Tuesday, October 6, 2020

ইমাম আ'মাশ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি: ইলমুল হাদীসে তাঁর অবদান

।। প্রফেসর ড. সৈয়দ মাকসুদুর রহমান।।

সারসংক্ষেপ (Abstract )

Abu Muhammad Sulaiman ibn Mihran al-Asadi al-Kahili  also known as al-Aʽmash(, 680—765) was a Muslim ge of Tabi'un. He was a notable Muhaddith and Qāriʾ. Due to his poor eyesight, people used to call him al-Aʽmash.Al-Amash was born in Kufa in 680 (61 AH)

He was a freedman of the Kahil clan from the Banu Assad tribe. His father had moved to Kufa from Damavand, Iran.[4]Al-A’mash died in 764 (147 AH) in Kufa, but most historians say that he died in the month of Rabi al-Awwal 765 (148 AH).

His notable students include Abu Hanifa, Ibn al-Mubarak, Sufyan al-Thawri, Sufyan ibn ʽUyaynah and Al-Fuayl ibn ʻIyāḍ

ভূমিকা (introduction)

মুহাম্মদ সুলাইমান ইবনে মিহরান আল-আসাদি আল-কহিলিকে আল-আমাশ  নামেও পরিচিত ছিলেন। তাবিউনের একজন মুসলিম পন্ডিত ব্যক্তির ভূমিকায় ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ও পবিত্র কুরআনের ক্বারী ও ফকীহ। তার দৃষ্টিশক্তির কারণে লোকেরা তাকে আল-আমাশ বলতেনl

আল-আমাশ ৬১ হিজরি সালে ইরাকের কুফায় জন্মগ্রহণ করেন।  তিনি বনু আসাদ গোত্রের কাহিল বংশের একজন স্বাধীন ব্যক্তি ছিলেন।  তাঁর বাবা ইরানের দামাভান্দ থেকে ইরাকের কুফায় চলে  আসেন।

তাঁর উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহ আলাইহি ইবনে আল-মুবারক, সুফিয়ান আল-সাওরী আল , সুফিয়ান ইবনে উয়ায়না  এবং আল ফুয়াইল ইবনে আইয়াহ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি ।আলোচ্য প্রবন্ধে ইমাম আল আমাশ রাহমাতুল্লাহ আলাইহিকে ও ইলমুল হাদীসে তার অবদান সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

ইমাম আল আমাশ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর নাম ও পরিচিতি (Name and introduction of Imam Al Amash (may Allah have mercy on him)

-----------------------------------------------------------------

সুলাইমান বিন মাহরান আল-আমাশ আবু মুহাম্মদ আল-আসাদী আল-কাহিলী

سليمان بن مهران الأعمش التابعيهو سليمان بن مهران أبو محمد الأسدى الكاهلى

ইমাম আযাশ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর জন্ম গ্রহণ (Birth of Imam Ayash Rahmatullah Alaihi)

-----------------------------------------------------------

(১০ মুহাররম ৬১ হিজরী  জন্ম - ১৪৮ হিজরী মৃত্যুবরণ  করেন ), রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদীস রক্ষাকারীর ( حافظ الحديث)  তাবেঈ অ এবং বিশ্বাসযোগ্য হাদীস বর্ণনাকারী।

আবু মুহম্মদ সুলায়মান ইবনে মিহরান আল-আসাদি আল-কহিল নামেও পরিচিত আল- আল আ'মাশ। একজন মুসলমানের প্রজন্মের পণ্ডিত। তিনি একজন তাবেঈ ছিলেন  । তিনি ছিলেন এক উল্লেখযোগ্য ও প্রখ্যাত মুহাদ্দিস। তার দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হওয়ার কারণে লোকেরা তাকে আল-আমাশ বলে ডাকত। তিনি কূফা নগরীতে৬১হিজরি সালে জন্ম গ্রহণ করেন। মৃত্যুর সময় তার বযস ছিল ৮৩/৮৪ বছর। আল-আমাশ কুফায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন ।

তিনি বনু আসাদ গোত্রের কাহিল বংশের একজন স্বাধীন ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর বাবা ইরানের দামাভান্দ থেকে কুফায় চলে এসেছিলেন ।

وكان مولده يوم استشهاد الحسين بن علي بن أبي طالب وذلك يوم عاشوراء في المحرم سنة ستين للهجرة، وأعده أصحاب الطبقات من الطبقة الرابعة من التابعين. وعاش الأعمش في الكوفة، وكان محدثها في زمانه

ইমাম আল আমাশ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর শিক্ষকবৃন্দ(Teachers of imam ak Amash)

-------------------------------------------------------------

আবান বিন আবি আইয়্যাশ

ইব্রাহিম আল-তাইমী

ইব্রাহিম আল-নাখাই

ইসমাইল বিন আবি খালেদ

ইসমাইল বিন রাজা আল-জুবাইদী

ইসমাইল বিন মুসলিম আল-মক্কী

আনাস ইবনে মালিক,

(এটি প্রমাণিত হয়নি যে তিনি তাঁর কাছ থেকে শুনেছিলেন)

তামিম বিন সালামাহ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি

সাবিত বিন ওবায়দ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি

 সুমামা বিন উকবা রাহমাতুল্লাহ আলাইহি

আবি জামেহ বিন শাদ্দাদ শিলা রাহমাতুল্লাহ আলাইহি

আবী ​​বিশর জাফর বিন আবী ওয়ালিদহ

হাবিব বিন আবি সাবেত

হাবিব বিন সাহবান রাহমাতুল্লাহ আলাইহি

হাসান বিন আবি আল আশারস রাহমাতুল্লাহ আলাইহি

আল-হুসেন বিন আল-মুন্জির

আবী ​​যাবিয়ান হুসেন বিন জন্ডুব আল-জানাবী

আল-হাকাম বিন ওতাইবা

হাকিম বিন জুবায়ের রা

খাইথিমা ইবনে আবি খাইথামা আল বাসরী

খাইতিমা বিন আবদুল রহমান আল-জাফি

ধর বিন আবদুল্লাহ আল-হামদানী

ঠাকওয়ান আবি সালেহ আল-সম্মান

রাজা আল আনসারী

ইয়ামি জাবেদ

আবী ​​জাহমাহ যিয়াদ বিন আল হুসেন

যায়েদ বিন ওয়াহাব আল-জুহানী

সালেম বিন আবি আলজাদ রহ

আবী ​​আমর সাদ বিন আইয়াস আল শায়বানী

সাদ বিন উবাইদা রা

সাদ আবী মুজাহিদ আল-তায়ে

সাদ বিন যুবায়ের

সাদ বিন আবদুল্লাহ ইবনে জুরিজ রহ

আবী ​​হাজেম সালমান আল আশাজি

সালামাহ বিন কাহিল

সুলেমান বিন মাশার

সুলেমান বিন মায়সারা আল-আহসী রহ

শান্তি আবী শারহাবিল

বিন সালামাহ আল-আসাদির ভাই আবী ওয়াল

শাম্মার বিন আতিয়া

আল দাহহক আল শারকি

তারিক বিন আবী আল হাসনা

তারিক বিন আবদুল রহমান

তালহা বিন মাসরাফ

আবী ​​সুফিয়ান তালহা বিন নাফী রহ

বিন হাবিব তালাকপ্রাপ্ত

আমের আল শাবি

আবদুল্লাহ ইবনে আবি আওফা, বলা হয়: মুরসাল

আবদুল্লাহ ইবনে খলিল আল-হাদরামী রহ

আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল্লাহ আল-রাযি

আবদুল্লাহ ইবনে মুররাহ রা

আবদুল্লাহ ইবনে ইয়াসার আল-জুহানী রহ

আবী ​​কায়স আবদুল রহমান বিন থারওয়ান আল-ওদাই

আবদুল রহমান বিন জিয়াদ রহ

আবদুল আজিজ বিন রাফি

আবদুল মালিক বিন ওমির

আবদুল মালিক বিন মায়সারা

ওবায়দ আবি আল হাসান

আবী ​​আল-ইয়াকজান ওথমান বিন ওমাইর রা

ওসমান ইবনে কাইস রা

উদয় বিন থাবেট

আতা ইবনে আবী রাবাহঃ

আতা বিন আলসায়েব রা

আতিয়া আল-ওফী

ইকরিমা, ইবনে আব্বাসের গোলাম

আলী বিন আল-আকমার রা

আলী বিন মোদারাক

বিন ওমির বিল্ডিং

বিন আল ক্বাকা বিন শাবরমা বিল্ডিং

আবু ইসহাক আল সুবাই

আমর ইবনে মুররা আল জামলি রহ

 কাইস ইবনে আবী হাজেম রহ

কাইস ইবনে মুসলিম

মালিক ইবনুল হারিথ রহ

মুজাহিদ বিন জাবর রা

মুহাম্মদ আল বাকের রা

আবী ​​আল-জুবায়ের আল-মক্কী

আল-মুখতার বিন সাইফি রহ

মাসউদ বিন মালিক বিন মন্দির আল আসাদি

আবী ​​রাজনীন মাসউদ বিন মালিক আল-আসাদী

আবী ​​দুহা মুসলিম বিন সুবাইহ

মুসলিম আল-বাতেন

মুসায়িব ইবনে রাফি

আল মাররুর বিন সুওয়াইদ

আল মুকাদ্দাম বিন শুরেহ বিন হানী

মুনসার আল-সাওরী

আল-মিনহাল বিন আমর

মুসা বিন আবদুল্লাহ বিন ইয়াজিদ আল-মার্শমি

নাফেদ আবু দাউদ

হিলাল বিন ইয়াসাফ

ইয়াহিয়া বিন সাম

ইয়াহিয়া ইবনে ওবায়দ আবী ওমর আল বাহরানী

ইয়াহিয়া বিন আমারা

ইয়াহিয়া ইবনে আব্বদ

ইয়াহইয়া ইবনে ওয়াসাব

ইয়াজিদ আল-রাকাশি

আবী ​​সাবরা আল-নাখায়ি

​​সালেহ, স্যার নাকি হানির

আবী ​​আম্মার আল-হামদানি

আবী ​​ইয়াহিয়া আল-কাতাত

তাঁর উল্লেখযোগ্য ছাত্রবৃন্দ()

-------------------------------------------------

 

আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহ আলাইহি

ইবনে আল-মুবারক রাহমাতুল্লাহ আলাইহি

সুফিয়ান আস সাওরী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি

সুফিয়ান ইবনে উয়ায়না রাহমাতুল্লাহ আলাইহি

আল ফুয়ায়ল ইবনে আইয়াহ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি

ইমাম আমাশ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর ছাত্রবৃন্দ(Students of imam Al Amash)

-------------------------------------------------------------------

আবান বিন তাগলেব

ইব্রাহিম বিন তাহমান

আবু ইসহাক ইব্রাহিম বিন মুহাম্মদ আল-ফাযারী

বিন মুহাম্মাদ আল-কুরেশির

ইসহাক বিন ইউসুফ আল-আজরাক

ইস্রায়েল বেন ইউনূস

ইসমাইল বিন যাকারিয়া

জাবের বিন নোহ আল-হামানী

জারির বিন হাজেম

জারির বিন আবদুল হামিদ

জাফর বিন আউন

আল হাসান বিন আইয়্যাশ

হাফস বিন গায়েথ

আল-হাকাম বিন ওতাইবা

আবু ওসামা হামদ বিন ওসামা

হামজা বিন হাবিব আল-যায়াত

হামিদ বিন আবদুল রহমান আল-রাসি

দাউদ বিন নাসির আলতাই

যায়েদা বিন কুদামাহ

জাবেদ আল-ইয়ামি,

জুহায়ের ইবনে মুয়াবিয়া

জিয়াদ বিন আবদুল্লাহ আল বাকাই

সাঈদ বিন মুসুলিমা উমাইয়াদ

সুলাইমান ইবনে কুরুম বিন মোয়াজ

সুলাইমান আল-তাইমি,

সুহাইল বিন আবি সালেহ

আবু আল-আহওয়াস সালাম বিন সালিম

সাইফ বিন মোহাম্মদ আল-সাওরী

আবদুল্লাহ আল-নাখায়ি

ইবন হাজ্জাজ শু'বা

শাইবান বিন আবদুল রহমান

আবু জাবিদ আবেদ বিন বিন কাসিম

আবদুল্লাহ বিন আল-আজলা

আবদুল্লাহ বিন ইদ্রিস

আবদুল্লাহ ইবনে বিশর

আবদুল্লাহ বিন দাউদ আল-খুরাইবী

আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল কুদ্দুস আল রাযি

আবদুল্লাহ ইবনে নুমির

আবদুল হামিদ বিন আবদুল রহমান আল-হামানী

আবদুল রহমান বিন মোহাম্মদ আল-মহরবি রহ

আবু জুহায়ের আবদুল রহমান বিন মাগাহার

আবদুল সালাম বিন হারব

আবদুল আজিজ বিন রাবিয়া আল বনানী

আবদুল আজিজ বিন মুসলিম আল-কাসমালী

আবদুল ওয়াহিদ বিন যিয়াদ

আবদা বিন সুলেমান রা

উবায়দুল্লাহ ইবনে আমর আল-রাকী

উবাইদ আল্লাহ বিন মুসা রা

ওবাইদা বিন হামিদ

উথাম বিন আলী আল আমেরী

ইসম বিন তালেক

আতা বিন মুসলিম

উকবা বিন খালিদ

আলী বিন মাশার রা

আলী বিন হাশেম বিন আল-বারিদ রহ

আম্মার বিন রুজাইক

আম্মার বিন মুহাম্মদ আল-ঠাওরি রহ

ওমর বিন সাদ বিন মাসরূক আল-ঠাওরি রহ

ওমর বিন ওবায়দ আল-তানফিসি রহ

ইসা বিন ইউনূস

আবু নাঈম আল-ফাদল বিন দকিন

আল-ফাদল বিন মুসা আল-সেনানী

ফাদিল বিন আইয়াদ

ফাদিল বিন মারজৌক

আল-কাসিম বিন মান আল-মাসউদী

কাতাদা বিন আল-ফাদিল আল-রাহাবী

কুতবাহ বিন আবদুল আজিজ ইবনে সিয়া রহ

মালিক বিন সায়ির বিন খুমস

প্রভাষক বিন আল-মুরাহ

মোহাম্মদ বিন আনাস আল-কুরাসী

মুহাম্মদ বিন বিশর আল-আবদী রহ

মোহাম্মদ বিন রাবিয়া আল কালবী রহ

মোহাম্মদ বিন তালহা

মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-তাফাবী

মোহাম্মদ বিন ওবায়দ আল-তানফিসি

মোহাম্মদ বিন ফাদিল বিন গাজওয়ান

মুহাম্মদ বিন ওয়াসি

মুফাদ্দাল বেনসালাহ

মুফাদ্দাল বিন মুহালহাল

মনসুর বিন আবি আল আসওয়াদ

মুসা বিন আইন

আবু আল-মুগিরা আল-নদর বিন ইসমাইল

হারিম বিন সুফিয়ান

হাশেম বিন বশির

ওয়াকে বিন জারাহ

ইয়াহইয়া ইবনে যাকারিয়া ইবনে আবি আল-হাজেব আল-কুফি

ইয়াহইয়া ইবনে যাকারিয়া বিন আবি জাইদা

ইয়াহিয়া বিন সাদ আল-উমাইয়াদ রহ

ইয়াহিয়া বিন সাদ আল-কাত্তান

ইয়াহিয়া বিন আবদুল মালিক বিন আবি ধনী

ইয়াহিয়া বিন সাঈদ আল-রামলি

ইয়াহইয়া ইবনে ইয়ামান

ইয়াজিদ বিন আবদুল আজিজ বিন সিয়াহ

আলী বিন ওবায়দ আল-তানাফসি

আবু ইসহাক আল সুবাই, তাঁর অন্যতম শেখ

আবু বকর বিন আয়শ রা

আবু জাফর আল-রাযি

আবু হাফস

আবু হামজা আল সুকারি

আবু খালেদ আল-আহমার

আবু শেহাব আল-হানাত

আবু উবাইদাহ বিন মান আল-মাসউদী রহ

আবু আওনা

আবু মুসলিম আল-আমাশ

আবু মুয়াবিয়া আল-দির

ইমাম আল আমাশ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর মৃত্যুবরণ (Death of Imam Al-Amash (may Allah have mercy on him)

ইমাম আল-আমাশ  কুফায় মারা গিয়েছিলেন, তবে বেশিরভাগ ঐতিহাসিকরা বলেছেন যে তিনি রবি আল-আওয়াল (১৪৮ হিঃ) মাসে মারা গিয়েছিলেন । আবু বকর ইবন আয়াশ থেকে বর্ণিত,

ইমাম আল-আমাশ  একশত আট চল্লিশ হিজরি সালে মৃত্যুবরণ করেন। তখন তাঁর বয়স  আটাশি (৮৮) বছর হয়েছিল। যখন তিনি মৃত্যুর মুখোমুখি তখন তিনি তাঁর নিকট গেলেন। তিনি বললেন আমি আপনাকে জন ডাক্তার ডেকে আনি? আমাশ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেন, আমি যদি মৃত্যুবরণ করি তবু আমার নিকট কাউকে ডাকবেন না। আমার নিকট থেকে মান আমাকে একা থাকতে দিন।

*ইবনে কাসীর রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেন,

তিনি রবিউল আউওয়াল মাসে  শুরুতে ও ১৪৮হিজরিশেষের দিকে ৮৮ বছর বয়সে মারা যান।

খতিব আল-বাগদাদী তাঁর মৃত্যুর কথা উল্লেখ করেছেন ১৪৯ হিজরীতে। তিনি বলেন : তিনি ১৪৯হিজরি সালেমারা গিয়েছিলেন এবং (ثبت الحديث)

ছিলেন।

ইমাম আল আমাশ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর রাবী হিসেবে অবস্থান (Imam al-Amash's position as a narrator of hadith )

------------------------------------------------------------------

ইবন হাজার আসকালানী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেন, আবু ইয়া'লা খলিল বিন আব্দুল্লাহ বিন আহমদ বিন ইব্রাহিম বিন আল-খলিল আল-কাজওয়িনি আল-খলিলি (৪৪৬ হিজরিতে মারা যান।  তিনি একজন বিচারক ছিলেন এবং সিকাহ হাফেজ ইলাল ও ইলমুল রিজালের সমালোচক হিসেবে প্রসিদ্ধ ছিলেন। তিনি কাজিভিনে মারা গেলেন এবং তাঁর বয়স আশি বছর।)

* তিনি বলেন, ইমাম আল আমাশ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি (ثقة متفق عليه )

*আবু মুহম্মদ আব্দুল্লাহ বিন মুসলিম বিন কুতাইবাহ আল-দিনাওয়ারি আল-মারওয়াযী বা শুধু ইবনে কুতাইবা

বলেন,

ثقة عادل من رجال الستة ( البخاري ومسلم والترمذي والنسائي وأبو داود وابن ماجه )

তিনি সিহাহ সিততাহ ছয়জনের  আস্থাশীল

(ثقة عادل من رجال الستة)

যেমন - বুখারী, মুসলিম, আল-তিরমিযী, আল-নাসা, আবু দাউদ এবং ইবনে মাজাহ

বন হাজার আল আসকালানী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেন, মুহাম্মদ বিন শাআদ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেন

, : كان ثقة يرحل إليه

ইবনে আম্মার আল-মাওসিলী বলেছেন

: حجة ، كانت كتبه صحاحا

তিনি হজযাহ,ও সিকাহ তাঁর  কিতাব ছিল সহীহ। আবু আল-কাসিম আল-লালকাই রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেন,

( مجمع على ثقته ،)

 আবু আহমেদ আল হাকেম

( : هو عندهم ثقة) .

ইবন হিব্বান রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেন,

( كان من العباد الخشن)

আলী ইবন মাদীনী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেন,

  كان جرير صاحب ليل وثقه

আবূ হাতিম  ও নাসাযী বলেন

قال ابن خراش : صدوق . )) وكذلك الحافظ الفضل بن دكين كان ينال من معاوية :قال الحافظ الذهبي :(( أبو أحمد الحاكم : حدثنا الحسين الغازي قال : سألت البخاري عن أبي غسان قال : وعماذا تسأل ؟ قلت : التشيع ، فقال : هو على مذهب أهل بلده ، ولو رأيتم عبيد الله بن موسى ، وأبا نعيم ، وجماعة مشايخنا الكوفيين ، لما سألتمونا عن أبي غسان .قلت ( الذهبي ) : وقد كان أبونعيم وعبيد الله ، معظّمين لأبي بكر وعمر ، وإنما كانا ينالان من معاوية وذويه ، رضي الله عن جميع الصحابة . والترمذي والنسائي وأبو داود وابن ماجه )

আবু নাঈম আল-ফাদল বিন দকিন রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেন

(الحافظ الكبير شيخ الاسلام.) وهذا سليمان بن مهران الأعمش يطعن في معاويةروى البلاذري في أنساب الأشراف بسند صحيح قال :(( وحدثني عبد الله بن صالح العجلي عن عبيد الله بن موسى قال ذكر معاوية عند الأعمش فقالوا : كان حليما ، فقال الأعمش : كيف يكون حليما وقد قاتل عليا وطلب – زعم – بدم عثمان من لم يقتله ، وما هو ودم عثمان ، وغيره كان أولى بعثمان منه .

শরীর আমাশ থেকে বর্ননা করেন তিনি বলেন মুআবিযা রাদি আল্লাহ তাআলা আনহূ যখন আলী রাদি আল্লাহ তাআলা আনহূ সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন তাহলে কিভাবে তাকে বিচক্ষন বলা যাবে?

وحدثت عن شريك عن الأعمش أنه قال : كيف يُعَدُّ معاوية حليما وقد قاتل علي بن أبي طالب . )) أنساب الأشراف ج5 ص137 ترجمة الأعمش :

ইমাম শামসুদ্দীন আম যাহাবী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেন ,

(الإمام ، شيخ الإسلام ، شيخ المقرئين والمحدثين)

আল-হাফিজ ইবনে হাজার বলেন,

(( وقال ابن المديني : حفظ العلم على أمة محمد (صلى الله عليه وسلم) ستة : عمرو بن دينار بمكة ، والزهري بالمدينة وأبو إسحاق السبيعي والأعمش بالكوفة وقتادة ويحيى بن اأي كثير بالبصرة . ))

আলী ইবনে আল-মদিনী বলেছেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মতের মধ্যে ইলম সংরক্ষণ করেছেন ছয়জন ব্যক্তি মক্কায় আমর ইবনে দিনারমদিনায় আল-জুহরী, আবু ইসহাক আল-সুবাইয়ী , কুফায় আল-আমাশ, কাতাদা এবং  ইয়াহিয়া ইবনে সালেহ বিন আল মুতাওয়াকিল আল তাই, যিনি ইয়াহিয়া ইবনে আবী কাসীর নামে পরিচিত,বাসরায়।)

ইমাম আল আমাশ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর সাহাবীগনের সাক্ষাৎ(Meeting with the Companions of Imam Al-Amash (may Allah have mercy on him)

-------------------------------------------------------

ইমাম আল-আমাশ একদল সাহাবীর সাক্ষাৎকার পেয়েছেন। তাদের সমসাময়িক অনেকর সাথে পারস্পরিক হাদীস বর্ননা করা হয়েছে।

*তিনি আনাস ইবনে মালিককে দেখেছেন এবং তাকে পড়তে শুনেছেন এবং তাঁর কাছ থেকে যা কিছু পেয়েছেন তা বর্ননা করেছেন।

* ইবনে আবি আউফা রাদি আল্লাহ তাআলা থেকে বর্ননা করেন (মুরসাল)

তিনি আবু ইসহাক , আবু সালেহ যায়েদ বিন ওয়াহাবের কাছ থেকে হাদীস শ্রবণ করেন। আল-মাআরুর ইবনে সুবাইদআবূ ওয়াহল, বিন সালামার ভাই আব্রাম ওয়াইম, ইব্রাহিম আল জুবায়েরমুজাহিদ ইবনে যুবায়েরআবদুল ওয়াইব ও আবু ওয়াহিরের কাছ থেকে হাদীস শ্রবণ করেন। আল নাখি  রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এবং ইমাম আল জুহরী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি থেকে হাদীস শ্রবণ ও বর্ননা করেন।

ইমাম আল আমাশ রাহমাতুল্লাহ আলাইহিকে নিয়ে আলিমদের  প্রশংসা (Praise be to the scholars for Imam Al- Amash Rahmatullahi Alaihi)

------------------------------------------------------------------------

قال أحمد بن عبد الله العجلي: الأعمش ثبت، وكان محدث الكوفة في زمانه.

আহমদ বিন আবদুল্লাহ আল আজালি বলেছেন: আল-আমশ বিশস্ত রাবী হিসেবে প্রমাণিত , এবং তিনি তাঁর সময়ে সবচেয়ে কুফায়  শ্রেষ্ঠ মূহিদ্দিস ছিলেন।

ويقال: إنه كان له أربعة آلاف حديث، ولم يكن له كتاب، أي: كان ضبطه ضبط صدر وليس ضبط كتاب.

এবং বলা হয়: তাঁর নিকট চার হাজার হাদীস ছিল।  তাঁর কাছে কোন কিতাব ছিল না,। ততাঁর হিফজ ছিল অন্তরে। বনৈ, কিতাবের মাধ্যমে হিফজ ছিল না।

قال: وكان يقرأ القرآن وهو رأس فيه، وكان فصيحاً.

ইমাম আ'মাশ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি অত্যন্ত ভালোভাবে কুরআন পাঠ করতেন। তিনি সাবলীল ভাষায় কুরআন আল কারীম তেলওয়াত করতেন।

وقال عيسى بن يونس: لم نر نحن مثل الأعمش، وما رأيت الأغنياء عند أحد أحقر منهم عنده مع فقره وحاجته.

ইসা ইবনে ইউনূস বলেন : আমরা আল-আমাশের মতো দেখতে কাউকে পাইনি। ধনী ব্যক্তিদের ও দেখিনি যে তাদের দারিদ্র্যতা ও প্রয়োজনে তাদের চেয়ে নিকৃষ্টতর ছিল।

قال الذهبي: كان عزيز النفس قنوعاً، وله رزق على بيت المال في الشهر خمسة دنانير، قررت له في آخر عمره.

শামসুদ্দীন আল-যাহাবী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেন: তিনি আত্মতৃপ্তি ছিলেন। এক মাসে তাঁর কোষাগারে পাঁচটি দিনার জমা ছিল। তাঁর জীবনের শেষদিন পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত অব্যাহত।

وعن ابن عيينة قال: سبق الأعمش الناس بأربع: كأن أقرأهم للقرآن، وأحفظهم للحديث، وأعلمهم بالفرائض، وذكر خصلة أخرى.

ইবনে উয়ায়না রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেনইমাম আল-আ'মাশ লোকদের থেকে চারটি  বিষয়ে এগিয়ে আছে।  তিনি তাদের মধ্যে উত্তম কুরআন তিলাওয়াতকারী। হাদীসের মুখস্থকারী , ইলমুল ফারাইদ এর পন্ডিত এবং আরও তিনি একটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছেন।

وقال أحمد: أبو إسحاق والأعمش رجلا أهل الكوفة، يعني: في زمنهم.

আহমদ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেন, আবু ইসহাক ও আমাশ তাদের সময়ের দুইজন প্রসিদ্ধ ব্যক্তি ছিলেন। মুহাম্মদ বিন সাআদ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেন,

وكان الأعمش صاحب قرآن وفرائض وعلم بالحديث، قرأ عليه طلحة بن مصرف القرآن، وكان يقرئ الناس، ثم ترك ذاك في آخر عمره، وكان يقرأ القرآن في كل شعبان على الناس في كل يوم شيئاً معلوماً حين كبر وضعف، ويحضرون مصاحفهم فيعرضونها ويصلحونها على قراءته

ইমাম আল আমাশ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি কুরআনের হাফিজ , এবং ইলমুল ফারাইদ ও ইলমুল হাদীসে। তালহা ইবনে মুসরিফ তার নিকট কুরআন পড়লেন। তিনি লোকদের পড়াতেন। মৃত্যুর পর্যন্ত চেষ্টা করে তারপর শেষ বয়সে তা ছেড়ে দেন।  তিনি প্রতিদিন  সমস্ত শাবানের মধ্যে কুরআন।  যখন বয়স বেড়ে যায় তখনই দুর্বল হয়ে যান। ঈসা ইবনু ইউনূসে রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেন

ما رأينا في زماننا مثل الأعمش، ولا الطبقة الذين كانوا قبلنا، وما رأينا الأغنياء والسلاطين في مجلس قط أحقر منهم في مجلس الأعمش، وهو محتاج إلى درهم.

আমি আমাদের সময়ে আল-আমাশের মতো কাউকে দেখিনি,। বা আমাদের আগে যে শ্রেণি ছিল তা আমরা কখনও দেখিনি। ইমাম আল-আমাশ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বৈঠকে আমরা কখনও ধনী ও সুলতানদেরকে এমন অসহায় দেখিনি।  হয়নি। এর জন্য দিরহামের প্রয়োজন রয়েছে।

: ليس أحد أعلم بحديث عبد الله من الأعمش.

আল-আম'শ থেকে আল্লাহ তাআলা এর বান্দাদের মধ্যে হাদীস কেউ  বেশি জানেন না।

وذلك لأن عبد الله بن مسعود سكن الكوفة، وكان الأعمش من علماء الكوفة، فكان أعلم الناس بحديث عبد الله بن مسعود.

এটা এ কারণে যে আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদি আল্লাহ তাআলা আনহু কূফায বসবাস করতেন। আর ইমাম আমাশ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি কুফার আলিমদের একজন। এ জন্য তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর হাদীস সম্পর্কে বেশি অবগত ছিলেন।

وعن ضرار بن صرد قال: ما كان هذا العلم إلا في العرب وأشراف الملوكفقال له رجل من جلسائه: وأي نبل كان في الأعمش؟ قال شريك: أما لو رأيت الأعمش ومعه لحم يحمله وسفيان الثوري عن يمينه وشريك عن يساره، وكلاهما ينازعه حمل اللحم لعلمت أن ثم نبلاً كثيراً.

And on the authority of Dirar bin Sard who said: This knowledge was only in the Arabs and the noble kings.

A man from his sits said to him: What nobility was in Al-Amash?  Shrek said: If you saw Al-A'mash with meat that he carries, Sufyan Al-Thawri is on his right, and Shrek on his left, and they both dispute him to carry the meat, you would know that then a lot of noble

وقال علي بن المدينيحفظ العلم على أمة محمد صلى الله عليه وسلم ستة، فلأهل مكة عمرو بن دينار، ولأهل المدينة ابن شهاب الزهري، ولأهل الكوفة أبو إسحاق السبيعي وسليمان بن مهران، ولأهل البصرة يحيى بن أبي كثير وقتادة.

আলী  ইবন আল মাদীনী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেনউমমতে মুহাম্মদের ইলম সংরক্ষণ করেছিলেন ছযজন ব্যক্তি মক্কার জনগণের জন্য, আমর বিন দীনারমদিনার জনগণের জন্য, ইবনে শিহাব আল জুহরিকুফার সম্প্রদায়ের জন্য, আবু ইসহাক আল-সুবাই

* সুলাইমান বিন মাহরান  আল আমাশ

বাসরার লোকদের জন্য ইয়াহিয়া বিন আবী কাসীর  ও কাতাদা রাহমাতুল্লাহ আলাইহিম।

قال شعبة: ما شفاني أحد في الحديث ما شفاني الأعمش.

Shu'bah said: No one healed me in the hadith, Al-A'mash did not heal me

وقال عبد الله بن داود الخريبي: سمعت شعبة إذا ذكر الأعمش قال: المصحف، المصحف.

Abdullah bin Dawood Al-Khuraibi said: I heard Shu`bah when he mentioned Al-A`mash, he said: The Mushaf, the Mus-haf

وقال عمر بن علي: كان الأعمش يسمى المصحف من صدقه.

ওমর বিন আলী বলেছেন: আল-আমাশকে এর সত্যতা থেকেই  মাসহাফ  বলা হত।

وقال محمد بن عمار الموصلي: ليس في المحدثين أثبت من الأعمش ومنصور بن المعتمر، ومنصور أفضل من الأعمش إلا أن الأعمش أعرف بالمسند وأكثر مسنداً منه.

মুহাম্মদ ইবনে আম্মার আল-মাওসিলী বলেন : মুহাদ্দিসগন মধ্যে আল-আমাশ ও মনসুর ইবনুল মুত্তামেরের চেয়ে বেশি নির্ভরশীল কেউ ছিলেন না।

মনসুর আল-আমাশের চেয়ে উত্তম। , কেবলমাত্র আল-আমাশ মুসনাদকে অধিক জ্ঞান রাখেন। তাঁর নিকট বেশি ইসনাদ রয়েছে।

ইমাম আ'মাশ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর উপর  রচিত গ্রন্থ (Books written on Imam Amash Rahmatullahi Alaihi)

--------------------------------------------------------------------

১) শামসুদ্দীন আয যাহাবী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি ।سير) أعلام النبلاء   )

২)মুফতি শাব্বির আহমদ হানাফি ("فقہ اسلامی کی تدوین امام ابوحنیفہؒ)

৩)আল-খতিব আল-বাগদাদী

(تاريخ بغداد )

৪)মুহাম্মদ ইবন সাআদ

(الطبقات الكبرى )

৫)ইবন হাজার আল আসকালানী, 

( تهذيب التهذيب.)

৬)ইবন কাসীর রাহমাতুল্লাহ আলাইহি

(البداية والنهاية )

৭) আবে হামেদ মুহাম্মদ ইবন আব্দুর রহীম আল কুরতবী

(. المعرب عن بعض عجائب المغرب)

৮) মুহাম্মদ ইবন দানাবী,

(; تعليق: محمد أمين الضناوي)

৯)বাল্লাজুরী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি

(معجم البلدان )

১০)আল-বাল্লাজুরী;  আহমদ বিন ইয়াহইয়া বিন জাবের

(فتوح البلدان )

১১)ইউসুফ বিন আবদুল রহমান ইবনে ইউসুফ, আবু আল-হাজ্জাজ, জামাল আল-দ্বীন ইবনে আল-জাকী আবী মুহাম্মদ আল-কুদাই আল-কালবী আল-মাজি

( تهذيب الكمال في أسماء الرجال)

১২)  Abdul rahman Bin Ali Bin Muhammad Bin Ali Bin Aljawzi Abu Alfaraj

(صفة الصفوة)

১৩) সালাহ নজীব আদ দীক,

(الإمام الأعمش)

১৪)আহমদ ফরীদ

( سلسلة أعلام السلف الإمام الأعمش )

১৫) খলীফা আল কারাদী, (تخريج حديث (أَنَا مَدِينـةُ العلمِ،

وعَليٌّ بَابها):)

১৬)ইবন আবি হাতিম

(الجرح والتعديل )

১৭)আবু মুহাম্মদ আবদুল্লাহ ইবনে আলী বিন আহমদ, বাস্তাত আল খাইয়াত আল-বাগদাদী আল-হাম্বালি

(المبهج فى القراءات الثمان وقراءة الأعمش وابن محيصن واختيار خلف واليزيدي)

১৮)মুহাম্মদ বিন তুরকি আল-তুরকি

(معرفة اصحاب الأعمش )

১৯) মুহাম্মদ বিন শাকির আল-কিত্তি

(عيون التواريخ )

২৩)আহমদ বিন আলী  ইবন হাজার আল আসকালানী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি (إتحاف المهرة بالفوائد المبتكرة من أطراف العشرة)

উপসংহার (conclusion)

-------------------------------------

উপরের আলোচনা থেকে এ কথা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, ইমাম আবু মুহাম্মদ সুলাইমান ইবনে মাহরান আল আমাশ রাহমাতুল্লাহ আলাইহিকে একজন বিখ্যাত মুহাদ্দিস, ফকীহ ও মুফাসসির। তিনি ৮৭বছর জীবনের অধিকাংশ সময়েই হাদীসের খেদযত ব্যয় করেন। ইমাম বুখারীসহ সিহাহ সিত্তার ও মুসনাদে আহমদ ইবন হান্বল তার থেকে হাদীস বর্ননা করেন। তিনি তাবেঈ যুগের প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস।  তার প্রসিদ্ধ ছাত্র ইমাম আবু হানীফা নুমান ইবন সাবেক আল কূফী, ইমাম সুফিয়ান আল-সাওরী ও ইমাম ইবনে উয়ায়না রাহমাতুল্লাহ আলাইহিম। তিনি হাদীস ও ফিকহ চর্চা গুরুত্বপূর্ণ মনে করতেন। আমরা সবাই তার খেদমতের উপর আমল করতে পারি আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে তাওফীক দান করুন, আমীন।

লেখক:

প্রফেসর ড. সৈয়দ মাকসুদুর রহমান

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া,

 বাংলাদেশ


শেয়ার করুন

Author:

0 coment rios:

You can comment here