Wednesday, October 14, 2020

ইবনে কুতাইবা রাহমাতুল্লাহ আলাইহি: ইলমুল হাদীসে তাঁর অবদান

 

।। প্রফেসর ড. সৈয়দ মাকসুদুর রহমান।।

সারসংক্ষেপ (Abstract )

-----------------------------------

-Abū Muhammad Abd-Allāh ibn Muslim ibn Qutayba al-Dīnawarī al-Marwazī or simply Ibn Qutaybah (CE / 213 – 15 Rajab 276 AH)

He was an Islamic scholar of Persian

origin. He served as a judge during the Abbasid Caliphate, but was best known for his contributions to Arabic literature. He was a polymath who wrote on diverse subjects, such as Qur'anic exegesis, hadith, theology, philosophy, law and jurisprudence, grammar, philology, history, astronomy, agriculture and botany.

ভূমিকা (introduction )

--------------------------------------

ইমাম ইবনে কুতাইবা রাহমাতুল্লাহ আলাইহি তিনি একজনহাফেজে হাদিস।

তিনি প্রসিদ্ধ সাহিত্যিক,  ও প্রখ্যাত আলেমদের অন্যতম। তিনি ভাষা, সাহিত্য, হাদিস ও ইতিহাসের বিখ্যাত ইমাম ছিলেন।

তিনি  ইলমুল রিজালের ও ইলমুল জারহ ওয়াত তাদীলে বিশ্বাসযোগ্য বর্ণনায় সর্বদা সত্যবাদী ছিলেন।

কুরআন ও হাদীসের দূর্বোদ্ধতম অর্থ এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিজ্ঞপন্ডিত ছিলেন। সুক্ষ কবিতা চর্চা এবং গজল রচনায় বেশ সুপারদর্শী ছিলেন। আলোচ্য প্রবন্ধে ইবনে কুতাইবা এর জীবনী ও ইলমুল হাদীসে তার অবদান সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

ইবনে কুতাইবা এর নাম ও পরিচিত (Ibn Qutaybah's Name and Known )

------------------------------------------------------------

তাঁর নাম আবু মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ ইবনে মুসলিম ইবনে কুতাইবা আদদীনওয়ারী।

اسمه ونسبه: هو أبو محمد عبدالله بن مسلم بن قتيبة

Ibn Qutaybah is Abu Muhammad Abdullah bin Muslim bin Qutaybah al-Dinuri, and he is known as Ibn Qutaybah, and he is one of the flags of the third century AH, as he is a scholar, jurist, critic, and linguist, and historical sources differed in determining the date of his birth.

ইবন কুতাইবাহ জন্ম ও বেড়ে উঠা

(Ibn Qutaybah was born and raised )

---------------------------------------------------------------------

ولد بالكوفة سنة (213هـ) وقيل ببغداد.قضى ابن قتيبة معظم حياته في بغداد، وكانت إذ ذاك قِبْلَة الدنيا في العلم والمعرفة والثقافة، كما قضى شطرًا من حياته في الدِّينَوَر قاضيًا لها.

তাঁর পিতা মারু শহরের অধিবাসী ছিলেন। কুতাইবার জন্ম তারিখে  মতবিরোধ আছে।

ইবনুল আম্বারী, ইবনুন নাদীম এবং ইবনুল আসীর  মতে, তিনি কূফায় জন্ম গ্রহন করেন।

ইমামআবু সাদ আবদুল করিম ইবনে আল-ইমাম আল-হাফিজ আবি বকর মুহাম্মদ ইবনে আল-আল্লামা আবু আল-মুজাফফর আল-সামানী মনসুর বিন আবদুল্লাহ আল-তামিমি আল-সামানী আল-মারওয়াজী আল-শাফী।আস সামআনী বলেন, তিনি ২্১৩হিজরিতে বাগাদে জন্য গ্রহণ করেন।

আল কুফতী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি 6মতে, তাঁর জন্ম বাগদাদে ২১৩হিজরীতে।

He was born in the city of Kufa, including what went on to say that he was born in the city of Baghdad, but the most likely opinion is that he was born in the year 213 AH.  That is, corresponding to 828 CE, except that there was not much time left in it.  Where he moved when he was young to Baghdad,

ইমাম কুতাইবাহ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর লালন পালন (Nurture of Imam Kutaiba Rahmatullahi Alaihi)

------------------------------------------------------------------------

সেখানেই বেড়ে উঠেন এবং সভ্যতা সংস্কৃতি গ্রহন করেন। সেখানকার আলেম ও জ্ঞানীগুনীদের কাছ থেকে জ্ঞানার্জন করেন। দীন্ওয়ারে শাসক থাকা অবস্থায় তিনি সেখানেই অবস্থান করেন। সেদিকে সম্বন্ধ করে তাঁকে দীনওয়ারী বলা হয়। তাঁকে আল মারূযীও বলা হয়। ইবনে কুতাইবা বাগদাদেই বড় হন। বাগদাদ তখন জ্ঞান বিজ্ঞান, সাহিত্য ও সংস্কৃতির কেন্দ্র ছিল। তিনি জ্ঞানার্জনে মনযোগী হন এবং সেখানকার বড় বড় মহাদ্দিস, রাভী ও ভাষাবিদ এবং সাহিত্যিকদের নিকট থেকে শিক্ষার্জন করেন। এতে তিনি আবু ইসহাক আয যিয়াদী, ইসহাক ইবনে রাহওয়াই, আবু হাতেম আস সিজিসতানী, আবুল ফদল আর রাইয়াশী, আবদুর রহমান ইবনে আখী আল আছমাঈ ও হারমালা ইবনে ইয়াহইয়া এবং আবুল খাত্তাব যিয়াদ ইবনে ইয়াহয়া আল হাসসানীর মত বড় বড় মহাদ্দিসগন থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন। তাঁর ইন্তেকালের সময় তার লিখিত কিতাব বাগদাদে পড়ানো হত। তাঁর লিখিত কিতাবাদি ছিল জ্ঞান পিপাসুদের জন্য সমূদ্র স্বরূপ।

ইবন কুতাইবাহ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর প্রসিদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ(Famous teachers of ibn qutaibah)

--------------------------------------------------------------------

এই আলেমদের মধ্যে:

১) মুসলিম বিন কুতায়বাহ।(তাঁর পিতা)

২)আবু উবায়দ আল-কাসিম বিন সালামে

৩) আহমেদ বিন সাঈদ আল-লিহিয়ানী।

৩)আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ বিন সালাম আল-জাহমি আল-বাসরী

৪)আবু ইয়াকুব ইসহাক বিন রাহওয়াহ

৫) আবু ইসহাক ইব্রাহিম বিন সুফিয়ান আল-জিয়াদি

৬) আবু হাতেম সাহল বিন মুহাম্মাদ আল-সিজিস্তিনি

৭)আবু উসমান আমর ইবনে বাহর আল-জাহিয

৮)আবু আল-ফাদল আল-আব্বাস বিন ফারাজ আল-রিয়াশি

৯)আবু মুহাম্মদ আবদ-রহমান বিন আবদুল্লাহ বিন কুরাইব

ইবনে কুতাইবার প্রসিদ্ধ ছাত্রবৃন্দ

(The Famous Students of Ibn Qutaybah)

-------------------------------------------------------------------

তাঁর থেকে যারা শিক্ষা গ্রহন করেছেন, তাঁর পুত্র

কাজী জাফর আহমাদ বিন কুতাইবা

ফকীহ আদীব, আবু মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ বিন জাফর আল ফাসাভী

, আবীদুল্লাহ বিন আবদুল্লাহ আস সুক্কারী

, মুহাম্মাদ বিন আইয়্যুব

আবু বকর মুহাম্মদ বিন খালাফ আল-মির্জবান

আবু আল-কাসিম ইব্রাহিম বিন মুহাম্মদ বিন আইয়ুব ইবনে বশির আল-সায়েঘ

 

আবু মুহাম্মদ উবায়দ আল্লাহ বিন আবদ-রহমান ইবনে মুহাম্মদ বিন সাঈদ আল-সুক্করী

আবদুল্লাহ ইবনে জাফর বিন দারস্টওয়েহ আল-ফাস্বি

ইবনে খাকানের সাথে ইবনে কুতাইবার ঘনিষ্ঠতা

:(Ibn Qutaybah's closeness to Ibn Khaqan)

--------------------------------------------------------

সে সময়কার আব্বাসীয় শাসক আবুল হাসান আবীদুল্লাহ বিন ইয়াহয়া বিন খাকানের সাথে তাঁর খুব ঘনিষ্ঠতা ছিল। তাঁকে উৎসর্গ করে তাঁর বিখ্যাত কিতাব আদাবুল কাতেব টি রচনা করেন।

এতে বাদ্শা খুৎবায় তাঁকে উল্লেখ করেন এবং প্রশংসা করেন।

ইমাম ইবনে কুতাইবাহ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর চরিত্র (Character of Imam Ibn Qutaybah Rahmatullahi Alaihi)

--------------------------------------------------------------------

ইবনে কুতায়বাহ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি ভালো গুনাবলী সম্পন্ন ও নৈতিক চরিত্রের অধিকারী ছিলেন।

,প্রশংসার উপযুক্ত আচরনের জন্য প্রসিদ্ধ ছিলেন।

উদার গুণাবলী, নম্র, সম্ভ্রান্ত, পুণ্যবান, সত্যবাদী ছিলেন ।, তাঁর ধর্ম ও জ্ঞানের প্রতি বিশ্বাসী ছিলেন এবং মুত্তজিলা ও ধর্মতত্ত্বের পন্ডিতদের সামনে তিনি সুন্নতের অন্যতম রক্ষাকারী ছিলেন, যারা কুরআনের সৃষ্টি বলেছিলেন। অর্থ القرآن مخلوق এর বিরোধিতা করেন।

ইবনে কুতাইবার আকীদা

(Belief of Ibn Qutaybah)

--------------------------------------------------------------------

তাঁর আকীদার ব্যাপারে আলেমগন প্রচুর এখতেলাফ করেছেন।

ইবনে তাইমিয়া বলেন, তিনি আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন। ইবনে তাইমিয়া তাঁর তাফসীর গ্রন্থে সূরা এখলাসের তাফসীরে ইবনে কুতাইবার রেফারেন্স উল্লেখ করেছেন।

হাফেজ শামসুদ্দীন যাহাবী তাঁর মীযানুল ইতিদাল গ্রন্থে লেখেন, যুগের আয়নায় দেখেছি যে ইমাম দারু কুতনী বলেন,” ইবনে কুতাইবা মুশাব্বিহার দিকে ঝুকতেন। তার কথাতেই সেটি বুঝা যায়

তবে জালালুদ্দীন সুয়ূতী এবং দাউদী তা নাকচ করে দিয়ে বলেন, মুশাব্বিহার বিরুদ্ধে তিনি তাবীলু মুখতালাফিল হাদীস কিতাবটি রচনা করেছেন।

খতীবে বগদাদী তার তারীখে বাগদাদে বলেন, তিনি দীনদার, বিশ্বস্ত এবং জ্ঞানী ছিলেন।

ইবনে কুতাইবার জ্ঞানের অবস্থান

(The position of knowledge of Ibn Qutaybah )

--------------------------------------------------------------------

যে সকল জীবনীকারকগন ইবনে কুতাইবার জীবনী লিখেছেন সকলেই বলেছেন, তিনি জ্ঞানী, সাহিত্যিক ও হাফেজে হাদীসদের অন্যতম ছিলেন। তিনি আরবি, ভাষা ও ইতিহাসের পন্ডিত ছিলেন। কোরআনের গভীরতম মর্ম, সুক্ষ কবিতা ও ফিকাহ শাস্ত্রে অভিজ্ঞ ছিলেন। তার বহু রচনা এবং সংকলন রয়েছে। ইমাম নবভী তাঁর তাহযীবুল আসমা ওয়াল লুগাত গ্রন্থে বলেন, আমি তার কিতাবের শিরোনামগুলো পড়েছি। তবে সবগুলো আমার মনে নেই। কিন্ত আমার ধারনা তা ষাটের অধিক হবে

ইমাম ইবনে কুতাইবাহ  রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর ইলমী অবস্থান ( status In acquiring the knowledge of Imam Ibn Qutaybah Rahmatullahi Alaihi)

--------------------------------------------------------------------

قال الخطيب البغدادي: " كان ثقةً ديّناً فاضلاً، وهو صاحب التصانيف المشهورة"

আল-খতিব আল-বাগদাদী বলেন : তিনি ছিলেন একজন পুণ্যবান, বিশ্বাসযোগ্য রাবী এবং খাটি ধার্মিক  এবং তিনি বিখ্যাত গ্রন্থ রচনাকারী।

*قال شيخ الإسلام بن تيمية: " قال صاحب "التحديث بمناقب أهل الحديث" هو أحد أعلام الأئمة والعلماء والفضلاء أجودهم تصنيفاً، وأحسنهم ترصيف

اًশায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ  রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেন ইমাম কুতাইবাহ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি : “(صاحب اهل التحديثبمناقب اهل الحديث )   

এখানে মুহাদ্দিসগন ফযিলত বর্ননা করেছেন। তিনি অন্যতম বিশিষ্ট ইমাম, আলেম ও সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। তিনি গ্রন্থ রচনায় সরা এবং অধিক উত্তম। সমন্বয় সাধনে শ্রেষ্ঠ।

*كان أهل المغرب يعظمونه ويقولون: من استجاز الوقيعة في ابن قتيبة يتهم بالزندقة، ويقولون: كل بيت ليس فيه شيء من تصنيفه فلا خير فيه، 

পশ্চিমের আলিমদের নিকট তিনি অত্যন্ত  মর্যাদার অধিকারী। তারা বলতেন যে ব্যক্তি ইবনে কুতায়বাহের সাথে হস্তক্ষেপ করে তাকে বিদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়।তাকে ধর্মবিরোধী বলে অভিযুক্ত করা হয় এবং

তারা বলেন: যার ঘরে তার কিতাব নেই তার কিছু নেই। সুতরাং এতে কোন কল্যাণ নেই।

*قال ابن كثير:" ابن قتيبة أحد العلماء والأدباء والحفاظ الأذكياء ، وكان ثقةً نبيلاً، وكان أهل العلم يتهمون من لم يكن في منزله شيء من تصانيفه

" ইবনে কাছের বলেছেন: ইবনে কুতায়বাহ হলেন একজন আলেম, লেখক এবং বুদ্ধিমান রক্ষক এবং তিনি ছিলেন আভিজাত্য

*قد تكلم فيه الحاكم فقال: " أجمعت الأمة على أنه كذاب"

শামসুদ্দীন আয যাহাবী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেন,

وهذه مجازفة بشعة من الحاكم، فما أعلم أحداً اتهم ابن قتيبة في نقل، وما أعلم أحداً أجمعت الأمة على كذبه إلا مسيلمة والدجال

এটি ইমাম হাকিম রাহমাতুল্লাহ আলাইহি পক্ষ থেকে এক বিরাট ঝুঁকিপূর্ণ গ্রন্থগুলির মধ্যে অন্যতম। , সুতরাং যে কাউকে ইবনে কুতায়বাহকে নকল করার জন্য অভিযুক্ত করেছিলেন। আমি জানি না  মুসায়ালিমাতু কায্যাব  ব্যতীত তার মিথ্যা কথা হিসেবে একমত হয়েছেন।

ইবনে সালাহ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেন,

-: "وكتاب مختلف الحديث لابن قتيبة في هذا المعنى، إن يكن قد أحسن فيه من وجه، فقد أساء في أشياء منه، قصر باعه فيها وأتى بما غيره أولى وأقوى

ইবনে কুতায়বাহের লেখা মুখতালাফুল হাদীস গ্রন্থটি যদি এ দিক থেকে ভাল হয়েছে।  তবে তিনি তার অনেক কিছুই জিনিসকে ত্রুটি করেছেন। তিনি তা সংক্ষিপ্ত করেছেন এবং এটি অন্য কিছুতে  করেছেন। এটি  অন্যদিকে উত্তম ও শক্তিশালী।

ইবনে কাসীর বলেন,

ابن قتيبة له فيه مجلد مفيد، وفيه ما هو غثٌّ، وذلك بحسب ما عنده من العلم"

  : "ইবনে কুতাইবাহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক খন্ড রচনাবলী আছে। এতে তার যথেষ্ট পরিমাণ জ্ঞানের ছাপ রয়েছে। এর দ্বারা প্রমাণিত হয় তার নিকট অনেক ইলম আছে।

ইমাম ইবনে কুতাইবাহ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর গ্রন্থ (Book of Imam Ibn Qutaybah (may Allah have mercy on him)

--------------------------------------------------------------------

আত্ তাহদীস বিমানাকিবি আহলিল হাদীস গ্রন্থে আছে, তাঁর লিখিত কিতাবের সংখ্যা তিনশর বেশী।

ইবনে কুতাইবার রচনাবলি-

১)   গারীবুল কুর)(غريب القران ) এতে কুরআনের শব্দগত গভীরতার সমাধান আলোচনা করা হয়েছে।

২) মুশকিলুল কুরআন(مشكل القرآن،)এতে কুরআনের দূর্বোদ্ধ উদ্দেশ্যের উন্মেমাচন করা হয়েছে।

৩) মায়ানিল কুরআন(منازل القرآن )

৪)   কিতাবুল কেরায়াতি( كتاب القرائت)

৫)    তাবাকাতুশ শুয়ারা(طبقات الشعراء )

৬)আর রাদ্দু আলাল কাইলি বিখালকিল কুরআন(كتاب الردّ على القائل بخلق القرآن،)

৭)  কিতাবুল ইমামাতি ওয়াস সিয়াসাতি(كتاب الإمامة و السياسية )

৮) গারিবুল হাদিস(غريب الحديث)

৯) উয়ূনুল আখবার(عيون الأخبار)

১০).তাবীলু মুখতালাফিল হাদীস(تأويل مختلف الحديث،)

১১).দিওয়ানুল কুত্তাব(ديوان الكتاب)

১২)

الردّ على المُشبّهة،

১৩) الشعر والشعراء،

 ،*جامع النحو الكبير،

*كتاب الأنواء،

 كتاب المعارف

فضل العرب

، ودلائل النبوّة،

 أدب الكاتب،

المسائل والأجوبة،

عيون الشعر،

.ইবনে কুতাইবাহ-মুহাদ্দিত ও-ফকীহ  হিসেবে অবস্থান (Position as Ibn Qutaybah-muhaddith and -faqih)

--------------------------------------------------------------------

ইমাম ইবনে কুতাইবাহ  ইমাম আবূ আব্ল্লাহ আল-বুখারী ও ইমাম মুসলিমের মতো  মূহাদ্দিস ছিলেন না

যারা রাবীদের সম্পর্কে আলোচনা এবং গ্রন্থ রচনা করেছেন।তবে তিনি আরও একটি দিক নিয়ে আগ্রহী ছিলেন যেটির জন্য একটি বিস্তৃত আরব সংস্কৃতি প্রয়োজন, এবং বক্তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং তাদের বিতর্ক ও বিতর্কের পদ্ধতিগুলির উপর দাঁড় করা।

هو جانب الدفاع عن الحديث، وشرح غريبه، وتأويل مُختلفه، ورد الشبهات عن أهله والذود عنهم؛ ولذا لقّبه ابن تيمية بحجة الأدب المنتصب للدفاع عن أهل الحديث، ويمثل كتابه "تأويل مختلف الحديث

It is the aspect of defending the hadith, explaining its strangeness, interpreting its differences, rejecting suspicions from its family and defending them.  Theref

তিনি হাদীসকে রক্ষা করার, তার  বৈপরিত্বের ব্যাখ্যা দেওয়ার এবং ভিন্ন ব্যাখ্যা করার দিকটি ছিল  অসাধারণ কৌশল।

هذا الاتجاه في التأليف؛ حيث وضعه ليوفق بين الأحاديث التي يُدَّعى فيها التناقض والاختلاف، وله كتب لا تزال حبيسة المكتبات تدور حول الحديث، مثل: "غريب الحديث"، و"إصلاح غلط أبي عبيد في غريب الحديث

তিনি সন্দেহ প্রত্যাখ্যান এবং তাদের রক্ষা করার চেষ্টা করেন। ইবনে তাইমিয়াহ হাদীসের লোকদের পক্ষে রক্ষার জন্য খাঁটি সাহিত্যের অজুহাতে এটিকে অভিহিত করেছিলেন। তাঁর বিভিন্ন হাদিসের ব্যাখ্যা গ্রন্থটি লেখকের এই প্রবণতার প্রতিনিধিত্ব করে;  যেখানে তিনি এগুলি হাদীসগুলির মধ্যে সমন্বয় করার  জন্য যেখানে দ্বন্দ্ব ও পার্থক্য  করা হয়েছে।

তাঁর কাছে এমন রয়েছে যা এখনও হাদীসের চারদিকে ঘুরে বেড়ানো গ্রন্থাগারগুলিতে সীমাবদ্ধ রয়েছে যেমন: "গরিব হাদীস" এবং "গরিব হাদীসে আবী ওবেদ এর ভুল সংশোধন"।

The method of Ibn Qutaybah in interpreting different hadiths:

 Ibn Qutaybah, may Allah have mercy on him, explained that the purpose of this book is to say:  From the posts to the Muslims "

 There are five different types of hadiths in the book.

 1- The hadiths which are claimed to be contradictory, and most of them.

 2- The hadiths which are said in it: They contradict the Book of Allah Almighty

 3- The hadiths which are said in it: They contradict the view and the argument of reason

 4- The hadiths which are said in it: They contradict the consensus

 5- The hadiths which are said in it: They invalidate the analogy

 From this it appears that Ibn Qutaybah did not appear in the book on a different but difficult basis.  Distinctions of the book: 1- This book contains a number of ahaadeeth which are used by the people of the Sunnah on the authority of the people of the Sunnah.

 2- As the book is distinguished by its diversity, it does not succumb to the need for legal evidence, but it follows life as rational evidence, and linguistic and poetic evidence, as much as it is important.

 3- The book also includes various issues, including issues related to faith, and related issues of jurisprudence, etc., which were the issues of belief that prevailed.

 References to the book:

 But it is based on this book: the need to organize and coordinate, to find issues of jurisprudence and belief, all intervening and different.

 As Ibn Qutaybah - may God have mercy on him - in this book: He is the one with the weakest hadith, then he has the justification and the answer to it, or the success between him and the last hadith, and the first one is in this situation.  And it does not appear to be a valid contradiction, it is a form of contradiction, and it is contradictory.

ইবনে কুতায়বাহ বেশ কয়েকটি সাধারণ জ্ঞানের কিতাব রচনা করেন। যেগুলি তাদের সংক্ষিপ্ততা এবং বৈচিত্র্য দ্বারা চিহ্নিত করা হয় এবং মানব জ্ঞানের বিভিন্ন ধরণের সাথে পরিচিত যা শিক্ষিত শ্রেণীর জানা এবং প্রদান করা প্রয়োজন।

 তাদের সাথে একদিকে পরিচিতি পাওয়া যায়। তিনি বলেন,

,*জ্ঞানের অনেকগুলি শিল্প  এটি সৃষ্টির সূচনা

* নবীদের কাহিনী,

* আরব উপজাতি এবং তাদের পেট,

* রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সালাত *তাঁর আনুগত্য

* বিখ্যাত সাহাবী

*খলিফাদের জীবনী, তারপরে ফকীহগণ, আধুনিকতাবাদী, বংশগতিবিদ এবং বর্ণনাকারীদের কাছ থেকে বিখ্যাত মসজিদসমূহ ও তাদের নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয়াদি ও ব্যবসায়ের বিষয়ে আলোচনা,  এবং ফাতহু মুসলিম। 

 

ইবনে কুতাইবাহ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর মৃত্যুবরণ (Death of Ibn Qutaybah (may Allah have mercy on him)

--------------------------------------------------------------------

ইমাম ইবনে কুতাইবাহ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি ২৭৬হিজরি রজব মাসে ৭৩ বছর বয়সে মারা যান।

ইবনে খাল্লিকান বলেন, তিনি সত্তর বছর বয়সে যুলকাদ মাসে ইন্তেকাল করেন।

কেউ কেউ বলেন, একাত্তর বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। কেউ কেউ বলেন, তার মৃত্যু দুইশত চুয়াত্তর হিজরীতে রজব মাসে হয়। তবে এটাই অধিক বিশুদ্ধ মত।

তাঁর মৃত্যু ঘটেছিল হঠাৎ করে। প্রচন্ড চিৎকার করতেছিলেন, করতে করতে হুঁশ হারিয়ে ফেলেন। পরে মারা যান।

বর্ণিত আছে, তিনি হারিসা (চূ্র্ণ গম ও গরুর মাংস দিয়ে তৈরী এক প্রকার খাদ্য) খেয়েছিলেন। তখন তিনি ভিষন গর্মিত হন এবং চিৎকার করতে করতে বেহুঁশ হয়ে যান এবং কাঁপতে থাকেন। অতঃপর কিছুটা সুস্থ হয়ে তাশাহ্হুদ পড়তে পড়তে সাহরীর সময় ইন্তেকাল করেন। আল্লাহ তাঁর উপর রহমত বর্ষন করুন।

The death of Ibn Qutaybah Despite the differing sources in determining the date of his death, the most correct opinion is that he died in the year 276 AH in the month of Rajab.  That is, in the year 899 AD, and it was said about the cause of his death that he ate mush and hit him with heat, then he shouted badly, and fainted, and after he woke up he was confused for an hour, then calmed down, and began to testify until the time of witchcraft, then he died - may God have mercy on him and the imams of all Muslims.

ইমাম ইবনে কুতাইবা রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর উপর রচিত গ্রন্থসমূহ

(Books on Imam Shubah Bin Hajjaj (may Allah have mercy on him)

-----------------------------------------------------------------

  *মুহাম্মদ সিদকী হাবাবাশ

(الموازنة بين منهجي الامامين الشافعي و ابن قتيبة

من خلال كتابهما اختلاف الحديث وتاويل مختلف الحديث )

*আহমদ মাদ্দাহ

(النظير البلاغي عند ابن قتيبة من خلال كتاب تأويل مشكل القرآن )

*জামাল আল-দ্বীন হুয়াইরেব

(كتاب الإمامة و السياسية في ميزان النقد )

*ড. আব্দুল্লাহ উমর ফাযল ও ইসমাইল মুসা

(أراد ابن قتيبة النقدية )

*বেলাল ফয়সাল আল বাহার

(الذب عن القتبي خطيب السنة)

*ড. মু'নী আব্দুল হালীম মাহমুদ (مناهج المفسرين )

*আব্দুল মাজিদ বীন মুহাম্মদ অলি ইব্রাহিম (سورة الفتح الي نهاية سورة الناس )

*কাযী  ইবনে খালকান, (وفيات الأعيان وأنباء أبناء الزمان

كتاب في سيرة الأشخاص)

*মোস্তফা,

(مناهج التأليف عند علماء العرب قديما )

১)জামাল আল দীন আবু হাজ্জাজ  ইউসুফ বিন জাকি আব্দুর রহমান বিন ইউসুফ ইবনে আবদুল মালেক বিন ইউসুফ  হালাবি শাফেঈ,

(تهذيب الكمال )

২)ইবনে আল-ইমাদ আল-হাম্বালি রাহমাতুল্লাহ আলাইহি

(شذرات الذهب)

৩) আবু আব্দুল্লাহ আল বুখারী

(التاريخ الكبير)

৪)ইমাম আন নববী (.(تهذيب الأسماء واللغات)

৫)আবু নাঈম (حلية الأولياء)

৬)ইবন খালকান ؛ (وفيات الأعيان)

৭)খতীব আল বাগদাদী (؛ (تاريخ بغداد)

৮)ইবনে হিব্বান (مشاهير علماء الأمصار)

৯)শামসুদ্দীন আয় যাহাবী (سير أعلام النبلاء)

১০)ইবন কাসীর রাহমাতুল্লাহ আলাইহি (البداية والنهاية )

১১)আহমেদ বিন আবি খাইথামা বিন জুহায়ের বিন হারব

(التاريخ الكبير)

১২)মুনযির মুহাম্মদ সাইদ () عيون الاخبار

 

المعلة باختلاف عليه في كتاب العلل للدارقطني-دراسة نقدية)

১৩)ড মুহাম্মদ তুর্কী আত তুর্কী

(معرفة اصحاب شعبة بن الحجاج )

১৪)ড. আমীন আল কাসাত

(معرفة الحديث في البصرة حتى القرن الثالث الهجري )

১৫)মুহাম্মদ বিন শাকির আল-কিত্তি

(عيون التواريخ )

১৬)ইবন কাসীর রাহমাতুল্লাহ আলাইহি

(البداية والنهاية )

১৭) আহমদ মুহাম্মদ শাকের (السعر والشعراء لابن قتيبة)

১৮) মুহাম্মদ ইবন দানাবী,

(; تعليق: محمد أمين الضناوي)

১৯)বাল্লাজুরী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি

(معجم البلدان )

২০)আল-বাল্লাজুরী;  আহমদ বিন ইয়াহইয়া বিন জাবের

(فتح البلدان )

২১)আহমদ বিন আলী  ইবন হাজার আল আসকালানী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি (إتحاف المهرة بالفوائد المبتكرة من أطراف العشرة)

উপসংহার (conclusion )

-----------------------------------------

 উপরের আলোচনা থেকে এ কথা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে ইমাম ইবনে কুতাইবাহ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি একজন প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস, মুফাসসির, ফকীহ ও আরবি সাহিত্যিক ও কবি ছিলেন। তিনি জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় গ্রন্থ রচনা করেন। তিনি তাফসির ও হাদীসের দুর্বোধ্য বিষয়ে কিতাব লিপিবদ্ধ করেন। ইমাম ইবনে কুতাইবাহ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি তাবিল মুখতালিফ আল হাদীস ও গরীবুল হাদীস গ্রন্থ হাদীসের জ্ঞানের যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করেন। আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে তার খেদমত থেকে উপকৃত হওয়ার তাওফীক দান করুন, আমীন ।

লেখক:

প্রফেসর ড. সৈয়দ মাকসুদুর রহমান

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া

 বাংলাদেশ


শেয়ার করুন

Author:

1 comment:

You can comment here