সত্যের সন্ধানে পর্ব-১৮ পড়তে ক্লীক করুন এখানে
।। ইমাম
মাওলানা এম. নুরুর রহমান।।
আবু দাউদ ইরানের সিস্তানে জন্মগ্রহণ করেন এবং ৮৮৯ খ্রিষ্টাব্দে
বসরায় মারা যান। হাদিস সংকলনের জন্য তিনি ইরাক, মিশর, সিরিয়া, হেজাজ, তিহামাহ, খোরাসান, নিশাপুর ও মার্ভসহ
অনেক স্থানে সফর করেছেন। প্রথমে তিনি ফিকহ বিষয়ে আগ্রহী ছিলেন। এ কারণে তিনি হাদিস
সংগ্রহে মনোযোগী হন। প্রায় ৫,০০,০০০ হাদিসের মধ্যে তিনি প্রায় ৪,৮০০ হাদিস তার
গ্রন্থে সংকলন করেছেন।আলোচ্য প্রবন্ধে ইমাম আবু দাউদ রাহমাতুললাহ আলাইহি এবং ইলমুল
হাদীসে তার অবদান আলোচনা করা হয়েছে।
নাম ও পরিচিতি
ইমাম আবু দাউদের প্রকৃত নাম সোলাইমান। আবু দাউদ তাঁর উপনাম।
পিতার নাম আশআস। বংশলতিকা হলো সুলাইমান ইবনে আশআস ইবনে ইসহাক ইবনে বুশাইর ইবনে সাদ্দাদ
ইবনে আমর ইবনে ইমরান আল আযদি আস সিজিস্তানি। তাঁর ঊর্ধ্বতম পুরুষ ইমরান, যিনি আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু এর সঙ্গী হয়ে সিফফিনের যুদ্ধে
শহীদ হয়েছিলেন।মুহাদ্দিসগনের মতে,
هو الإمام الثبت، أبو داود، سليمان بن الأشعث بن إسحاق الأزدي السِّجِسْتَانِيُّ، أحد حفاظ الحديث وعلمه وعلله، صاحب السنن. وُلِد بسجستان سنة اثنتين ومائتين من الهجرة، وهو والد أبي بكر عبد الله بن أبي داود، من أكابر الحفاظ ببغداد، وكان عالمًا متفقًا عليه
ইমাম আবূ দাউদ রাহমাতুললাহ আলাইহি এর জম্ম গ্রহন
বর্তমান আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলের সিজিস্তান শহরে ইমাম আবু দাউদ
রাহমাতুললাহ আলাইহি জন্মগ্রহণ করেন। তখন আব্বাসীয় খলিফা মামুন ছিলেন রাষ্ট্রক্ষমতায়।
২০২ হিজরি সাল, যাকে ইসলামী জ্ঞান-বিজ্ঞানের সোনালি যুগ বলা হয়। তিনি মুলত তৃতীয়
শতকের প্রথম দিকে ইরান ও আফগানিস্তানের দক্ষিণে খুরাসান প্রদেশে জন্ম গ্রহণ করেন।
*ولد أبو داود في بداية القرن الثالث الهجري سنة 202 هـ في خلافة
المأمون، في بلدة سجستان وحاليًا يقع معظمها في أفغانستان، وجزء في إيران وفي
باكستان
*وهي من الإقليم الثالث.» وذكر محمد بن أبي نصر أن أبا داود من قرية
بالبصرة يقال لها سجستان وليس من سجستان خراسان، وهو قول شاذ.
ইলমুল হাদীসের গভীর জ্ঞান অর্জন করতে দেশ ভ্রমণ
জ্ঞান অন্বেষণে বিদেশ গমন :
হাদিসের জ্ঞান অর্জনের তীব্র পিপাসা নিয়ে ঘুরে ফিরেছেন দেশ-বিদেশ
ও শহর-নগরে।তিনি অসংখ্য ইসলামী শহর-নগরের যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিসদের হাদিসভাণ্ডার থেকে
হাদীস স আহরণ করেছেন ব্যাপক হারে।খোরাসান (এশিয়ার একটি ঐতিহাসিক অঞ্চল।প্রাচীন গ্রিক
ভৌগলিক এরাতোস্থেনিস (২৭৬ খ্রিঃ পূঃ - ১৯৫/১৯৪ খ্রিঃ পূঃ)তার ভূগোলে পরবর্তীকালে খোরাসান
বলে পরিচিত এই সমগ্র ভূখণ্ডটিকে 'এরিয়ানা' বলে অভিহিত করেন। মধ্যযুগে বর্তমান ইরানের উত্তরপূর্ব অঞ্চল, প্রায় সমগ্র
আফগানিস্তান, দক্ষিণ তুর্কমেনিস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানের
এক বিস্তীর্ণ অঞ্চল এই খোরাসানের অন্তর্ভুক্ত বলে পরিগণিত হত। )
বাগদাদ
বাগদাদ ইরাকের রাজধানী। দজলা নদীর তীরে অবস্থিত এ শহরটি ৮ম শতাব্দীতে
প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।আব্বাসীয় খিলাফতের আমলে এটি রাজধানীতে পরিনত হয়। প্রতিষ্ঠার অল্প
সময়ের মধ্যেই বাগদাদ মুসলিম বিশ্বের এক গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক, বাণিজ্যিক এবং
বুদ্ধিবৃত্তিক কেন্দ্র হিসাবে বিকশিত হয়েছিল। অন্যতম কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (যেমন, বাইতুল হিকমাহ)
সহ বহুবিধ জাতিগোষ্ঠি ও বহুবধর্মীয় ব্যক্তিবর্গের আতিথ্যের জন্য এই শহরটি "জ্ঞানের
শহর" হিসাবে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছিল। )
*হিজায,
(বর্তমান সৌদি আরবের পশ্চিম অংশ। এর পশ্চিমে লোহিত সাগর, উত্তরে জর্ডান, পূর্বে নজদ
ও দক্ষিণে আসির অবস্থিত।এর প্রধান শহর জেদ্দা। তবে ইসলামের পবিত্র শহর মক্কা ও মদিনার
জন্য এই অঞ্চল অধিক পরিচিত। ইসলামের পবিত্র স্থানের অবস্থানের কারণে হেজাজ আরব ও ইসলামি
বিশ্বে ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ। পশ্চিমে তিহামাহ থেকে পূর্বের
নজদকে পৃথক করেছে বলে এই অঞ্চলের এরূপ নাম হয়েছে। এটি "পশ্চিম প্রদেশ" বলেও
পরিচিত[)
* ইরাক,(সরকারিভাবে ইরাক প্রজাতন্ত্র, একটি মধ্যপ্রাচ্যের
রাষ্ট্র। বাগদাদ ইরাকের রাজধানী। ইরাকের দক্ষিণে কুয়েত এবং সৌদি আরব, পশ্চিমে জর্ডান, উত্তর-পশ্চিমে
সিরিয়া, উত্তরে তুরস্ক এবং পূর্বে ইরান (কোর্দেস্তন প্রদেশ (ইরান)) অবস্থিত।
সিরিয়া,
(উর্বর সমতলভূমি, উচ্চ পর্বত এবং মরুভূমির একটি
দেশ। সিরিয়ায় বিভিন্ন জাতিগত এবং ধর্মীয় গোষ্ঠী: সিরিয়ান আরব, গ্রীক, আর্মেনিয়ান, আসিরিয়ার, কুর্দি, কার্কাসিয়ান, মানডিয়ান্স
এবং তুর্কি সহ। ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর অন্তর্ভুক্ত: সুন্নি, খ্রিস্টান, আলাউই, ডুরজ, ইসমাঈল, মান্দিয়া, শিয়া, সালাফি, ইয়াসীদ ও ইহুদীরা।
সুন্নি বৃহত্তম ধর্মীয় গ্রুপ তৈরী করেন সিরিয়ায়।) )
*সিরিয়া(=ইরাক,
মিসর
আফ্রিকা মহাদেশের উত্তর-পূর্ব কোণে ও এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম
কোণে অবস্থিত একটি আন্তঃমহাদেশীয় ভূমধ্যসাগরীয় রাষ্ট্র। এর পূর্ণ সরকারী নাম মিশর
আরব প্রজাতন্ত্র। প্রাচীন যুগে মিশর সমগ্র বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
একটি সভ্যতা ছিল
* মক্কা,এটি সৌদি আরবের রাজ্যের পশ্চিমে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের
মদিনা থেকে প্রায় 400 কিলোমিটার দূরে এবং তায়েফ শহর থেকে পূর্ব দিকের প্রায় 75 কিমি, [4] এবং জেদ্দা
এবং লোহিত সাগর উপকূল থেকে 72২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং এর নিকটতম বন্দরটি জেদ্দা
ইসলামিক বন্দর, নিকটতম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
কিং আবদুলাজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। মক্কা
*বসরা,ইরাকের একটি শহর। এই শহরটি কুয়েত এবং ইরানের মধ্যবর্তী শাত-ইল-আরবে
অবস্থিত। ২০১২ সালের গণনা অনুযায়ী এখানকার লোকসংখ্যা ১৫ লক্ষ।যদিও এখানকার পানির গভীরতা
তেমন নেই, তবুও বসরা ইরাকের প্রধান সমুদ্র বন্দর; এটি উম কসর
বন্দরের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
* কুফা ইরাকের একটি শহর।
শহরটি বাগদাদ হতে ১৭০ কিলোমিটার (১১০ মা) দক্ষিণে এবং নাজাফ হতে ১০ কিলোমিটার (৬.২
মা) উত্তরপূর্বে ইউফ্রেটিস নদীর তীরে অবস্থিত।
খলিফা উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু এর শাসনকাল (৬৩৭-৬৪৪) সম্পাদনা
খলিমা উসমান রাদিয়াল্লাহু
আনহু এর শাসনকাল (৬৪৪-৬৫৬) সম্পাদনা
খলিফা আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু এর শাসনকাল (৬৫৬-৬৬১)
মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু এর শাসনকাল (৬৬১-৬৮০) এরপর
আব্বাসীয় শাসনকাল।
* আলজেরিয়া,আলজেরিয়া উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকায় ভূমধ্যসাগরের দক্ষিণ উপকূলে
অবস্থিত একটি রাষ্ট্র। এর পূর্ণ সরকারী নাম আলজেরিয়া গণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্র। দেশটির
আয়তন প্রায় ২৩ লক্ষ ৮১ হাজার ৭৪১ বর্গকিলোমিটার (বাংলাদেশের আয়তনের প্রায় ১৭ গুণ)।
আয়তনের বিচারে আলজেরিয়া আফ্রিকা মহাদেশের বৃহত্তম ও বিশ্বের ১০ম বৃহত্তম রাষ্ট্র।
হেরাত
,আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশের একটি। বাদগিস, ফারাহ ও গোর
প্রদেশগুলির সাথে এটি দেশটির উত্তর-পশ্চিম ভাগ গঠন করেছে। হেরত প্রদেশের রাজধানীর নামও
হেরত।
ইমাম আবু দাউদ রাহমাতুললাহ আলাইহি এর শিক্ষকবৃন্দ
وقد وجه أبو داود همه في هذا الكتاب إلى جمع الأحاديث التي استدل بها
الفقهاء ، ودارت بينهم ، وبنى عليها الأحكام علماء الأمصار ، وتسمى هذه الأحاديث
أحاديث الأحكام
ইমাম আবু দাউদ রাহমাতুললাহ আলাইহি অসংখ্য শিক্ষকের নিকট হাদীসের
গভীর জ্ঞান অর্জন করেন। যেমন-
*ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল,
*আহমদ ইবনে সালেহ
,
*ইসহাক ইবনে রাহওয়াই,
*ইয়াহয়া ইবনে মাঈন,
*আলী ইবনুল মাদীনী,
*কুতাইবা ইবনে সাঈদ,
*সুলাইমান ইবনে হরব,
*আবদুল্লাহ ইবনে মাসলামাহ,
* সাঈদ ইবনে মানুসুর,
* মুহাম্মদ ইবনে বাশ্শার,
* যুহাইর ইবনে হারব রাহমাতুললাহ আলাইহিম প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।
ইমাম আবু দাউদ রাহমাতুললাহ আলাইহি এর ছাত্র
তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন,
*ইমাম আল-তিরমিযী রাহমাতুললাহ আলাইহি
,
*ইমাম আল-নাস'ই রাহমাতুললাহ আলাইহি
*ইমাম আবু বকর ইবনে আবী দাউদ, ( তার পুত্র
)
*আবু বাশার আল দোলাবি
, রাহমাতুললাহ আলাইহি
*আলী বিন আল হাসান বিন আল আবদ রাহমাতুললাহ আলাইহি
,
*আবু উসামা মুহাম্মদ বিন আবদুল মালিক,
* আবু সাইদ বিন আল আরবী,
*আবু আলী আল লুলু,
*আবু বকর বিন দাসা,
*আবু সালাম মুহাম্মদ বিন সাঈদ আল জলৌদি,
*আবু আমর আহমেদ বিন আলী প্রমুখ।
ইমাম আবূ দাউদ রাহমাতুললাহ আলাইহি এর স্মৃতি শক্তি
অসাধারণ মেধা ও প্রখরতা :
ইমাম আবূ দাউদ রাহমাতুললাহ আলাইহি ছোট সময় থেকে অত্যন্ত মেধাবী
ও তীক্ষ্ণ স্মৃতি শক্তির অধিকারী ছিলেন। তার অসাধারণ স্মৃতিশক্তি ও মেধার তীক্ষ্নতার
জন্য কৈশোর থেকেই সষ হাকিম এর খেতাবে ভূষিত হয়েছেন। যার বাংলা অর্থ প্রজ্ঞাবান। হাদীসের
পরিভাষা বিশ্লেষণ করলে তাকে হাফেজ, হাকিম, হুজ্জতসহ অনেক
বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করা যাবে।
তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত
সূত্রের দীর্ঘ ধারাবাহিকতাসহ পাঁচ লাখেরও বেশি হাদিসের হাফেজ ছিলেন।
من أحاط بالسنة ولأن هذا الرجل محيط بالسنة لقبوه بالحاكم كما أنه
زعم أن الحجة من حفظ ثلاثين ألف حديث وهناك الحافظ أيضا). الآن هل كلامه صحيح ؟
وإن كان لقبه الحاكم فما اسمه
আর অজস্র অগণিত বর্ণনাকারীর নাম ও বংশপরম্পরাসহ তাঁর জীবনবৃত্তান্ত, প্রত্যেকের
পার্থক্যসহ মুখস্থ করা ছিল তাঁর বিশাল ও অসাধারণ কৃতিত্বের একটি। এ ছাড়া তিনি কেবল
হাদিস বিশারদই ছিলেন না, ফিকহসহ ইসলামী ইলম ও জ্ঞানের সব শাখায়ই ছিল তাঁর নেতৃত্বসুলভ
অবস্থান।
*قال الشيخ ملا على القارئ
رحمه الله تعالى " الحجة
*: من أحاط علمه بثلث مائة ألف حديث متنًا وإسنادًا، وبأحوال رواته
جرحًا وتعديلًا وتأريخًا
* وقال الحافظ المَنـَاوِي
رحمه الله تعالى :" الحجة: من أحاط علمه بثلث مائة
ألف حديث تجريحًا وتعديلًا ، ولو بتعدد الطرق والأسانيد
ইমাম আবূ দাউদ রাহমাতুললাহ আলাইহি এর মাজহাব
ইমাম আবু দাউদ রাহমাতুললাহ
আলাইহি হান্বলী মাজহাবের অনুসারী ছিলেন।
তবে তিনি মুকাল্লিদ ছিলেন নাকি একজন মুজতাহিদ ছিলেন? তা নিয়ে আলিমদর
দ্বিমত রয়েছে। তবে তিনি একজন মুজতাহিদ, মুহাদ্দিস ও ফকীহ হিসেবে প্রসিদ্ধ
ছিলেন।
আবু ইসহাক ইব্রাহিম বিন আলী আল-শিরাজী, (তৎকালীন শাফিই
মাজহাবের শাযখ, এবং এখনও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শেখ হিসাবে বিবেচিত। তিনি ইমাম আল-ফকিহ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।)
فقد عده أبو إسحاق الشيرازي في طبقات الفقهاء من جملة أصحاب أحمد بن
حنبل ذُكر في عدة مصادر أن أبا داود كان حنبلي المذهب،
মুহাম্মাদ ইবনে আল-হুসেন ইবনে মুহাম্মদ ইবনে খালাফ ইবনে আহমাদ
ইবনে আল ফুর, আল-কাদী আবু আলী আলী আল-বাগদাদী আল-হাম্বলী, যিনি ইবনে আল-ফুর
নামে পরিচিত। তিনি বলেন, ইমাম আবু দাউদ রাহমাতুললাহ আলাইহি হান্বলী মাজহাবের অনুসারী
ছিলেন।
، كما ذكره
ابن أبي يعلى في طبقات الحنابلة، وقد أكثر أبو داود النقل عن أحمد بن حنبل، قال
ابن أبي يعلى: «ونقل عَنْ إمامنا أشياء.»، ثم أخذ يسرد ما رواه أبو داود عن ابن
حنبل، كما ألف كتابًا في الفقه
সুনান আবি দাউদ .এর অবস্থান
ইলমুল হাদীসের কুতুব সিত্তাহ বা সিহাহ সিত্তাহ নামে হাদীসের
যে বিশাল সম্ভার আমাদের নিকট আছে সুনান আবু দাউদ তার মধ্যে অন্যতম। সহীহ বুখারী ও সহীহ
মুসলিম এর পর এই কিতাব গুরুত্বপূর্ণ। এটি সুনান আরবাআ মধ্যে প্রথম কিতাব হিসেবে বিবেচনা
করা হয়।
وهو كتاب يأتي في المرتبة بعد صحيح البخاري وصحيح مسلم في الشهرة
والمكانة، وقد عُدَّ أول كتب السنن المعروفة، وهي سنن أبي داود والترمذي والنسائي
وابن ماجه .
পাচ লক্ষ হাদীসের থেকে বাছাই করে মাত্র ৪৮০০ হাদীস সংকলনের জন্য
চুডান্তভাবে নির্বাচিত করেন । এই গ্রন্থের হাদীস হাসান হাদীসের মর্যাদা দেওয়া হয়।
এখানে ৩৫ অধ্যায় এবং ১৮৭১ বাব উপস্থাপন করা
হয়েছে।
. وقد رتب أبو داود كتابه على كتب وأبواب، فشمل خمسة و ثلاثين كتابًا، وواحدًا وسبعين وثمانمائة وألف
তিনি এখানে শুধু মাত্র সহীহ হাদীস সংকলন করেননি বরং সহীহ, হাসান ও যঈফ
হাদীস ও সংকলন করেছেন ।তিনি বলেন,
: "ذكرت في كتابي الصحيح وما يشبهه
وما يقاربه". وقال: "وما كان فيه وهن شديد بيَّنته، وما لم أذكر فيه
شيئًا فهو صالح، وبعضها أصح من بعض
ইমাম আবূ দাউদ রাহমাতুললাহ আলাইহি কিতাব খানা সংকলন করে ইমাম
আহমদ ইবন হান্বল রাহমাতুললাহ আলাইহি এর নিকট পেশ করেন। ইমাম আহমদ ইবন হান্বল রাহমাতুললাহ
আলাইহি কিতাবটি প্রশংসা করেন।
وقد جمع أبو داود كتابه هذا قديمًا، وحين فرغ منه عرضه على الإمام
أحمد بن حنبل (رحمه الله) فاستجاده واستحسنه،
ফকীহগন সুনান তিরমিজি এবং সুনান আবু দাউদ কে সহীহ গ্রন্থ হিসেবে
সাব্যস্ত করেন।
والفقهاء لا يتحاشون من إطلاق لفظ (الصحاح) عليها وعلى سنن الترمذي،
لا سيما (سنن أبي داود).
আবু ইয়াহিয়া যাকারিয়া ইবনে ইয়াহইয়া বিন আবদুল রহমান ইবনে
বাহর বিন আদি বিন আবদুল রহমান বিন আল-আবায়াদ বিন মুয়াবিয়া বিন আল-দিলাম বিন বাসিল
বিন দাবা আল-দাবী আল-বাসরী আল-শাফি’ই রাহমাতুললাহ আলাইহি বলেন,
وفي مكانة هذا الكتاب فقد أبلغ زكريا الساجي حين قال: "كتاب
الله أصل الإسلام، وسنن أبي داود عهد الإسلام
সুনানে আবু দাউদের বৈশিষ্ট্য সমূহ
সুনান আবু দাউদ সংকলন করতে গিয়ে ইমাম আবু দাউদ রাহমাতুললাহ
আলাইহি অনেক পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন। যার নিখুঁত ভাবে বিশ্লেষণ করে দেখা যায় তার গ্রন্থ
অন্যান্য গ্রন্থ থেকে বিশেষ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়েছে। এখানে সুনানে আবু দাউদ এর
উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য আলোচনা করা হ'ল
*১) সুনানে আবু দাউদ হাদিস গ্রন্থে
সম্পর্কেশরীযআতের বিধি-বিধান সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
أصح ما عَرَفَ من أحاديث الأحكام
غالبا
*২)ব্যবহারিক জীবনের প্রয়োজনীয় নিয়ম নীতি ও আদর্শ সংবলিত হাদিস
সমুহের সন্নিবেশ হয়েছে।এ কারণে এ গ্রন্থের গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে।
*৩)।ফিকাহ কিতাবের ন্যায় আধ্যয় ও পরিচ্ছেদ চমতকার বিন্যস্ত
হয়েছে।
1- الترتيب على أبواب الفقه: رتّب الإمام أبو داود كتابه على أبواب
الفقه
*৪)অত্যাধিক যাচাই বাছাইকরণ ইমাম আবু দাউদ পাচ লক্ষ হাদিস থেকে
যাচাই-বাছাই করে মাত্র ৪৮০০ সহিহ হাদিসের মাধ্যমে এই গ্রন্থ সংকলন করেন।
এ প্রসঙ্গে ইমাম আবু দাউদ রাহমাতুললাহ আলাইহি বলেন-
(كتبت عن رسول الله صلى الله عليه وسلم خمس مائة ألف الف في حديث
انتخبت منها ماضمته هذا الكتاب.)
অর্থ: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর
পাচঁ লক্ষ হাদীস লিপিবদ্ধ করেছিলাম। তার মধ্যে যাচাই-বাছাই করে মনোনীত হাদিস এ গ্রন্থে
সন্নিবেশ করেছি।
*৫)দলিল উপস্থাপনা সুনানে আবু দাউদ এর মাসয়ালা বর্ণনার ক্ষেত্রে
ইমামগণের মতামতের আলোকে পেশকৃত দলিল উপস্থাপন করা হয়েছে। ফলে তার মানগত ভিত্তি সুপ্রতিষ্ঠিত
হয়েছে।
كان الإمام أبو داود يتعرض لبعض ما يمكن الاستدلال به، ويذكر
الاستنباط الفقهي منه، لكونه اشترط على نفسه تخريج أحاديث الأحكام التي يستدل بها
الفقهاء وأرباب الفتيا
সুনানে আবু দাউদ সম্পর্কে
ফকীহগনের মত
(- انما تكفل مجتهدا بعد كتاب الله تعالى )
অর্থ:একজন মুজতাহিদের পক্ষে ফিকাহের মাসআলা বের করার জন্য আল্লাহর
কিতাব কুরআনের পরেই সুনানে আবু দাউদ ই যথেষ্ট।
*৭)ইমাম আবু দাউদ রাহমাতুললাহ আলাইহি তার হাদীস গ্রন্থে সন্নিবেশিত হাদীসসমূহ ভিন্ন ভিন্ন শিরোনামে
উপস্থাপন করেছেন।
(تطابق الترجمة مع أحاديث الباب بطريق الاستنتاج لعلاقة اللزوم، مثل
قوله: "باب سترة الإمام سترة لمن خلفه)
গ) তিনি হাদীসের বিভিন্ন পদ্ধতি আলোচনা করেছেন। কখনো কখনো হাদিসের
একটি অংশে উল্লেখ করে বাকী অংশের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। যদি কোন হাদীসের একাধিক সনদ
ও মতন পাওয়া যায় সেই ক্ষেত্রে কিছু উল্লেখ করে অবশিষ্ট বিষয়ে ইংগিত করেছেন।
ذكر بعض الطرق أو جزء من حديث والإشارة إلى الباقي للاختصار: إذا كان
للحديث أكثر من إسناد أو متن، فإنه قد يذكر بعضها ويشير إلى باقيها
*৮) ইলমুল জারহ ও তা'দীল এবং আসমাউর রেজাল (রাবীদের) পরিচিত বর্ননা পদ্ধতি
ক)ইইমাম আবু দাউদ রাহমাতুললাহ আলাইহি তার সুনাম গ্রন্থে অনেক
রাবীর আদালত ও হিফজ শক্তি উপস্থাপন করেছেন। আবার প্রয়োজন মতো রাবীর দোষ ও বর্ননা করেছেন।
كان من عادة أبي داود ذكر شيء من تعديل بعض الرواة أو تجريحهم كلما
دعت حاجةٌ إلى ذلك
খ) কোন কোন বর্ননা রাবীদের
পরিচিতি তুলে ধরে বলেন, বর্ননাকারী সাহাবী, তাবেযী, বসরা অথবা কূফী
ইত্যাদি। এ ছাড়া কারোর ক্ষেত্রে জন্ম ও মৃত্যু অথবা বিশেষ বৈশিষ্ট্য যার মাধ্যমে তাকে
সহজে চেনা যায়। যেমন - সনদ মুত্তাসিল অথবা মুনকাতে সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
وقد يذكر شيئاً من التعريف ببعض الرواة كبيان أن فلانا من الصحابة أو
التابعين، أو أنه كوفيٌّ أو بصريٌّ، أو بيان تاريخ مولد أو وفاة أو اختلاط راوٍ
معيّن ، وغير ذلك مما ينفع في توضيح اتصال أو انقطاع بين راويين، أو تمييز راو من
غيره، ولكنه لم يُكثر من ذلك.
("مات إبراهيم التيمي ولم يبلغ أربعين سنة) ومن أمثلة ما أورده في الجرح
والتعديل بعد إيراده للحديث قوله: "عمرو بن ثابت رافضي، رجل سوء، ولكنه كان
صدوقا في الحديث، وثابت بن المقدام رجل ثقة"، ومثال ما أورده في تعريف الرواة
قوله: "مات إبراهيم التيمي ولم يبلغ أربعين سنة ، وكان يكنى أبا أسماء".
*৯)বর্ণিত হাদিস সম্পর্কে মন্তব্য পেশ করা সুনানে আবু দাউদ এর
অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
কোন হাদীসের সনদ ও মতনে আপত্তিকর কিছু দেখলেই ইমাম আবু দাঊদ রাহমাতুললাহ আলাইহিবলে নিজের মন্তব্য পেশ করেছেন।
قال ابو داود ثم قال: "قال أبو داود: وهذه حجةٌ للرجل يأخذ الشيء إذا كان له
حقًّا"، وغير ذلك كثير.
*১০)বিপুল গ্রহণযোগ্যতার কারণেই সুনানে আবু দাউদ সর্বজন গ্রাহ্য
সংকলনের মর্যাদা অর্জন করেছে। এ সম্পর্কে ইমাম
আবু দাউদ রাহমাতুললাহ আলাইহি বলেন-
ما ذكرت في كتاب حديث من استمع الناس على تركيا
অর্থ: জনগণ কর্তৃক সর্বসম্মতভাবে পরিত্যক্ত কোন হাদীসই আমি এতে
উদ্বৃত্ত করিনি।
* ১১) ইমাম আবু দাউদ রাহমাতুললাহ আলাইহি সুনান আবু দাউদে হাদীস
সমূহে বর্ণনার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমধর্মী حدثنا ও عنعنه
বর্ননা পদ্ধতিদ্বয় প্রাধান্য পেয়েছে।
এ প্রসঙ্গে হাফেজ আবু জাফর ইবনে জুবায়ের গারনাতী বলেন ফিকহ
সম্পর্কিত হাদীসসমূহ সামগ্রিক ও সবিস্তরে সংকলন হওয়ার কারণে সুনানে আবু দাউদ এর যে
বিশেষত্ব আছে তার সিহাহ সিত্তার অপর কোন গ্রন্থ নেই।
(كتاب الله عز وجل له اصلا الاسلامي الكتاب والسنه لابي داود عهد
الاسلام.)
অর্থ :ইসলামের মূলমন্ত্র হলো পরাক্রমশালী মহান আল্লাহর কিতাব।
আর ইসলামের লালনতত্ত্ব হলো সুনানে আবু দাউদ।
*১৩)সুনানে আবু দাউদ
অপর আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো এতে ঈমান ও আহকামের হাদীস সংকলন করা
হয়েছে।
*১৪)ইমাম আবু দাউদ প্রকৃত সহীহ হ হাদীসের অনুকূল সমর্থন পেলে
জয়ীফ ও অজ্ঞাতনামা রাবীগনের বর্ণনাও গ্রহণ করেছেন।
*২৫)গ্রন্থ সংকলন করে ইমাম আবু দাউদ ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বলের
নিকট নিয়ে যান। ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল এটাকে খুবই পছন্দ করেন এবং একটি উত্তম হাদীসগ্রন্থ
বলে প্রশংসা করেন। মূলত তৎকালীন মানুশষের নিকট এই কিতাব একটি অমূল্য সম্পদ হিসেবে পরিগণিত
হয়েছিল।
* ১৬) ইমাম আবু দাউদ রাহমাতুললাহ আলাইহি সহীহ অর্থাৎ মুত্তাসিল
সনদ ও যঈফ উভয় হাদীস রেওয়াত করছেন।
(إخراجه لأصح ما عَرَفَ في الباب أن تكون الأحاديث كلها صحيحة متصلة
الإسناد، فهناك ما ليس صحيحا، وما ليس متصل الإسناد)
তাঁর অনন্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে অন্যতম
* আল মারাসীল(المراسيل مع الأسانيد )
* আন নাসিখি ওয়াল মানুসূখ(الناسخ والمنسوخ)
*,
কিতাবুজ যুহুদ,( كتاب الزهد )
* কিতাবুল কদর, ( كتاب القدر )
*কিতাবুল বা'ছি ওয়ান নুশুর, (كتاب البعث و النشور )
*দালায়েলুন নুবুওয়াহ, (دلايل النبوة )
*ফাজায়েলুল আনসার,( فضايل الأنصار )
*আখবারুল খাওয়ারেজ (اخبار الخوارج )
রিসালাহ আবূ দাউদ ইলা আহলে
মক্কা ফী অসফে সুনানিহি*(رسالة أبي داود إلى أهل مكة في وصف سننه)
সুআলাত ইলা আবি দাঊদ লি ইমাম আহমদ ইবন হান্বল ফীর রুয়্যাত
(*سؤالات أبي داود السجستياني للإمام أحمد بن حنبل
في الراوة)
সুআলাত ইলা আবি দাঊদ লি ইমাম আহমদ ইবন হান্বল
ফিল ফিক্হ
(*سؤالات أبي داود السجستياني للإمام أحمد بن حنبل
في الفقه)
সুযালাত ইলা আবি উবাযেদ আজরা আবা দাউদ ফিল জারহ ওয়া আল তাদীল
(*سؤالات أبي عبيد الآجري أبا داود السجتياني في
الجرح والتعديل)
কিতাব আদ দুআ
(*كتاب الدعاء)
.কিতাব আসহাবে আল শা'' বী
(*كتاب أصحاب الشعبي)
কিতাব আর রাদ্দ আলা আহলিল কদর
(*كتاب الرد على أهل القدر)
মুসনাদ মালিক (*مسند مالك)
*كتاب تسمية الإخوة الذين روي عنهم الحديث
*আল মাসাহিব (المصاحف )
*আল আদাদ ( العدد )
*ইবতেদাউল ওহী(ابتدأ الوحي )
ইমাম আবু দাউদ রাহমাতুললাহ আলাইহি এর মৃত্যু
ইমাম আবু দাউদ রাহমাতুললাহ আলাইহি ৭৩ বছর বয়সে ১৫ শাওয়াল মতান্তরে
১৬ শাওয়াল ২৭৫ হিজরি সনে বসরা নগরীতে মৃত্যুবরণ করেন।
সেখানেই তাঁকে ইমাম সুফিয়ান সাওরী রাহমাতুললাহ আলাইহি এর কবরের পাশে সমাহিত করা হয়।
সুনান আবু দাউদৈ হাদীসের সংখ্যা
*এতে প্রায় ৪,৮০০টি হাদিস সংকলিত হয়েছে।
فقد قال أبو داود في ذلك : ذكرت فيه الصحيح وما يشابهه ويقاربه ، وما
كان فيه وهن شديد بينته ، وما لم أذكر فيه شيئـًا فهو صالح
*মুহাম্মাদ মুহিউদ্দিন আবদুল হামিদের বলেন, এই সংখ্যা নির্ধারণ
করা হয়। তিনি বলেছেন যে, তিনি যেগুলোকে জয়িফ (দুর্বল) বলে উল্লেখ করেননি সেগুলো ছাড়া
বাকি হাদিসগুলো সহিহ।
* ইবনে হাজার আসকালানী রাহমাতুললাহ আলাইহি এর মতানুযায়ী জয়িফ
উল্লেখ করা হয়নি এমন হাদিসের মধ্যেও কিছু জয়িফ হাদিস রয়েছে। তিনি বলেন,
والكتاب فيه الأحاديث المرفوعة
إلى الرسول صلى الله عليه وسلم والأحاديث الموقوفة على الصحابة ، والآثار المنسوبة
إلى علماء التابعين
কিতাব আল-মারাসিল, এই গ্রন্থে ৬০০ মুরসাল হাদীস লিপিবদ্ধ করেছেন। যাচাই বাছাইয়ের পর তিনি এগুলোকে
সহিহ বলেছেন।
ইসলামের পবিত্রতম ছয়টি হাদিস গ্রন্থের মধ্যে একটি, যা কুতুব আল-সিত্তাহ
নামেও পরিচিত। এটি মূলত হাদিসের সংকলনমূলক গ্রন্থ যা আবু দাউদ সংকলন করেন।
] তার সম্পুর্ন নাম আবু দাউদ সুলায়মান ইবনুল আশ'আস আস-সিজিস্তানী।
সুনানে আবু দাউদ গ্রন্থে প্রায় ৪৮০০টি হাদিস আছে।
সুনানে আবু দাউদ গ্রন্থের রচনাকাল সঠিক ভাবে নির্ণয় করা যায়
না।
* তবে বিশেষজ্ঞগণ বিভিন্ন ভাবে এর রচনাকাল নির্ধারণ করার প্রয়াস
করেছেন।
আবু দাউদ রাহমাতুললাহ 6উক্ত কিতাব সংকলন করে তিনি তার শিক্ষক
আহমেদ ইবনে হাম্বলক রাহমাতুললাহ আলাইহি এর নিকট উপস্থাপন করেন। এবং তিনি কিতাবটি দেখে
ভূয়সী প্রশংসা করেন । আহমেদ ইবনে হাম্বল রাহমাতুললাহ
আলাইহি ২৪৩ হিজরীতে মারা যান। এ থেকে অনুমান করা হয় যে উক্ত গ্রন্থ হিজরী দ্বিতীয়
শতকের তৃতীয় দশকে লেখা হয়েছে। বর্তমান সারা পৃথিবীতে বিশেষ সম্মানের সাথে মুসলিমরা
উক্ত কিতাব অধ্যয়ন করেন।
রচনাকর্ম
তিনি সর্বমোট ২১টি বই লিখেছেন। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
হল:
সুনানে আবু দাউদ, এতে প্রায় ৪,৮০০ হাদিস সংকলিত
হয়েছে। এটি তার প্রধান কর্ম। মুহাম্মদ মুহিউদ্দিন আবদুল হামিদের সম্পাদনার পর এই সংখ্যা
নির্ধারণ করা হয়। তিনি বলেছেন যে তিনি যেগুলোকে জয়িফ (দুর্বল) বলে উল্লেখ করেননি
সেগুলো ছাড়া বাকি হাদিসগুলো সহিহ। তবে ইবনে হাজার আসকালানির মতানুযায়ী জয়িফ উল্লেখ
করা হয়নি এমন হাদিসের মধ্যেও কিছু জয়িফ হাদিস রয়েছে।
কিতাব আল-মারাসিল, এই গ্রন্থে ৬০০ মুরসাল হাদিস
লিপিবদ্ধ করেছেন। যাচাই বাছাইয়ের পর তিনি এগুলোকে সহিহ বলেছেন।
রিসালাত আবি দাউদ ইলা আহলি মাক্কাহ; তার সংকলিত
সুনান আবু দাউদের বর্ণনা দিয়ে মক্কার বাসিন্দাদের প্রতি চিঠি।
*১) আবু সুলেমান আল খাত্তাবী, (معالم السُّنن)
২)জাকী আল দীন আবু মুহাম্মদ আব্দুল আজিম বিন আবদুল কওই বিন আবদুল্লাহ
বিন সালামা বিন সাদ আল মান্ধারী - (مختصر سنن أبي داود)
*৩)হাফিয ইবনুল কাইয্যুম আবু আবদুল্লাহ শামস আল-দীন মুহাম্মদ
ইবনে আবি বকর ইবন আইয়ুব ইবনে সাদ ইবনে হারিজ আল জারাআই
تهذيب السنن)
*৪)খলিল আহমেদ আল-সাহারনাপুরী রাহমাতুললাহ আলাইহি, بذل المجهود في حل سنن أبي داود
*৫)মাহমুদ খিতাব আল সুবকি,
*(المنهل العذب المورود)
*৬)শিহাব আল-দীন আবু আল-আব্বাস আহমেদ বিন হুসেন বিন আলী বিন রসান
আল-মাকাদিসি আল-রামলি আল-শাফি( شرح
ابي داود )
৭)শেখ মুহাম্মদ শামসুল হক হক-আজিম আবাদী (১২৩৩ হিজরী) রচিত সুনানে, *(عون المعبود شرح سنن أبي داود)
*৯) দর উদ্দিন আল আইনী(, شرح سنن أبي داود)
*১০)ইবন যানযুর,( فضل المعبود شرح سنن أبي داود)
১১) বদর আল-দীন মাহমুদ বিন আহমেদ, মাহমুদ বিন
আহমেদ আল-আইন,
(شرح سن ابي داود)
১২) মুহাম্মদ শামস আল-হক আল-আজিমআবাদী
"(غاية المقصود في حل سنن أبي داود -)
১৩)আবু জারা, ওয়াল আল-দীন ইবনে আল-ইরাকি,(التوسط المحمود في شَرْحِ سُنَن أبي داود)
*১৪) আবু যাকারিয়া ইয়াহইয়া বিন শরাফ আল-হাজামি আল নওয়াভি
আল-শাফিয়াই i
(الايجاز شرح سنن ابي داود)
*১৫)আবূ আব্দুর রহমান জালালুদ্দীন আস সুয়ূতী, مرقاة)) (الصعود إلى سنن أبي داود))
*১৬) শেখ আবদুল করিম আল খুদাইর,
(شرح سنن أبي داود)
১৭)সাবের সিরাজ,
( سنن أبي داود ، الترمذي ، النسائي و ابن ماجة)
*১৮)জাকী আল দীন আবু মুহাম্মদ আব্দুল আজিম বিন আবদুল কওই বিন
আবদুল্লাহ বিন সালামা বিন সাদ আল মান্ধারী
(العدد المودود في حواشي سنن أبي داود)
*১৯) কুতুব আল-দীন আবী
বকর বিন আহমেদ বিন দা'ইন ইয়ামানী আল-শাফিয়ী রাহমাতুললাহ আলাইহি,
( شرح سنن أبي داود)
২০) আবু আবদুল্লাহ আলাদীন মুঘলতা বিন কলিজ বিন আবদুল্লাহ আল
বাক্জরী আল-হাকরী আল-হানাফি
(شرح سنن أبي داود)
২১) ইবন কাইয্যূম আল জাওযী
আবু আবদুল্লাহ শামস আল-দীন মুহাম্মদ ইবনে আবি বকর ইবনে আইয়ুব ইবনে সাদ ইবনে
হারিজ আল জারাআই (
(حاشية سنن أبي داود )
২২) মুহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ পাঞ্জাবী আল হাজরাবি,
(حاشية عون الودود)
২৩) ফখর আল-হুসাইন কানজূহি,
( تعليقات المحمود:)
সুনান গ্রন্থ সংকলনে ইমাম আবু দাউদ রাহমাতুললাহ
আলাইহি মাহহাজ
সিহাহ সিত্তাহ সংকলকদের প্রত্যেকের আলাদা মানহাজের ভিত্তিতে
তাদের কিতাব রচনা করা হয়েছে। অনুরূপ ইমাম আবু দাউদ রাহমাতুললাহ আলাইহি তার নিজস্ব
মানহাজ সুনান রচনা করেন। যেমন -
*হাদীস সম্পর্কে মন্তব্য ও হুকুম প্রদান করার পদ্ধতি
*তারাজিম আল বাব এবং এর সঠিক পথ
১)*সনদের বিবেচনা করে সুনান আবু দাউদ এর মানহাজ
ক) সংক্ষিপ্ত করার স্বার্থে শুধুমাত্র আহকামের সহীহ হাদীস উপস্থাপন
করেছেন।
أصح ما عَرَفَ من أحاديث الأحكام غالبا: اقتصر على ذكر أصح ما عَرَفَ من أحاديث
الأحكام،
খ) যে সকল রাবীদের পরিত্যাগ করতে ঐক্য মত হয়নি তিনি সেইসকল রাবীদের
আলোচনা করেছেন। কিছু দূর্বল রাবীদের মূতাবিআত এবং শাহেদ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।
الرجال (الرواة): أن يُخرج عمن لم يُجمع النقاد على تركه، وقد يُخرج
لبعض الضعفاء والمجهولين في المتابعات والشواهد.
গ)প্রসিদ্ধ হাদীসের তাখরীজ করা। ইইমাম আবু দাউদ রাহমাতুললাহ
আলাইহি ফকীহগনযে হাদীসের উপর আমল করেছেন অথবা আযিম্মাতুল মুজতাহিদগন যে বিষয় হূজ্জত
পেশ করেছেন সে বিষয়ে তাখরীজ করেছেন।
تخريج الأحاديث المشتهرة: كان يقصد استيعاب الأحاديث التي عمل بها
الفقهاء واشتهرت بينهم - أي بين الأئمة الفقهاء وأصحاب الفُتيا -
*২) তালীকুল হাদীসের হুকুমের প্রদান করার ক্ষেত্রে পদ্ধতি
ক) ইমাম আবু দাউদ রাহমাতুললাহ আলাইহি হাদীসের উপর হুকুম দিয়েছেন।
তিনি শুধু মাত্র সহীহ হাদীস আবশ্যক করেননি।
الحكم على الأحاديث: لم يلتزم الإمام أبو داود بإخراج الصحيح من الحديث
খ) অনেক হাদীস হুকুম প্রদান করা থেকে বিরত ছিলেন। তিনি الحديث الضعيف رالواهي বর্ননা করেছেন।
المسكوت عنه: اشترط الإمام أبو داود على نفسه أن يبيِّن الضعيف والواهن من الحديث
গ) তিনি সুনান গ্রন্থে
হাদীসের সুক্ষু দোষ আলোচনা করছেন। অন্যদিকে তিনি একটি হাদীসের উপর তারজীহ বা প্রাধান্য
দিয়েছেন।
توضيح العلل وذكرها: كان الإمام أبو داود يتعرض أحيانا لذكر العلل
التي تقدح في صحة الحديث، ويذكر ترجيح ما فيه خلاف بين الرفع والوقف أو
الإرسال والوصل.
৩) হাদীসের তারতিব বর্ননায
সুনানের পদ্ধতি
ক) ইমাম আবু দাউদ রাহমাতুললাহ আলাইহি ফিক্হ এর বাবের মত তারতিব
দিয়েছেন। অর্থাৎ তিনি তরজুমাতুল আবওয়াব অনুযায়ী
হাদিসের ধারাবাহিকতা রক্ষা করছেন। তিনি মতনের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্ব দিয়েছেন।
الترتيب على أبواب الفقه: رتّب الإمام أبو داود كتابه على أبواب
الفقه، وكانت عنايته بالمتون أكثر، ولهذا يذكر الطرق واختلاف ألفاظها
খ)হাদীসসমূহ আলোচনা করতে সনদের উপরের গুরুত্ব দিয়েছেন যদিও
সেটা দুর্বল হয়। তিনি তার সুনাম গ্রন্থেالالسناد الأعلى ا কে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন যদিও তার সনদ অন্যর থেকে দুর্বল। দুটি
বিশুদ্ধ বর্ননা করা ক্ষেত্রে উপরের ইসনাদ বেশি নিকটবর্তী।
ترتيب الأحاديث في الباب: كان يتوخّى تقديم الإسناد الأعلى، حتى ولو
كان أضعف، وقد يترك الأقوى لكونه نازلاً، وأما إذا رُوي من وجهين صحيحين
*৪)মাওকুফ আসার বর্ননা করা ক্ষেত্রে সুনানের মানহাজ
ক)
أخلى الإمام أبو داود كتابه من الآثار الموقوفة، إلا فيما ندر
খ) ، ولم يتعرّض لذكر كلام الأئمة الفقهاء من
الصحابة والتابعين فمن بعدهم، الذي استنبطوه من السنن بوجه من وجوه الاستنباط
গ) ، ولم يكن تركه لذلك عن كراهة أو إنكار، وإنما
هو منهجٌ التزمه وسار
৫)হাদীসের পুনরায় উল্লেখ করা ক্ষেত্রে পদ্ধতি
ক) كان
الإمام أبو داود يُعيد الحديث إذا اشتملت الروايات
الأخرى على معانٍ زائدة،
ইমাম আবু দাউদ হাদীসটি বর্ণিত থাকলে তা পুনরায় উল্লেখ করেছেন
যদি এর অতিরিক্ত অর্থ থাকে।
খ) وربما
ساق الرواية الثانية بتمامها إذا اشتملت على حكم مختلف عن حكم الرواية الأولى،
وأما إذا كان الاختلاف في لفظة، فإنه يذكر تلك اللفظة فقط من الرواية الثانية بعد
ذكر
إسنادها
তিনি দ্বিতীয়বার রেওয়াত
করেছেন। ,যদি এর মধ্যে এমন কোনও রায় অন্তর্ভুক্ত থাকে যেটি প্রথম রিওয়াত থেকে পৃথক, হয়। যদি পার্থক্য কোনও শব্দের। روايةমধ্যে থাকেঅথবা এটি কেবল দ্বিতীয় বার উল্লেখ করার পরে সেই শব্দটির
উল্লেখ করেছেন।
وقد لخَّص ذلك بقوله: "وإذا أَعدتُ الحديث في الباب من وجهين أو
ثلاثة، فإنما هو من زيادة كلامٍ فيه، وربما فيه كلمةٌ زائدةٌ على الأحاديث".
৬) হাদীসের ব্যাখ্যা ও সংক্ষিপ্ত করার পদ্ধতি
ক) তিনি সকল শিক্ষকের মাঝে সেতু বন্ধন তৈরি করতেالواو অক্ষর দ্বারা
উপস্থাপন করছেন। তিনি এটা সংক্ষিপ্ত করার জন্য করেছেন। যেন এর দ্বারা সকলের ইসনাদ নিশ্চিত
করেছেন।
جمع الشيوخ بالعطف: جمع بين شيوخه بالعطف بحرف الواو، طلبا للاختصار،
وعدم تكرار الجزء المشترك من الإسناد بأكمله
খ) তিনি এক সনদ থেকে পরিবর্তন করে অন্য সনদ বর্ননা করার জন্য(ح) শব্দ ব্যবহার করেছেন।
جمع الأسانيد بالتحويل: جمع بين الأسانيد باستخدام حرف يدل على
التحويل -أي الانتقال من سند إلى آخر- وهو حرف "ح"، والهدف من التحويل
اختصار الأسانيد التي تلتقي عند راو معين
গ) তিনি হাদীসের বিভিন্ন পদ্ধতি আলোচনা করেছেন। কখনো কখনো হাদিসের
একটি অংশে উল্লেখ করে বাকী অংশের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। যদি কোন হাদীসের একাধিক সনদ
ও মতন পাওয়া যায় সেই ক্ষেত্রে কিছু উল্লেখ করে অবশিষ্ট বিষয়ে ইংগিত করেছেন।
ذكر بعض الطرق أو جزء من حديث والإشارة إلى الباقي للاختصار: إذا كان
للحديث أكثر من إسناد أو متن، فإنه قد يذكر بعضها ويشير إلى باقيها
*৭) ইলমুল জারহ ও তা'দীল এবং আসমাউর রেজাল (রাবীদের) পরিচিত বর্ননা পদ্ধতি
ক)ইইমাম আবু দাউদ রাহমাতুললাহ আলাইহি তার সুনাম গ্রন্থে অনেক
রাবীর আদালত ও হিফজ শক্তি উপস্থাপন করেছেন। আবার প্রয়োজন মতো রাবীর দোষ ও বর্ননা করেছেন।
كان من عادة أبي داود ذكر شيء من تعديل بعض الرواة أو تجريحهم كلما
دعت حاجةٌ إلى ذلك
খ) কোন কোন বর্ননা রাবীদের
পরিচিতি তুলে ধরে বলেন, বর্ননাকারী সাহাবী, তাবেযী, বসরা অথবা কূফী
ইত্যাদি। এ ছাড়া কারোর ক্ষেত্রে জন্ম ও মৃত্যু অথবা বিশেষ বৈশিষ্ট্য যার মাধ্যমে তাকে
সহজে চেনা যায়। যেমন - সনদ মুত্তাসিল অথবা মুনকাতে সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
وقد يذكر شيئاً من التعريف ببعض الرواة كبيان أن فلانا من الصحابة أو
التابعين، أو أنه كوفيٌّ أو بصريٌّ، أو بيان تاريخ مولد أو وفاة أو اختلاط راوٍ
معيّن ، وغير ذلك مما ينفع في توضيح اتصال أو انقطاع بين راويين، أو تمييز راو من
غيره، ولكنه لم يُكثر من ذلك.
গ) তিনি উদাহরণ হিসেবে
উপস্থাপন করে বলেন, আমর ইবন সাবেত রাফেযী, রাজুল সুইযিন কিন্ত হাদীস বর্ননা
করার ক্ষেত্রে সাদুক। সাবেত ইবন মিকদাদ রাজুল সিকাহ।তিনি বলেন,
("مات إبراهيم التيمي ولم يبلغ أربعين سنة) ومن أمثلة ما أورده في الجرح
والتعديل بعد إيراده للحديث قوله: "عمرو بن ثابت رافضي، رجل سوء، ولكنه كان
صدوقا في الحديث، وثابت بن المقدام رجل ثقة"، ومثال ما أورده في تعريف الرواة
قوله: "مات إبراهيم التيمي ولم يبلغ أربعين سنة ، وكان يكنى أبا أسماء".
ক) প্রত্যেক তারাজিম আল আবওয়াব শিরোনাম দিয়ে শুরু করেছেন যার
মাধ্যমে পাঠক সহজে বুঝতে পারে। একে তারাজিম ইসতেফহাম বলে। যেমন –
"(بابٌ أيردّ السلام وهو يبول؟".)
التراجم الظاهرة: هي التي يدل عنوان الباب فيها على مضمونه من
الأحاديث دلالة واضحة، لا يحتاج القارئ فيها إلى إعمال فكره لمعرفة وجه الاستدلال،
ومن المسالك التي استخدمها في هذا النوع من التراجم:
- الاستفهام، مثل:
- الصيغة الخبرية العامة، مثل: "باب السواك".
- الصيغة الخبرية الخاصة، مثل: "باب في الاستنجاء بالماء".
- الاقتباس من لفظ الحديث، مثل: "بابٌ الماء لا يُجنب".
খ) শিরোনামে বুঝা যায় না বরং তার মধ্যে এমন একটা শব্দ আছে যার
দ্বারা প্রভাবিত হবে।
التراجم الخفية (الاستنباطية): هي أن يأتي في لفظ الترجمة احتمالٌ
لأكثر من معنى، فيعيّن أحد الاحتمالين بما يذكر تحتها من الحديث، أو أن يكون
الاحتمال في الحديث والتعيين في الترجمة، ومن المسالك التي استخدمها في هذا النوع
من التراجم:
*৯)হাদীসের উপকারিতা এবং সুক্ষতা আলোকপাত করার পদ্ধতি
ক)তিনি হাদীসের দুর্বোধ্য শব্দ ব্যাখ্যা করেছেন।অনেক জায়গায়
পরিস্কার করে বলেন,
("سمعتت أحمد بن حنبل يقول: الفَرَق ستة عشر رِطلاً) غريب الحديث: شرح الإمام أبو
داود كثيرا من الألفاظ الغريبة واعتنى بإيضاحها، ومن ذلك ".
খ) তিনি নাসিখ ও মানসুখ হাদীস আলোচনা করেছেন। কোন কোন ক্ষেত্রে
বলেছেন, এটাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শেষ দিকের আমল।
- ذكر الناسخ والمنسوخ: كان الإمام أبو داود يصرِّح أحيانا بأن الحديث
منسوخ، أو بأنه الآخر من فعل النبي صلى الله عليه وسلم، وكان يكتفي أحيانا أخرى
بتأخير الناسخ
*১০)ফিকহী মাসআলা প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে তার পদ্ধতি
ক)ইমাম আবু দাউদ রাহমাতুললাহ আলাইহি তিনি তার সুনান গ্রন্থের
মধ্যে অনেক দলীল পেশ করেছেন। ঐ সকল দলীল থেকে ফিকহী মাসআলা প্রমাণ করেছেন। কারণ ফকীহ
গন ঐ সকল দলীল দ্বারা হুজ্জত পেশ করেছেন।
كان الإمام أبو داود يتعرض لبعض ما يمكن الاستدلال به، ويذكر الاستنباط
الفقهي منه، لكونه اشترط على نفسه تخريج أحاديث الأحكام التي يستدل بها الفقهاء
وأرباب الفتيا،
খ) ইমাম আবু দাউদ রাহমাতুললাহ আলাইহি উকবাহ বিন আমরের হাদীস
পেশ করে বলেন
قال أبو داود: وهذه حجةٌ للرجل يأخذ الشيء إذا كان له حقًّا" ،
وغير ذلك كثير
ومن أمثلة ذلك ما أورده بعد أن أخرج حديث عقبة بن عامر رضي الله عنه
أنه قال: قلنا يا رسول الله، إنك تبعثنا فننزل بقوم فما يَقروننا، فما ترى؟ فقال
لنا رسول الله صلى الله عليه وسلم: (إن نزلتم بقومٍ فأمروا لكم بما ينبغي للضيف
فاقبلوا، فإن لم يفعلوا فخذوا منهم حق الضيف الذي ينبغي لهم)، ثم قال: "قال
أبو داود: وهذه
উপরের আলোচনা থেকে আমরা বলতে পারি যে, ইমাম আবু দাউদ
রাহমাতুললাহ আলাইহি একজন মুহাদ্দিস ও ফকীহ ছিলেন। তার হাদিসের বড় অবদান হলো সুনান
আবু দাউদ।
হাদীসের কিতাব সিহাহ সিত্তার অন্যতম গ্রন্থ। 'সুনানে আবি
দাউদ প্রণেতা বিশ্ববরেণ্য ইমাম ও ক্ষণজন্মা পুরুষ আবু দাউদ রাহমাতুললাহ আলাইহি এসংকলন করেছেন। তিনি ৭৩ বছর
বয়সে ২৭৫ হিজরি সনের ১৬ শাওয়াল বসরা নগরীতে মৃত্যুবরণ করেন। তার এ সুনান গ্রন্থের বড়
বৈশিষ্ট্য হল তিনি আহকামুল হাদীস এবং রাবীদের জারহ ও তাদীল করেছেন। আল্লাহ তা’আলা আমাদের
সবাইকে সহীহ হাদীসের উপর আমল করার তাওফীক দান করুন, আমীন ।
লেখক: বহুগ্রন্থ প্রণেতা
ইমাম মাওলানা এম. নুরুর রহমান
সেক্রেটারি:
শারীয়া কাউন্সিল ব্যাডফোরড ও মিডল্যনড ইউ কে-
ইমাম ও খাতিব:
মাসজিদুল উম্মাহ লুটন ইউ কে
সত্যয়ান কারী চেয়ারম্যন:
নিকাহ নামা সার্টিফিকেট ইউ কে
প্রিন্সিপাল:
আর রাহমান একাডেমি ইউ কে
পরিচালক:
আর-রাহমান এডুকেশন ট্রাস্ট ইউ কে
📞07476136772 📞 07476 961067
nrahmansky@googlemail.com
Arrahmaneducationtust@gmail.com
https://www.facebook.com/Imam.Nurur
https://www.facebook.com/ARET.OR.UK/
https://www.youtube.com/user/nurur9
0 coment rios:
You can comment here