ করিনি ”।
إبراهيم بن أبي عبلة،(ইব্রাহিম বিন আবি আবলা)
وإبراهيم بن عقبة، (ইব্রাহিম বিন উকবা,)
وأبو بكر بن نافع،(আবু
বকর বিন নাফি,)
وأبو عبيد الله مولى ابن
আবু উবায়দুল্লাহ মাওলা ইবন আযহার ,)
وأبو عبيد مولى سليمان بن عبد الملك، (আবু উবাইদ মাওলা , সুলাইমান বিন আবদুল মালিকের)
وإسحاق بن عبد الله بن أبي طلحة(ইসহাক বিন আবদুল্লাহ ইবনে
আবি তালহা )
، وأبو بكر بن عمر العمري( আবু বকর বিন ওমর আল-ওমারী)
، وإسماعيل بن أبي حكيم، (ইসমাইল বিন আবি হাকিম,)
وإسماعيل بن محمد بن ثابت( ইসমাইল
বিন মুহাম্মদ বিন সাবেত )
، وإسماعيل بن محمد بن سعد بن أبي وقاص،(ইসমাইল বিন মুহাম্মদ বিন
সাদ বিন আবি ওয়াকাস)
وربيعة بن أبي عبد الرحمن الرأي،(রাবিয়া বিন আবি আবদুল
রহমান আল-রায়,)
وزياد بن أبي زياد، وزياد بن سعد (জিয়াদ বিন আবি জিয়াদ, এবং জিয়াদ বিন সাদ)
، وزيد بن أبي أنيسة، وزيد بن أسلم،(যায়েদ বিন আবি আনিসা, এবং যায়েদ বিন আসলাম,)
وأبو ليلى الأنصاري، (আবু লায়লা আল-আনসারী,)
وزيد بن رباح(যায়েদ
বিন রাবাহ)
، والسائب بن يزيد.,(আল-সায়েব বিন ইয়াজিদ
এ ছাড়া প্রসিদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ হলো -
১. ইমাম রাবীয়া বিন আবূ আবদুর রহমান
রাহমাতুললাহ আলাইহি
২. ইমাম মুহাম্মদ বিন মুসলিম আয্যুহুরী
রাহমাতুললাহ আলাইহি
৩. ইমাম নাফি মাওলা ইবনু ওমার রাহমাতুল্লাহি
নমস্কার
৪. ইব্রাহীম বিন উক্বাহ রাহমাতুললাহ আলাইহি
৫. ইসমাঈল বিন মুহাম্মদ বিন সা’দ রাহমাতুললাহ আলাইহি
৬. হুমাইদ বিন কায়স আল ‘আরজ রাহমাতুললাহ আলাইহি
৭. আইয়ূব বিন আবী তামীমাহ আসসাখতিয়ানী
রাহমাতুললাহ আলাইহি
ইমাম মালিক (রহঃ) এর ছাত্রবৃন্দ
(The names of some of the famous students of
Imam Malik )
ইমাম মালেক রাহমাতুললাহ আলাইহি যে শিক্ষা দান
করতেন উহার যথার্থতা ও সঠিক হওয়া সম্পর্কে তাঁর উক্তি ছিল এরূপ যে, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত ৭০ জন উস্তাদ আমার যোগ্যতা
প্রসঙ্গে সাক্ষ্য না দিয়েছেন,
ততক্ষণ
পর্যন্ত আমি শিক্ষাদান ও ফতোয়া দানের আসনে বসিনি’।
ইমাম মালিক রাহমাতুললাহ আলাইহি হলেন ইমামু
দারিল হিজরাহ, মদীনার
ইমাম। অতএব মদীনার ইমামের ছাত্র হওয়ার সৌভাগ্য কে না চায়। তাই তাঁর ছাত্র অগণিত।
ইমাম শামসুদ্দীন আয যাহাবী রাহমাতুললাহ আলাইহি তার উল্লেখযোগ্য ছাত্রদের
মধ্যে ১৬৬ জনের নাম বর্ণনা করেছেন।
ইমাম খাতীব বাগদাদী রাহমাতুললাহ আলাইহি তার ৯৯৩ জন ছাত্রদের নাম উল্লেখ করেন।
ইমামের প্রসিদ্ধ কয়েকজন ছাত্রের নাম নিম্নে
প্রদত্ত্ব হল :
(The names of some of the famous students of
Imam are given below)
১. ইমাম মুহাম্মদ বিন ইদ্রীস আশ শাফেঈ
রাহমাতুললাহ আলাইহি ।
২. ইমাম সুফাইয়ান বিন উয়ায়নাহ রাহমাতুললাহ
আলাইহি ।
৩. ইমাম আব্দুল্লাহ বিন মুবারক রাহমাতুললাহ
আলাইহি ।
৪. ইমাম আবু দাউদ আত্তায়ালিসী রাহমাতুললাহ
আলাইহি ।
৫. হাম্মাদ বিন যায়দ রাহমাতুললাহ আলাইহি ।
৬. ইসমাঈল বিন জাফর রাহমাতুললাহ আলাইহি ।
৭. ইবনু আবী আযযিনাদ রাহমাতুললাহ আলাইহি
ইত্যাদি।
ইহা ছাড়াও অসংখ্য জ্ঞান পিপাসু তাঁর থেকে
জ্ঞান আহরণ করেন। তাঁদের মধ্যে প্রসিদ্ধ কয়েক জন হলেন,
৮)আবু মুহাম্মদ আবদুল্লাহ ইবনে ওহ্হাব,
৯)আবু আব্দুল্লাহ আব্দুর রহমান আল কাসেম আতকী,
১০) মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আবদুল
১১) হাকীম,
আবুল
হাসান আলী ইবনে যিয়াদ তুনিসী,
১২) ঈসা ইবনে দীনারসহ আর ও অনেকে।
*ইমাম মালিক ইবনে আনাস
রাহমাতুললাহ আলাইহি এর ব্যাপারে মুহাদ্দিসগনের প্রশংসা
ইমাম মালিক রাহমাতুললাহ আলাইহি একজন
যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ছিলেন। তিনি একাধারে হাদীস ও ফিক্হ চর্চা করেন। ইমাম মালিক
ইবনে আনাস রাহমাতুললাহ আলাইহি জন্য বিভিন্ন মুহাদ্দিস প্রশংসা করেন। যেমন - রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
روي بإسناد صحيح أن رسول
الله، صلي الله عليه وسلم، قال : يوشك أن يضرب الناس أكباد الإبل يطلبون العلم، فلا
يجدون أحدا أعلم من عالم المدينة، رواه أبو عيسى الترمذي
It was narrated with a true chain of narration that the
Messenger of Allah , may Allah prayers and peace be upon him, said: People are
about to hit camel livers seeking knowledge, so they will not find anyone more
knowledgeable than the world of Medina. Narrated by Abu Issa al-Tirmidhi
১.) ইমাম শাফেঈ রাহমাতুললাহ আলাইহি বলেন, ‘‘আলিম সমাজের আলোচনা হলে
ইমাম মালিক তাদের মধ্যে উজ্জ্বল নক্ষত্র, কেউ
ইমাম মালিকের স্মৃতিশক্তি, দৃঢ়তা, সংরক্ষণশীলতা ও জ্ঞানের গভীরতার সমপর্যায় নয়।
আর যে ব্যক্তি সহীহ হাদীস চায় সে যেন ইমাম মালিকের কাছে যায়।
*২)ইমাম
তিরমিজি রাহমাতুললাহ আলাইহি বলেন
,قال الترمذي : قال ابن عيينة،
وعبد الرزاق : هو مالك قال
له ابن شهاب : أنت من أوعية العلم، وإنك لتعلم مستودع العلم
ইবন উআইনাহ ও আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ইবন শিহাব আয যুহরী ইমাম মালিক ইবনে আনাস
ইলমের জাহাজ এবং স্টোর হাউস।
. ৩)ইমাম শাফেঈ রাহমাতুললাহ আলাইহি বলেন,
قال الشافعي : إذا جاءك الأثر عن مالك فشد به
يديك،
ইমাম মালিক হতে যখনই কোন আসার বর্ননা করা হয়
তখনই সেটা শক্ত করে ধরো।
وقال : إذا ذُكر العلماء
فمالك النجم، ولم يبلغ أحد في العلم مبلغ مالك، بحفظه واتقانه وصيانته.
ইমাম মালিকের অবস্থান আলিমদর মধ্যে নক্ষত্র
স্বরুপ।
وقال : مالك بن أنس معلمي،
وعنه أخذنا العلم، وجعلته حجة فيما بيني وبين الله
. And he said: Malik bin Anas is my teacher, and from him we
took knowledge and made it an argument between me and Allah
وخير أمور الدين ما كان سنة وشر الأمور المحدثات البدائعAnd the best of matters of religion is what
was Sunnah, and the evil of matters of modernity is Badaa '
وقال: قال مالك : ما جالست
سفيها قط، وهذا أمر لم يسلم منه غيره.
And he said: Malik said: I never sat with her fools, and this is
something that no one else was safe from. Other.
ইমাম শাফেয়ী আরও বলেন,
وقال : إذا ذُكر العلماء
فمالك النجم، ولم يبلغ أحد في العلم مبلغ مالك، بحفظه واتقانه وصيانته.
وقال : مالك بن أنس معلمي،
وعنه أخذنا العلم، وجعلته حجة فيما بيني وبين الله
.
،*
যিনি
ফিকাহা শাস্ত্র শিখতে ইচ্ছা করেন তিনি আবু হানিফা ও তার পরিবার।
*যিনি
সীরাত শাস্ত্র শিখতে ইচ্ছাকরেন তিনি মুহাম্মদ ইবনু ইসহাক ও তার পরিবার। যিনি হাদীস
স শাস্ত্র শিখতে ইচ্ছা করেন তিনি ইমাম মালিক ও তার পরিবার। যিনি তাফসিস শাস্ত্র
শিখতে ইচ্ছা করেন তিনি মুকাতির ইবনু সুলাইমান ও তার পরিবার
قال الترمذي : قال ابن عيينة،
وعبد الرزاق : هو مالك قال
له ابن شهاب : أنت من أوعية العلم، وإنك لتعلم مستودع العلم
. قال الشافعي : إذا جاءك الأثر عن مالك فشد به
يديك،
তিনি আরও বলিয়াছেন, “ইমাম মালিক তাবেয়ীদের পরবর্তী যুগের লোকদের
জন্য আল্লাহর এক অকাট্য দলীল বিশেষ”।
[হাদীস সংকলনের ইতিহাস, পৃষ্ঠা-২৭৪; মওলানা মুহাম্মদ আবদুর রহীম (রহ)]।
*৪)ইমাম
আহমাদ বিন হাম্বল (রহ.) বলেন :
قال أحمل بن حنبل : إذا
رأيت الرجل يبغض مالكا، فاعلم أنه مبتدع
‘‘বিদ্যানদের
অন্যতম একজন ইমাম মালিক, তিনি
হাদীস ও ফিকাহ শাস্ত্রে একজন অন্যতম ইমাম, জ্ঞান-বুদ্ধি
ও আদাব আখলাকসহ হাদীসের প্রকৃত অনুসারী ইমাম মালিকের মত আর কে আছে?’’
قال أحمد : ليس في فضائل
العلماء أجل من هذا. تم
*৫)
ইমাম নাসাঈ (রহ.) বলেন :
‘‘তাবেঈদের
পর আমার কাছে ইমাম মালিকের চেয়ে অধিক বিচক্ষণ আর কেউ নেই এবং হাদীসের ক্ষেত্রে
তাঁর চেয়ে অধিক আমানতদার আমার কাছে আর কেউ নেই।’
৬). ইমাম আবু হানিফা রাহমাতুললাহ আলাইহি বলেন, ‘ইমাম মালিক থেকে দ্রুত ও সঠিক উত্তর দেওয়ার
মতো লোক আমি আর দেখিনি।’
৭) আবদুর রহমান ইবনে মাহদি রাহমাতুললাহ
আলাইহি বলেন, ،পৃথিবীর বুকে ইমাম
মালিক রাহমাতুললাহ আলাইহি -এর চেয়ে বড় হাদিসে নববীর আর কোন আমানতদার নেই।’
৮)ইয়াহিয়া ইবনে সাঈদ ইবনে কাত্তান রাহমাতুললাহ আলাইহি
বলেন, وقال يحيى
بن سعيد القطان : مالك إمام الناس في الحديث وقال أيضا : مالك أمير المؤمنين
في الحديث
মালিক রাহমাতুললাহ আলাইহি মানুষের মধ্যে
হাদীসের ইমাম। তিনি আমিরুল মুমিনিন ফিল হাদীস
وكان لا يركب في المدينة مع ضعفه وكبر سنه، ويقول : لا أركب في المدينة
فيها جثة رسول الله، صلى الله عليه وسلم، مدفونة
And he used to not ride in Medina when he was weak and old, and
he said: I do not ride Medina where the body of the Messenger of Allah
may Allah bless him and grant him peace, is buried
*৯)
وقال علي بن المديني : قال
الحافظ أبو علي الحسن بن محمد البكري - في كتابه "التبيين بذكر من يسمى بـأمير
المؤمنين" - : أول من سمى هذا الاسم - فيما علمته وشاهدته ورويته
*১০)
وقال البخاري : أصح الأسانيد:
مالك عن نافع عن ابن عمر
*১১)
قال مطرف : كان مالك إذا
سُئل عن مسألة نزلت، فكأنما نبي نطق على لسانه، وكان إذا أراد أن يجلس للحديث يغتسل
ويتبخر ويتطيب، فإن رفع أحد صوته في مجلسه قال : قال الله تعالي : (يَا أَيُّهَا الَّذِينَ
آمَنُوا لا تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ النَّبِيِّ) -الحجرات 2-، فمن رفع
صوته عند حديث رسول الله، صلى الله عليه وسلم، فكأنما رفع صوته فوق صوت رسول الله،
صلى الله عليه وسلم
১২) ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল বলেন, যদি কোন ব্যক্তিকে ইমাম মালিক ইবনে আনাস এর
প্রতি ঘৃণা করতে দেখ তবে তুমি জানবে সে বিদআতী।
قال أحمل بن حنبل : إذا
رأيت الرجل يبغض مالكا، فاعلم أنه مبتدع،
ইমাম মালিকের চেয়ে মর্যাদাবান আলিম দূরহ।
১৩)ইমাম নববী রাহমাতুললাহ আলাইহি বলেন, ইমাম মালিক এর সম্মান ও মর্যাদা এবং হিফয, সীকাহ হওয়ার ব্যাপারে আলিমদর ঐক্যমত পাওয়া
যাবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মর্যাদা আনুগত্য প্রদর্শন
করার ব্যাপারে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
وقال الإمام النووي: «أجمعت
طوائف العلماء على إمامة مالك وجلالته، وعظيم سيادته وتبجيله وتوقيره، والإذعان له
في الحفظ والتثبت، وتعظيم حديث رسول الله صلوات الله وسلامه عليه».[
১৪)ইমাম শামসুদ্দীন আয যাহাবী রাহমাতুললাহ
আলাইহি বলেন, আলিমদর
ইমাম মালিক ইবনে আনাস রাহমাতুললাহ আলাইহি এর দীনদারী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম এর প্রতি ভালোবাসা ফিক্হ ও ফাতওয়ার ব্যাপারে একমত হতে দেখা যায়।
«قد اتفق لمالك مناقب ما
علمتها اجتمعت لأحد غيره، أحدها: طول العمر والرواية، ثانيها: الذهن الثاقب والفهم
وسعة العلم، ثالثها: اتفاق الأئمة على أنه حجة صحيح الرواية، رابعها: إجماع الأئمة
على دينه وعدالته واتباعه للسنن، خامسها: تقدمه في الفقه والفتوى وصحة قواعده».
১৫)ইমাম বুখারী রাহমাতুললাহ আলাইহি বলেন, ইমাম মালিক রাহমাতুললাহ আলাইহি তার সময়ের অধিক
হিফয এবং গভীর জ্ঞানী কাউকে দেখা যায় না।
وأخرج البخاري عن يحيى بن
سعيد القطان أنه قال: «مالك أمير المؤمنين في الحديث»، وأخرج الغافقي عن أبي قلابة
أنه قال: «كان مالك أحفظ أهل زمانه»، وأخرج عن ابن مهدي أنه قال: «ما رأيت أعقل من
مالك
১৬)আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রাহমাতুললাহ
আলাইহি বলেন,
كما قال فيه عبد الله بن
المبارك إمام خراسان رحمه الله:يأبى الجوابَ فما يكلم هيبةًوالسائلون نواكس الأذقانِأدب
الوقار وعز سلطان التقىفهو المطاع وليس ذا سلطانِ
As Abdullah bin Al-Mubarak, the Imam of Khurasan, may God have
mercy on him, said: He refuses to answer what he says is prestige, and the
questioners are knocked down.
ইমাম মালিক ইবনে আনাস রাহমাতুললাহ আলাইহি এর
প্রসিদ্ধ উক্তিসমূহ
(The famous sayings of Imam Malik Ibn Anas (may
Allah have mercy on him)
Among the most famous of his statements, as stated in the
impact, were the following
- إن هذا العلم دين، فانظروا
عمن تأخذون منه .
This knowledge is a shariah. so see who you take from
- لا خير فيمن يرى نفسه في
حال لا يراه الناس لها أهلا.
There is no good in the one who sees himself in a situation that
the people do not deem her worthy.
- العلم نور لا يأنس إلا بقلب
تقي خاشع .
Knowledge is a light that does not become human except with a
pious and humble heart
- ما زهد أحد في الدنيا إلا
أنطقه الله بالحكمه
.No one has renounced in this world unless Allah utters his
wisdom
- خير الأمور ما كان منها
ضاحياً بيناً ، وإن كنت في أمرين أنت منهما في شك فخذ بالذي أوثق.
The best of things is the one who is clearly sacrificed, and if
you are in two matters of which you are in doubt, then take the one that is
most trusted
- من أحب أن يجيب عن مسألة
فليعرض نفسه على الجنة والنار ، وكيف يكون خلاصه في الآخره
.
Whoever would like to answer a question, let him offer himself
to Heaven and Hell, and how will his salvation be in the hereafter
- مثل المنافقين في المسجد
كمثل العصافير في القفص إذا فتح باب القفص طارت العصافير.
Like the hypocrites in the mosque, like the birds in the cage.
If the door of the cage is opened, the birds fly.
- بلغني أن العلماء يسألون
يوم القيامه عما يسأل عنه الأنبياء عليهم الصلاة والسلام
.
have been informed that scholars will ask on the Day of
Resurrection what the Prophets, may blessings and peace be upon them, are
asking
- إذا مدح الرجل نفسه ذهب بهاؤه .
If a man praises himself, his splendor is gone.
- ليس العلم بكثرة الرواية
، إنما هو نور يضعه الله في القلب
.Knowledge is not so much narration, but rather it is a light
that Allah puts in the heart
- طلب العلم حسن جميل ، ولكن
إنظر ما يلزمك من حين تصبح إلى أن تمسي فالزمه
.Seeking knowledge is good and beautiful, but see what you need
from the time it becomes clear until it becomes evening, then it is obligatory
- حق على من طلب العلم أن يكون له وقار وسكينة وخشيه .The right of the one
seeking knowledge to have dignity, serenity and fear
- لا ينبغي للعالم أن يتكلم
بالعلم عند من لا يطيقه ، فإنه ذل وإهانه للعلم
.
The world should not speak about knowledge to those who cannot
stand it, for it is a humiliation and insult to knowledge.
- ينبغي للقاضي ألا يترك مجالسة
العلماء وكلما نزلت به نازلة ردها اليهم وشاورهم
.
The judge should not leave sitting with scholars, and whenever
she is revealed, she answers her and consult with them.
- إذا عرض لك أمر فاتئد ،
وعاير على نظرك بنظر غيرك فإن العيار يذهب عيب الرأي ، كما تذهب النار عيب الذهب
.If a matter is presented to you, be careful, and calibrate your
eyes in the eyes of others, the caliber is the defect of opinion, just as fire
goes to the defect of gold.
- ما زال الناس هكذا : لهم
عدو وصديق ، ولكن نعوذ بالله من تتابع الألسنه كلها
.
People are still like this: they have an enemy and a friend, but
we seek refuge with God from those who follow all tongues.
- ما أحب لأحد أنعم الله عليه
إلا أن يرى أثر نعمته عليه ، وخصوصاً أهل العلم ينبغي لهم أن يظهرو مروءاتهم في ثيابهم
إجلالاً للعلم
.What is loved for someone Allah has blessed him except to
see the effect of his grace on him, especially the scholars who should show
their mirrors in their clothes in honor of knowledge
- من علم أن قوله من عمله
قل كلامه .
Who knows that his words are from his work, say his words
- الزهد في الدنيا طلب التكسب
وقصر الأمل .
Asceticism in this world, the demand for gain and the shortening
of hope
- إذا لم يكن للإنسان في نفسه
خير ما لم يكن للناس فيه خير
.a person has no good in himself that there is no good for the
people
- لا يصلح المرء حتى يترك
ما لا يعنيه ويشتغل بما يعنيه فإذا كان كذلك أوشك أن يفتح الله تعالى قلبه له
.
A person is reformed so that he leaves what he does not concern
and works with what he means. If he is so, he is about to open his heart to God
Almighty.
ইমাম বুখারী রাহমাতুললাহ আলাইহি বলেন,
وأخرج البخاري عن يحيى بن
سعيد القطان أنه قال: «مالك أمير المؤمنين في الحديث»، وأخرج الغافقي عن أبي قلابة
أنه قال: «كان مالك أحفظ أهل زمانه»، وأخرج عن ابن مهدي أنه قال: «ما رأيت أعقل من
مالك
আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রাহমাতুললাহ আলাইহি
বলেন,
كما قال فيه عبد الله بن
المبارك إمام خراسان رحمه الله:يأبى الجوابَ فما يكلم هيبةًوالسائلون نواكس الأذقانِأدب
الوقار وعز سلطان التقىفهو المطاع وليس ذا سلطانِ
ইমাম মালিক রাহমাতুললাহ আলাইহি এর মেধাশক্তি
(The Talent of Imam Malik (may Allah have mercy
on him)
ইমাম মালিক রাহমাতুললাহ আলাইহি অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। তার মেধাশক্তি ছিল প্রখর।
*আবু
কুদামাহ উবাইদুল্লাহ ইবনে সা`দ
বিন ইয়াহিয়া বিন বার্ড আল সারাকশী বলেন, ‘‘ইমাম মালিক স্বীয় যুগে সর্বাধিক মেধা শক্তি সম্পন্ন ব্যক্তি
ছিলেন।
হুসাইন বিন উরওয়াহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,‘
‘ইমাম
মালিক বলেন, একদা
ইমাম যুহুরী রাহমাতুললাহ আলাইহি আমাদের মাঝে আসলেন, আমাদের
সাথে ছিলেন রাবীয়াহ। তখন ইমাম যুহুরী রাহমাতুললাহ আলাইহি আমাদেরকে চল্লিশের কিছু
অধিক হাদীস শুনালেন।
অতঃপর পরেরদিন আমরা ইমাম ইবনে শিহাব
আল-কুরাসী আল যুহরি আবু বকর আল-মাদানী, কাছে
আসলাম, তিনি
বললেন : কিতাবে দেখ আমরা কি পরিমান হাদীস পড়েছি, আরো
বললেন, গতকাল
আমরা যে হাদীস বর্ণনা করেছি,
তোমরা
কি কিছু পড়েছ? তখন
রাবীয়া বললেন : হ্যাঁ, আমাদের
মাঝে এমনও ব্যক্তি আছেন যিনি গতকাল আপনার বর্ণনাকৃত সব হাদীস মুখস্ত শুনাতে
পারবেন। ইমাম যুহুরী বললেন : কে তিনি? রাবিয়া
বললেন, তিনি
ইবনু আবী আমীর অর্থাৎ ইমাম মালিক। ইমাম যুহুরী বললেন, হাদীস শুনাও, ইমাম
মালিক বলেন, আমি
তখন গতকালের চল্লিশটি হাদীস মুখস্ত শুনালাম। ইমাম যুহুরী বলেন, আমার ধারণা ছিল না যে, আমি ছাড়া এ হাদীসগুলো এভাবে আর দ্বিতীয় কেউ
মুখস্ত করেছে। অতএব ইমাম মালিক রাহমাতুললাহ আলাইহি এর অসাধারণ পান্ডিত্বের সাথে
গভীরভাবে জ্ঞান গবেষণা ও সংরক্ষণ সম্পর্কে আর বেশী কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না।
ইমাম মালিক এর মৃত্যু
( Date of Imam Malik Rahmatullah
Alihi)
ইমাম মালেক ১৭৯ হিজরীর রবিউল আউয়াল মাসে
(৭৯৫ খ্রিস্টাব্দে) ৮৪ বছর বয়সে মদিনাতে মৃত্যুবরণ করেন। অন্য এক বর্ননা থেকে পাওয়া যায় তিনি ১৪ সফর
১৭৯ হিজরী সনে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পর তাকে মসজিদে নববীর পাশে মাকবারাতুল বাকী
কবরস্তানে দাফন করা হয়।
قضى الإمام مالك نحبه بعد
حياة مديدة حافلة بالعلم والحديث وكان آخر كلامه عند موته 'أشهد أن لا إله إلا الله
لله الأمر من قبل ومن بعد فرحمه الله رحمة واسعة وجزاه عن الأمة الإسلامية خير الجزا
ءImam
Malik passed away after a long life full of knowledge and hadith.
:ইমাম মালিক ইবনে এর মুয়াত্তা
পরিচিতি
(Introduction to Imam Malik Ibn Muwatta )
মুয়াত্তা(الموطأ )
আরবী শব্দ যা মুতউন শব্দ হতে এসেছে।যার অর্থ হল উপর চলা,পথ চলা। পারিভাষিকভাবে যেই পথে মুত্তাকীগণ
চলেছেন তাই হল মুতউন। হাদীস বিশারদ্গণের মতে, পূর্ববর্তী
মুত্তাকীগণ যেই পথে চলেছেন তার উপর ভিত্তি করে এর নামকরণ করার হয়েছে।
سبب تسمية الموطأ بهذا الاسم
الشائع لان من قام بتأليف هذا الكتاب وطأه للناس اي بمعني ان قام باهدائه للناس ، كما ونقل عن مالك رحمه الله عليه في ذكر الموطأ
ان قال: عرضت كتالي هذا علي سبيعين فقيهاً من فقهاء المدينة، فكلهم وطأني عليه، فسميته
الموطأ.
The reason for calling Al-Muwatta 'this common name is because
whoever wrote this book had intercourse with the people, meaning that he gave
it to the people, and it was also reported from Malik, may God have mercy on
him, in mentioning al-Muwatta' if he said: I presented this following to me two
sabi'een jurists from Madinah
.الموطأ : هو واحد من دواوين
الإسلام العظيمة ، وكتبه الجليلة ، يشتمل على جملة من الأحاديث المرفوعة ، والآثار
الموقوفة من كلام الصحابة والتابعين ومن بعدهم ، ثم هو أيضا يتضمن جملة من اجتهادات
المصنف وفتاواه . وقد سمي الموطأ بهذا الاسم لأن مؤلفه وطَّأَهُ للناس
، بمعنى أنه : هذَّبَه ومهَّدَه لهم .
আমি এই কিতাবখানী মদীনার প্রায় ৭০ জন
ফকীহবিদের নিকট
পেশ করেছি। তারা সকলে আমাকে এই কিতাবের ব্যাপারে উপদেশ দিত। তাই আমি এর নাম
দিয়েছি মুয়াত্তা। সেই অর্থ থেকে মুয়াত্তার অর্থ হয় সমর্থিত, সুজ্জিত ও পুনর্বিন্যস্ত।
আব্বাসী খলীফা মানসূর ইমাম মালিককে ডেকে
বললেন, তিনি
যেন তার নিজের কাছে প্রমাণিত এবং সহীহরুপে সাব্যস্ত হাদীসসমূহ সংকলন করেন। এবং তা
যেন একখানি গ্রন্থরুপে তা প্রণয়ন করেন এবং তা যেন লোকদে ব্যবহারিক জীবনের জন্য
নির্দিষ্ট করে দেন।
অতঃপর তিনি তার এই গ্রন্থ প্রণয়ন করেন এবং
তার নাম নির্দিষ্ট করেন “আল-মুয়াত্তা”।
ইমাম মালিক রাহমাতুললাহ আলাইহি ‘মুয়াত্ত্বা’-ই
সর্ব প্রথম হাদীসের উল্লেখযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য সংকলন, যদিও এর আগে হাদীসের জগতে কিছু ছোট ছোট সংকলন লেখা শুরু হয়। এই গ্রন্থে
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদীস, সাহাবী ও তাবেঈদের হাদীস এবং মদীনাবাসীর ইজমা
সহ অনেক ফিকহী মাসআলা বিশুদ্ধ সনদের আলোকে সংকলন করেন।
তিনি দীর্ঘদিন সাধনার পর, কেউ বলেন চল্লিশ বৎসর সাধনার পর এ মূল্যবান
গ্রন্থ সংকলন করেন। সে সময় বিশুদ্ধতার দিক দিয়ে হাদীসের গ্রন্থ ‘মুয়াত্ত্বা’ খুবই
জনপ্রিয়তা লাভ করে। ইমাম শাফেয়ী
রাহমাতুললাহ
আলাইহি বলেন, ‘
‘কিতাবুল্লাহ
অর্থাৎ কুরআন এর পরই সর্ব বিশুদ্ধ গ্রন্থ হল ইমাম মালিকের ‘মুয়াত্ত্বা’ইমাম
মালিক ইবনে আনাস রাহমাতুললাহ আলাইহি মুয়াত্তা গ্রন্থ সংকলন করেন । সহীহ বুখারী ও
সহিহ মুসলিম সংকলনের পূর্বে মুয়াত্ত্বাই সর্ব বিশুদ্ধ গ্রন্থ ছিল। অবশ্য এখন সহীহ
বুখারী সর্ববিশুদ্ধ হাদীস গ্রন্থ।
وعامة الحديث الصحيح في
الموطأ قد أخرجه البخاري ومسلم في صحيحيهما. وفيه أحاديث جيدة لكنها ليست على شرط الصحيحين.
وفيه أحاديث ضعيفة غالباً بسبب انقطاع سندها أو بسبب جهالة رواتها
ইমাম মালিক রাহমাতুললাহ আলাইহি এই গ্রন্থটি
প্রণয়নের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন।
ইমাম জালালুদ্দীন আস সুয়ূতী ইবনুল হুবাব আবু
আল-হুসেন যায়েদ বিন আল-হাবাবব বিন আল রায়য়ান আল-আকলি আল-খোরাসানী এর সূত্রে
উল্লেখ করে বলেন, ইমাম
মালিক রাহমাতুললাহ আলাইহি এখনে সর্বপ্রথম এক লাখ হাদীস বর্ণনা করেন। তা থেকে দশ
হাজার হাদিস নিয়ে মুয়াত্তা গ্রন্থ প্রণয়ন করেন।অতঃপর তিনি সেই গ্রন্থকে
কুরআন-সুন্নাহের আলোকে যাচাই করেন।সাহাবীদের আসার ও অন্যান্য খবর এর ভিত্তিতেও তার
পরীক্ষা করেন।শেষ পর্যন্ত তাতে মাত্র পাচশ হাদীস সন্নিবেশিত হয়।
ইমাম সুয়ূতী আতীক বিন ইয়াকুব (আতিক বিন
ইবনে ইয়াকুব মাদাইনী আল-জুবায়েরী আবু বকর) , থেকে
নিম্নোক্ত বর্ণনা করেন, ইমাম
মালিক প্রায় দশ হাজার হাদীস নিয়ে মুয়াত্তা প্রণয়ন করেন।অতঃপর তার প্রতি
দৃষ্টিপাত করতেন এবং যাচাই বাছাই করে হাদীস প্রত্যাহার করতেন এবং শেষে তা বর্তমান
রুপে ধারন করে।
এই গ্রন্থ রচনা করতে কত সময় লাগে সেই
ব্যাপারে মুহাদ্দিসগণ বলেন, ইমাম
মালিকের এই গ্রন্থ প্রণয়নে প্রায় ৪০ বছর লেগে যায় এবং দীর্ঘ সময় ধরে তিনি তার
যাচাই-বাছাই করতে থাকেন এবগ্ন কাট-ছাট করতে থাকেন এবং তা সুসংবদ্বরুপে, সজ্জিত,নির্ভুল
ও শৃংখলিত করতে ব্যস্ত ছিলেন।
উপরের ইবনুল হুবাবের সূত্রে উল্লেখিত ইমাম সুয়ূতী্র।
উদ্বৃতি হতে জানা যায় যে, ইমাম
মালিক (রঃ) প্রায় দশ হাজার হাদীসের মধ্য থেকে ৫০০ হাদীস তার গ্রন্থে সংকলন
করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মুয়াত্তা গ্রন্থে কতটি হাদীস সন্নিবেশিত হয়েছে তার
সঠিক হিসাব জানা যায় নাই। ইমাম সুয়ূতীর বর্ণনা থেকে জানা যায় যে, মুয়াত্তা গ্রন্থে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম সাহাবায়ে কেরাম ও তাবিয়ীদের থেকে বর্ণিত হাদীস সংখ্যা হল (১৭২০) এক হাজার সাত শত দশটি।
তন্মধ্যে
*মারফু হাদীস ৩০০টি
মারফুঃ যে হাদীসের সনদ বা সূত্র রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত পৌঁছেছে তাকে ‘মারফু হাদীস’ বলে।
যে সূত্রের মাধ্যমে স্বয়ং রাসূলের কোন কথা, কোন
কাজ করার বিবরণ কিংবা কোন বিষয়ের অনুমোদন বর্ণিত হয়েছে, সে সনদের ধারাবাহিকতা রাসূল করীম (স) থেকে
হাদীস গ্রন্থ সংকলনকারী পর্যন্ত সুরক্ষিত হয়েছে এবং মাঝখান থেকে একজন বর্ণনাকারীও
বাদ পড়েনি তা ‘হাদীসে মারফু’ নামে পরিচিত।)
মুরসাল হাদীস হল ২২২টি
,(মুরসাল:
হাদীস বর্ণনা করতে গিয়ে যদি সনদের শেষাংশের রাবীর নাম বাদ পড়ে যায় তবে তাকে ‘মুরসাল’ বলে।)
*মওকূফ
হাদীস হল ৬১৬টি (মওকুফঃ যদি কোন হাদীসের সনদ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
. পর্যন্ত না পৌঁছে, সাহাবী
পর্যন্ত গিয়েই স্থগিত হয়-। এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো যা স্বয়ং সাহাবীর হাদীস বলে
সাব্যস্ত হয় তাকে ‘হাদীসে মওকুফ’ বলে।)
*মাকতু হাদীস ( তাবিয়ীদের হল)
২৮৫টি
(মাকতুঃ
যে হাদীসে রাবীদের ধারাবাহিকতা কোন তাবেয়ী পর্যন্ত পৌঁছেছে। তাবেয়ীর হাদীস বলেই প্রমাণিত
হয়েছে তাকে ‘হাদীস মাকতু’ বলে।)
ইমাম আবু মুহাম্মদ আলী বিন আহমদ বিন সাদ বিন
হাজম বিন গালিব বিন সালেহ বিন খালাফ বিন মাদন বিন সুফিয়ান বিন ইয়াজিদ
আল-আন্দালুসী রাহমাতুললাহ আলাইহি বলেন,
আমি মুয়াত্তা গ্রন্থের হাদীস গণনা
করেছি।গণনা করে যা পেলাম মুসনাদ হাদীস ৫০০ এর চেয়ে কিছু বেশী এবং মুরসাল ৩০০ এর
মত।
এছাড়া ৭০টি হাদীস এমন আছে যে, যার অনুসরণ ইমাম মালিক(রঃ) নিজেও বর্জন করেছিলেন।
মুয়াত্তা গ্রন্থখানা এত বেশী জনপ্রিয়তা লাভ
করেছিল যে, আব্বাসীয়
খলিফা আল-মানসুর বলেছিলেন
,‘আমি
সংকল্প করেছি, আপনার
রচিত হাদিস গ্রন্থ অসংখ্য কপি তৈরী করে প্রতিটি মুসলমান শহর ও নগরে একটি করে
পাঠিয়ে দেব এবং এর ভিত্তিতে আমল করতে সবাইকে নির্দেশ দেব।
কিন্তু ইমাম মালিক রাহমাতুললাহ খলিফা আল-মানসুরের এ
প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। খলিফা হারুন-অর-রশিদও মুয়াত্তা গ্রন্থকে বিশেষ
ব্যবস্থায় কাবাঘরে লটকিয়ে রাখার এবং সে অনুযায়ী জনগণকে আমল করার জন্য নির্দেশ
দেওয়ার সংকল্প করেছিলেন। ইমাম মালিক (রহঃ) খলিফা আল-মানসুরের এ সিদ্ধান্তও মেনে নেননি।
ইমাম মালিক ইবনে আনাস রাহমাতুললাহ আলাইহি গ্রন্থ
সমূহের বর্ননা
(Books of Imam Malik Ibn Anas )
لم يُعرف الإمامُ مالكٌ
بكتاب أكثر شهرة من كتابه الموطأ، وكثير من الناس لا يعلم له غيره، والواقع أن له تآليف
غير الموطأ، قال ابن فرحون في كتابه "الديباج المذهب": «فمن أشهرها -غير
الموطأ-
Imam Malik is not known for a book more famous than his book
Al-Muwatta ', and many people do not know anything else about him, and the fact
that he has authors other than al-Muwatta', Ibn Farhoun said in his book
“Al-Dibaj Al-Madhab”:
*موطأ
(মুয়াত্তা
)
* رسالته في القدر، ( রিসালাতুহু ফিল কাদর)
والرد على القدرية،
( আর
রাদ্দূ আলাল কাদরিযা)
*: رسالته في الأقضية،
(রিসালাতুহু
ফিল উকদিযাহ)
:سالته أبي غسان محمد بن مطرف،
(রিসালাতুহু
ইলা গাসসান মুহাম্মদ ইবন মাতরাফ)
*: رسالته إلى هارون الرشيد في الآداب والمواعظ، ( রিসালাতুহু ইলা হারুন অর
রশিদ ফিল ওয়া মাওযাযেজ)
*: كتابه في التفسير لغريب القرآن( কিতাবুহ ফিত তাফসীর লি
গারিবুল কুরআন )
As for breaking the pulpit of the Messenger of God, may God
bless him and grant him peace, and taking it from substance, gold and silver, I
do not see that people deprive the impact of the Prophet, may God bless him and
grant him peace
মুআত্তা মালিক এর ব্যখ্যা গ্রন্থ
(Explanation of Muwatta Malik)
*১)
আল হাফিয আল কাযী আবু বকর মুহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ বিন আল-আরবি আল-মাফের
(القبس في شرح موطأ مالك
بن أنس،)
*২)আবু
ওমর ইউসুফ বিন আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ বিন আবদ-বার বার বিন আসিম আল-নিম্রি আল
কুরতুবী,
(«التمهيد، لما في الموطأ
من المعاني والأسانيد» و«الاستذكار، لمذاهب فقهاء الأمصار وعلماء الأقطار، فيما تضمنه
الموطأ من معاني الرأي والآثار)
*৩)আবু
মুহাম্মদ আবদুল্লাহ বিন মুহাম্মাদ বিন আল-সায়েদ আল-বাত্তালিয়োসি আল-মালিকি,
(«المقتبس، شرح موطأ مالك
بن أنس»)
*৪)মুহাম্মদ
বিন আবদুল্লাহ বিন আহমেদ, সুপরিচিত
কাযী আবু বকর বিন আল-আরবী আল-মালেকি আল-মা'ফারি
আল-আন্দালুসি,
(«المسالك في شرح موطأ مالك»،
و«القبس على موطأ مالك بن أنس»)
*৫)« জালালউদ্দিন আবদুল রহমান বিন আবি বকর আল
সুয়ুতি আল শাফেয়ী
(كشف المُغطَّا عن الموطا)
*৬)জালালউদ্দিন
আবদুল রহমান বিন আবি বকর আল সুয়ুতি আল শাফেয়ী
و«تنوير الحوالك»
*৭))জালালউদ্দিন
আবদুল রহমান বিন আবি বকর আল সুয়ুতি আল শাফেয়ী
«إسعاف المُبَطَّأ برجال
الموطأ
*৮)জালালউদ্দিন
আবদুল রহমান বিন আবি বকর আল সুয়ুতি আল শাফেয়ী
(تجريد أحاديث الموطأ»)
*৯)মুহাম্মদ
আল তাহের ইবনে আশুর,
(كشف المغطى من المعاني والألفاظ
الواقعة في الموطا)
*১০)
ইবন আসাকির রাহমাতুললাহ আলাইহি
(كشف المغطا عن فضل الموطأ)
*১১)
মুহাম্মদ আল তাহের ইবনে আশুর
, (كشف المغطى من المعاني والألفاظ
الواقعة في الموطا)
*১২)উমর
বিন আহমেদ বিন আলী আল-শামা আল-হালাবী আল-শাফিয়াই,,
.১৩)মোস্তফা
বিন আবদুল্লাহ, হাজী
খলিফা
(«إتحاف العابد الناسك بالمنتقى
من موطأ مالك)
* ১৪)
মুহাম্মদ ইবন হাসান শায়বানী,
(«الفتح الرحماني، شرح موطأ)
*১৫)
ইব্রাহিম বিন হুসেন বিন আহমদ আল হানাফী,
(شرح على الموطأ برواية محمد
بن الحسن الشيباني.)
*১৬)সাঈদ
বিন মুহাম্মদ আল-কামিলী রাহমাতুললাহ আলাইহি, (شرح موطأ الإمام مالك)
২০)
*১৭)আব্দুল
করিম আব্দুল্লাহ,
(شرح موطأ الإمام مالك)
১৮)আবুল ওলিদ বাজী আবু আল-ওয়ালিদ সুলাইমান
বিন খালাফ বিন সাদ বিন আইয়ুব আল-তাজবি, (المنتقى في شرح موطا)
২০)ইবনে আবদ আল বার; ইউসুফ বিন আব্দুল্লাহ বিন মুহাম্মদ বিন আবদুল
বার আল-নিম্রি আল কুরতুবী আল-মালিকি, আবু
ওমর,
(الاستذكار الجامع لمذاهب
فقهاء الأمصار وعلماء الأقطار فيما تضمنه الموطأ من معاني الرأي والآثار)
২১)আবূল ওলিদ ইবহ সাফা, (الموعب)
২২) আয যুরকানী আব্দুল বাকী বিন ইউসুফ বিন
আহমদ আল-জারকানী, আবু
মুহম্মদ, (شرح موطأ الإمام مالك )
২৩) শাহ ওযালী উল্লাহ্ দেহলভী, আহমদ বিন আবদুল রহিম ইবনে ওয়াজিহ আল-দ্বীন
বিন মুকাম বিন মনসুর, (كتاب المصفى شرح الموطأ)
*،২৫) শাহ ওযালী উল্লাহ্ দেহলভী, আহমদ
বিন আবদুল রহিম ইবনে ওয়াজিহ আল-দ্বীন বিন মুকাম বিন মনসুর
(المسوى شرح الموطأ) .
২৬)ইয়াহইয়া বিন ইব্রাহিম ইবনে মুজাইন
আল-কুরতুবী,
(تفسير الموطأ) ,
২৭)শেখ আহমদ বিন নসর আল-দাওদী আল-আসাদি
আল-মালিকি,
(النامي في شرح الموطأ)
২৮) আবী আবদুল্লাহ মুহাম্মাদ বিন ইয়াহিয়া
বিন আল-আজহার আল-তামিমি,(الاستنباط لمعاني السنن والأحكام من أحاديث الموطأ)
২৯)আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ
ইবনে আবী জয়নাইন আল-মারি আল-আলবরিি
, (ترتيب المدارك)
৩০)(আবু আল-ওয়ালিদ ইউনূস বিন আবদুল্লাহ ইবনে
মুহাম্মাদ বিন মুগিত আল-কুরতুবী,
(الملخص
)
৩১)আবদুল্লাহ ইবনে ওয়াহাব আল-মাসরি
,(تفسير غريب الموطأ)
৩২)মালিক বিন ইয়াহিয়া বিন ওয়াহিব, আল-আন্দালুসি( (التبصير في اختصار التمهيد),
৩৩)আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে ফকীহ আইয়াদ, (تسمية الرجال المذكورين بالموطأ),
৩৪)আবী আবদুল্লাহ মুহাম্মাদ বিন ইয়াহিয়া
বিন আল-আজহার আল-তামিমি),
:(الاستنباط لمعاني السنن والأحكام من
أحاديث الموطأ)
৩৪) কাযী আয়াযআবু আল-ফাদল আইয়াদ ইবনে মুসা ইবনে
আইয়াদ ইবনে আমর ইবনে মুসা ইবনে আইয়াদ, (الاستيفاء في شرح الموطأ)
৩৫)অসীম ইবনে আইয়ুব আল-বাত্তজি)
আন্দালুসিয়ান ব্যাকরণ,
(اختلاف الموطأ)
৩৫) ইমাম দারা কুতনু, (غرايب موطأ )
ইমাম মালিক ইবনে আনাস এর মুয়াত্তা বর্ননার পদ্বতি
(Imam Malik's Muwatta Compilation Method)
ইমাম মালিক ইবনে আনাস রাহমাতুললাহ আলাইহি
দীর্ঘ চল্লিশ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম করে প্রথম পর্যায়ে দশ হাজার হাদীস সংকলন করেন।
দীর্ঘ সময় যাচাই বাছাই করে মাত্র এক হাজার সাত শত বিশ্টি হাদীস রেখে চূড়ান্ত
করেন মুয়াত্তা মালিক গ্রন্থের। এ সময় কিতাব রচনা করতে যে পদ্ধতি অবলম্বন করেন তা
নিম্নোক্ত :
ক) মদীনাবাসীর বর্ণনার উপর ভিত্তি করে রচনা
মুয়াত্তা হল ইমাম মালিক( রাহমাতুললাহ আলাইহি
কর্তৃক সংকলিত সর্বপ্রথম হাদীস গ্রন্থ। এই হাদীসগ্রন্থটি পুরোপুরিভাবে
মদীনাবাসীদের বর্ণনার ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়েছে।
এই হাদীসগ্রন্থটির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল
এই যে, এই
গ্রন্থ প্রণয়নের জন্য ইমাম মালিক রাহমাতুললাহ আলাইহি কে মদীনার বাইরে গমন করতে হয়
নি
।وكان مالك يعلم الضعف التي فيها، لكن كان منهجه أن الحديث المشتهر بين
أهل المدينة يُحتج به وإن كان منقطعاً. ففي سنن الدارقطني
মদীনার লোকেরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তার সাহাবাদের সবচেয়ে সান্নিধ্য অবস্থান করতেন। তাই
তাদের কাছে থেকে অতি সহজে তা গ্রহণ করা যায়।
عَن أَبِى هُرَيرَةَ رضي
الله عنه أن النبيّ صلى الله عليه وسلم قال (يُوشِكُ أَن يَضْرِبَ النَّاسُ أَكبَادَ
الإِبِلِ يَطلُبُونَ العِلمَ فَلاَ يَجِدُونَ أَحَدًا أَعلَمَ مِن عَالِمِ المَدِينَةِ)
رواه الترمذي وقَالَ هذا حَدِيثٌ حَسَنٌ.
On the authority of Abu Huraira, may God be pleased with him,
that the Prophet, may God’s prayers and peace be upon him, said: “People are
about to hit camel livers
খ) ক্রমানাসুরে হাদীস বিন্যাসকরন
১) প্রথমে এখানে মহানবী হযরত মুহাম্মদ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদীস- কথা ও কাজ এবং অনুমোদন।।
২)সাহাবাদের রাদিয়াল্লাহু আনহুম কথা
৩)তাবিঈদের কুরআন-হাদীসভিত্তিক ফাতওয়া এভাবে
ক্রমানুসারে সাজানো হয়েছে।এভাবে সজ্জিত করার জন্য অনেকেই মুয়াত্তা থেকে বর্ননা
করেন।
গ) সনদের বিশুদ্বুতার বিবেচনা
১)মুয়াত্তা গ্রন্থের সর্বাপেক্ষা উত্তম সনদ
হল জোড়া সনদ। যা মাত্র দুটি সনদের মাধ্যমে বর্ণিত হয়। যেমন মালিক নাফি, নাফি বিন উমর রাহমাতুললাহ আলাইহি এর সনদ হল
হাদীস জগতে স্বর্ণ সনদ।
সনদের বিচারের দিক দিয়ে মুয়াত্তার স্থান
সবার আগে। কারণ এখানে তার থেকে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত
তিনের অধিক কখনও অতিক্রম করেনি। সংকলন করা গ্রন্থের মধ্যে ইমাম মালিক ইবনে আনাস
রাহমাতুললাহ আলাইহি এর সনদ শক্তিশালী।
২)একটি হাদীসে যত বেশী বর্ণনাকারী থাকবে তার
সনদের বিশুদ্বতা নিয়ে অনেক প্রশ্ন থাকবে। কিন্তু এই গ্রন্থের একটী বিশেষ
বৈশিষ্ট্য হল এখানে সাহাবা, তাবিঈ
এবং তাবী-তাবিঈ পর্যন্ত একটি হাদীস বর্ণিত হওয়ার পর তা গ্রন্থে লিপিবদ্ব হয়। তাই
সনদের বিশুদ্বতা এই গ্রন্থে অন্যান্য গ্রন্থেগুলোর তুলনায় অত্যাধিক।
ঘ) ইমামের নিজ হাতে সংকলন
১)এই গ্রন্থের জনপ্রিয়তা তৎকালীন ইমাম আবূ
হানীফার কিতাবুল আসার, ইমাম
শাফিঈ ও ইমাম আহমদ এর মুসনাদ থেকে অধিক জনপ্রিয় ছিল।
২)ইমাম মালিক ইবনে আনাস রাহমাতুললাহ আলাইহি
এই গ্রন্থটি তিনি এই গ্রন্থটিকে কাট-ছাট করে, যাচাই-বাচাই
করে অত্যন্ত সুন্দরভাবে তা প্রকাশ করেন।
ঘ) বর্ণনারীদের আধিক্য দৃষ্টিকোণ থেকে
১)এই গ্রন্থের কথা প্রায় ১০০০ ব্যক্তি
বর্ণনা করেছেন। এতে প্রমাণিত হয় যে, সেই
সময় ইসলামী সমাজে মুয়াত্তা ব্যাপকভাবে সমাদৃত ছিল। জনগণ তা সাদরে গ্রহণ করেছিল।
বর্ণনাকারীদের আধ্যিকের কারণে এই গ্রন্থের গ্রহণযোগ্যতা বেশী।
চ) ব্যাখ্যাগ্রন্থের আধিক্যঃ
মুয়াত্তা গ্রন্থের ব্যাখ্যা গ্রন্থ অসংখ্য।
এর সংখ্যা প্রায় ৩০০ এর অধিক হবে। ইমাম হাবীব মালিকি সর্বপ্রথম এই গ্রন্থের
ব্যাখ্যা লিখেন
(الفقه الملكي أبو مروان ، عبد الملك بن حبيب بن سليمان بن هارون بن
جاهمة بن الصحابي عباس بن مرداس ، السلمي العباسي الأندلسي القرطبي المالكي)
, অতঃপর
আব্দুর বার(التمهيد لما في الموطأ من المعاني والأسانيد هو كتاب في الفقه المالكي، ألفه الحافظ ابن عبد البر (368-463
যারকানী
(عنوان الكتاب: شرح الزرقاني على الموطأ وبهامشه سنن أبي داود المؤلف:
الزرقاني؛ محمد بن عبد الباقي بن يوسف بن أحمد بن علوان الزرقاني المصري الأزهري المالكي،
أبو عبد الله حالة الفهرسة: مفهرس فهرسة كاملة)
এবং আবূ বকর ইবনুল আরাবী
(الكتاب: المسالِك في شرح
مُوَطَّأ مالك المؤلف: القاضي محمد بن عبد الله أبو بكر بن العربي : 543هـ)
প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ তার ব্যাখ্যাগ্রন্থ সংকলন
করেন। (شرح الزرقاني على موطأ الإمام مالك)
ছ) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম এর ভবিষৎবাণী
বিভিন্ন স্থান থেকে অসংখ্য পণ্ডিতবর্গ
মদীনাতে এসে মুয়াত্তার শিক্ষা গ্রহণ করত। রাসূলুল্লাহ(সাঃ) তার এই হাদীস গ্রন্থের
ব্যাপারে পূর্বে ভবিষৎ বাণী করেছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
وفي رواية لمسلم:
"وَلَا يُرِيدُ أَحَدٌ أَهْلَ الْمَدِينَةِ بِسُوءٍ، إِلَّا أَذَابَهُ اللهُ فِي
النَّارِ ذَوْبَ الرَّصَاصِ، أَوْ ذَوْبَ الْمِلْحِ فِي الْمَاءِ"
সেই সময় খুব দূরে নয় যখন জনগণ ইসলাম
হাসিলের জন্য উষ্ট্রপিঠ হতে দূর দূর দেশ সফর করবে এবং তারা মদীনায় অবস্থানকারী
আলিমের চেয়ে আর বড় আলিম কাউকে পাবে না।
ইবনে উয়াইয়া এবং আব্দুর রাযযাক এই কথা
নিঃসন্দেহে স্বীকার করে নিয়েছে যে, এখানে
যেই আলেমের কথা বলা হয়েছে তিনি হলেন, ইমাম
মালিক রাহমাতুললাহ আলাইহি
মুয়াত্তার ব্যাপারে বিশেজ্ঞ আলেমদের মতামত
-(Opinions of expert scholars on Muwatta-
)
ইমাম শাফিঈ রাহমাতুললাহ আলাইহি এই মুয়াত্তা
গ্রন্থের প্রতি বিশেষ সম্মান প্রদর্শন করে বলেন, (আল-কুরআনের পর মুয়াত্তা থেকে অধিক বিশুদ্ব গ্রন্থ আর কিছুই
হতে পারে না।)
আবূ জুরয়া রাহমাতুললাহ আলাইহি বলেন, (এতখানি আস্থা ও নির্ভরতা অপর কোন কিতাবের উপর
স্থাপিত হয় নাই।)
*শাহ
ওয়ালীউল্লাহ দেহলভী রাহমাতুললাহ আলাইহি এবং তার পুত্র শাহ আব্দুল আযীয বলেন,
(মুয়াত্তা
হল সহীহায়নের মাতা।)
*এই
হাদীস গ্রন্থে বুখারী ও মুসলিমের চেয়ে প্রায় দশ গুণ হাদীস বেশী থাকলেও
হাদীসগ্রন্থ বিন্যাস করার পদ্বতি,
সনদ
বিচার করার নিয়ম ও হাদীস হতে ফিকহ বের করার নিয়ম তার এই মুয়াত্তা থেকে বের
হয়েছে।
*(হাফিয
ইবন আসকালানী রাহমাতুললাহ আলাইহি বলেন,
ইমাম মালিকের মুয়াত্তা গ্রন্থটি তার এবং তার
অনুসারীদের মতে সহীহ। কেননা তার দৃষ্টিতে মুরসাল, মুনকাতি
ইত্যাদি হাদীস উল্লেখযোগ্য।)
শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলভী রাহমাতুললাহ আলাইহি
(১১৭৬হি/ ১৭৬২খৃ) হাদীসের গ্রন্থগুলোকে পাঁচটি পর্যায়ে ভাগ করেছেন।
*প্রথম
পর্যায়ে তিনটি গ্রন্থ: সহীহ বুখারী, সহীহ
মুসলিম ও মুয়াত্তা ইমাম মালিক। এ গ্রন্থগুলোর সকল সনদসহ বর্ণিত হাদীস গ্রহণযোগ্য
বলে প্রমাণিত।
*দ্বিতীয়
পর্যায়ের গ্রন্থগুলো মোটামুটি গ্রহণযোগ্য বলে প্রমাণিত হলেও সেগুলোতে কিছু
অনির্ভরযোগ্য হাদীসও রয়েছে। মোটামুটিভাবে মুসলিম উম্মাহ এসকল গ্রন্থকে গ্রহণ
করেছেন ও তাদের মধ্যে এগুলো প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। এ পর্যায়ে রয়েছে তিনখানা গ্রন্থ:
সুনানে আবী দাউদ, সুনানে
নাসাঈ, সুনানে
তিরমিযী। ইমাম আহমদের মুসনাদ
মুয়াত্তা মালিক গ্রন্থের বৈশিষ্ট্যাবলী
(Features of Muwatta Malik)
মুয়াত্তা মালিক সহীহ সনদে হাদীস বর্ণনা করা
হয়েছে। যেমন,-ইমামইমাম
আল-হাফিজ আবু আল-হাসান আলী বিন ওমর বিন আহমাদ বিন মাহদী বিন মাসউদ বিন নুমান বিন
দীনার বিন আবদুল্লাহ আল বাগদাদী,
এবং
তাকে আল-দারাকুতনি ( غراب موطأ) গ্রন্থের মধ্যে বলেন,
এ গ্রন্থের বেশিরভাগ হাদীস যদি সহীহ না হয়
তবে সেগুলি ইমাম
মালিক রাহমাতুললাহ আলাইহি কাছে দায়ী করা হয়
(وإن كان أكثر أحاديث هذا
الكتاب لا يصح إسنادها لمالك). *
*আবু
মুহাম্মদ আলী ইবনে আহমদ ইবনে সাইদ ইবনে হাযম বলেন,( "مراتب الديانة) গ্রন্থে বলেন
(أحصيتُ ما في الموطأ فوجدت
من المسند خمسمئة ونيّف. وفيه ثلاثمئة ونيف مرسلاً. وفيه نيف وسبعون حديثاً قد ترك
مالك نفسُه العمل بها.)
অর্থ :আমি মুয়াত্তা গ্রন্থ হিসাব করে দেখলাম
এখানে পাচ শত বেশি মুসনাদ এবং তিনশতের বেশি মুরসাল হাদীস আর সত্তরের বেশি হাদীস
যার উপর ইমাম মালিক ইবনে আনাস আমল থেকে বিরত রয়েছে।
. ويًنقل عن مالك أنه قال: «سمعت من ابن شهاب أحاديث كثيرة، ما حدّثت
بها قط، ولا أحدّث بها». فقيل له: لم؟ فقال: «ليس عليها العمل»!
ইমাম মালিক থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি ইবন শিহাব থেকে অনেক হাদীস শুনেছি কিন্তু
বর্ননা করিনি। তাকে জিজ্ঞেস করা হলো কেন? উত্তরে
তিনি বললেন, এর
উপর কোন আমল করা হয়নি।
*রাবীদের
সমালোচনায় তার মানহাজ
ইমাম মালেক রাহমাতুললাহ আলাইহি নিজের এলাকার রাবীদের তিনি সমস্যা থাকলে
সমালোচনা করেন। তিনি
কঠোরতার সাথে এ ব্যাপারে মধ্যপন্থী ছিলেন।
كان مالك ممن اعتنى بنقد الرجال خاصة
أهل بلده، وهو معتدل مع بعض التشدد.
,আবু
মুহাম্মাদ সুফিয়ান ইবনে উয়াইনাহ ইবনে মায়মুন আল হিলালি আল-কুফি বলেন, ইলমুল রিজালে ইমাম মালিক ইবনে আনাস
রাহমাতুললাহ আলাইহি খুব কঠোর ছিলেন। তিনি এ ব্যাপারে অভিজ্ঞ ছিলেন।
قال ابن عيينة : «ما كان أشد انتقاد مالك
للرجال وأعلمه بشأنهم»
আহমদ বিন আলী বিন মুহাম্মদ, ইবনে হাজার আসক্বালানী বলেন,
في بعض الرواة: «قد اعتمده
مالك مع شدة نقده». وقد شاع أن كل ما في الموطأ ثقات، وهو غلط، وإنما قيل أن ما روى
عنه مالك (بغير واسطة) فهو ثقة، وهو غلط كذلك. فقد روى عن جماعة من الضعفاء
ইমাম মালিক তার সমালোচনার কিছু রাবীদের তীব্রতার সাথে এটি গ্রহণ করেছেন
।" বলা
হয়েছে যে মুওয়াত্তার সমস্ত কিছু বিশ্বাসযোগ্য। আসলে এটা এটি ভুল,। বলা হয়েছে যে মালিক যা বর্ণনা করেছেন বিশ্বাসযোগ্য এবং এটিও
ভুল। এটি
যেমন রাবীদের
একটা দূর্বল দলের থেকে বর্ননা করা হয়েছে। যেমন -
عبد الكريم بن أبي المخارق
أبي أمية البصري
عبد الله بن لهيعة
عاصم بن عبيد الله
شريك بن أبي نمر
عطاء الخراساني
داود بن الحصين الأموي
عمرو بن أبي عمرو
وهذا الأخير – واسمه ميسرة
– مولى المطلب بن عبد الله بن حنطب القرشي، ضعفه ابن معين رغم أنه من شيوخ مالك
১) মদীনাবাসীর বর্ণনার উপর ভিত্তি করে রচিতঃ
মুয়াত্তা হল ইমাম মালিক ইবনে আনাস
রাহমাতুললাহ আলাইহি কর্তৃক সংকলিত সর্বপ্রথম হাদীস গ্রন্থ।
(قال مالك: «شهرةُ الحديث بالمدينة تغني
عن صحة سنده». وهذا أمرٌ لم يوافقه عليه أحدٌ من أهل الحديث.)
এই হাদীসগ্রন্থটি পুরোপুরিভাবে মদীনাবাসীদের
বর্ণনা সংকলন করা হয়েছে। এই হাদীসগ্রন্থটির একটি বৈশিষ্ট্য হল এই গ্রন্থ প্রণয়নের জন্য ইমাম মালিক
(রাহমাতুললাহ আলাইহি কে মদীনার বাইরে গমন করার প্রয়োজন হয়নি।
২) ক্রমানাসুরে হাদীস
বিন্যস্ত
এই গ্রন্থের, প্রথমে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর
হাদীস- কথা ও কাজ এবং এরপর সাহাবাদের কথা এবং এরপর তাবিঈদের কুরআন-হাদীসভিত্তিক
ফাতওয়া এভাবে ক্রমানুসারে সাজানো হয়েছে।
৩) সনদের বিশুদ্বুতা ভিত্তিতে
মুয়াত্তা গ্রন্থের মাত্র দুটি সনদের মাধ্যমে হাদীস বর্ণনা করা হয়। ইমাম মালিক নাফি, নাফি বিন উমর (রাঃ) এর সনদ হল হাদীস জগতে
স্বর্ণ সনদ।
সনদের বিচারের দিক দিয়ে মুয়াত্তার স্থান
সবার আগে। কারণ এখানে তার থেকে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত
তিনের অধিক কখনও অতিক্রম করে নাই। কারণ একটি হাদীসে যত বেশী বর্ণনাকারী থাকবে তার
সনদের বিশুদ্বতা নিয়ে অনেক প্রশ্ন থাকবে। কিন্তু এই গ্রন্থের একটী বিশেষ
বৈশিষ্ট্য হল এখানে সাহাবা, তাবিঈ
এবং তাবী-তাবিঈ পর্যন্ত একটি হাদীস বর্ণিত হওয়ার পর তা গ্রন্থে লিপিবদ্ব হয়। তাই
সনদের বিশুদ্বতা এই গ্রন্থে অন্যান্য গ্রন্থেগুলোর তুলনায় অত্যাধিক।
৪)ইমামের নিজ হাতে সংকলিতঃ
ইমাম মালিক ইবনে আনাস রাহমাতুললাহ আলাইহি এই
গ্রন্থটি নিজ হাতে সংকলন করেন। ইমাম মালিক আর কেউ সহস্তে তা লিখে নাই। তিনি এই
গ্রন্থটিকে কাট-ছাট করে, যাচাই-বাচাই
করে অত্যন্ত সুন্দরভাবে তা প্রকাশ করেছিলেন।
*৫)অধিক সংখ্যক বর্ণনারী
এই গ্রন্থের কথা প্রায় ১০০০ ব্যক্তি বর্ণনা
করেছেন। এতে প্রমাণিত হয় যে,
সেই
সময় ইসলামী সমাজে মুয়াত্তা ব্যাপকভাবে সমাদৃত ছিল। জনগণ তা সাদরে গ্রহণ করেছিল।
বর্ণনাকারীদের আধ্যিকের কারণে এই গ্রন্থের গ্রহণযোগ্যতা বেশী।
৬) ব্যাখ্যাগ্রন্থের আধিক্য
মুয়াত্তা গ্রন্থের ব্যাখ্যা গ্রন্থ অসংখ্য।
এর সংখ্যা প্রায় ৩০০ এর অধিক হবে। ইমাম হাবীব মালিকি সর্বপ্রথম এই গ্রন্থের
ব্যাখ্যা লিখেন, অতঃপর
আব্দুর বার, যারকানী
এবং আবূ
বকর ইবনুল আরাবী প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ তার ব্যাখ্যাগ্রন্থ সংকলন করেন।
রাসূলুল্লাহ(সাঃ) এর ভবিষৎবাণীঃ
বিভিন্ন স্থান থেকে অসংখ্য পণ্ডিতবর্গ
মদীনাতে এসে মুয়াত্তার শিক্ষা গ্রহণ করত। রাসূলুল্লাহ(সাঃ) তার এই হাদীস গ্রন্থের
ব্যাপারে পূর্বে ভবিষৎ বাণী করেছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
সেই সময় খুব দূরে নয় যখন জনগণ ইসলাম
হাসিলের জন্য উষ্ট্রপিঠ হতে দূর দূর দেশ সফর করবে এবং তারা মদীনায় অবস্থানকারী
আলিমের চেয়ে আর বড় আলিম কাউকে পাবে না।
ইবনে উয়াইয়া এবং আব্দুর রাযযাক এই কথা
নিঃসন্দেহে স্বীকার করে নিয়েছে যে, এখানে
যেই আলেমের কথা বলা হয়েছে তিনি হলেন, ইমাম
মালিক রাহমাতুললাহ আলাইহি ।
উপসংহার
(conclusion )
উপরের আলোচনা থেকে আমরা বলতে পারি যে ইমাম
মালিক ইবনে আনাস রাহমাতুললাহ আলাইহি একজন মুহাদ্দিস ফকীহ এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একনিষ্ঠ প্রেমিক। দীর্ঘ জীবন ইবাদত এবং হাদীসের খিদমতে করেন। ফিকহ চর্চা করে
ফাতওয়া প্রদান করেন যা মালিকী মাজহাব নামে পরিচিত। মুয়াত্তা গ্রন্থ রচনা তার
জীবনের শ্রেষ্ঠ অবদান। ইমাম বুখারী ও মুসলিমসহ সকলে তার থেকে ইলমুল হাদীসের উপকৃত
হয়েছেন। মুয়াত্তা গ্রন্থ অধ্যয়ন করে আল্লাহ তা’আলা
বিশুদ্ধ হাদীসের উপর আমল করার তাওফীক দান করুন, আমীন
।
লেখক:
প্রফেসর ড.
সৈয়দ মাকসুদুর রহমান
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
কুষ্টিয়া
বাংলাদেশ
0 coment rios:
You can comment here