Monday, September 21, 2020

ইমাম শাফেয়ী রাহমাতুললাহ আলাইহি :ইলমুল হাদীসে তাঁর অবদান

।। প্রফেসর ড. সৈয়দ মাকসুদুর রহমান।।

সারসংক্ষেপ

(Abstract )

-------------------------------------------------------

Imam Muhammad ibn Idrrise Al Shafeeis considered and potential one of the greatest scholars. who provided Usul, fiqh and hadith. Abū ʿAbdillāh Muhammad ibn Idrīs al-Shāfee  was an Arab Muslim theologian, writer, and scholar, who was the first contributor of the principles of Islamic jurisprudence (Uṣūl al-fiqh). Often referred to as 'Shaykh al-Islām', al-Shāfi‘ī was one of the four great Sunni Imams, whose legacy on juridical matters and teaching eventually led to the Shafi'i school of fiqh (or Madh'hab). He was the most prominent student of Imam Malik ibn Anas, and he also served as the Governor of Najar.[6] Born in Gaza in Palestine (Jund Filastin), he also lived in Mecca and Medina in the Hejaz, Yemen, Egypt, and Baghdad in Iraq.

ভূমিকা ( Introduction )

----------------------------------------------------------

আবু আবদিল্লাহ মুহাম্মাদ ইবন ইদরিছ আল-শাফিঈ রাহমাতুললাহ আলাইহি  একজন ফিলিস্তিন-আরব মুসলমান তাত্ত্বিক, লেখক এবং পন্ডিত। যিনি ইসলামের অন্যতম সেরা ফকীহ বা আইনবিদ হিসাবে পরিচিত। তিনি ইমাম শাফেয়ী নামে বেশি পরিচিত । তাকে শায়েখ আল-ইসলাম হিসাবেও সম্বোধন করা হয় এবং তিনি ইসলামের প্রধান চারটি মাযহাবের একটি শাফি'ঈ মাযহাবের প্রবক্তা।

তিনি ছিলেন ইমাম মালিক ইবনে আনাসের অন্যতম সেরা শিক্ষার্থী এবং তিনি নাজারাহ-এর গভর্নর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।যাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন

আবু হানিফা, জাফর আল-সাদিক,মালিক ইবনে আনাস, সুফিয়ান ইবনে উয়াইনাহ, মুহাম্মাদ আল-শায়াবানি, সাইয়্যাদা নাফিসাহ বিনত আল-হাসান

তিনি ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রাহমাতুল্লাহি আলাইহি ইছহাক ইবন রাহওয়াহ রাহমাতুললাহ আলাইহি এর উপর

নাম ও পরিচিতি (Name and address )

---------------------------------------------------------

আবূ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ বিন ইদ্রিস বিন আল-আব্বাস বিন ওসমান বিন শফিই বিন আল-সায়েব বিন উবাইদ বিন আবদ ইয়াজিদ বিন হাশেম বিন আবদুল-মুত্তালিব বিন আবদ মানাফ

বংশানুগতির বিশ্লেষণ

(Hereditary Analysis)

-----------------------------------------

তার পিতার ইদরীছ ও দাদার নাম আববাস । ইমাম শাফেয়ীর উপনাম আবূ আব্দুল্লাহ্ বংশ নামা : "মুহাম্মদ বিন ইদ্রীস বিন আববাস বিন উসমান বিন শাফেয়ী আল কুরায়েশী আল শাফেয়ী আল মাক্কী" ।

ঈমাম শাফেয়ী  রাহমাতুললাহ আলাইহি এর বংশ- কুরাইশ বংশের অন্যতম আবদে মানাফ বিন কুসাই এর কাছে মিলিত হয়েছে।  তাই ইমাম শাফেয়ীর বংশের মূল এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর বংশ একই। এ জন্য তিনি আল-মুত্তালাবী বলে পরিচিত । তিনি কুরাইশ বংশের তাই কুরায়েশী এবং তার দাদা "শাফে" সাহাবী এর দিকে সম্পৃক্ত করায় শাফেয়ী। মক্কায় প্রতিপালিত হওয়ায় মাক্কী বলে পরিচিতি লাভ ভ করেন ।

*ইমাম শাফেয়ী রাহমাতুললাহ আলাইহি -এর উপাধি হল, ‘‘নাসিরুল হাদীস(ناصر الحديث )’’ হাদীসের সাহায্যকারী বা সহায়ক,কারণ হাদীস সংগ্রহ, সংকলন, বিশেষ করে হাদীসের যাচাই-বাছাইয়ে তিনি সর্ব প্রথম অবদান রাখেন ।

তিনিই সর্ব প্রথম হাদীস শাস্ত্রের নীতিমালা প্রণয়নে কলম ধরেন আর রিসালাহ ও আল উম্মগ্রন্থদ্বয়ে। অতঃপর সে পথ ধরেই পরবর্তী ইমামগণ অগ্রসর হন।

আবু আবদিল্লাহ মুহাম্মাদ ইবন ইদরিছ আল-শাফিঈ (ক্যালিগ্রাফি)

ইমাম শাফেয়ী রাহমাতুললাহ আলাইহি এর জন্ম(Birth of Imam Shafi'i Rahmatullahi Alaihi)

-----------------------------------------------------------

ইমাম শাফেয়ী  রাহমাতুললাহ আলাইহি ১৫০ হিজরী সন অর্থাৎ ৭৬৭ সালের অগাস্ট মাসে ফিলিস্থিনের গাজা নামক শহরে জন্ম গ্রহণ করেন।

وُلِد الإمام الشافعيّ -رحمه الله- سنة مئة وخمسين من الهجرة النبويّة الشريفة، وكان مولده على الأرجح في مدينة غزّة إحدى مُدُن بلاد الشام، وقيل في إحدى الروايات: إنّ مولده كان في مدينة عسقلان التي تبعُد عن غزّة بضعة أميال، ولعلّ الرأي الأول هو الأقوى، وقد أمضى في غزّة التي وُلِد فيها عامين من عُمره، ثمّ انتقل إلى مكّة، فأتقن فيها كتاب الله حفظاً وأحكاماً، وقد عاش الإمام الشافعيّ يتيماً فقيراً

যা গাজা শহর হিসাবেও পরিচিত, এটি গাজা উপত্যকায় অবস্থিত ফিলিস্তিনের একটি শহর, যার জনসংখ্যা ৫১৫,৫৫৬ জন, যা একে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বৃহত্তম শহরে পরিনত করেছে। খ্রিস্টপূর্ব কমপক্ষে পঞ্চদশ শতাব্দী পূর্বে এখানে জনবসতি স্থাপিত হয়েছিল, গাজার পুরো ইতিহাস জুড়ে বিভিন্ন শাসক এবং সাম্রাজ্যের আধিপত্য রয়েছে। প্রাচীন মিশরীয়রা প্রায় ৩৫০ বছর ধরে এটি শাসন করার পরে ফিলিস্তিনীরা এটিকে তাদের পেন্টাপোলিসের একটি অংশ করেছিল।

ولد الشافعيُّ رحمه الله في غزةَ من عسقلان ، وذلك بأرض الشام  وكان هذا في عام 150 هـ،

ولما توفي أبوه وعمره سنتان انتقلت به تلك الأمُّ الفاضلة العاقلة إلى مكة، ولماذا مكة؟

ইমাম শাফেয়ী রাহমাতুললাহ আলাইহি আসকালানী নগরীর গাজনামক  স্থানে জন্মগ্রহণ করেন

ইমাম শাফেয়ী রাহমাতুললাহ আলাইহি এর বাল্যকাল

(Childhood of Imam Shafi'i Rahmatullahi Alaihi)

--------------------------------------------------------------------

ইমাম শাফেয়ী  রাহমাতুললাহ আলাইহি এর মাত্র ২ বছর বয়সেই পিতাকে হারিয়ে ইয়াতীম হয়ে যান । পিতার মৃত্যুর পর অভিভাবকহীনতা ও দারিদ্রতা  বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হন। পিতা মারা গেলে বিচক্ষণ মা তাকে দুবছর বয়সে পিতৃভুমি ইয়ামেনে নিয়ে আসেন ।

তিনি তাঁর ছেলেকে কুরআন মুখস্ত করানোয় মনোনিবেশ করান এবং ৭ বছর বয়সে ইমাম শাফেয়ী সম্পূর্ণ কুরআন মুখস্ত করে ফেলেন। এর পাশাপাশি ইমাম শাফেয়ী বিভিন্ন মসজিদে ঘুরে আলেমদের শরণাপন্ন হয়ে বিভিন্ন হাদীস ও মাসআলা মুখস্ত করতে শুরু করেন ।

এর কিছু বছর পরেই তিনি তাঁর মায়ের সাথে মক্কায় পাড়ি জমান । ইমাম শাফেয়ী ছোটবেলা থেকেই শিক্ষানুরাগী এবং কঠোর জ্ঞান সাধনা করার ফলে ৭ বছরে  পবিত্র কুরআনের হাফেয এবং ১০ বছর বয়সে ইমাম মালিক রাহমাতুললাহ আলাইহি এর মুয়াত্তা হাদীস গ্রন্থ হিফয করেন। ১৮ বছর বয়সে থেকে তিনি ফাতওয়াহ  প্রদান শুরু করেন। সাথে সাথে মক্কায় আরবী পন্ডিতদের কাছে আরবী কবিতা ও ভাষা জ্ঞানে পূর্ণ পান্ডিত্ব লাভ করেন।

*মদীনা মুনাওযারাহ  সফর

তিনি ছোটবেলায় একবার মদীনা  শরীফে সফর করেন। ইমাম মালিকের সংকলিত গ্রন্থ মুয়াত্তা মুখস্ত করে তাকে শুনান। ইমাম শাফেয়ী রাহমাতুললাহ আলাইহি ছোট বয়সে এই প্রজ্ঞা ও প্রতিভা দেখে তিনি অভিভূত হন। এবং তাকে স্নেহের পাত্র বানিয়ে নেন ।

ইমাম শাফেয়ী ইমাম মালিকের নিকট জ্ঞান চর্চা শুরু করেন । মদীনার পর তিনি ইয়ামানে শিক্ষার উদ্দেশ্যে বের হন। সেখানে শিক্ষা ও জ্ঞান বিস্তারে আত্মনিয়োগ করেন। জনসমাজে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়লে তিনি বিদ্বেষিদের প্রকোপে পড়েন, ফলে তিনি ইয়ামেন ত্যাগ করে আবার মক্কায় ফিরে আসেন।

*ইরাক সফর

ইমাম শাফেয়ী রাহমাতুললাহ আলাইহি ইরাকে দুবার সফর করেন। প্রথমবার রাজনৈতিক কারণে খলীফা হারুনুর রশীদ তাকে ইরাকে জোরপূর্বক পাঠান । সেখানে গিয়ে তিনি ইরাকের প্রসিদ্ধ জ্ঞানীদের নিকট শিক্ষা সমাপন করে আবার মক্কায় ফিরে আসেন এবং পূর্ণদমে দরস-তাদরীস ও ইসলাম প্রচার-প্রসারের কাজে একটানা নয় বছর এই কাজে আত্মনিয়োগ করেন।

অতঃপর ১৯৫ হিঃ ইমাম শাফেয়ী রাহমাতুললাহ আলাইহি আবারো ইরাক সফর করেন । প্রথম সফর ছিল জ্ঞান শিক্ষা গ্রহণের আর এ সফর হলো শিক্ষা গ্রহণ পাশাপাশি শিক্ষাদানের জন্য।

ইমাম বায়হাকী রাহমাতুললাহ আলাইহি স্বীয় সনদে বর্ণনা কারেন, হুসাইন কারাবিসী আমার কাছে আসলেন এবং বললেন যে, আমাদের মাঝে একজন হাদীসপন্থী (আহলে হাদীস) এসেছেন চল আমরা তার কাছে গিয়ে একটু হাসি-ঠাট্টা করি।

আবূ ছাওর বলেন : আমরা তার কাছে গেলাম, হুসাইন ইমামকে এক মাসআলা জিজ্ঞাসা করলেন, জবাবে ইমাম সাহেব আল্লাহ ও রাসূল উদ্ধৃতি দিয়ে তাদের জবাব দিতে থাকলেন এভাবে রাত হয়ে গেল । তখন আমরা তার কুরআন ও হাদীসের অগাধ পান্ডিত্ব দেখে আশ্চর্য হলাম, শেষটায় আমরা তার কাছে আত্মসমর্পণ করলাম। এ সফরেই ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহ.) ইমাম শাফেয়ীর সাক্ষাৎ করেন।

মিশর সফর

ইমাম শাফেয়ী রাহমাতুললাহ আলাইহি এর ইরাকে অবস্থান যেমনি প্রশংসনিয় তেমনি আবার হতাশা ও মর্মান্তিক বেদনার। 

মুতাযিলা আলিমরা রাজনৈতিক প্রাঙ্গণ দখল করায় খলীফা হারুণসহ সে সময়ের আববাসীয় খলীফাগণ ফালসাফা ও তর্কবিদ্যা-মানতিকে প্রভাবিত হয়ে কুরআন মাখলুক বা মুতাজিলা বিশ্বাস পোষণ করে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতেরিই ইমাম যেমনঃ ইমাম আহমাদ, ইমাম শাফেয়ীর মিশরের নির্যাতন শুরু করে, যার ফলে বাধ্য হয়ে ইমাম শাফেয়ী ইরাক ত্যাগ করে মিসরে পারি জমান।

মিসরে আগমন করলেই মিসরবাসী তাকে অভিনন্দন জানান ও মিসরেরু বিখ্যাত মসজিদআমর বিন আল আস মসজিদে কিছু আলোচনা পেশ করলে সকলেই তার আলোচনায় মুগ্ধ হয়ে যান । এবং তারা এক বাক্যে স্বীকার করেন যে, মিসরের বুকে নিয়ে এমন প্রতিভাবান ব্যক্তির কখনও আগমন ঘটেনি, যিনি কুরাইশ বংশোদ্ভুত, যার সালাতের ন্যায় উত্তম সালাত আদায় করতে কাউকে দেখিনি, যার চেহারার ন্যায় সুন্দর চেহারা খুব কমই আছে, যার বক্তব্য ও বাচন ভঙ্গির মত আকর্ষণীয় ও শ্রুতিমধূর কাউকে দেখিনি।

তার হাদীস গবেষণা ও চর্চায় যারা হানাফী বা মালিকী মাযহাবের অনুসারী ছিলেন, তার অনেকেই হাদীসের আলোকে ইসলাম চর্চার সুযোগ লাভে ধন্য হন। ইমাম শাফেয়ী  রাহমাতুললাহ আলাইহি জীবনের শেষ পর্যন্ত মিসরেই অবস্থান করেন এবং তার মূল্যবান গ্রন্থসমূহ সেখানেই সংকলন করেন।

ইমাম শাফেয়ী রাহমাতুললাহ আলাইহি এর আকীদাহ্-বিশ্বাস(Beliefs of Imam Shafi'i Rahmatullahi Alaihi )

----------------------------------------------------------------------------

ইমাম শাফেয়ী বিভিন্ন বিষয়ে আল্লাহ তাআলার একত্ববাদ প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বিভিন্ন বিভ্রান্ত দলের মতামত এবং অসার দর্শন প্রত্যাখ্যান করেছেন। শিরক ও বিদআত মুক্ত সহীহ্ আকীদাহর ব্যাপারে আপোষ করেননি।

ইমাম শাফেয়ী রাহমাতুললাহ আলাইহি আহলুস সুন্নাহ্ ওয়াল জামাআতের  প্রখ্যাত ইমাম । যিনি ছিলেন কুরআন ও সুন্নাহর একনিষ্ঠ অনুসারী। আকীদাহ্-বিশ্বাস(Faith)  আমল-আখ্লাক, ইবাদাত-বন্দেগী সকল ক্ষেত্রে তিনি সব কিছুর উর্দ্ধে কুরআন ও সুন্নাহ্কে প্রাধান্য দিতেন। এবং আকড়ে ধরতেন, তিনি কালাম পন্থী যুক্তিবাদী বিদআতি ঘোর বিরোধী ছিলেন। , অনুরূপ রায় ও কিয়াস পন্থীদেরও বিরোধী ছিলেন। সুতরাং কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে আহ্লুস সুন্নাহ্ ওয়াল জামাআতের আকীদাহ্-বিশ্বাসই ইমাম শাফেয়ী রাহমাতুললাহ আলাইহি এর আকীদাহ্-বিশ্বাস।

ইমাম শাফেয়ী রাহমাতুললাহ আলাইহি এর শিক্ষকবৃন্দ(Teachers of Imam Shafi'i Rahmatullahi Alaihi )

------------------------------------------------------------------

ইমাম শাফেয়ী রাহমাতুললাহ আলাইহি স্বীয় যুগে বিভিন্ন দেশে অগণিত আলিম হতে শিক্ষালাভ করেন । তন্মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য হলেন _

 (১) ইমাম সুফইয়ান বিন উয়ায়নাহ মাক্কী রাহমাতুললাহ  আলাইহি - (মৃত: ১৯৮ হিঃ) ।

*(২) ইমাম ইসমাঈল বিন আব্দুল্লাহ মাক্কী রাহমাতুললাহ আলাইহি - (মৃত: ১৭০ হিঃ)

*(৩) ইমাম মুসলিম বিন খালিদ মাক্কী রাহমাতুললাহ আলাইহি (মৃত: ১৭৯ হিঃ)

*(৪) ইমাম মালিক বিন আনাস মাদানী (মৃত: ১৭৯ হিঃ) ।

*(৫) ইমাম মুহাম্মদ বিন ইসমাইল  মাদানী রাহমাতুললাহ আলাইহি - (মৃত: ২০০ হিঃ)

*(৬) ইমাম হিশাম বিন ইউসুফ ইয়ামানী রাহমাতুললাহ আলাইহি (মৃত: ১৯৭ হিঃ)

*(৭) ইমাম ওয়াকী বিন আল জাররাহ্ কুফী- রাহমাতুললাহ আলাইহি (মৃত: ১৯৭ হিঃ)

ইমাম শাফেয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর ছাত্রবৃন্দ

(Students of Imam Shafi'i Rahmatullahi Alaihi

----------------------------------------------------

ইমাম শাফেয়ী রাহমাতুললাহ আলাইহি এর অসংখ্য ছাত্র তার নিকট ইলমুল হাদীস ও ইলমুল ফিক্হ এর জ্ঞান অর্জন করেন।ইমাম শাফেয়ী রাহমাতুললাহ আলাইহি

-এর ছাত্র হওয়ার যারা সৌভাগ্য লাভ করেছেন তাদের সংখ্যা ও বর্ণনা দেয়া অসম্ভব । কারণ তিনি যে দেশেই ভ্রমণ করেছেন এবং শিক্ষার আসরে বসেছেন সেখানেই অগণিত ছাত্র তৈরী হয়েছে ।

নিম্নে কয়েকজন প্রসিদ্ধ ছাত্রের নাম উল্লেখ করা হলো

*(১) ইমাম রাবী বিন সুলায়মান আল মাসরী।

*(২) ইমাম ইসমাঈল বিন ইয়াহইয়া আল মুযানী আল মাসরী।

*(৩) ইমাম আবূ আব্দুল্লাহ্ আলফাকীহ আল মাসরী।

*(৪) ইমাম আবূ ইয়াকূব ইউসুফ বিন ইয়াহইয়া আল মাসরী।

*(৫) ইমাম আবুল হাসান বিন মুহাম্মদ আয্যাফরানী।

*৬)ইউসুফ বিন ইয়াহিয়া আল বুয়াইতি রাহমাতুললাহ আলাইহি

*৭)ইসমাইল বিন ইয়াহইয়া আল-মুযনি

* ৮) আল-রাবী 'বিন সুলেমান আল-জিজি

 

*৯)আবূ জুরআ আল কাযী রাহমাতুললাহ আলাইহি

 *১০) ইব্রাহিম বিন খালিদ বিন আবি আল-ইয়ামান, আবু সাওর আল-কালবী আল-বাগদাদি।

 *১১) আহমাদ বিন মুহাম্মাদ বিন হাম্বল বিন হিলাল বিন আসাদ আল-যাহলী।

* ইসমাইল বিন ইয়াহইয়া ইবনে ইসমাইল বিন আমর ইবনে ইসহাক

*আবু ইব্রাহিম আল-মুযনি আল-মাসরি

 *আল-হারিস বিন আসাদ আবু আবদুল্লাহ আল-মাহসবিবি।

 *আল-হারিস বিন সুরাইজ আল-বাগদাদী, আবু আমর ।

 *হারমালাহ ইবনে ইয়াহইয়া ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে হারমলাহ বিন ইমরান আল-তাজবি আবু হাফস আল-মাসরি।

* আল-হাসান বিন মুহাম্মাদ বিন আল-সাবাহ, আবু আলী আল-বাগদাদী আল-জাফরানী।

 আল-হুসেন বিন আলী বিন ইয়াজিদ আবু আলী আল-বাগদাদী আল-কারাবিসি। [100]

 *আল-রাবী 'বিন সুলায়মান বিন দাউদ আল-জিজি, আবু মুহাম্মদ আল-আজদী।

 *আল-রাবী বিন সুলেমান বিন আবদুল-জব্বার ইবনে কামেল আল-মুরাদি

 *আবদুল্লাহ ইবনে আল-জুবায়ের বিন Isaসা বিন উবাইদ আল্লাহ আল-আসাদি আল-কুরাসী, ইমাম আবু বকর আল-হামিদী আল-মক্কী।

* ইউসুফ বিন ইয়াহিয়া আল-কুরেশি, আবু ইয়াকুব আল-বুয়াইতি আল-মাসরি,

 সুলাইমান বিন দাউদ বিন আলী বিন আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস, আবু আইয়ুব আল-হাশেমী আল-কুরাসী আল-বাগদাদী।

 *আবদুল-আজিজ ইবনে ইয়াহইয়া ইবনে আবদ-আজিজ বিন মুসলিম বিন মায়মুন, আবু আল-হাসান আল-কানানী আল-মক্কী

* বাহর বিন নসর বিন সাবিক আল খাওলানী, আবু আবদুল্লাহ আল মাসরি

.ইমাম শাফেয়ী রাহমাতুললাহ আলাইহি এর ব্যাপারে আলিম সমাজের মন্তব্য

(Commentary of Alim's on Imam Shafee Rahmatullah)

--------------------------------------------------------------------

ইসলামে ইমাম শাফেয়ীর অবদান অনস্বীকার্য ।তার বিদ্যা,বুদ্ধি মেধাকে কাজে লাগিয়ে ইসলামকে প্রচার ও প্রসার ঘটিয়েছেন । ইসলাম বিশেষজ্ঞদের চোখে ইমাম শাফেয়ী রাহমাতুললাহ আলাইহি

 روي عن أبي هريرة عن النبي محمد أنه قال: «اللهم اهد قريشاً فإن عالمها يملأ طباق الأرض علماً، اللهم كما أذقتهم عذاباً فأذقهم نوالاً»، ودعا بها ثلاث مرات، قال عبد الملك بن محمد أبو نعيم: هذه الصفة لا تنطبق إلا على الشافعي رضيَ الله عنه.

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন

হে আল্লাহ তাআলা আপনি কুরাইশদের আলিমদর সঠিক পথ দেখান। তাদের আলিমরা জমিনকে ইলম দ্বারা পরিপূর্ণ করে দিন।

Abd al-Malik bin Muhammad Abu Na'im said: This attribute only applies to Al-Shafei, may Allah be pleased with him

وقيل: فأجمعت الأمة على أن هذا في الشافعي رضيَ الله عنه، فما خرج من قريش فقيهٌ وإمامٌ يبلغ علمُه جميعَ البلادِ والأكنافِ والأطرافِ، يمناً وحجازاً وشاماً وعراقاً والثغور وخراسان وما وراء النهر إلا الشافعي رضيَ الله عنه.

বলা হয় জাতি সর্বসম্মতভাবে সম্মত হয়েছিল যে এটি আল-শাফেয়ী রাহমাতুললাহ আলাইহি এর মধ্যে আছে।  কুরাইশের কাছ থেকে যা এসেছে তা হ'ল ইয়েমেন, হিজাজ, শাম, ইরাক, সাগুর, খুরসান এবং নদীর ওপারে আল-শাফীই বাদে সমস্ত দেশ।

(১) ইমামুল মাদীনাহ- ইমাম মালিক রাহমাতুললাহ আলাইহি বলেন : (ما يأتيني قرشي افهم من هدا الفتى ) "আমি এ যুবক ইমাম শাফেয়ী এর মত অধিক বিচক্ষণ ও বুদ্ধিমান আর কোন কোরাইশীকে পাইনি" ।

(২) ইমাম আবূল হাসান আয্যাফরানী বলেন

আমি ইমাম শাফেয়ীর ন্যায় অধিক সম্মানী, মর্যাদাশীল, দানশীল, আল্লাহ ভীরু দ্বীনদার ও অধিক জ্ঞানী আর কাউকে দেখিনি’’

(৩) ইমাম ইসহাক বিন রাহ্উয়াহ বলেন

: (وعن إسحاق بن راهويه أنه قال: كنا بمكة والشافعي بها، وأحمد بن حنبل بها، فقال لي أحمد بن حنبل: «يا أبا يعقوب، جالس هذا الرجل (يعني: الشافعي)»، قلت: «ما أصنع به، وسنه قريب من سننا؟ أترك ابن عيينة والمقبري؟»، فقال: «ويحك! إن ذاك يفوت، وذا لا يفوت»، فجالسته.

) আমি ইমাম আহমাদ রাহমাতুললাহ আলাইহি সহ মক্কায় ইমাম শাফেয়ী  রাহমাতুললাহ আলাইহি -এর কাছে গেলাম, তাঁকে বেশ কিছু জিজ্ঞাসা করলাম তিনি খুব ভদ্রতার সাথে সাবলীল ভাষায় প্রশ্নের জবাব দিলেন।

(৪) একদল আলেম বলেন:

(ما رأيت رجلًا أعقل من الشافعي"، وفي رواية: "ما رأيت رجلًا قط أعقل ولا أورع ولا أفصح من الشافعي)

 

আমি ইমাম শাফিযী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর চেয়ে অধিক জ্ঞানী মানুষ হিসেবে আর কাউকে দেখিনি।

তিনি অধিক পরহেযগার এবং বিশুদ্ধ দলীল পেশকারী।

ইমাম শাফেয়ী হলেন স্বীয় যুগে কুরআনের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি জ্ঞানী মানুষ।’’

(৫) ইমাম ইসহাক বলেন :() আমি যদি তাঁর কুরআনের পান্ডিত্ব সম্পর্কে আগে অবগত হতাম তাহলে তাঁর কাছে শিক্ষার জন্য  যেতাম’’

قال عبد الله بن أحمد بن حنبل: قلت لأبي: "أي رجل كان الشافعي، فإني أسمعك تكثر من الدعاء له؟"

আহমেদ ইবনে হান্বল রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেন, আমি আমার পিতাকে বললাম, ইমাম শাফিযী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি কে ছিলেন? আমি শুনেছি তার জন্য অধিক দূআ করা হয়েছে।

، فقال لي: «يا بني، كان الشافعي كالشمس للدنيا، وكالعافية للناس، فانظر هل لهذين من خلف أو منهما عِوض.

আমার পিতা বললেন, হে বৎস ইমাম শাফিযী দুনিয়ার মধ্যে সূর্যের মতো এবং মানুষের জন্য রহমত স্বরূপ। তুমি এ গুনদুটি পূর্বে ও পরে পাবে না।

ইমাম মুহাম্মদ ইবনে হাসান শাযবানী  বলেন

, (ان تكلم أصحاب الحديث يوما فبلسان الشافعي )

আসহাবুল হাদীস যদি একদিন ইমাম শাফেঈ রাহমাতল্লাহ আলাইহি এর ভাষায় কথা বলতেন।

ইমাম আহমেদ ইবনে হান্বল রাহমাতল্লাহ আলাইহি বলেন,

لو لا الشافعي ما عرفنا فقه الحديث

যদি ইমাম শাফেঈ রাহমাতল্লাহ আলাইহি না থাকতেন তাহলে আমরা ফিকহুল হাদীস জানতে পারতাম না।

ইমাম আহমেদ ইবনে হান্বল রাহমাতল্লাহ আলাইহি বলেন,

كان الفقهاء أطباء و المحدثون صيادلة فجأه محمد ابن إدريس الشافعي طبيبا صيدلانيان 

ফকীহগন ডাক্তার আর মুহাদ্দিসগন ফার্মেসি। ইমাম শাফেযী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি নিজে ডাক্তার ও ফার্মেসি।

وقال أحمد بن حنبل: "ما أحد أمسك في يده محبرة وقلمًا إلا وللشافعي في عنقه مِنَّة.

Ahmed bin Hanbal said: “No one held an inkwell and a pen in his hand except for Al-Shafi’i in his neck.

وروي عن الإمام أحمد بن حنبل أنه قال: إذا سئلت عن مسألة لا أعرف فيها خبراً، قلت فيها بقول الشافعي رضيَ الله عنه، لأنه إمامٌ عالمٌ من قريش، وقد رُوي عن النبي صلَّى الله عليه وسلَّم أنه قال: «عالم قريش يملأ الأرض علماً».

ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বলের  রাহমাতুল্লাহ হতে বর্ণিত তিনি বলেন : যদি আপনার কাছে এমন কোন বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয় যেখানে আমি কোন খবর জানি না।

তবে আমি ইমাম আল-শফায়ি শাফিযী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি যা বলেছেন তা নিয়ে  বলছিলাম।

তিনি এমন একজন ইমাম যিনি কুরাইশের একজন আলেম ছিলেন।

আল্লাহর নবী ইরশাদ করেন , কুরাইশদের আলিম দুনিয়াকে ইলম দ্বারা পরিপূর্ণ করে দিবেন।

আবু উবায়দ আল-কাসিম বিন সালাম বলেন,

". وقال يونس بن عبد الأعلى: "ما رأيت أحدًا أعقل من الشافعي، لو جمعت أمة فجعلت في عقل الشافعي، لوسعهم عقله".

ইউনূস ইবনে আবদ আল-আলা বলেছেন: "আমি ইমাম আল-শফিয়ির চেয়ে বুদ্ধিমান কাউকে কখনও দেখিনি।

যদি তারা কোন জাতিকে একত্রিত  হয়ে ইমাম আল-শাফিয়র জ্ঞানের কথা মনে রাখে, তবে তার জ্ঞানের প্রসশ্ততা পাবেন।

وقال أبو ثور: كتب عبد الرحمن بن مهدي إلى الشافعي رضيَ الله عنه وهو شاب أن يضع له كتابا فيه معاني القرآن، ويجمع قبول الأخبار فيه، وحجة الإجماع، وبيان الناسخ المنسوخ من القرآن والسنة، فوضع له كتاب الرسالة،

আবু সাউর রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেন, আব্দুর রহমান আল মাহদী ইমাম শাফেযী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর নিকট পত্র প্রেরণ করেন তিনি তখন যুবক। তিনি যেন তার জন্য একটি কিতাব রচনা করেন যার মধ্যে কুরআনের অর্থ এবং মকবুল হাদীস ইজমার দলীল, কুরআন এবং সুন্নাহ এর নাসিখ ও মানসূখ বিষয়ে আলোচনা থাকবে। তিনি তার জন্য  রিসালাহ কিতাব রচনা করেন।

ইমাম আবদুর রহমান বলেন,

"ما أصلي صلاة إلا وأنا أدعو الله للشافعي فيها".

আমি প্রতি নামাজের পর ইমাম শাফেযী রাহমাতুল্লাহ আলাইহির জন্য।

আইয়ুব বিন সুয়েদ আল-রামলি বলেন,

 

وعن أيوب بن سويد الرملي أنه قال لما رأى الشافعي: «ما ظننت أني أعيش حتى أرى مثل هذا الرجل قط".

তিনি যখন ইমাম আল-শাফিয়ীকে দেখেন তখন বলেছিলেন: "আমি কখনই ভাবিনি যে আমি এমন একজনকে না দেখলে আমি বেঁচে থাকব।"

ইয়াহিয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন,

"إني لأدعو الله عز وجل للشافعي في كل صلاة، أو في كل يوم". وعن أبي عبد الله نفطويه أنه قال: "مثل الشافعي في العلماء مثل البدر في نجوم السماء".

ইমাম শাফেযী এর গ্রন্থাবলী(Book's of imam Shafee fahmatullah)

-------------------------------------------------------------------

ইমাম শাফেয়ী অসংখ্য গ্রন্থ রেখে গেছেন, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল -

(১) ‘‘কিতাবুল উম্ম’’(. كتاب الام )

মূলতঃ এটি একটি হাদীসের গ্রন্থ, যা। ফিকহী পদ্ধতিতে স্বীয় সনদসহ সংকলন করেছেন, এটি একটি বিশাল গ্রন্থ। যাহা ৯টি বড় খন্ডে প্রকাশিত।

(২) ‘‘আর রিসালাহ’’( كتاب الرسالة)

 এটা সেই গ্রন্থ যাতে ইমাম শাফেয়ী উসূলে হাদীস ও উসূলে ফিকহে সর্বপ্রথম কলম ধরেছেন।

(৩) ‘‘আহকামুল কুরআন’’।(احكام القرآن )

(৪) ‘‘ইখতিলাফুল হাদীস’’।(اختلاف الحديث )

(৫) ‘‘সিফাতুল আমরি ওয়ান্নাহী’’।(صفات الأمر و النهي )

(৬) ‘‘জিমাউল ইলম’’। (ضياء العلم )

(৭) ‘‘বায়ানুল ফারয’’। (بيان الفرض )

(৮) ‘‘ফাযাইলু কুরাইশ’’।(فضايل القريش )

(৯) ‘‘ইখতিলাফুল ইরাকিঈন’’।(اختلاف العراقين )

(১০) ইখতিলাফু মালিক ওয়া শাফিয়ী।(اختلاف مالك و الشافعي )

ইমাম শাফেয়ী রাহমাতুললাহ আলাইহি এর মৃত্যু (Death of Imam Shafee Rahmatullah Alihi)

ইমাম শাফেয়ী রাহমাতুললাহ আলাইহি ৮২০ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ জানুয়ারী অর্থাৎ ২০৪ হিজরীর রজব মাসের শেষ দিন জুমআর রাত্রিতে ৫২ বছর বয়সে পৃথিবী হতে বিদায় গ্রহণ করেন।

ইমাম শাফেয়ী রাহমাতুললাহ আলাইহি এর উপর রচিত প্রসিদ্ধ গ্রন্থ

(Famous book on Imam Shafi'i (may Allah have mercy on him) )

১)আবদুল গণি আল কাদার

(الإمام الشافعي فقيه السنة الأكبر) )

২).আহমেদ বিন আবদুল্লাহ আল-আসফাহানী আবু নাইম

(حلية الأولياء وطبقات الأصفياء)

৩)আবু আল-কাসিম আলী বিন আল-হাসান বিন হেবা আল্লাহ বিন আসকার আল-ডিমাস্কি

(تاريخ دمشق)

৪ ). আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ বিন ওমর বিন আল-হাসান বিন আল-হুসেন বিন আলি আল-রাজী

(مناقب الشافعي)

৫)ইমাম তাজ উদ্দীন আল সুবকী (طبقات الفقهية الكبرى )

৬)ইমাম বাইহাকী রাহমাতুললাহ আলাইহি (مناقب الشافعي )

৭)ইমাম আবদুর রহীম আল ইরাকী রাহমাতুললাহ আলাইহি

(البصرة و التذكرة )

৮)আল-খলিল বিন আবদুল্লাহ বিন আহমদ ইবনে আল-খলিলি আল-খলিলি আল-কাজ্বিনি আবু আলী রাহমাতুললাহ আলাইহি

(الإرشاد في معرفة علماء الحديث )

৯)ইবনে আবদুল বার, ইউসুফ বিন আবদুল্লাহ রাহমাতুললাহ আলাইহি

 (الإنتقاء في فضائل الائمة الثلاثة الفقهاء: مالك بن انس والشافعي وابي حنيفةرضي الله عنهم وذكر عيون من أخبارهم وأخبار أصحابهم للتعريف بجلالة اقدامهم)

১০)বকর মুহাম্মদ ইব্রাহিম রাহমাতুললাহ আলাইহি

(الامام الشافعي حياته وفقهه بكر محمد إبراهيم)

১০) ইবনে ফারহৌন আল-মালিকি রাহমাতুললাহ আলাইহি,

(الديباج المذهب في معرفة علماء أعيان المذهب)

১১)খলিল ইব্রাহিম মুল্লা খাতার  রাহমাতুললাহ আলাইহি (ثلاثيات الامام الشافعي  جمعها ورتبها وخرجها وعلق عليها)

১২) শাযখ  সালাহ নাজিব আল-দাক রাহমাতুললাহ আলাইহি

(الإمام الفقيه محمد بن إدريس الشافعي)

১৩) মুহাম্মদদআবু জহরা(الشافعي حياته وعصره آراؤه الفقهية)

১৪)মুহাম্মদ বিন আহমেদ বিন ওথমান বিন কাইমাজ আল-ধাবি শামস দীন আবু আবদুল্লাহ, (كتاب تذكرة الحفاظ

১৫)আহমেদ বিন আল-হুসেন বিন আলী বিন মুসা আল-খুসারাজজিরদী আল-খোরসানী, আবু বকর আল-বাহাকী (মৃত: ৪৫৮ হিঃ),

(معرفة السنن والآثار)

উপসংহার (conclusion)

উপরের আলোচনা থেকে এ কথা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হযে,হিজরি দ্বিতীয় শতাব্দী সম্পূর্ণ হওয়ার পূর্বে হাদীসের অসংখ্য সংকলক কিতাব সংকলন করেন। এ সময় এ সংকলিত গ্রন্থ বিভিন্ন জায়গায় বিস্তার লাভ করে। সেই সাথে ইমাম আবু হানীফা ও ইমাম মালিক  রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর ছাত্রগন হাদীসের জ্ঞান বক্খে ধারন করে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছেন। অপরদিকে অকি ইবনুল জার্রাহ এর ছাত্র ইমাম শাফেয়ী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি একসাথে হাদীস ও ফিকহের কিতাব রচনা করে দারস ও তালিমের মাধ্যমে হাদীসের খিদমত করেন।

লেখক:

প্রফেসর ড. সৈয়দ মাকসুদুর রহমান

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া

 বাংলাদেশ


শেয়ার করুন

Author:

0 coment rios:

You can comment here