।। প্রফেসর ড. সৈয়দ মাকসুদুর রহমান।।
সারসংক্ষেপ (Abstract
)
--------------------------------------
Abu
Abdullah Sufyan ibn Said ibn Masruq al-Thawri ( 716–778) He was a Tābi'
al-Tābi'īn
Islamic scholar and jurist, founder of the Thawri madhhab
.
He was also a great hadith compiler (muhaddith)
.
The early biographer Isḥāq
al-Nadīm tells us that Sufyān
ibn Sa'īd al-Thawrī
along with Sufyān
ibn ‘Uyaynah and Ṣāliḥ
ibn Ḥayy transmitted the Zaidiyyah doctrine
and accounts of their adherents.
ভূমিকা (introduction
)
-------------------------
সুফিয়ান আল-সাওরী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি তাবে তাবেযীনদের যুগের
একজন প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ছিলেন । ৯৭হিজরি সালে জন্ম ও ১৬১ হিজরি সালে ৬৪ বছর বয়সে
মৃত্যুবরণ করেন। তিনি তাঁর পিতার কাছে প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করেন। এর পর কুফার অধিকাংশ
মুহাদ্দিসের নিকট থেকে হাদীস শ্রবণ করেন। এ সময় কুফায় ইমাম আল আমাশ ও আবু ইসহাক হাদীসের
দারস প্রদান করার জন্য একটি প্রতিষ্ঠান করেন। ইয়াহইয়া ইবন মুঈন রাহমাতুল্লাহ আলাইহি
বলেন
(سفيان الثوري اعلم الناس بحديث الاعمش)
সুফিয়ান আস সাওরী আমাশ বর্ণিত হাদীস সমূহ অন্যান্য সকল লোক অপেক্ষা অধিক
জানেন।
ইবন হাজার আসকালানী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেন,
خلق من اهل الكوفة و جماعة من
اهل البصرة و طوائف من اهل الحجاج
কুফার বহু সংখ্যক উস্তাদের নিকট থেকে হাদীস শিক্ষা করেন। এ ভাবে
বসরার ও হিজাজের বিভিন্ন হাদীসের বৈঠক থেকে তিনি যথেষ্ট ফায়দা গ্রহন করেন।
আবু আসেম রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেন,
الثوري أمير المؤمنين في
الحديث
ইমাম সুফিয়ান আল-সাওরী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি ইলমুল হাদীসের শ্রেষ্ঠ
নেতা।
আব্দুর রহমান আল মাহদী বলেন,
ما رأيت صاحب الحديث احفظ من
سفيان الثوري
আমি সুফিয়ান আস সাওরী অপেক্ষা অধিক হাদীস মুখস্থকারী একজন লোককে
দেখিনি।প্রখ্যাত মুহাদ্দিস খালফ ইবন আউব রাহমাতুল্লাহ আলাইহিকে একটি জরুরি বিষয়ে জিজ্ঞাসা
করলে তিনি বললেন এটা আমার জানা নেই। তবে কূফা নগরের বাসিন্দা ইবন যিয়াদের নিকট থেকে
সঠিকভাবে উত্তর পাওয়া যাবে। প্রশ্নকারী বললেন, কূফা সেতো অনেক
দূরে। এ কথা শুনে খালফ ইবন আউব বললেন,
من همه الدين فالكوفة اليه
قريبة
দ্বীপের চিন্তা যার মধ্যে আছে কূফা তার নিকট অতি নিকটবর্তী।
এ জন্য মুহাদ্দিসগন হাদীসের জ্ঞান অর্জন করতে ভ্রমণ করা গুরুত্বপূর্ণ। ইব্রাহিম ইবনে
আদহাম বলেন,
ان الله تبارك وتعالى يدفع البلاء عن هذه الأمة برحلة أصحاب الحديث
হাদীস শিক্ষার্থীদের ও সংগ্রহকারীদের এই উদ্দেশ্যে দেশ সফর আল্লাহ
তাআলা এই জাতিকে বিপদ থেকে রক্ষা করেন। আলোচ্য প্রবন্ধে ইমাম সুফিয়ান আল-সাওরী রাহমাতুল্লাহ
আলাইহি এর জীবনী ও হাদীসে তার অবদান আলোচনা করা হয়েছে।
ইমাম সুফিয়ান আল-সাওরী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর নাম
(Name of Sufyan al Thawri Rahmatulla alaihi)
----------------------------------------------
أما عن نسبه، فاسمه سفيان بن
سعيد بن مسروق بن حبيب بن رافع بن عبد الله بن موهبة بن أبي بن عبد الله بن منقذ
بن نصر بن الحارث بن ثعلبة بن عامر بن ملكان بن ثور بن عبد مناة بن أد بن طابخة بن
إلياس بن مضر
আবু আবদুল্লাহ সুফিয়ান ইবনে সাঈদ দ ইবনে মাসরুক ইবন হাবীব আল-সাওরী।
سفيان الثوري هو أبو عبد الله
سفيان بن سعيد بن مسروق بن حبيب الثوري، من قبيلة ثور من مضر
পিতার পরিচয় ( Father's identity )
-------------------------------------
ইমাম সুফিয়ান আল-সাওরী এর পিতার নাম সাঈদ বিন মাসরূক আস সাওরী
রাহমাতুল্লাহ আলাইহি ।তাঁর পিতা একজন প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস যাকে সাদিক ফিল হাদীস বলা
হয়েছে। তিনি ছিলেন ইমাম আল-শা'বি ও খাইসুমাহ বিন আবদুর
-রহমানের অন্যতম সহচর এবং কুফার নির্ভরযোগ্য রাবীদের মধ্যে একজন। তাকে ছোট তাবেঈ হিসেবে গণ্য করা হয়। ছয়টি দল
তার থেকে হাদীস শ্রবণ করেন।
আস সাওরী নামকরণ করার কারণ
(Reason the name of thawri)
-----------------------------------------------------
It is within the
Subai 'al-Amriyah tribe from Amer bin Sa’sa. The researchers said that their
homes are in Kharma and Rania, which are the dwellings of Bani Amer from
Hawazen
ইমাম সুফিয়ান আল-সাওরী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর জন্ম
(Brith of Sufyan al Thawri Rahmatulla alaihi)
---------------------------------------------------------------
ولد سفيان في الكوفة في
العراق، وفي شبابه دعمَ الشّيعة ضدّ الخلافة الأمويّة، وحينها كانت الخلافة
الأمويّة في آخرها.
ইবনে সাআদ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি তার প্রসিদ্ধ গ্রন্থ ( الطبقات
الكبرى
) বলেন,
এবং তার যৌবনে তিনি উমাইয়া খেলাফতের বিরুদ্ধে শিয়াদের সমর্থন
করেন। সে সময়,
উমাইয়া খেলাফত শেষ
পর্যায়ে ছিল।
মুহাম্মদ বিন ওমর রাহমাতুল্লাহ
আলাইহি বলেন,
ইমাম সুফিয়ান আস সাওরী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি সুলামান ইবনে আবদ
আল-মালিকের শাষন আমলে ৯৭ হিজরীতে মুতাবেক ৭১৬
সালে ইরাকের খুরাসান প্রদেশের কুফায় জন্মগ্রহণ
করেছেন । তিনি হাদীসের রাবী হিসেবে বিশ্বাসযোগ্য
ও নির্ভরযোগ্য ছিলেন এবং তিনি অনেক হাদীস বর্ননা
করার ক্ষেত্রে হুজ্জাতল হাদীস ছিলেন। তিনি
যা বলছেন সে সম্পর্কে তিনি দলীল পেশ করেন।
মাহদী খেলাফতের সময় তাদের মধ্যে মতবিরোধের কারণে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
ইমাম সুফিয়ান আস সাওরী শিক্ষা জীবন (Educational laife of Sufyan Al Thawri )
---------------------------------------------------------------
ইমাম সুফিয়ান আস সাওরী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি প্রখ্যাত তাবে তাবেয়ী ছিলেন।
তিনি ইসলামিক পন্ডিত এবং মুহাদ্দিস, ফিকাহবিদ ও মুফাসসির
ছিলেন। সুফিয়ান আস সাওরী নিজে মাজহাবের আস
সাওরী এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন । প্রকৃত তিনি
হাদীসের একজনমহান সংকলক বা মুহাদ্দিস ও ছিলেন।
ইসহাক আল-নাদাম বলেন,
যে সুফিয়ান ইবনে সা'দ আল-সাওরী ও
সুফিয়ান ইবনে ‘উয়ায়না এবং ইলিয়া
রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর সাথে জাইদিয়াহ মতবাদ ও তাদের অনুসারীদের বিবরণ প্রেরণ
করা হয়েছিল।
ইমাম সুফিয়ান আল-সাওরী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর ছাত্রবৃন্দ(Students of Imam Sufyan Al Thawri Rahmatullah Alaihi )
----------------------------------------------------
১) আল আমাশ, সুলাইমান বিন
মাহরান আল-আমাশ আবু মুহাম্মদ আল-আসাদী আল-কাহিলী
২) ইবন জুরাইজ, আবু আল-ওয়ালিদ
আবদুল-মালিক বিন আবদুল আজিজ বিন জুরাইজ আল-উমাবি,
৩)আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ বিন জাফর আস সাদিক রাহমাতুল্লাহ আলাইহি
৪) আবু হানীফা আল-নুমান ইবনে সাবিত ইবনে মারজুবান আল-কুফি রাহমাতুল্লাহ
আলাইহি
৫)আবু আমর আব্দুল রহমান ইবনে আমর ইবনে মুহাম্মদ আল-আউজাই
৬)মুহাম্মদ ইবনে আবদ-রহমান-ইবনে আল-মাগিরা ইবনুল হরিস বিন আবি
যীব
৭)আবু সালামাহ মাসার বিন কাদ্দাম বিন ধুহির বিন উবাইদাহ বিন
আল হারিস
আল-হিলালি আল কুফি
৮)শু'বা ইবনুল হাজ্জাজ রাহমাতুল্লাহ
আলাইহি
৯)আবু উরওয়াহ মুআমার বিন রশিদ
১০)সুফিয়ান ইবন ওয়াইনাহ
* আহমেদ বিন ইউনিস,
* অ্যাটিকের পুত্র,
* জারির বিন আবদুল হামিদ,
* হাফস বিন গায়েথ
আবু ওসামা ও রাওয়াহ
বিন উবাদাহ,
, * আবু দাউদ আল-তায়ালিসি
* এবং আবদুল্লাহ ইবনে মোবারক,
* আব্দুলরহমান বিন মাহদী
, * আবদুল রাজ্জাক,
এবং মালিক বিন আনাস,
* মুহাম্মাদ বিন ইউসুফ
আল-ফুরায়বী
* ওয়াকেয়া ইবনুল জাররাহ
, * ইয়াহিয়া বিন
আদম,
* ইয়াহিয়া আল-কাত্তান,
* ইউসুফ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি
، ইমাম সুফিয়ান আস সাওরী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর গ্রন্থ (Books by Imam
Sufyan As Thawri Rahmatullah Alaihi )
ইমাম সুফিয়ান আস সাওরী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি যখন মুহাদ্দিস হিসেবে
প্রসিদ্ধতা অর্জন করেন তখন হাদীসের রেওয়াত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিছু কিছু
গ্রন্থ রচিত হলে ও তা ব্যাপকভাবে বিস্তৃত ছিল না। তিনি নিম্ন বর্ণিত গ্রন্থগুলি রচনা
করেন। যেমন -
১) আল জা'মি আল কাবীর
(*الجامع
الكبير)
২)আল জা' মি আস সগীর («الجامع
الصغير)
৩) আল ফারাইদ (الفرائض)
৪) রিসালাহ (رسالةإلى عباد بن
عباد
الأرسوقي)
৫)তাফসির
(*تفسير
سفيان الثوري)
৬) হাদীস সুফিয়ান আস সাওরী (حديث
سفيان الثوري)
এ ছাড়া ইমাম বুখারী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি তার থেকে ৩৯৫টি হাদীস, ঈমাম মুসলিম ৪১৩আবূ দাউদ ২৪৬,ইমাম তিরমিজি৩৮৪,
নাসাযী৩১৫ ও ইবন মাজাহ ৩৬০ ইমাম আহমেদ ইবন হান্বল ১৬২৭টি হাদীস
তাদের গ্রন্থগুলির মধ্যে বর্ননা করেন।
ইমাম সুফিয়ান আল-সাওরী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর শিক্ষকবৃন্দ:(Teacher's of Sufyan Al Thawri Rahmatullah Alihi)
----------------------------------------
*আইয়ুব সাখতিয়ানি
*বাহজ বিন হাকিম রহ
* জাফর আল সাদিক,
*হামমাদ বিন আবি সুলেমান
* হামিদ তাওিল,
*রাবিয়ার রাই
*ইয়ামি জাবেদ
* যায়েদ বিন আসলাম রহ
* সাঈদ আল জারি,
*আবু হাজিম সালামাহ বিন
দিনার,
* সুলাযমান আল-আমাশ
বিন হাজ্জাজ শু'বা
*ওয়াসফান বিন সুলায়ম,
*অসীম বিন আবি আন নাজুদ,
অসীম আল-আহওয়াল,
*আবদুল্লাহ ইবনে আবি বকর
বিন হাজম,
*আবদুল্লাহ বিন দিনার,
*আবু আল-জিনাদ
*আবদুল্লাহ বিন শাদ্দাদ
আল-আরজ,
*আবদুল্লাহ বিন তাওস,
*আব্দুলাজিজ বিন রাফি
*আলী বিন বাথাইমা,
*আমর বিন মাইমন,
কায়স বিন মুসলিম
লইথ বিন আবি সুলাইম,
ইবনে ইসহাক, এবং মুহাম্মদ বিন আবী বকর বিন হাজম,
ইবনে আবি একটি নেকড়ে,
ইবনে আবী লায়লা,
মুহাম্মদ বিন মুনকাদির,
মুয়াম্মার বিন রশিদ,
হিশাম ইবনে উরওয়া,
আবু ইসহাক আল সুবাই
----------------------------------------------------------------
قال عبدالرزاق: سمعت مالكًا،
والأوزاعي، وابن جريجٍ، والثَّوري، ومعمرًا، يقولون: الإيمان قول وعمل، يزيد
وينقص؛ (سير أعلام النبلاء للذهبي جـ 7 صـ 252)
.*আবদুর -রাজ্জাক বলেন,
আমি শুনেছি ইমাম মালিক, ইমাম আল-আওজা’ই,
ইমাম ইবনে জুরেইজ,ও সুফিয়ান আল-সাওরী এবং মুয়াম্মার বলেছেন: ঈমান বা বিশ্বাস এটি কথা এবং কাজ, এটি বৃদ্ধি পায় এবং হ্রাস পায়।
* قال سُفْيان
الثَّوري: "خالفتنا المرجئة في ثلاثٍ: نحن نقول: الإيمان قول وعمل، وهم
يقولون: الإيمان قول بلا عملٍ، ونحن نقول: يزيد وينقص، وهم يقولون: لا يزيد ولا
ينقص، ونحن نقول: نحن مؤمنون بالإقرار، وهم يقولون: نحن مؤمنون عند الله"؛
ইমাম সুফিয়ান আল-সাওরী
বলেছেন:
"মুরজিয়াহ তিনভাবে আমাদের সাথে মতানৈক্য করেছে: আমরা বলি: বিশ্বাস
একটি কথা এবং কর্ম,
এবং তারা বলে: বিশ্বাস কোনও কর্ম ছাড়াই কথা6।
আমরা বলি: এটি বৃদ্ধি এবং হ্রাস পায়, এবং তারা বলে: এটি বৃদ্ধি বা হ্রাস পায় না,।
: আমরা নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করি মুমিন ঈমানের
স্বীকৃতি প্রদান করা এবং তারা বলে: আমরা আল্লাহ
বিশ্বাসী অর্থাৎ মুমিন হওয়ার জন্য স্বীকৃতির দরকার নেই।
قال سُفْيان الثَّوري: مَن زعم
أن ﴿ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ﴾ [الإخلاص:
مخلوقٌ، فقد كفر بالله عز وجل"؛
সুফিয়ান আস সাওরী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেন, যে মনে করে قل هو الله أحد মাখলুক বা সৃষ্টি
সে আল্লাহ তাআলার সাথে
কুফুরী করে।
قال سُفْيان الثَّوري:
"مَن قدَّم عليًّا على أبي بكرٍ وعمر فقد أزرى بالمهاجرين والأنصار، وأخشى
ألا ينفعَه مع ذلك عمل"
সুফিয়ান আল-সাওরী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেন, যে ব্যক্তি আবু বকর রাদি আল্লাহ তাআলা আনহু ও উমার রাদি আল্লাহ
তাআলা আনহর উপরে আলী রাদি আল্লাহ তাআলা আনহুকে মর্যাদা দেয় সে আনসার ও মুহাজিরদের
দিকে দৃষ্টি প্রদান করে। আমি ভয় করি কারন তাদের আমলের উপকার নিয়ে।
قال سُفْيان الثَّوري: أئمة
العدل خمسة: أبو بكرٍ، وعمر، وعثمان، وعلي، وعمر بن عبدالعزيز رضي الله تعالى
عنهم،من قال غير هذا فقد اعتدى
সুফিয়ান আল-সাওরী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেছেন: ন্যায়বিচারের ইমামরা পাঁচজন : আবু বকর, ওমর, ওসমান, আলী এবং ওমর বিন আবদুলাজিজ, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাদের উপর সন্তুষ্ট থাকুন।এর বাইরে যে বলবে সে সীমালংঘন করবে।
قال شعيب بن حربٍ: "ذكروا
سُفْيان الثَّوري عند عاصم بن محمدٍ، فذكروا مناقبه حتى عدوا خمس عشرة منقبةً،
فقال: فرغتم، إني لأعرف فيه فضيلةً أفضل من هذه كلها؛ سلامة صدره لأصحاب محمدٍ صلى
الله عليه وسلم"؛
শুয়াইব বিন হারব বলেছেন “তারা সুফিয়ান আস সাওরী আল-সাথে অআসীম বিন মুহাম্মদের(আসীম বিন মুহাম্মদ
ইবনে যায়েদ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে ওমর বিন আল-খাত্তাব, আল-কুরাসী, আল-আদাভি, আল-ওমারি, আল-মাদানী, আল-ফকিহ তিনالفقهاء
السبعة من اهل المدينة ) । তারা তার মর্যাদা বর্ননা
করেন। তারা তার নিকট পনেরোটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেন।
সুফিয়ান আস সাওরী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বললেন: আপনি শেষ করেছেন, কারণ আমি তাঁর মধ্যে এই সমস্ত কিছুর চেয়ে ভাল পুণ্য জানি। তাঁর হৃদয় মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
এর সাহাবীদের পক্ষে নিরাপদ।
قال عبدالوهاب الحلبي:
"سألت سُفْيان الثَّوري ونحن نطوف بالبيت عن الرجل يحب أبا بكرٍ وعمر، إلا
أنه يجد لعليٍّ من الحب ما لا يجد لهما، قال: "هذا رجل به داءٌ ينبغي أن يسقى
دواءً"؛
আব্দুল -ওহহাব আল-হালাবী বলেছেন,
আমরা কাব্য ঘর তাওয়াফ করতে গিয়ে সুফিয়ান আল-সাওরীকে জিজ্ঞাসা করি, যে ব্যক্তি আবু বকর ও ওমরকে ভালবাসে, কিন্তু সে দেখতে পেয়েছে যে আলী মধ্যে ভালোবাসার এমন কিছু খুঁজে পেয়েছেন যা তিনি
উভয়ের মধ্যে পাইনি। সুফিয়ান আস সাওরী বললেন, "এটি এমন একটি রোগ যাঁকে ওষুধ খাওয়ানো উচিত।
قال سُفْيان الثَّوري:
"من أصغى بسمعه إلى صاحب بدعةٍ وهو يعلم أنه صاحب بدعةٍ، خرج من عصمة الله،
ووُكِل إلى نفسه"؛
সুফিয়ান আস সাওরী বলেছেন :
"যে ব্যক্তি নিজের মতবিরোধের ক্ষেত্রে বিদআদী অনুসরণ করে তিনি
জানেন যে সে বিদআতী সে নিস্পাপ থেকে মুক্ত হয়ে গেল। নিজের তত্ত্বাবধানের আশ্রয় নিল।
মালিকের কথা শুনে তাঁর শ্রবণশক্তি শুনলে সে জেনে যায় যে, সে Godশ্বরের অবাস্তবতা থেকে দূরে চলে গিয়েছিল এবং তাকে নিজের হাতে
সোপর্দ করা হয়েছিল।"
ইমাম সুফিয়ান আস সাওরী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর মৃত্যুবরণ (Death of Imam Sufyan As Thawru Rahmatullah Alaihi)
--------------------------------------------------------------------
ইমাম সুফিয়ান আস সাওরী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি ১৬১ হিজরি সালে
মৃত্যুবরণ করেন।
استمر -رحمه الله- عابداً لربه
مستمراً على العهد الذي بينه وبين الله علماً وتعليماً وعبادة حتى جاءه الأجل،
ووافاه القدر، قدر الله بالموت في البصرة، في شعبان سنة إحدى وستين ومائة للهجرة، وقد غسله
عبد الله بن إسحاق الكناني
ইবনু মাহদী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেন,
ইমাম সুফিয়ান আস সাওরী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি পেটের রোগে আক্রান্ত
হলেন। তিনি সে রাতে ষাটবার অজু করেন। অবশেষে বিছানায় শুয়ে পড়েন। তার মুখমন্ডল আডষ্ঠ
হয়ে যায়। তিনি বলেন হে আব্দুর রহমান মৃত্যু এত কঠিন? এর পর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার চোখের পাতা বন্ধ করে দেওয়া
হয়। এ সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকের আগমন শুরু হয়। তিনি বাসরায় মৃত্যুবরণ করেন
তাকে গোসল করান আব্দুল্লাহ ইবনে ইসহাক আল কানানী। সুফিয়ান আল-সাওরী মৃত্যু এর মৃত্যুর সময় আসতে থাকে , তখন তিনি আতঙ্কিত হন।
সেখানে যারা ছিলেন তারা তাঁকে শান্ত করেছিলেন। যখন তিনি তাঁর
আল্লাহ তাআলা নিকট ফিরে যাচ্ছেন তখন তিনি আব্দুর -রহমান ইবনে আবদ-মালেককে জানাযার নামায
পড়াতে বললেন।
, খালিদ বিন হারিস আব্দুর -রহমান ইবনে আবদ-মালেক তার কবরে লাশ
রাখলেন।
সুফিয়ান আল-সাওরী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর উপর রচিত
গ্রন্থ
(Books on Sufyan Al-Sawri Rahmatullah Alaihi )
------------------------------------------------------------
১) সুসান ফরিদ ফালাহ(الإمام سفيان الثوري و ارايه الفقهية
مقارنة بالمذاهب الأخرى
২)ভ.আহমদ সায়্যীদ আহমদ (مواقف من حياة الصحابة سفيان
الثوري
৩)আব্দুল গনী আদ দাকার(أمير المؤمنين في الحديث )
৪)মাহির নাবিল আহমদ ইদরিস ( مذهب سفيان الثوري في الطلاق و
الخلع
৫)মুহাম্মদ সালেহ আল মুনজিদ (سيرة
سفيان الثوري
)
৬) সালাহ নাজিব আদ দাক(أمام اهل الحديث سفيان الثوري )
৭)শামসুদ্দীন আয যাহাবী (*سير أعلام النبلاء)
৮)ইবন আসাকির( تاريخ دمشق )
৯)জামাল আল-দীন মাজ্জি(*تهذيب الكمال)
১০)ইবন সাআদআবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে সা'দ ইবনে মানিল বাসরী আল-হাশিমি আল ওয়াকিদী [(*الطبقات الكبرى)
১১) আহমদ বিন আবদুল্লাহ আল-আসফাহানী আবু নাইম
(حلية
الأولياء وطبقات الأصفياء)
১২) ইবন নাদিমআবু আল-ফারাজ মুহাম্মদ বিন ইসহাক বিন মুহাম্মদ
বিন ইসহাক আল-ওয়ারাকা আল-বাগদাদী
(*الفهرست)
১৩)ইবন আবি হাতিম (*الجرح والتعديل)
১৪) আয যাহাবী (شرح الموقظة)
১৫) ইবন হাজার আসকালানী (*تهذيب التهذيب)
১৬)শামস আল দীন আল দাউদী (*طبقات
المفسرين)
১৭)মুহাম্মদ বুলতাজী(*مناهج التشريع الإسلامي في
القرن الثاني الهجري)
১৮)ইবনুল ইমাদ আল হান্বলী (*شذرات
الذهب في أخبار من ذهب)
১৯) আহমদ ইবনে হান্বল ( السنة )
২০)আল-বাল্লাজুরি, আহমেদ বিন ইয়াহিয়া
বিন জাবের ইবনে দাউদ (فتوح البلدان )
২১)হাল্লাক, হাসান আলী( موسوعة
العايلات)
২২)ইবনে হিব্বান(مشاهير علماء الأمصار)
২৩)আবু মুহাম্মাদ আল-ইয়াফি(مرآة
الجنان وعبرة اليقظان)
২৪)হাজী খলিফা(كشف الظنون عن أسامي الكتب
والفنون)
وعالم أهل الشام) )
২৫) ইবন কাসীর রাহমাতুল্লাহ আলাইহি
(البداية
والنهاية - ).
اعلام النبلاء )
ইমাম সুফিয়ান আস সাওরী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি গুরুত্বপূর্ণ
বানী সমূহ ( Most famous quotes of Suyyan Al Thawri )
------------------------------------------------------------
إن استطعت ألا تحك رأسك إلا
بدليل فافعل. الحديث درج والرأي مرج فإذا
كنت على الدرج فاحذر أن تزل قدمك فتندك عنقك وإذا كنت في المرج فسر حيث شئت. قالت لي والدتي لا تتعلم العلم إلا إذا نويت العمل به وإلا فهو
وبال عليك يوم القيامة।
তুমি যদি সক্ষম হও দলীল
ছাড়া তোমার মাথা নিচু করবে না তাই করো। হাদীস হচ্ছে সিঁড়ি , এবং রাবী হলো তৃণভূমি,
যদি তুমি সিঁড়িতে থাক তবে সতর্ক থাকতে হবে যেন পা পিছলে না যায়। তুমি যদি চারণভূমিতে থাকো তবে যদি
কোথায় যাও তা ব্যাখ্যা করুন।
আমার মা আমাকে বলেছেন , "তুমি যদি এ নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা না করেন তবে জ্ঞান শিখবেন না। , তা না হলে বিচারের দিন এটি তোমাকে ক্ষতি করবে।
ليس طلب العلم فلان عن فلان
إنما طلب العلم الخشية لله عز وجل.
জ্ঞানের সৌন্দর্য্য ও গুরুত্ব কেবলমাত্র এই কারণে যে, এটা একজন ব্যক্তিকে আল্লাহকে ভয় ও তাঁর আনুগত্য করতে শেখায়।
তা না হলে এটা অন্যান্য স্বাভাবিক বিষয়ের মত।”
*তারা তো এই পৃথিবীতে যেসব দুঃখ-কষ্ট-যন্ত্রণার মুখোমুখি হয় তাতে
ক্ষতিগ্রস্ত হয় না;
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তাদের সমস্ত কষ্টের
প্রতিদান হিসেবে দিবেন জান্নাত।”
*আলেমগণের উদাহরণ হলো বৃষ্টির মতন, তারা যেখানেই গমন করেন সেখানেই কল্যাণ হয়।”
“তোমরা কি আমাকে দারিদ্রতার কথা ভাবিয়ে ভয় দেখাতে চেষ্টা করছ যখন যে একমাত্র বিষয়
সুফিয়ান ভয় করে তা হলো এই দুনিয়ার সম্পদ তার উপরে ঢেলে দেয়া হবে!”
যে ব্যক্তি ভালোবাসে লোকে তার মতামত জানার জন্য তাকে প্রশ্ন
করুক,
সে মতামত জানতে চাওয়ার যোগ্য কোন ব্যক্তি নয়।”
*“তাঁকে (অর্থাৎ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামকে) অনুসরণ করাই হলো তাকে ভালোবাসা।”
*মানুষকে তার করা (ভালো) কাজগুলোর অনুপাতে ভালোবাসো। যখন তোমাকে
কোন ভালো কাজ করার জন্য আহবান করা হয় তখন বিনয়ী এবং নমনীয় হও এবং যখন কোন পাপকাজ করতে
ডাকা হয় তখন কঠোর এবং বেপরোয়া হও।”
নেতৃত্বের পদটি ছেড়ে দেয়া এই দুনিয়াকে (এবং তার আনন্দগুলোকে)
ছেড়ে দেয়ার চেয়েও বেশি কঠিন।”
عبدالرحمن بن مهدي يقول لما أن
غسلت سفيان الثوري وجدت في جسده مكتوبا فسيكفيكم الله.لا تكونن حريصا على الدنيا
تكن حافظا.
আবদুল রহমান বিন মাহদী বলেছেন যে আমি সুফিয়ান আস সাওরী রাহমাতুল্লাহ
আলাইহি গোসল করাই যখন তখন আমি তাঁর শরীরে একটি লিখিত বক্তব্য পেয়েছিলাম। এবং Godশ্বর আপনাকে যথেষ্ট করবেন।
আমার মনে হয় যদি কোনও লোক মিথ্যা বলত তবে সে তার মুখে তা জানত।
إنى لأظن لو أن رجلا هم بالكذب
عرف ذلك في وجهه. يا معشر الشباب تعجلوا بركة
هذا العلم فإنكم لا تدرون لعلكم لا تبلغون ما تؤملون منه ليفد بعضكم بعضا.
যুবসমাজ, এই জ্ঞানের আশীর্বাদ
তাড়াতাড়ি কর,। কারণ তোমরা জান না, জ্ঞান ব্যতীত
পরস্পরের উপকারের জন্য তোমরা যা আশা করবে তা অর্জন করবে না।
الإسناد سلاح المؤمن ، فإذا لم
يكن له سلاح فبأي شيء يقاتل.
ইসনাদ হ'ল মুমিনের অস্ত্র যদি কারো অস্ত্র না থাকে তাহলে সে কিসের সাহায্য
যুদ্ধ করবে?
ما أعلم شيئا أفضل من طلب
العلم بنية
জ্ঞান অর্জন করতে নিয়ত করার চেয়ে আমি ভাল আর কিছুই জানি না।
طلبت العلم ولم تكن لي نية ثم
رزقني الله النية تعلموا العلم
فاذا علمتموه فاكظموا عليه ولا تخلطوه بضحك ولا لعب فتمجه القلوب
নিয়্যাতের চেয়ে অন্য কোন কিছুর প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখা আমার
কাছে বেশি কঠিন মনে হয়নি,
কেননা নিয়্যাত তো সবসময় পরিবর্তন হতে থাকে।”
مثل العالم مثل الطبيب لا يضع
الدواء إلا على موضع الداء أول العلم الصمت
والثاني الإستماع له وحفظه والثالث العمل به والرابع نشره وتعليمه
আলিপুরদুয়ার উপমা ডাক্তারের মত। চিকিত্সকরা রোগের স্থান ছাড়া
ঔষধ প্রদান করেন না।
প্রথম ইলম নীরবতা, দ্বিতীয়টি এটি
শ্রবণ করা এবং মুখস্থ করা,
তৃতীয়টি এটির উপর আমল করা এবং চতুর্থটি এটি ছড়িয়ে দেওয়া
এবং এটি শিক্ষা প্রদান করা।
*আমাদের দৃষ্টিতে একজন মানুষের ততক্ষণ পর্যন্ত দ্বীন-ইসলামের
গভীর জ্ঞান অর্জিত হয় না,
যতক্ষণ পর্যন্ত সে দুঃখ-কষ্ট ও কঠিন সময়গুলোকে রাহমাত হিসেবে
মনে না করে এবং আরাম-আয়েশ ও আভিজাত্যকে পরীক্ষা হিসেবে মনে না করে।”
*ভরপেট খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হোন কেননা এটা অন্তরকে কঠিন করে
দেয়। সেই সাথে রাগকে সংযত রাখুন এবং অতিরিক্ত হাসাহাসি করবেন না, কেননা মাত্রাতিরিক্ত হাসাহাসিতে অন্তর মরে যায়।”
— ইমাম সুফিয়ান আস সাওরি (রাহিমাহুল্লাহ)
কোন কিছুকে সংশোধন করতে আমার এত বেশি সংগ্রাম করতে হয়নি, আমার আত্মাকে বশ করতে আমার যত বেশি কঠিন লেগেছে ; কখনো আমি জয়ী হই, কখনো হই পরাজিত।”
*“সেই ব্যক্তির কাছ থেকে দূরে থাকুন যে ভালোবাসে তার মতামত সবাই
অনুসরণ করুক,
যে পছন্দ করে তার অভিমত সবাই জানুক এবং তা ছড়িয়ে যাক।”
— ইমাম সুফিয়ান আস সাওরি (রাহিমাহুল্লাহ)
*“তোমার বিয়ের প্রস্তাব গ্রহণ হোক এমনটা চাইলে (যেই মেয়েকে বিয়ে
করতে চাও তার) মাকে উপহার দাও।”
ليس عمل بعض الفرائض أفضل من
طلب العلم. لا نزال نتعلم العلم ما وجدنا
من يعلمنا. ليس شيء أنفع للناس من الحديث. الحديث أكثر من الذهب والفضة وليس يدرك وفتنة الحديث أشد من فتنة
الذهب والفضة
কিছু ফরয আমল জ্ঞান অর্জনের চেয়ে উত্তম নয়।আমরা যা পেয়েছি
তা এখনও আমরা ইলম শিক্ষা দিচ্ছি।
মানুষের নিকট কথা চেয়ে
বেশি কিছু উপকারী কিছু নয়।
কথা স্বর্ণ ও রৌপ্যের চেয়ে বেশি দামী। সোনা
ও রূপার ফিৎনার চেয়ে কথার ফিৎনা অনেক কঠিন।
من ازداد علما ازداد وجعا. وددت أن أنجو من هذا الأمر كفافا لا علي ولا لي. من رق وجهه رق عمله.
He who knows
more, is more painful.
I wanted to be
saved from this matter, neither on me nor for me.
From parchment
his face parchment work
أكثروا من الأحاديث فانها سلاح كثر الناس عليه فقال: ضاعت الأمة حين احتيج إلي. ما تصنع بعلم إذا انتهيت فيه إلى الغاية تمنيت إنك خرجت منه كما
دخلت فيه كان إذا لقي شيخا سأله هل سمعت
من العلم شيئا فإن قال لا قال لا جزاك الله عن الإسلام خيرا. ينبغي للرجل أن يكره ولده على طلب الحديث فانه مسئول عنه إن هذا الحديث عز من أراد به الدنيا فدنيا ومن أراد
به الآخرة فآخرة
*অনেক হাদিসের জ্ঞান অর্জন করো কেননা এটা অস্ত্র।
বহু লোক তার উপর আছে।
* তিনি বলেন : যখনই আমার যখন প্রয়োজন হয়েছিল তখন জাতিটি হারিয়ে
গেছে।
সুফিয়ান আস সাওরী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর অবস্থান
(Status of Sufyan As Thawri Rahmatullah Alaihi)
------------------------------------------------------
اعترف الكثيرون بفضل سفيان
الثوري، وأنزلوه منزلة عالية، واعترفوا بفضله. فقد وصفه الذهبي بأنه: «شيخ
الإسلام، إمام الحفاظ، سيد العلماء العاملين في زمانه»
অনেকে সুফিয়ান আল-সাওরি রাহমাতুল্লাহ আলাইহি কৃতিত্ব স্বীকৃতি
দিয়েছেন। তাকে একটি উচ্চ মর্যাদায় ভূষিত
করেছেন। তার মর্যাদার স্বীকৃতি প্রদান করেছেন।
শামসুদ্দীন আল-যাহাবী
তাকে “ইসলামের শাইখ, হাফিজদের ইমাম, তাঁর সময়ের আমরকারী আলেমদের কর্তা কৃতিত্ব স্বীকৃতি দিয়েছিলেন । তাকে একটি উচ্চ মর্যাদায় ভূষিত করেছেন।
وقال عبد الله بن المبارك:
«كتبت عن ألف ومائة شيخ، ما كتبت عن أفضل من سفيان»
আবদুল্লাহ বিন আল-মোবারক বলেন: "আমি প্রায় এক হাজার ও
একশ শাইখ নিকট থেকে হাদীস লিখেছি। কিন্তু আমি
সুফিয়ান আস সাওরী অপেক্ষা কেউই উত্তম ছিলেন না।
وقال أيوب السختياني: «ما لقيت
كوفيًا أفضله على سفيان»
،আইয়ুব আল-সাখতিয়ানী বলেন: "সুফিয়ান আস সাওরী রাহমাতুল্লাহ
আলাইহি চেয়ে উত্তম আমি কুফার কোন আলিমের সন্ধান পাইনি।"
وقال يونس بن عبيد: «ما رأيت
أفضل من سفيان. فقيل له: فقد رأيت سعيد بن جبير وإبراهيم وعطاء ومجاهدًا، وتقول
هذا؟! قال: هو ما أقول، ما رأيت أفضل من سفيان
ইউনুস ইবনে ওবায়দ বলেন: আমি সুফিয়ানের চেয়ে ভাল আর দেখিনি। তাকে বলা হয়েছিল: আমি সাঈদ বিন জুবায়ের, ইব্রাহিম, আতা এবং মুজাহিদকে দেখেছিলেন এবং আপনি কি এ কথা বলছেন ?! তিনি বললেনঃ আমি যা বলি তা আমি সুফিয়ানকে দেখিনি।
،قال
عبد الرحمن بن مهدي: «ما رأت عيناي أفضل من أربعة، ما رأيت أحفظ للحديث من الثوري،
ولا أشد تقشفا من شعبة، ولا أعقل من مالك، ولا أنصح للأمة من ابن المبارك»
আবদুর রহমান ইবনে মাহদী বলেন, "আমি কখনও আমার চোখের চারজন দেখতে পাইনি। আমি কোন হাদিসকে কখনও সুফিয়ান আস সাওরী
চেয়ে স্মরণীয় হতে দেখিনি,। ইমাম শু'বা থেকে অধিক কঠোর কাউকে দেখিনি। ইমাম মালেকের চেয়ে
জ্ঞানী বুদ্ধিমান দেখিনি।
আমি উম্মাহকে ইবনে আল-মুবারকের চেয়ে পরামর্শ দিতে দেখিনি।
*وقال يحيى بن سعيد القطان: «ليس أحد أحب إلى من شعبة،
ولا يعدله أحد عندي. وإذا خالفه سفيان، أخذت بقول سفيان
ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তানআল-কাত্তান বলেছেন: “তাঁর কাছে শুবার চেয়ে কেউ বেশি প্রিয় নয়, আর কেউ তার সমান নয়।
এবং যদি সুফিয়ান তার সাথে একমত না হয়, আমি সুফিয়ান
এর বক্তব্য গ্রহণ করেছি।
وقال أيضًا: «سفيان الثوري فوق
مالك في كل شيء»،
তিনি আরও বলেন : “সুফিয়ান আস সাওরী
রাহমাতুল্লাহ আলাইহি আল-থাওরি সবকিছুতেই ইমাম
মালিকের থেকে .উর্ধ্বে।
وقال عباس الدوري: «رأيت يحيى
بن معين، لا يقدم على سفيان أحدًا في زمانه، في الفقه والحديث والزهد وكل شيء
»،আব্বাস আল-দুআরি বলেছেন : "আমি ইয়াহিয়া ইবনে মাঈনকে
দেখেছি,
তিনি সুফিয়ান আস সাওরী অপেক্ষা তার সময়ে, ফিকহ, হাদীস, ইবাদতেএবং সবকিছুতে কাউকে অগ্রাধিকার দেননি।
وقال المثنى بن الصباح: «سفيان
عالم الأمة وعابد
আল মুসন্না বিন আল সাবাহ বলেছেন: “সুফিয়ান হ'ল জাতির আলেম
এবং আবেদ।
وقال ابن أبي ذئب: «ما رأيت
أشبه بالتابعين من سفيان الثوري»
ইবন আবূ যীব বলেন, ইমাম সুফিয়ান আল-সাওরী মতো তাবেঈগনের মধ্যে আর কাউকে দেখিনি।
وقال بشر الحافي: «كان الثوري
عندنا إمام الناس »،
وقال أحمد بن حنبل: «أتدري من الإمام؟ الإمام سفيان الثوري، لا يتقدمه أحد في قلبي»، وقال سفيان بن عيينة: «جالست
عبد الرحمن بن القاسم وصفوان بن سليم وزيد بن أسلم، فما رأيت فيهم مثل سفيان»،
বিশর আল-হাফি বলেছেন : "সুফিয়ান আস সাওরী আল- ছিলেন লোকদের
ইমাম।"
*আহমদ বিন হাম্বল বলেন : "তুমি কি জান যে ইমাম কে? ইমাম সুফিয়ান আল-সাওরী
ব্যতীত কাউকে আমার মনে অগ্রসর করিনি । "
*সুফিয়ান ইবনে উআয়না বলছেন :" আমি আবদুর রহমান বিন আল-কাসিম, সাফওয়ান বিন সেলিম এবং যায়েদ বিন আসলাম এর নিকট বসেছি
। তাই আমি তাদেরকে সুফিয়ানের মতো দেখিনি।
وقال الأوزاعي: «لو قيل: اختر
لهذه الأمة رجلاً يقوم فيها بكتاب الله وسنة نبيه، لاخترت لهم سفيان الثوري»،وقال
يحيى بن أكثم: «كان في الناس رؤساء. كان سفيان الثوري رأسًا في الحديث، وأبو حنيفة
رأسًا في القياس، والكسائي رأسًا في القراء، فلم يبق اليوم رأس في فن من الفنون
ইমাম আওযাঘ বলেন : “যদি বলা হত: আমি
এই জাতির জন্য এমন এক ব্যক্তিকে বেছে নেব যিনি আল্লাহ তাআলা কিতাব ও তাঁর নবীর সুন্নাহ
পালন করতেন,
তবে আমি তাদের জন্য সুফিয়ান আল-সাওরিকে বেছে নিয়েছি।”
ইয়াহিয়া বিন আক্তম বলেছেন: “লোকেরা নেতা ছিল। সুফিয়ান
আল-সাওরী হাদীসের প্রধান ছিলেন।
, আবু হানিফা কিয়াসের প্রধান ছিলেন এবং আল-কাসাই কিরআতেরপ্রধান
ছিলেন। ,
তাই আজ কোন বিষয়ে আর
প্রধান পাওয়া যাবে না।
وقال وكيع بن الجراح: «كان
سفيان بحرًا
»ওয়াকী ইবনে জাররাহ বলেছেন “সুফিয়ান আস সাওরী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি একটি সমুদ্র ছিলেন।
قال أبو بكر الخطيب عنه: «كان
إمامًا من أئمة المسلمين وعلمًا من أعلام الدين، مُجمعًا على أمانته بحيث يستغني
عن تزكيته مع الإتقان والحفظ، والمعرفة والضبط، والورع والزهد».
আবু বকর আল-খতিব তার
বলেন,
"তিনি মুসলমানদের ইমাম এবং ধর্মের সর্বাধিক বিশিষ্ট আলেম ছিলেন, তাঁর আস্থার প্রতি একমত ছিলেন যে তিনি প্রভুত্ব এবং সংরক্ষণ, জ্ঞান ও শৃঙ্খলা, ধার্মিকতা এবং
তপস্যা দিয়ে তাঁর প্রশংসা দিয়েছিলেন।
উপসংহার (conclusion)
--------------------------
উপরের আলোচনা থেকে এ কথা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, ইমাম সুফিয়ান আল-সাওরী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি একজন বিখ্যাত মুহাদ্দিস, ফকীহ ও মুফাসসির। তিনি ৬৪বছর জীবনের অধিকাংশ সময়েই হাদীসের খেদযত
ব্যয় করেন। ইমাম বুখারীসহ সিহাহ সিত্তার ও মুসনাদে আহমদ ইবন হান্বল তার থেকে হাদীস
বর্ননা করেন। তিনি তাবেঈ যুগের প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস। আমরা সবাই তার খেদমতের উপর আমল
করতে পারি আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে তাওফীক দান করুন, আমীন।
প্রফেসর ড. সৈয়দ মাকসুদুর রহমান
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া
বাংলাদেশ
0 coment rios:
You can comment here