---------------------------
--------------------------------
ইমাম আউযাই
রাহমাতুল্লাহ আলাইহি তাবে তাবেযীনদের যুগের একজন প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ছিলেন। তিনি সর্ব
প্রথম ইয়ামামাহ অবস্থানকারী প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ইয়াহইয়া ইবন কাসীর রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর নিকট হাদীসের জ্ঞান অর্জন করেন। এরপর বসরার প্রখ্যাত
মুহাদ্দিস মুহাম্মদ ইবনে শিরীনের এবং হাসান আল বাসরীর নিকট হাদীসের জ্ঞান অর্জন করতে
ভ্রমণ করেন। অতীব দুঃখের বিষয় তিনি বাসরায় পৌঁছে জানতে পারেন হাসান আল বাসরী মৃত্যু
হয়েছে আর ইবন শিরীন মৃত্যুশয্যায শাযিত আছেন। ইমাম আউযাই রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বিপুল
পরিমাণ তাবেঈ থেকে হাদীস শ্রবণ করেন। ইবন কাসীর রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেন,
(أدرك خلقا من التابعين)
তিনি বহু সংখ্যক
তাবেঈর সাক্ষাৎকার পান।
ইমাম আউযাই
রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেন, ইমাম আয যুহরী ইয়াহইয়া ইবনে কাসীর উভয়ের নিকট থেকে হাদীস শ্রবণ করেন। তাদের নিকট
থেকে শিক্ষা সমাপ্ত হলে তাদের নিজস্ব সংকলন আমাকে দান করেন। তিনি বলেন
اروها عني
এই হাদীসসমূহ
তুমি আমার নিকট থেকে বর্ননা কর।
(Name of imam Aawazai)
------------------------------
আবু আমর আবদুর
রহমান ইবন আমর ইবন মুহাম্মাদ আল-আওযাঈ ৷
عبدالرحمن بن عمرو بن يحمد الأَوْزاعي،عالم وإمام أهل الشام. هو أبو عمرو عبد الرحمن بن عمرو
بن يُحْمَد الأَوْزَاعِيُّ.
আওযাই নামকরণ করার কারন
(Reason for naming Awazai)
-----------------------------------
قال محمد بن سعد: "والأوزاع بطن من همدان". وقال البخاري
في تاريخه: "الأوزاع: قرية بدمشق إذا خرجت من باب الفراديس".
আল-আওযা হিময়ার বংশের একটি শাখার নাম ৷ তিনি তাদের
মধ্যে ছিলেন একজন ৷ এরুপ
বলেছেন মুহাম্মাদ
ইবন সাদ তার প্রসিদ্ধ গ্রন্থে তাবাকাত ইবন সাআদে। তিনি তাদের মধ্যে ছিলেন না ; তিনি বরং
আল-আওয৷ মহল্লায়
উপনীত হয়েছিলেন, আর এটা ছিল বাবুল কারাদীস এর বাইরে দামেশকের গ্রামগুলোর
মধ্যে একটি প্রসিদ্ধ গ্রাম ৷
আউযাই রাহমাতুল্লাহ
আলাইহি ছিলেন ইয়ণহইরা ইবন আমর আপন আশ-শায়বানীর চাচাতাে ভাই ৷
আবু যুরআ রাহমাতুল্লাহ
আলাইহি বলেন, আসলে তিনি ছিলেন সিন্ধুর কয়েদীদের অন্যতম ৷এরপরে
তিনি আল-আওযায় উপনীত হন এবং তার দিকে সম্পর্কযুক্ত হয়ে আল-আওযাঈ হিসেবে পরিচিত হন
৷
*অন্য একজন বলেন, তিনি বালাবাক
শহরে জন্মগ্রহণ করেন এবং আল বিকায় ইয়াতীম হিসেবে মায়ের কোলে লালিত-পালিত হন ৷ তার
মাতা তাকে নিয়ে
এক শহর থেকে
অন্য শহরে ন্থানন্তরিত হন ৷ আর তিনি নিজে নিজে আদব আখলাক ও বিভিন্ন ধরনের সমাজের আচার
আচরন জ্ঞান অর্জন করেন ৷
-------------------------------------
ইমাম আউযাই
রাহমাতুল্লাহ আলাইহি ৮৮ হিজরি সালে
লেবাননের বাকা
উপত্যকায় বালাবাক্কূ নামক স্থানে জন্ম গ্রহণ করেন। বাকার কারাট গ্রামে তাঁর শৈশব থেকে
যৌবন পর্যন্ত অনেক সময় অতিবাহিত করেন। বালাবাক্কূ লেবাননের শহর বেকা উপত্যকায় অবস্থিত।
এটি লেবাননের একটি প্রসিদ্ধ শহর, যা কৃষিজমির
এমন লিটানি নদীর পানি দ্বারা পরিবেষ্টিত। প্রচুর পরিমাণের কা পরিমাণে কৃষিজমির জন্য প্রচলিত ছিল।
বালাবাক্কূ
-হার্মেল প্রশাসনের কেন্দ্র। এটি ল্যান্ডলাইনগুলিতে এর অবস্থানের জন্য যুগে যুগে বিখ্যাত
ছিল। রোমানরা সেখানে বিশাল মন্দির নির্মাণ
করেছিল। এবং পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য।
وقد وُلِد في بَعْلَبَكَّ سنةَ 88هـ
ইমাম আউযাই রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর শৈশব ও লালন তপালন(Childhood and upbringing of Imam Awzai Rahmatullahi Alaihi )
-------------------------------
ইমাম আল-আওজা'ই রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বেকায় তার মায়ের কোলে লালিত পালিত হয়েছেন।
তার মাতা তাকে
দেশ থেকে দেশে নিয়ে যেতেন। তাঁর চেয়ে বাদশাহ, খলিফা, মন্ত্রী, ব্যবসায়ী ও
অন্যদের মধ্যে জ্ঞানী ও ধার্মিক কেউই ছিলেন না।
আমি তাঁর চেয়ে
জ্ঞানী, শ্রদ্ধেয়, স্বপ্নে স্বপ্নেও
নীরব ছিল না। তিনি নিজেই আদব শিক্ষা করেন। আর তার চেয়ে বেশি নীরবতা অবলম্বনকারী নেই।
ইমাম আল-আওযাঈ'র জ্ঞান ও ফিকহের
সুনাম স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ইমাম আল-আওজা’ই অন্যতম শীর্ষস্থানীয়
আলেম হিসাবে বিবেচিত।
যাঁরা বিশেষত
লেভান্ট ও আন্দালুসিয়ায় ইসলামী আইনশাসনকে প্রভাবিত করেছিলেন। আল-হাফিজ ইবনে কাছের বলেছিলেন: “দামেস্ক এবং
এর আশেপাশের পরিবেশবিদরা প্রায় দুইশো বিশ বছর ধরে তাদের মতবাদ বজায় রেখেছেন।
ইমাম আউযাই
রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর শিক্ষকবৃন্দ
(Teachers of imam Awzai Rahmatull Ali )
*কাতাদা
* আল-কাসেম বিন মুখহামরা
* রাবিয়া বিন ইয়াজিদ আল কসীর
* বিলাল বিন সাদ
*ইবন শিহাব আল
জুহরী
*আবদাহ ইবনে
আবি লাবাবা
* ইয়াহিয়া ইবনে আবি কাসীর
আবু কাছীর আল-সুহাইমী আল-ইয়ামামি
* হাসান বিন আতিয়াহ
* ইসমাইল ইবনে উবাইদ আল্লাহ বিন আবি আল মুহাজির
* মুতঈম ইবন আল
মিকদাম
*আমির ইবনে হানী
আল-আনসী
* ইউনস বিন মায়সারা
* মোহাম্মদ বিন
ইব্রাহিম আল-তাইমি
*আবদুল্লাহ ইবনে আমের আল-হাসবি
* ইসহাক ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে আবি তালহা
*আল হারিথ বিন ইয়াজিদ আল-হাদরামী
* হাফস বিন আনান
* সালেম বিন আবদুল্লাহ আল-মহরবি
*সুলাইমান বিন হাবিব আল-মহরবি
* সাদ্দাদ ইবন আবু আম্মার
* আবদুল্লাহ ইবনে ওবায়দ বিন ওমির
* আবদুল রহমান
বিন আল কাসিম
* আবদুল ওয়াহিদ
বিন কায়স
*আবী আল-নাজাশি
আতা বিন সুহাইব
*আতা আল-খোরাসানী
* ইকরিমা বিন
খালিদ
*আলকামা বিন মুরতাদ
* ইবনে আল মুনকদির
* মায়মুন বিন মাহরান
*ওয়ালিদ বিন
হিশাম আল-মাইতি
*সুলাইমান বিন মুসা
*আর হারুন বিন রাব
* আল মুতাম বিন আল-মুকাদ্দাম
*আলা ইবনুল হারিস, ইয়াজিদ বিন
আবদুল রহমান *ইবনে আবী মালিক আল হামদানি, আবদুল ওয়াহিদ
বিন *আবদুল্লাহ ইবনে বিশর,
ইয়াহিয়া বিন উবাইদুল্লাহ
*আমর বিন মাররা
ওয়াকরাহ বিন আবদুল রহমান
*, আবদুল রহমান
বিন হার্মলেহ ও আবদুল্লাহ বিন সাদ
* মুয়াবিয়া বিন সালামাহ নাসরী
আতিয়া, আমার ছেলে একটি
মন্দির
*ওসমান ইবনে আবী সৌদা
* মুত্তালিব বিন
আবদুল্লাহ ইবনে হানাতাব রহ
* ওসামা বিন যায়েদ আল-লাঠি এবং ইয়াজিদ আল-রাকশি
রাহমাতুল্লাহ আলাইহি
*ইব্রাহিম বিন মাররা রাহমাতুল্লাহ আলাইহি
* আইয়ুব বিন মুসা রাহমাতুল্লাহ আলাইহি
* আবু হুরায়রা’র মালিক আবু
মোয়াজ
* মুসা বিন ইয়াসার
রাহমাতুল্লাহ আলাইহি
সুলাইমান আল-আমাশ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি
ইমাম আউযাই
রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর
ছাত্রৱৃন্দ(Students of Imam Awzai Rahmatullahi Alaihi )
----------------------------------------------
*ইবন শিহাব আয়
যুহরী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি
*ইয়াহইয়া ইবন
কাসীর রাহমাতুল্লাহ আলাইহি
*ইমাম শু'বা রাহমাতুল্লাহ
আলাইহি
*সুফিয়ান আস
সাওরী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি
*ইমাম মালিক
রাহমাতুল্লাহ আলাইহি
*আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রাহমাতুল্লাহ আলাইহি
*ইউনুস বিন ইয়াজিদ
*আবদুল্লাহ ইবনে
আলা ইবনে জুবার
*সাঈদ বিন আবদুলাজিজ আল-তনৌখী
*আবু ইসহাক আল-ফাযারী রহ
* ইসমাইল বিন আয়শ
*ইয়াহইয়া ইবনে হামজা আল কাদী
*ওয়ালিদ বিন মুসলিম
* মাফি বিন ওমরান
*মোহাম্মদ বিন শুয়েব
ও শুয়েব বিন ইসহাক রহ
* ইয়াহিয়া আল-কাত্তান
*সাঈদ বিন ইউনূস রা
*মোহাম্মদ বিন ইউসুফ আল-ফ্রিয়াবী
এবং আবু আল মুগিরা আল-হোমসি রহ
* আবু অসীম আল-নাবিল রহ
* মোহাম্মদ বিন কাসীর আলমুসাইসি
* আমর বিন আবদেল
ওয়াহিদ,
*আল-ওয়ালিদ বিন মাযিয়াদ আল-অ্যাথ্রি
*সুফিয়ান বিন হাবিব
* সুয়াইদ বিন
আবদুল আজিজ, ইয়াজিদ বিন আল সামত,
*সালামাহ বিন
আল-আইয়ার,
*ইসমাইল বিন
আব্দুল্লাহ বিন সাম'আ,
*মুহাম্মদ বিন
ইউসুফ
* আবু খালিদ উতবা
বিন হামদ
* সাহল বিন হাশেম আল-বৈরুতি
* ওয়ালিদ বিন সালামাহ আল-উর্দুনী রহ
* মুয়াবিয়া বিন ইয়াহইয়া আবু ওসমান রা
এবং উবায়দুল্লাহ ইবনে মুসা,
*উকবা বিন আলকামা,
* নসর বিন আল-হাজ্জাজ,
*আব্বাদ বিন
জুওয়াইরিয়া
*মুসালিমা বিন
আলী
*আবু আল-মিনহাল হাবীশ বিন ওমর আল-দিমাশকী, আল-মাহদীর রান্নাঘর, উবাদ বিন উবাদ
আল-খাওয়াস *উবাইদ বিন হাব্বান আল-জুবাইলী
*আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল মালিক আল-শামী রহ
* মুসা বিন আইন এবং আল-হারিথ বিন আতিয়া আল-মুসাইসী
রহ
*আবদুল আজিজ ইবনে আল-ওয়ালিদ বিন সুলেমান বিন আবি
আল-সায়েব
*আমর বিন আবি
সালামাহ
* বাশর বিন বাকর এবং আবদুল হামিদ বিন হাবিব বিন আবি
বিশ বিশ
*আল-মুজাহিম বিন আল-আওয়াম ইবনে মুজাহিম, সাদাকা বিন
আবদুল্লাহ, ইয়াহিয়া বিন আবদুল্লাহ ইবনে ধাহাক, এবং
*রওদ বিন জারাহ
* মুহাম্মাদ বিন আল-কাসিম আল আসাদি
*আইয়ুব বিন সুইদ
*আলী বিন রাবিয়া আল-বৈরুতি
* আমর বিন হাশেম
ও মুবাশের বিন ইসমাইল আল-হালাবী
ইসহাক ইবনে আবি ইয়াহিয়া আল-কাবি, সালামাহ বিন
কুলথুম
*ওসমান বিন হুসন বিন উবাইদাহ বিন আনাক
--------------------------------------
১) কিতাব আস
সুনান ফিল ফিকহ(كتاب
السنن في الفقه)
২) কিতাব আল
মাসাইল ফিল ফিকহ(( كتاب
المسائل في الفقه)
৩)কিতাব আস
সিয়ার(كتاب السير)
৪) কিতাব আল
মুসনাদ(كتاب المسند)
ইমাম আউযাই
রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর অবস্থান (Status of Imam Awzai Rahmatullahi Alaihi)
-----------------------------------------------------------------
ইমাম আউযাই রাহমাতুল্লাহ আলাইহি ،তাঁর সমসাময়িকদের মধ্যে অবস্থান উচ্চতরস্তরেছিল। বিশেষত শামেযেখানে তাঁর আদেশ সুলতানের আদেশের চেয়ে প্রিয় ছিল।অনেক মুসলিম পণ্ডিত এবং ফকীহগণ আল-আওজা’ই রাহমাতুল্লাহ আলাইহি প্রশংসা করেন।
*ইবনে সাআদ রাহমাতুল্লাহ
আলাইহি বলেন,
: «كان
ثقة، خيّرًا، فاضلاً، مأمونًا كثير العلم والحديث والفقه، حُجّة
ইমাম আউযাই
রাহমাতুল্লাহ আলাইহি রাবী হিসেবে সিকাহ বা বিশ্বস্ত, উত্তমগুন সম্পূর্ণ
পুণ্যবান, নির্ভরযোগ্য, হাদীস ও ফিকহের পন্ডিত
ছিলেন،।
*আবদুর রহমান
বিন মাহদী বলেন,
:
«إنما الناس في زمانهم أربعة حماد
بن زيد بالبصرة، والثوري بالكوفة، ومالك بالحجاز، والأوزاعي بالشام»
বাসরায় হামদ
বিন জায়েদ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি
কুফায় সুফিয়ান
আল-সাওরী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি
হিজাজে মালিক
বিন আনাস রাহমাতুল্লাহ আলাইহি
শামে ইমাম আওজা’ই রাহমাতুল্লাহ আলাইহিকে।
ইমাম শাফেয়ী
রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেন
«ما رأيت رجلاً أشبه فقهه بحديثه
من الأوزاعي»،
হাদীসের সাথে
ফিকহের সাদৃশ্য বা সমন্বয় সাধনে ইমাম আউযাই রাহমাতুল্লাহ আলাইহি মতো অন্য কাউকে আমি
দেখিনি।
*আল-ওয়ালিদ
বিন মুসলিম বলেন,
:
«ما رأيت أكثر اجتهادًا في
العبادة من الأوزاعي»،
: “আমি ইমাম আউযাই
রাহমাতুল্লাহ আলাইহি চেয়ে ইবাদতে বেশি পরিশ্রমী দেখিনি।
আবু ইসহাক আল
ফারাদী বলেন,
: «ذاك
رجل كان شأنه عجبًا، كان يسأل عن الشيء عندنا فيه الأثر، فيرد - والله - الجواب،
كما هو في الأثر، لا يقدم منه ولا يؤخر»
তিনি একজন আশ্চর্য
করার মতো লোক ছিলেন। তাকে এমন একটি জিনিস সম্পর্কে
জিজ্ঞাসা করতেন যার মধ্যে আমাদের আসার থাকতো
এবং তিনি উত্তর দিতেন। আল্লাহ তাআলার কসম, তিনি তাকদীম
ও তাখীর না করে উত্তর দিতেন।
وقال مالك بن أنس: «الأوزاعي إمام يقتدى به»،
قال سفيان بن عيينة: «كان الأوزاعي إمام» (يعني إمام زمانه
قال ابن حبان عنه: «أحد أئمة الدنيا فقهًا وعلمًا وورعًا وحفظًا
وفضلاً وعبادة وضبطًا مع زهادة»
*সুফিয়ান ইবনে
উয়ায়না রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেছেন: "আল-আওজা'ই তার সময়ের একজন ইমাম ছিলেন "
ইবনে হিব্বান
তাঁর সম্পর্কে বলেন, : "তিনি এ পৃথিবীর অন্যতম ইমাম, ফকীহ, জ্ঞানী, তাকওয়া, মুখস্থকারী, পুণ্য, ইবাদাতএবং জাহেদবা
পরহেযগার।
ইমাম আউযাই
রাহমাতুল্লাহ আলাইহি হাফেযে হাদীস ছিলেন।
সাদাকাহ বিন
আবদুল্লাহ বলেন,
: «ما
رأيت أحدًا أحلم ولا أكمل ولا أجمل فيما حمل من الأوزاعي»
আমি ইমাম আউযাই
রাহমাতুল্লাহ আলাইহি থেকে অধিক প্রজ্ঞাবান, পোক্ত ওসুন্দর
পাইনি যা তিনি ছিলেন।
মুসা ইবন ইসার বলেন,
«ما رأيت أحدًا أنظر، ولا أنقى
للغل عن الإسلام من الأوزاعي
have never seen anyone look, and I am not pure from Al-Ouzai to
fool around Islam
আবু হাফস আল-ফালাস
বলেন,
:
«الأئمة خمسة الأوزاعي بالشام
والثوري بالكوفة ومالك بالحرمين وشعبة وحماد بن زيد بالبصرة
“পাঁচজন ইমাম
তাদের মধ্যে শামে ইমাম আউযাই রাহমাতুল্লাহ আলাইহি
কুফায় সুফিয়ান
আল-সাওরী আল-হারামায়নে মালিক মদিনার , শুবাহ ও হামরাদ
বিন জায়েদ বসরাতে।”
ইয়াহইয়া ইবন
মুঈন রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেন,
: «العلماء
أربعة، الثوري وأبو حنيفة ومالك والأوزاعي»
আলিম চারজন
সুফিয়ান আস সাওরী, আবু হানীফা, মালিক ও আউযাই
রাহমাতুল্লাহ আলাইহিম।
*বাকীয়া বিন
আল-ওয়ালিদ বলেন,
وقال بقية بن الوليد: «أنا الممتحن الناس بلأوزاعي، فمن ذكره بخير
عرفنا أنه صاحب سُنَّة، ومن طعن عليه عرفنا أنه صاحب بدعة»،
আমিই সেই ব্যক্তি
যাঁরা আমার জীবনে লোকদের পরীক্ষা করে দেখেন ইমাম আউযাই রাহমাতুল্লাহ আলাইহি দ্বারা।
, সুতরাং যারাই তার দ্বারা ভালো বুঝেছেন তারা সুন্নাতের
অনুসারী। তিনি যার ব্যাপারে অভিযোগ করেন তারা বিদআতী।
ইসহাক ইবনে
রাউহাইহে রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেন,
«إذا اجتمع الثوري والأوزاعي ومالك على أمر فهو
سنة»، فسر الذهبي قوله بأنه يقصد بذلك أن اجتماعهم على رأي في مسألة فهو الحق
غالبًا.
যখনই কোন বিষয়ে
ইমাম সুফিয়ান আস সাওরী, আউযাই রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এবং ইমাম মালিক রাহমাতুল্লাহ
আলাইহি একমত হন তখন তা সুন্নাহ। ইমাম শামসুদ্দীন আয় যাহাবী বলেন, এর অর্থ তাদের
ঐক্যবদ্ধ হওয়া অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সত্য ও সঠিক।
আহমেদ ইবনে
হান্বল রাহমাতুল্লাহ আলাইহি হতে বর্ণিত
دخل سفيان الثوري والأوزاعي على مالك، فلما خرجا قال مالك: أحدهما
أكثر علمًا من صاحبه، ولا يصلح للإمامة، والآخر يصلح للإمامة»، علّق عليها الذهبي
بقوله: «يعني الأوزاعي للإمامة
তিনি বলেন
ইমাম সুফিয়ান আস সাওরী ও ইমাম আউযাই রাহমাতুল্লাহ
আলাইহি ইমাম মালিক রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর নিকট আগমন করলেন। যখনই তারা বের হলেন তখনই
ইমাম মালিক রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বললেন।, তাদের একজন
অন্যজন অপেক্ষা ইলম বেশি। এদের একজন ইমাম হওয়ার উপযুক্ত অন্যজন নহে। ইমাম যাহাবী বলেন
ইমাম আউযাই রাহমাতুল্লাহ আলাইহি ইমামের জন্য উপযুক্ত।
*বাকীয়া বিন
আল-ওয়ালিদ বলেন,
وقال بقية بن الوليد: «أنا الممتحن الناس بلأوزاعي، فمن ذكره بخير
عرفنا أنه صاحب سُنَّة، ومن طعن عليه عرفنا أنه صاحب بدعة»،
আমিই সেই ব্যক্তি
যাঁরা আমার জীবনে লোকদের পরীক্ষা করে দেখেন ইমাম আউযাই রাহমাতুল্লাহ আলাইহি দ্বারা।
, সুতরাং যারাই তার দ্বারা ভালো বুঝেছেন তারা সুন্নাতের
অনুসারী। তিনি যার ব্যাপারে অভিযোগ করেন তারা বিদআতী।
ইসহাক ইবনে
রাউহাইহে রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেন,
«إذا اجتمع الثوري والأوزاعي
ومالك على أمر فهو سنة»، فسر الذهبي قوله بأنه يقصد بذلك أن اجتماعهم على رأي في
مسألة فهو الحق غالبًا.
যখনই কোন বিষয়ে
ইমাম সুফিয়ান আস সাওরী, আউযাই রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এবং ইমাম মালিক রাহমাতুল্লাহ
আলাইহি একমত হন তখন তা সুন্নাহ। ইমাম শামসুদ্দীন আয় যাহাবী বলেন, এর অর্থ তাদের
ঐক্যবদ্ধ হওয়া অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সত্য ও সঠিক।
আহমেদ ইবনে
হান্বল রাহমাতুল্লাহ আলাইহি হতে বর্ণিত
دخل سفيان الثوري والأوزاعي على مالك، فلما خرجا قال مالك: أحدهما
أكثر علمًا من صاحبه، ولا يصلح للإمامة، والآخر يصلح للإمامة»، علّق عليها الذهبي
بقوله: «يعني الأوزاعي للإمامة
তিনি বলেন ইমাম
সুফিয়ান আস সাওরী ও ইমাম আউযাই রাহমাতুল্লাহ আলাইহি ইমাম মালিক রাহমাতুল্লাহ আলাইহি
এর নিকট আগমন করলেন। যখনই তারা বের হলেন তখনই ইমাম মালিক রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বললেন।, তাদের একজন
অন্যজন অপেক্ষা ইলম বেশি। এদের একজন ইমাম হওয়ার উপযুক্ত অন্যজন নহে। ইমাম যাহাবী বলেন
ইমাম আউযাই রাহমাতুল্লাহ আলাইহি ইমামের জন্য উপযুক্ত।
*ইমাম আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রাহমাতুল্লাহ আলাইহি
বলেন,
«لو قيل لي: اختر لهذه الأمة، لاخترت سفيان الثوري والأوزاعي، ولو قيل
لي: اختر أحدهما، لاخترت الأوزاعي؛ لأنه أرفق الرجلين».
যদি আমাকে বলা
হয় এই উম্মতের মধ্যে থেকে কাউকে গ্রহন কর আমি অবশ্য সুফিয়ান আস সাওরী ও ইমাম আউযাই
রাহমাতুল্লাহ আলাইহিকে নির্বাচন করবো। কারণ তিনি দুজনকে সংযুক্ত করেন।
ورُوي أنه بلغ سفيان الثوري وهو بمكة مقدم الأوزاعي، فخرج حتى لقيه
بذي طوى،
ইমাম আব্দুল্লাহ
ইবনে মুবারক রাহমাতুল্লাহ আলাইহি হতে বর্ণিত তিনি বলেন তার নিকট সংবাদ আসলো সুফিয়ান
আস সাওরী মক্কায আগমন করছেন ইমাম আউযাই রাহমাতুল্লাহ
আলাইহি তার সাথে সাক্ষাৎ করেন।
:
«رأيت شيخًا راكبًا على جمل، وآخر
يقوده، وآخر يسوقه، وهما يقولان أوسعوا للشيخ. فقلت: من الراكب؟، قيل: الأوزاعي.
قلت: من القائد؟، قيل: سفيان الثوري، قلت: فمن السائق؟ قيل: مالك»
. كما عدّ شيخ الجرح والتعديل ابن
أبي حاتم الأوزاعي من العلماء النُقّاد الذين نقدوا رواة الحديث، وأسسوا لعلم
الرجال.
ইবনু আবি হাতিমকে
জারহ ও তাদীলের উস্তাদ বলা হয়েছে আর ইমাম আউযাই রাহমাতুল্লাহ আলাইহিকে ইলমুল রিজালের
সমালোচক বলা হয়েছে ও ভিত্তি রচনাকারী মনে করা হয়।
দাও ৷ এরপর
তারা দু’জন তাকে কা বার কাছে বসালেন, তারা তার সামনে
বললেন এবং তার
থেকে জ্ঞান
অর্জন করতে লাগলেন ৷
সময় আলোচনা
শুরু করেন ৷ আসরেব সালাত আদায় করা পর্যন্ত তারা আলোচনা করছিলেন ৷
এরপর আসর থেকে
শুরু করে যা মাগরিব পর্যন্ত আলোচনা করছিলেন ৷ আ ল আওযাঈ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি মালিক রাহমাতুল্লাহ আলাইহি কে মাগাযীতে অভিভুত করেন এবং
মালিক রাহমাতুল্লাহ আলাইহি আওযাঈ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি কে ফিকহে অতিভুত করেন। কিৎবা
ফিকহের কিয়দাৎশে অভিভুত করেন ৷
আল খায়ফের
মসজিদে রুকু তে হাত উঠানাে এবং রুকু থেকে উঠার সময় হাত তউঠানাের
মাসঅলায় মুনাযারা
করেন ৷ হাত উঠানাের পক্ষে আল-আওযাঈ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি ইমাম যুহরী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর বর্ণনা
দিয়ে দলীল
পেশ করেন ৷
*ইমাম যুহরী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি সালিম রাহমাতুল্লাহ আলাইহি থেকে এবং সালিম রাহমাতুল্লাহ আলাইহি তার পিতা থেকেবর্ণনা করেন,
তিনি বলেন, “রাসুল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম রুকুতে যাওয়ার সময় এবং
রুকু থেকে মাথা
উঠানাের সময়
দু হাত উঠাতেন ৷”
সুফিয়ান আস-সাওরী
এটার বিরুদ্ধে ইয়াযীদ ইবন আবু যিয়াদ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর হাদীস দ্বারা দলীল পেশ
করেন ৷ তখন আল-আওযাঈ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি একটু
রাগান্বিত হন এবং বলেন, ইমাম যুহরী
রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর হাদীসের ঘুকাবিলায় ইয়াযীদ ইবন আবু যিয়াদের হাদীসকে
পেশ করছ?
অথচ সে দুর্বল
ব্যক্তি ? আস-সাওরী
রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর চেহারা বিবর্ণ হয়ে যায় ৷ আল-আওযাঈ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেন,
আমি যা বলেছি
তাতে তোমার কি খারাপ লেগেছে ? তিনি বললেন, হী৷ ৷ তখন তিনি
বললেন,
চল আমরা রুকনের
কাছে যাই এবং কে সতবােদী তা যাচাই করার জন্য একে অপরের প্রতি
অভিসম্পাত করি
৷ আস-সাওরী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি নিশুচ্প হয়ে
গেলেন৷
আলআওযাঈ (র)
সত্তর হাজার মাসআলায় ফাতওয়৷ প্রদানকরেন ৷ এ সম্পর্কে তিনি আমাদেরকে হাদীস বর্ণনা
করেছেন এবং সংবাদ পরিবেশন করেছেন ৷
*আবু যুরঅ৷ রাহমাতুল্লাহ
আলাইহি বলেন, তার থেকে ষাট হাজার মাসআল৷ বর্ণিত রয়েছে ৷ এ দু’জন ব্যতীত
অন্যরাও বলেন, আল-আওযাঈ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি একশ তের হিজরী থেকে ফাতওয়৷
দেয়৷ শুরু করেন ৷ তখন
তীর বয়স ছিল
মাত্র পচিশ বছর ৷ তারপর তিনি মৃত্যু অবধি ফাতওয়৷ প্রদান করতে থাকেন ৷ আরতার আকল বুদ্ধি
ছিল সঠিক ৷
আমার কাছেএকদিন
ইমাম আল আওযাঈ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি আস-সাওরী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি ও আবু হানীফ৷ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি একত্রিত হন ৷ আমি বললাম,আপনি তাদের
মধ্যে কাকে অগাধিকার প্রদান করেন ৷ তিনি বললেন, আল আওযাঈ রাহমাতুল্লাহ
আলাইহিকে ৷
মুহাম্মাদ ইবন আজলান রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেন, আমি আল-আওযাঈ
রাহমাতুল্লাহ আলাইহি থেকে মুসলমানদের জন্য অধিক উপদেশ প্রদানকারী আর কাউকে দেখিনি ৷
অন্য একজন বলল, ইমাম আল-আওযাঈ রাহমাতুল্লাহ আলাইহিকে
কখনও অট্টহাসি
অবস্থায় দেখা যায়নি ৷
তিনি যখন জনসমক্ষে ওয়াজ করতেন,মজলিসের
প্রত্যেবেইি
নিজ চোখে কিৎবা অম্ভরে কা দরু৩ ভন কিন্তু তাকে কোন দিন মজলিসে কাদতে দেখা
যায়নি৩ ৷ তবে
যখন একাকী হতেন এমন কান্না কাদতেন যে যে কেউ তার প্রতি দয়া দেখাতে বাধ্য হতেন।
---------------------------------------------------------------------
ইমাম আউযাই
রাহমাতুল্লাহ আলাইহি ১৫৭হিজরি সালে মুতাবেক ১৬জানুয়ারি ৭৭৪ খ্রিস্টাব্দে রবিবার এবং
আরবী সফর মাসের ২৮ তারিখে বৈরুতে ইন্তেকাল
করেন। মৃত্যু কালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।
--------------------------------------------------
১)ইবন নাদীম
আবু আল ফারাজ মুহাম্মদ বিন ইসহাক বিন মুহাম্মদ বিন ইসহাক আল-ওয়ারাক আল-বাগদাদী(- الفهرست)
২)হানা মুহাম্মদ
হুসেন
(الإمام
الأوزاعي الفقيه المجاهد المُحدث)
৩)তাহকীক সাকীব
আরসালান
(محاسن
المساعي في مناقب الإمام أبي عمرو الأوزاعي)
৪)কালাআজি, মুহাম্মদ রাওয়াস
(موسوعة
فقه عبد الرحمن الأوزاعي)
৫)আবী ইউসুফ
ইয়াকুব বিন ইব্রাহিম আল-আনসারী(
الرد على سير الأوزاعي)
- وفيات
الأعيان - ابن خلّكان.
- العبر
في خبر من غبر - الذهبي.
৬)আল-বাল্লাজুরি, আহমেদ বিন ইয়াহিয়া
বিন জাবের ইবনে দাউদ (فتوح
البلدان )
৭)হাল্লাক, হাসান আলী(
موسوعة العايلات)
৮)খলিল মানসূর ( تاريخ ابي زرعة الدمشقي )
৯)ইবনে আবী
হাতেম, আবু মুহাম্মদ আবদ-রহমান-ইবনে মুহাম্মদ বিন ইদ্রিস
বিন আল-মুন্ডির বিন দাউদ বিন মাহরান আল-তামিমি (كتاب الجرح والتعديل )
১৫) আবদুল সাত্তার শাযখ (الإمام الأوزاعي شيخ الإسلام وعالم أهل الشام)
১৬) ইবন কাসীর
রাহমাতুল্লাহ আলাইহি
(البداية
والنهاية - ).
১৭)শামসুদ্দীন
আম যাহাবী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি (سير اعلام النبلاء )
উপসংহার (conclusion)
-----------------------------
উপরের আলোচনা
থেকে এ কথা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, একশত হিজরি
সালের মধ্যে জন্ম গ্রহণ করে যে সকল মুহাদ্দিস ও ফকীহ ইলমুল হাদীসে অসামান্য অবদান রাখতে সক্ষম হন ইমাম
আউযাই রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর মধ্যে অন্যতম। তিনি নিজে ইমাম ছিলেন। ইলমুল জারহ ওয়াত
তাদীলে তার অগ্রাধিকার ছিল। তিনি ইলমুল রিজালের সমালোচক হিসেবে প্রসিদ্ধ ছিলেন। সমসাময়িক
সময়ের মুহাদ্দিসগন তাকে ইমাম হিসেবে স্বীকৃতি দিতেন। তিনি তাবে তাবেঈ ছিলেন। হাদীসের
প্রচার প্রসারের জন্য তিনি অনেক পরিশ্রম করেন। আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে কবুল করুন, আমীন।
و
صلي الله تعالى عل محمد وعلى آله وصحبه أجمعين وسلم تسليما كثيرا إلى يوم الدين،
লেখক:
প্রফেসর ড.
সৈয়দ মাকসুদুর রহমান
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
কুষ্টিয়া
বাংলাদেশ
0 coment rios:
You can comment here