সত্যের সন্ধানে, পর্ব-১০ এক নজরে হাদীসের বিভিন্ন পরিভাষা
।। ইমাম
মাওলানা এম. নুরুর রহমান।।
সত্যের সন্ধানে
পর্ব-১০
সত্যের সন্ধানে পর্ব-৯ পড়তে ক্লীক করুন এখানে
পূর্ব প্রকাশিত হওয়ার পর
এক নজরে হাদীসের বিভিন্ন পরিভাষা
হাদীসকে হাদীস নাম করণের কারণঃ
১. হাফেজ ইবনে
হাজার ফাতহুল বারীতে লিখেছেন- হাদীস حديث শব্দটি قديم এর বিপরীত শব্দ। আলাহর কালাম قديم এর বিপরীতে রাসূল সা.
এর কালামকে হাদীস বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
২. বিশিষ্ট আলেমে
দ্বীন মাওলানা যাকারিয়া কান্দুবী রহ: বলেছেন, হাদীসকে এজন্য
হাদীস বলে যে,
হাদীস দু’প্রকার। একটি قديم সেটি হচ্ছে কুরআন। দ্বিতীয় প্রকার হচ্ছে রাসূল সা. এর বাণী, কথা। কিন্তু তা হাদীস নিত্য। কেননা স্বয়ং নবীজির সত্তা হল নিত্য
এবং তাঁর বিশেষণ হলো নিত্য। সুতরাং তাঁর কথা, বাণীও নিত্য তথা
حادث । এ দৃষ্টিতেই নবীজির حديث কে حديث নামে নামকরণ করা হয়েছে।
ইলমে হাদীসের আলোচ্য বিষয়ঃ
আল্লামা কিরমানী র. সহ উলামায়ে কেরামদের এক দল ইলমে হাদীসের আলোচ্য
বিষয় নির্ণয় করতে গিয়ে বলেছেন- ইলমে হাদীসের আলোচ্য বিষয় প্রিয় নবী সা. এর ব্যক্তিসত্তা।
কেননা,
রাসূল সা. এর কল্যাণকর ব্যক্তিসত্তার আলোচনাই এ শাস্ত্রে আলোচিত
হয়েছে। প্রিয় নবী সা. এর উঠা, বসা,
পানাহার, শোয়া, জাগ্রত হওয়া এসব বিষয় কিরূপে এবং কোন পদ্ধতিতে হত, এসব হাদীসের আলোচ্য বিষয়।
ইলমে হাদীসের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
বাজারে কোনো জিনিস
ক্রয় করার জন্য যাওয়া হল غرض বা উদ্দেশ্য এবং সে জিনিসটি ক্রয় করে ফেলা হল غاية তথা লক্ষ্য তথা উদ্দেশ্যর
বাস্তব সফলতা। ইলমে হাদীসের লক্ষ্য বলা হয় ما لأجل الفعل কে। অর্থাৎ, যে বস্তু লাভ করার জন্য কোনো কাজ করা হয়। غرض তথা উদ্দেশ্য ব্যাপক কিন্তু غاية লক্ষ্য এখানে সুনির্দিষ্ট।
যেমন- একজন ব্যবসায়ী কখনো লাভবান হওয়ার লক্ষ্যে ব্যবসা করে, কখনো লাভবান হয়, আবার কখনো লোকসান
হয়। তাই লাভবান হওয়াটাই ব্যবসায়ীর লক্ষ্য, লোকসানতো তার
লক্ষ্য ছিল না। সুতরাং বলা চলে লোকসানটি ঐ ব্যবসায়ীর উদ্দেশ্য।
প্রখ্যাত আলিম
ও শায়খুল হাদীস আলামা যাকারিয়া কান্দুলুবী রহ. ইলমে হাদীসের তিনটি غاية নির্ধারণ করেছেন। যথা-
১. হাদীস পাঠদানকারী ও হাদীসের পাঠ গ্রহণককারীগণের
মর্যাদা লাভ করা।
২. কুরআনের মূলনীতিসমূহের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রদান
করা। যেমন: নামায,
যাকাত ইত্যাদি।
৩. হাদীস পাঠের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হচ্ছে যে, এটা রাসূল সা. এর বাণী।
বুখারী শরীফের
ব্যাখ্যাকার আলামা বদরুদ্দিন আইনী রহ. বলেন- وأما فائدة فهي الفوز بسعادة الدارين
“উহা অধ্যায়নের লক্ষ্য ও সার্থকতা হচ্ছে ইহকাল ও পরকাল এবং পরকালের
কল্যাণ ও মুক্তি কামনা”।
হাদীস প্রথমত দুই প্রকার:
১. হাদীসে কুদসী
: هو ماكان لفظه من الرسول صـ ومعناه من الله تعالى بالإلهام أو
بالمنام “এমন হাদীসকে বলা হয় যার
মূল বক্তব্য আলাহর আর ভাষা রাসূলে” ২. হাদীসে নবুবী:
هو الحديث ما أضيف إلي النبي صـ
من قول أو فعل أو تقرير- “হাদীসে কুদসী ব্যতিত সকল হাদীসই হাদীসে নবুবী”
আরো কিছু পরিভাষা:
রাবীর বর্ণনার
সংখ্যা দিক থেকে (من حيث
عدد الرواية)
চার প্রকার:
১. مكثرين :
যাদের বর্ণিত
হাদীস সংখ্যা এক হাজারেরও বেশি।
مكثرين সাহাবীর মধ্যে যারা উলেখযোগ্য তারা হলেন- হযরত আবু হুরায়রা রা. ৫৭হি. তাঁর বর্ণিত হাদীস
৫৩৭৪টি,
আনাস ইবনে মালিক রা. ৯৩হি. বর্ণিত হাদীস ২২২৩টি, আব্দুলাহ ইবনে আব্বাস রা. ৬৮হি.
বর্ণিত হাদীস ১৬৬০টি,
ইবনে ওমর রা. ৭৩হি. বর্ণিত হাদীস ১৬৩০টি, আয়েশা রা. ৫৭হি. বর্ণিত হাদীস ১২১০টি, আবু সাঈদ খুদরী রা. ৭৪ হি. ১১৭০টি।
২. متوسطين :
যাদের বর্ণিত
হাদীস সংখ্যা ৫০০ থেকে এক হাজারের মধ্যে।
এদের মধ্যে হযরত
ইবনে মাসউদ রা. মৃত্যু ৩২হি. বর্ণিত হাদীস ৮৪৮টি, আব্দুলাহ ইবনে ওমর বিন আস রা. ৬৩ হি. ৭০০টি, হযরত আলী রা. ৪০ হি. ৫৮৬টি, হযরত উমর ফারুক রা. ২৩হি. ৫৩৯টি।
৩. مقلين :
যাদের বর্ণিত
হাদীস সংখ্যা ৪০ থেকে ৪০০ এর মধ্যে। এদের মধ্যে উম্মুল মুমিনীন উম্মে সালমা রা. মৃত্যু ৫৯হি. বর্ণিত হাদীস ৩৮৭টি, আবু মুসা আশআরী রা. ৫৪হি. ৩৬০টি, বারা ইবনে আযেব রা. ৭৩হি. ৩০৫টি, আবু যর গিফারী রা. ৩২হি. ২৮১টি, সাদ ইবনে আবী ওয়াক্কাস রা. ৫৫হি. ২১৫টি, সাহল আনসারী জুনদুব ইবনে কায়েস ৯১হি. ১৮৮টি, ওবায়দা ইবনে সাবেত আনসারী ৩৪ হি. ১৮১টি, আবদুদ দারদা রা. ৩২হি. ১০৯টি।
৪. أقلين :
যাদের বর্ণিত
হাদীস সংখ্যা ৪০ এর কম।
হাদীস পাঠের দিক থেকে (من حيث
القرأة) দুই প্রকার:
১. حدثنا
أو أخبرنا أو أنبأنا
ইত্যাদি উলেখিত শব্দটি একে
অপরের কাছে থেকে হাদীস গ্রহণ ও বর্ণনার অবস্থা বুঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
২. تحويل
السند :
একাধিক সনদ বিশিষ্ট
হাদীসে এক সনদ থেকে অপর সনদে যাওয়ার ক্ষেত্রে যে শব্দটি উলেখিত হয়। উহার অনেক প্রকার রয়েছে, যেমন-
ক. মুদরাজ:
মতনের ভিতর অতিরিক্ত
কিছু ডুকে পড়লে তাকে মুদরাজ বলে (هو ما أدرجه في الحديث من كلام بعض الرواة)
খ. মাহফুজ:
বিশ্বস্ত রাবী
কর্তৃক অধিক বিশ্বস্ত রাবীর বর্ণনা (ما رواه الأوثق مخالفا لرواية الثقة)
গ. সাজ:
গ্রহণযোগ্য রাবী
কর্তৃক বিশ্বস্ত রাবীর বিপরীত বর্ণনা (ما رواه المقبول مخالفا لما رواه الثقة حكمه مردود)
ঘ. মুয়াল্লাল:
হাদীসে মারাত্মক
কোনো ক্রটি পাওয়া গেলে তাকে معلل বলে। (هو الحديث الذي فيه علة خفية
غامضة قادحة)
ঙ. مقبول :
যে হাদীসের বর্ণনাকারী
সত্যবাদিতার দিকটি প্রাধান্য পেয়েছে তাকে مقبول হাদীস বলে । (المقبول هو ما يجب العمل به عند الجمهور)
আরো কয়েক প্রকারের দূর্বল ضفيف হাদীস:
ক. مضطرب :
একই বিষয়ে সমপরিমান
শক্তিশালী পরস্পর বিপরীত বর্ণনা অর্থাৎ, এলোমেলো বর্ণনা
সম্বলিত হাদীসকেই মুদ্বত্বরিব বলে। (إذا اختلف الروايتان مع كونهما سواء من حيث
القوة)
খ. مقلوب :
মতনে কোনো শব্দের
পরিবর্তন অথবা অগ্র পশ্চাৎ হলে তাকে মাক্বলুব বলে (إبدال لفظ باخر في سند الحديث أو متنه بتقديم أو تأخير أو نحوه)
গ. مصحف :
মতনে কোনো অক্ষরিক
পরিবর্তন বা ক্রটিযুক্ত হাদীস (تغيير
الكلمة في الحديث إلى غير ما رد ها التقات لفظا أو معنى
ঘ. منكر :
বিশ্বস্ত রাবীর
বিপরীত দূর্বল রাবীর বর্ণনা (ما
روي مخالفا لما رواه الثقة)
ঙ. متروك :
রাবী মিথ্যায়
অভিযুক্ত হলে তার হাদীস কে متروك হাদীস বলে।( هو
الحديث الذي في إسناده راو متهم بالكذب)
চ. موضوع :
বানোয়াট হাদীসকে
موضوع
হাদীস বলে। موضوع হাদীস মূলত কোনো হাদীস নয়। (إذا كان سبب الطعن في الراوي هو الكذب على رسول الله صـ فحديثه يسمى
الموضوع)
ঝ. متابع :
কোনো রাবীর বর্ণিত
হাদীসের শব্দ ও অর্থেও হুবহু অন্য রাবী কর্তৃক বর্ণিত অনুগামী হাদীসকে متابع হাদীস বলে।(إذا روى
راو حديثا ورى آخر موافقا له يسمى متابيا)
ঞ. شاهد :
কোনো হাদীসের
অনুরূপ হাদীস পাওয়া গেলে তাকে شاهد হাদীস বলে। (إن وجد
متن يشبه فهو شاهد)
ট. رواية
الأباء عن الأبناء :
পিতা যদি পুত্রের
থেকে হাদীস বর্ণনা করেন। (أن يوجد
في سند الحديث أب يروي الحديث عن أبيه)
ঠ. رواية
الأبناء عن الأباء :
পুত্র যদি পিতা
থেকে হাদীস বর্ণনা করেন। (أن يوجد
في سنده الحديث ابن يروي الحديث عن أبيه فقط أو عن أبيه أو جده)
ড. رواية
الأقران :
তিকতাদত (المتقاربون في السند والإسناد)
ঢ. : رواية المدرج
(أن يروي القرينان كل واحد منهما عن الأخر
ণ. المزيد
في متصل الأسانيد :
(زيادة راو في إثناء سند ظاهره الإتصال)
ত. الإسناد :
(سلسلة الرجال الموصلة إلى المتن)
দ. الإسناد
العالي :
(هو الذي قل عدد رجاله بالنسبة إلى سند آخر يرد به ذلك الحديث بعدد
أقل)
ধ. الإسناد
النازل :
(هو الذي كثر عدد رجاله بالنسبة إلى سند آخر يرد به ذلك الحديث بعدد
أكثر)
সনদ শেষ হওয়ার দিক থেকে (من حيث
إنتهاء السند) হাদীস তিন প্রকার:
১. مرفوع :
ঐ হাদীস যার সনদ
নবী করিম সা. পর্যন্ত পৌঁছেছ। (هو
ما أضيف إلى النبي صـ خاصة)
২. موقوف :
ঐ হাদীস যার সনদ
সাহাবা পর্যন্ত পৌঁছেছে। (هو ما
أضيف إلى الصحابة)
৩. مقطوع :
ঐ হাদীস যার সনদ
তাবেয়ী পর্যন্ত পৌঁছেছে। (هو ما
أضيف إلى التابعي)
হাদীসে মারফূ প্রথমত দুই প্রকার :
এক: রফা সরীহ
দুই: রফা হুকমী। আবার প্রত্যেকটি তিন প্রকার : মোট হাদীসে মারফূ ছয় প্রকার: যথা
রফা সরীহ ক্বাওলী :
যে সব হাদীসে
প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কথা জাতীয় বাণী স্পষ্ট ভাষায় উলেখ থাকে সে সব হাদীস কে হাদীসে রফা সরীহ ক্বাওলী হাদীস বলে।
রফা সরীহ ফি’লী:
যে সব হাদীসে
প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রাসূল সা. এর কার্যক্রম স্পষ্ট ভাষায় উলেখ থাকে সে সব হাদীস কে হাদীসে রফা সরীহ ফি’লী বলে।
রফা সরীহ তাকরীরী:
যে সব হাদীসের
বর্ণনায় সাহাবী এভাবে বর্ণনা করেন যে, কোনো সাহাবী বা
কোনো ব্যক্তি রাসূল সা. এর উপস্থিতিতে এরূপ করেছেন, অথচ বর্ণনাকারী তার বর্ণনায় রাসূল সা. এর নিষেধ বা অস্বীকৃতি কিছুই উলেখ করেননি এ ধরনের হাদীসকে রফা সরীহ তাকরীরী বলে।
রফা হুকমী ক্বাওলী:
যে সব হাদীসে
কোনো সাহাবী এমন কোনো খবর বললেন যা পূর্ববর্তী কিতাব সমূহে উলেখ নেই।
রফা হুকমী ফি’লী:
যে সকল হাদীসে
সাহাবীদের এমন কোনো কাজকর্মের উলেখ থাকে যাতে ইজতিহাদের
সম্ভাবনা থাকে সে সকল হাদীসকে রফা হুকমী ফি’লী বলা হয়।
রফা হুকমী তাকরীরী:
যে সকল হাদীস
কোনো সাহাবী এমনভাবে বর্ণনা করেন যে, আমি রাসূল সা.
এর সময় এরূপ করেছি,অথবা বলেন من السنة كذا তবে এ প্রকার হাদীসকে
রফে হুকমী তাকরীরী বলে।
সরলতা ও দূবলতা দিক থেকে من حيث
الصحة والضعف প্রথমত হাদীস দুই প্রকার:
১. مردود :
বা বর্জনীয়: মারদুদ
ঐ হাদীসকে বলে যার বর্ণনাকারী সত্যবাদিতার যুক্তি প্রমাণে অগ্রাধিকার প্রাপ্ত নয়।
(المردود هو الذي لم يترجح صدق
المخبر به)
দুই কারণে হাদীস
বর্জনীয় হতে পারে অর্থাৎ,
রাবী বাদ পড়ার কারণে إنقطاع السند হবে দু’ভাবে-
এক: অস্পষ্টভাবে (خفي أو
تدليس) উহা দুই প্রকার
ক. مدلس :
যে হাদীসের রাবী
তাঁর প্রকৃত শায়খ (উস্তাদ) এর নাম উহ্য রেখে অপর শায়েখের নামে হাদীস বর্ণনা করে তাকে
مدلس বলে। (إخفاء عيب في الإسناد، وتحسين
لظاهره)
খ. مرسل خفي
:
ঐ হাদীসকে বলে
যার রাবী নিজে না শুনে শুনার বান করে একই যুগের রাবী থেকে হাদীস বর্ণনা করে। (أن يروي عمن لقبه أو عاصره مالم يسمع منه
بلفظ يحتمل السماع وغيره) মুদালাস আবার তিন প্রকার:
১. الشيوخ ২. الإسناد ৩. التسوية
দুই: সুস্পষ্টভাবে (واضح) : এ দিক থেকে চার প্রকার:
যথা-
ক. معلق :
সনদের প্রথমাংশ
থেকে রাবী বাদ পড়ে গেলে معلق বলে। (ما حذف من مبدأ إسناده فأكثر
على التوالي)
খ. معضل :
সনদ থেকে ধারাবাহিকভাবে
দুই বা ততোধিক রাবী বাদ পড়ে গেলে তাকে معضل হাদীস বলে। (هو ما سقط من إسناده فأكثر على التوالي)
গ. منقطع :
সনদ থেকে কোনো
রাবী বাদ পড়ে গেলে তাকে منقطع
হাদীস বলে। (إن كان
يتصل إسناده على أي وجه كان إنقطاعه)
ঘ. مرسل :
হাদীসের সনদে
তাবেয়ী এর পর কোনো রাবী বাদ পড়ে গেলে তাকে مرسل হাদীস বলে। অর্থাৎ, কোনো তাবেয়ী, সাহাবী নাম উলেখ না করে সরাসরি রাসূল সা. থেকে হাদীস বর্ণনা করাকে مرسل হাদীস বলে। (هو ما
سقط من إسناده بعد التاعبي) উহা আবার দু’প্রকার: ظاهر ও خفي
এছাড়া আরো দুই প্রকার হাদীস হলো-
এক: متصل :
ঐ হাদীসকে বলা
হয়,
যার সনদে রাবী পূর্ণভাবে বিদ্যমান। (هو ما اتصل سنده سواء كان مرفوعا إلى الشئ أو
مرفوعا على الصحابي أو من دونه)
দুই: مسند :
ঐ হাদীসকে বলে
যার সনদ রাসূল সা. পর্যন্ত পৌঁছেছে। (هو على المعتمد ما اتصل إسناده من رواية إلى منتهاه، مرفوعا إلى
النبي صـ)
خبر واحد ব্যক্ত করা হিসেবে দুই প্রকার:
معنعن :
ঐ হাদীসকে বলে
যার সনদের মধ্যে عن শব্দের উলেখ থাকে। (الحديث المعنعن هو كما يظهر من لفظه يقال في سنده فلان عن فلان من
غير تصريح بالتحديث والسماع)
مسلسل :
ঐ হাদীসকে বলে
যার সনদ আদায়ের শব্দ অথবা রাবীদেও গুণকির্তন অথবা অবস্থা একই ধরনের হয়। (هو الحديث المسند المتصل الحالي من التدليس
الذي تنكر في وصف روايته عبارات أو افعال مما ثله ينقلها كل راو عمن فوقه في السند
حتى ينتهى إلى رسول الله)
হাদীস বর্ণনার শব্দাবলী: حدثني ، أخبرني ، قال لي فلان ، أنبأني ، حدثنا ، أخبرنا ، أنبأنا ،
قرأت ، ذكرلي فلان ، رواي لي فلان ، كتب لي فلان ، عن فلان ، قال فلان ، ذكر فلان
، روي فلان ، كتب فلان،
২. مقبول (গ্রহণীয়) উহা দুই প্রকার:
ক. صحيح : ঐ হাদীসকে বলে যার মধ্যে পাঁচটি শর্ত
বিদ্যমান: অবিচ্ছন্য সনদ,
রাবীর সততা, রাবীর ধীশক্তি, রাবীর সংখ্যা কম না হওয়া, ক্রটিমুক্ত হওয়া। (هو ما
اتصل سنده بالعدول الضابطين من غير شذوذ ولا علة)
উহা আবার দুই প্রকার যথা-
এক: صحيح لذاته : যে হাদীসের মধ্যে ইত্তেসালুস সানাদ, রাবীদের আদালতও প্রখর স্মরণশক্তি থাকবে এবং হাদীসটি শায ও মুয়ালাল হবে না তাকে صحيح لذاته বলে। (خير الأحاد بنقل عدل تام الضبط متصل السند
غير معلل ولا شاذ هو الصحيح لذاته)
দুই: صحيح لغيره
: যার মধ্যে صحيح لذاته এর সকল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকবে তবে কিছু বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হয়, যা অন্য কোনো উপায়ে সংশোধন করা যায়। (هو الحسن لذاته إذا روي من طريق آخر مثله أو
أقوي منه)
খ. حسن : ঐ হাদীস যার মধ্যে রাবীর ধী শক্তির
শর্ত ব্যতিত সহী হাদীসের বাকী সকল শর্ত বিদ্যমান। (هو الحديث الذي يوجد فيه جميع شروط الصحة إلا الضبط) উহা আবার দুই প্রকার:
এক: حسن لذاته : যে হাদীসের মধ্যে ضبط তথা রাবীর স্মৃতি শক্তি এর গুণ ছাড়া সহীহ হাদীসের সকল গুণ পাওয়া যায়। (خبر الأحاد بنقل عدل تام الضبط متصل السند
معلل ولا شاذ هو الصحيح لذاته فإن خف الضبط فالحسن لذاته)
দুই: حسن لغيره : যে ضعيف হাদীস বিভিন্ন সনদে বর্ণিত
হয়,
অথবা এমন কিছু দ্বারা শক্তিশালী হয়, যার কারণে দূর্বল হাদীসটি গ্রহণযোগ্য হওয়ার দিকটি প্রাধান্য
পায়। (هو الحديث الضعيف الذي روي
مختلفا فيكون موافقا لدليل الشريعة)
বর্ণনাকারীর ক্রটি বা অভিযোগ এর ভিত্তিতে (الطعن في الرواي) হাদীস দু’ধরণের হতে পারে।
প্রথম ধরণ: الطعن في الضبط
(ধী শক্তির ক্রটি)
দ্বিতীয় ধরণ: الطعن في العدالة
(সততার ক্রটি)
প্রথম ধরণ : أما الذي تتعلق في الضبط
ধী শক্তির ক্রটির সাথে সম্পৃক্ত বিষয়গুলো হলো-
প্রকাশ্য ভুল
فحش الغلط
মুখস্থ ক্রটি
(سوء الحفظ )
অবহেলা (الغفلة)
অধিক বর্ণনা
(كثرة الأوهام)
বিশ্বস্থ রাবীর
বিপরীত বর্ণনা (مخالفة
الثقة)
দ্বিতীয় ধরণ: الطعن في العدالة
(সততার ক্রটি) এর সাথে সম্পৃক্ত বিষয়গুলো হলো-
মিথ্যাবাদী (الكذب)
মিথ্যায় অভিযুক্ত
(التهمة بالكذب)
পাপাচারিতা (الفسق) এর অভিযোগ
মুর্খতা (الجهالة أي عدم معرفة الراوي أو حاله )
নতুন অবিস্কৃত বিষয় (البدعة)
এখানে البدعة
হলো ما استحدث بعد النبي صـ من
الأهواء والأعمال উহা আবার দুই প্রকার : প্রথম
প্রকার ملتزم الكفر এবং দ্বিতীয় প্রকার ملتزم
الفسق
চলবে
লেখক: বহুগ্রন্থ প্রণেতা
ইমাম মাওলানা এম. নুরুর রহমান
সেক্রেটারি:
শারীয়া কাউন্সিল ব্যাডফোরড ও মিডল্যনড ইউ কে-
ইমাম ও খাতিব:
মাসজিদুল উম্মাহ লুটন ইউ কে
সত্যয়ান কারী চেয়ারম্যন:
নিকাহ নামা সার্টিফিকেট ইউ কে
প্রিন্সিপাল:
আর রাহমান একাডেমি ইউ কে
পরিচালক:
আর-রাহমান এডুকেশন ট্রাস্ট ইউ কে
📞07476136772 📞 07476 961067
nrahmansky@googlemail.com
Arrahmaneducationtust@gmail.com
https://www.facebook.com/Imam.Nurur
https://www.facebook.com/ARET.OR.UK/
https://www.youtube.com/user/nurur9
0 coment rios:
You can comment here