Monday, September 21, 2020

বাংলা উপন্যাসচর্চায় মুসলমানদের মধ্যে পথিকৃৎ অন্ধ কবি আর্জুমন্দ আলী ও তাঁর উপন্যাস প্রেম-দর্পণ

।। বায়েজীদ মাহমুদ ফয়সল।।

বাংলা উপন্যাসচর্চায় মুসলমানদের মধ্যে পথিকৃৎ হিসেবে মীর মোশাররফ হোসেনের (১৮৪৭-১৯১২) সঙ্গে স্মর্তব্য নাম আর্জুমন্দ আলী। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষদশকে তাঁর প্রকাশিত প্রেম-দর্পণ মুসলমান রচিত প্রথম সামাজিক উপন্যাস হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। তিনি একাদিক্রমে ঔপন্যাসিক, গীতিকার এবং কবি পরিচয়ে উদ্ভাসিত ছিলেন।

আর্জুমন্দ আলী সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ছিল মোহাম্মদ বন্দে আলী। তাঁর জন্ম ও মৃত্যুকাল নিয়ে মত-বিভ্রাট প্রকট। তিনটি তথ্যের ভিত্তিতে তাঁর তিনটি ভিন্ন জন্মসাল উল্লিখিত হয়েছে-১৮৫০, ১৮৬৫ ও ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দ। ১৩৫৯ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত মাহেনওপত্রিকায় আবদুল লতিফ চৌধুরী লিখিত এক নিবন্ধের ভাষ্যে আর্জুমন্দ আলীর জন্ম ১৮৫০-এ। ১৩৩৩ বঙ্গাব্দে (১৯২৬ খ্রি.) প্রকাশিত বার্ষিক সওগাতপত্রিকায় উল্লিখিত তথ্যের ভিত্তিতে তাঁর জন্মকাল ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দ ধরা যায়। পরবর্তীতে সৈয়দ মুর্তাজা আলীও (১৯০২-১৯৮১) তাঁর হজরত শাহজালাল ও সিলেটের ইতিহাস (১৯৬৫ খ্রি.) গ্রন্থে আর্জুমন্দ আলীর জন্মকাল উল্লেখ করেছেন আনুমানিক ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দ। আবার মুহম্মদ আবদুল হাই ও সৈয়দ আলী আহসান (১৯২২-২০০২) সম্পাদিত বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত (১৯৫৬ খ্রি.) গ্রন্থে তাঁর জন্মকাল লিখিত হয়েছে ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দ।

আর্জুমন্দ আলীর যৌবন অতিবাহিত হয় তাঁর নিজ গ্রাম ভাদেশ্বরের পিত্রালয়ে। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনের পর উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন। সৈয়দ মুর্তাজা আলী তাঁর পূর্বোক্ত গ্রন্থে লিখেছেন, আর্জুমন্দ আলী প্রবেশিকা পর্যন্ত পড়ে স্কুলের সাব-ইন্সপেক্টর হয়েছিলেন। আবার বিশিষ্ট লেখক ফজলুর রহমান (১৯৩০-২০০১) সিলেটের আরও একশএকজন গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, ‘আর্জুমন্দ আলী ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে এন্ট্রান্স ও ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে এফএ পাস করে শিক্ষাজীবন ইতি টানেন। পরে তিনি স্কুল ইন্সপেক্টরের চাকরি করেন।তবে তিনি কোথায় এ-দায়িত্ব সম্পাদন করেছেন- আসাম না বাংলা প্রদেশে তা নির্ণয় করা হয় নি।

আর্জুমন্দ আলী তাঁর পৈতৃক নিবাস, আত্মীয়-স্বজন, অগাধ ভূ-সম্পত্তি পরিত্যাগ করে যৌবনেই তৎকালীন ত্রিপুরা জেলার চাঁদপুরের রূপসা গ্রামে চলে গিয়েছিলেন এবং ওই গ্রামেরই খান বাহাদুর আবদুর রেজা চৌধুরীর কন্যাকে বিবাহ করেছিলেন। তবে আর্জুমন্দ আলী ভাদেশ্বরের নিজ বসতবাড়ি কেন ছেড়েছিলেন এবং আর কখনও স্থায়ীভাবে কেন তিনি নিজ গ্রামে ফিরে আসেননি, সে এক রহস্যজনক বিষয়। ধারণা করা হয় তিনি ভাদেশ্বরের পার্শ্ববর্তী নালিউরিগ্রামের কায়স্থ বংশের রাজবল্লভ দাসের অনিন্দ্য সুন্দর কন্যা রাসমণিকে ভালোবেসেছিলেন। রাসমণি জাতি-গোত্র-ধর্ম সব ছেড়ে আর্জুমন্দ আলীর কাছে চলে এসেছিলেন; কিন্তু তৎকালীন সমাজ বিশেষত তাদের আত্মীয়-স্বজন রাসমণিকে আর্জুমন্দ আলীর কাছে থাকতে দেয়নি। রাসমণি দুঃখ নিয়ে চলে গিয়েছিলেন এবং সারাজীবন একাকী থেকে গিয়েছিলেন। আনুমানিক ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে তাঁর জীবনাবসান ঘটে। আর্জুমন্দ আলী সম্ভবত সে কারণেই তাঁর সমাজ-গ্রাম-সংসারের প্রতি ভীতশ্রদ্ধ হয়ে গৃহত্যাগ করেছিলেন এবং তাঁর রচনায় সেই ক্ষেদোক্তিই প্রকাশিত হয়েছে বারংবার। তাঁর ওই ব্যর্থ প্রেমকেই তিনি সাহিত্যের উপকরণ হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। বাল্যকাল থেকেই তিনি ছিলেন ভাবুক, সাহিত্য ও সঙ্গীতের প্রতি অনুরক্ত।

উপন্যাস রচনা ছাড়াও আর্জুমন্দ আলী কাব্যচর্চা ও সঙ্গীতচর্চায় আত্মনিবেদিত ছিলেন। তিনি অন্ধকবিহিসেবে সমধিক পরিচিত ছিলেন। তাঁর রচিত দ্বিতীয় গ্রন্থ হৃদয় সঙ্গীত (১৯০৫ খ্রি.) একটি গীতিকাব্য। আর্জুমন্দ আলী রচিত বহু গান ওই সময়ে সিলেটের পল্লিঅঞ্চলে লোকমুখে প্রচলিত ছিল। এ প্রসঙ্গে ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত দৈনিক সংবাদ’-এর একটি প্রবন্ধে বিশিষ্ট লোকসাহিত্য গবেষক ড. আশরাফ সিদ্দিকী মন্তব্য করেন, ‘আর্জুমন্দ আলীর বহু গান এখনও সিলেট ও ত্রিপুরা অঞ্চলের চাষি, কৃষাণ, মাঝি ও রাখালদের মুখে মুখে ছড়িয়ে আছে। নৌকার মাঝিরা স্রোতের মুখে নৌকা ছেড়ে দিয়ে এখনও অন্ধকবির গান গায়। চাষিরা সন্ধ্যাকালের নির্জন অবসরকে মুখরিত করে অন্ধকবির সুরে সুর মিলিয়ে গান গেয়ে চলে।

নবীন যুবতী নালো মোহন মুরতী/ ত্যাজিয়া সাধের প্রেম ঘটাইলায় দুর্গতি।।

... ... ...

চন্দ্রসম তনু তোমার হস্তপদ আর/ অনুক্ষণ করে বিরাজ হৃদয়ে আমার।।

... ... ...

হেরিয়া কোমল মুখ জুড়াইতাম জীবন/ তবে সে বিরহের জ্বালা আমার হইত নিবারণ।।

জানা যায় গায়ক হিসেবেও তাঁর যথেষ্ট খ্যাতি ছিল। তিনি বেহালা বাজিয়ে স্বকণ্ঠে গান পরিবেশন করতেন।

আর্জুমন্দ আলী ছিলেন নিঃসন্তান এবং সম্ভবত ত্রিশ পঁয়ত্রিশ কিংবা চল্লিশ বছর বয়সে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছিলেন। বার্ষিক সওগাত-এর তথ্যকে সঠিক ধরলে তিনি ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে চল্লিশ বছর বয়সে অন্ধত্ব বরণ করেছিলেন। এ কবি বিপত্নীক হয়েছিলেন কি-না এবং তাঁর শেষজীবন কীভাবে কেটেছে তা জানা না-গেলেও এটা জানা যায় কবির শেষজীবন তাঁর শ্বশুরালয় চাঁদপুরের রূপসায় অতিবাহিত হয়েছে।

আর্জুমন্দ আলীর জন্মের ন্যায় মৃত্যু-সংক্রান্ত একাধিক তথ্য পাওয়া যায়। (বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত থেকে) জানা যায় তিনি ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন। এ তথ্যটি সঠিক বলা যায় না; কারণ বিশিষ্ট লেখক আহমদ-উজ্-জামান তাঁর একটি গ্রন্থে (অন্ধকবি আর্জুমান্দ আলীর প্রেম দর্পণ ও তার প্রেম) উল্লেখ করেছেন যে, আর্জুমন্দ আলীকে যারা দেখেছেন তাদের কাছ থেকে তিনি (লেখক) জেনেছেন ১৯২০ খ্রিস্টাব্দের পরও এ অন্ধকবিকে ভাদেশ্বরে দেখা গেছে। আবার ১৩৩৩ বঙ্গাব্দে বার্ষিক সওগাত’-এ প্রকাশিত সাহিত্যিক ও সাংবাদিক পরিচয়’-এ আর্জুমন্দ আলী প্রসঙ্গে বলা হয়েছে-‘... কবির বর্তমান বয়স ষাটের উপর।এ তথ্য থেকে অনুমান করা যায় ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ অর্থাৎ ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দেও আর্জুমন্দ আলী জীবিত ছিলেন। হজরত শাহজালাল ও সিলেটের ইতিহাস গ্রন্থে সৈয়দ মুর্তাজা আলী কবির মৃত্যুকাল উল্লেখ করেছেন আনুমানিক ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দ। অর্থাৎ আর্জুমন্দ আলীর মৃত্যুকালের কোনও সঠিক তথ্য নির্ণয় করা যায়নি। তবে এটা নিশ্চিত যে, আর্জুমন্দ আলী রূপসায় সমাহিত হয়েছেন।

পূর্বে উল্লিখিত হয়েছে আর্জুমন্দ আলী-মুসলমান কর্তৃক প্রথম সামাজিক উপন্যাসের রচয়িতা। উপন্যাসটির নাম প্রেম-দর্পণ। ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দের ১০ এপ্রিল কলকাতার সামন্তক প্রেস থেকে গ্রন্থটি প্রথম মুদ্রিত হয়। আটাত্তর পৃষ্ঠার গ্রন্থটির মূল্য ছিল ছয় আনা। প্রেম-দর্পণ লেখকের আত্মজৈবনিক প্রেমউপাখ্যানকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে। উপন্যাসের স্থান-কাল-পাত্রের সঙ্গে লেখকের জীবনকে জড়িত করলে যে গল্পটি দাঁড়ায় : সুন্দরহাট (শ্রীহট্ট) জেলার আমিরনগর (ভাদেশ্বর) গ্রামের কাসেম (আর্জুমন্দ) পার্শ্ববর্তী গ্রাম পার্টোরি (নালিউরি)-তে স্কুল পরিদর্শন করতে গিয়ে এক পরমা সুন্দরী হিন্দুকন্যা ক্ষেত্রমণির (রাসমণি) প্রেমাসক্ত হয়ে পড়েন। প্রথম দর্শনেই প্রেম। ক্ষেত্রমণি ভূপতি সিংহ (রাজবল্লভ দাস)-এর কন্যা। ক্ষেত্রমণির বিধবা মা সরলা দেবী মদ্যপ গজপতির কাছে তার বিবাহ দেন। ক্ষেত্রমণি পরে গোত্রধর্ম ত্যাগ করে প্রেমে অন্ধ হয়ে কাসেমের বাড়িতে চলে আসে। উপন্যাসে কাসেমের সঙ্গে ক্ষেত্রমণির বিবাহ হলেও বাস্তবে আর্জুমন্দ আলী সামাজিক বাধাবিপত্তির কারণে রাসমণিকে গ্রহণ করতে পারেন নি।

প্রেম-দর্পণ মুসলমান নায়ক এবং হিন্দু নায়িকার প্রণয়কাহিনি। মুসলমান ঔপন্যাসিক কর্তৃক লিখিত এ-জাতীয় রচনা এটাই প্রথম। এ প্রসঙ্গে হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর মন্তব্য :

The Hindus have for a long time enjoyed the privilege of writing novels in which Musalman girls fell in love with Hindu warriors. The Musalman writers now writing of Hindu girls falling in love with Musalman gentleman and embracing Islam. The ‘Prem Darpan’ by Arjomand Ali, is an instance of this.’ (The Report of the Bengal library for 1891)  

প্রেম-দর্পণ সম্পর্কে মুহম্মদ মনসুরউদ্দীনের ভাষায় : তিনি যৌবনে একটি হিন্দু ভদ্রমহিলার প্রেমে ও সৌন্দর্যে মোহিত হন। তাহার প্রতি তাঁহার এই ভালোবাসা তাঁহাকে উতলা করিয়া তুলে। তাঁহার ব্যর্থ প্রেমের কাহিনিই তিনি পরবর্তীকালে প্রেম-দর্পণনামক উপন্যাসে অঙ্কিত করেন।

প্রেম-দর্পণ একটি সত্য ঘটনাবিবৃত উপন্যাস। লেখকের স্বীয় জীবনের ছায়া অবলম্বনে রচিত এ উপন্যাস সম্পর্কে প্রখ্যাত সাহিত্যিক মুহম্মদ আবদুল হাই মন্তব্য করেন : এ উপন্যাসটিই বাঙালি মুসলমান লিখিত প্রথম সামাজিক উপন্যাস। উপন্যাসটির প্রধান উপজীব্য বিষয় একটি হিন্দু মেয়ের সঙ্গে একটি মুসলমান যুবকের প্রেম। তাছাড়া গ্রন্থকারের নিজের দুঃখদুর্দশার কাহিনি এবং তার বেদনাময় জীবনের ইতিবৃত্তও প্রেম-দর্পণেরূপ পেয়েছে। উপন্যাসটির সাহিত্যিক মূল্য যেমনই হোক না কেন, ইতিহাসের দিক থেকে বাঙালি মুসলমান লিখিত উপন্যাসের মধ্যে এরও একটি বিশেষ স্থান আছে।

সৈয়দ মুর্তাজা আলীর হজরত শাহজালাল ও সিলেটের ইতিহাসগ্রন্থে বলা হয়েছে : সমাজের চিত্র অঙ্কনে লেখক বিশেষ কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। হয়তো এ গ্রন্থে লেখকের জীবন জিজ্ঞাসার পরিচয় নেই। চরিত্র চিত্রণের চেষ্টাও নেই। কিন্তু এতে আছে কাহিনি নির্মাণের সযত্ন প্রয়াস। সার্থক উপন্যাস না-হলেও এতে উপন্যাসের বিভিন্ন লক্ষণ বর্তমান। সে কারণেই প্রেম-দর্পণকে বলা যায় মুসলমান সাহিত্যিক রচিত প্রথম সামাজিক উপন্যাস।

ড. কাজী দীন মোহাম্মদ বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন : মানবজীবনের রোমান্টিক দৃষ্টিভঙ্গি, সামাজিক চিত্র বর্ণনা এবং হিন্দু-মুসলমান নারী-পুরুষের মধ্যে প্রেমঘটিত সম্পর্ক চিত্রণ যেসব সাহিত্যিকের সাহিত্যের বাহন আর্জুমন্দ আলী তাদের পুরোধা। ঊনবিংশ শতকের শেষদিকে এ লেখকের একমাত্র উপন্যাস প্রেম-দর্পণ প্রকাশিত হয়।

আর্জুমন্দ আলী সামাজিক উপন্যাস রচনায় মুসলমান ঔপন্যাসিকদের পথিকৃৎ। তাই ঐতিহাসিক দিক থেকে প্রেম-দর্পণ একটি অমূল্য গ্রন্থ। উপন্যাসটির দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা থেকে। এবং ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে দুষ্পাপ্য গ্রন্থমালা-১ হিসেবে ঢাকার বাবুবাজার থেকে প্রকাশিত হয় প্রেম-দর্পণ-এর দ্বিতীয় সংস্করণ। ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে ছায়ালাপ থেকে প্রকাশিত হয় এর সর্বশেষ সংস্করণ। নতুন প্রজন্মের কাছে প্রাচীন এই গ্রন্থ ও ঔপন্যাসিকের পরিচয় উদ্ভাসিত না-হলেও বাংলা সাহিত্যে এর একটা আলাদা ইতিহাসমূল্য আছে। আমাদের ঐতিহ্যের স্মারক প্রেম-দর্পণ ও তার নির্মাতা অন্ধ কবি আর্জুমন্দ আলীকে আমাদের প্রয়োজনেই জানা এবং চর্চা করা আত্মার দাবি।

লেখক : প্রাবন্ধিক, প্রকাশক ও সংগঠক


শেয়ার করুন

Author:

0 coment rios:

You can comment here