।। প্রফেসর ড. সৈয়দ মাকসুদুর রহমান।।
চেয়ারম্যান,
আল হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ,
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
বাংলাদেশ
সারাংশ (Abstract)
প্রফেসর ড. সৈয়দ আলী আশরাফ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি
ইংরেজি সাহিত্যের খ্যাতিমান শিক্ষক, কবি, সমালোচক, সুফি, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিক্ষাবিদ।তিনি ১৯২৪ সালের ৩০ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ এবং ১৯৯৮ সালের ৭ আগস্ট ইন্তেকাল করেন।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ইসলামিক একাডেমির পক্ষ থেকে ধানমন্ডির সৈয়দ আলী আশরাফ মিলনায়তনে
(বাড়ি নং ২১, রোড নং ৯/এ) বিশেষ দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা
হয়ে থাকে। তাঁর জন্য দূআ করা হয় সারা পৃথিবী থেকে।
জন্ম ও বংশ পরিচিতি
সৈয়দ আলী আশরাফ বাংলাদেশের ঢাকা জেলার নবাবগন্জ
থানার আলগা গ্রামে মামার বাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯২৪সালের ৩০ জানুয়ারি - ৭ আগস্ট ১৯৯৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৬ মাঘ ১৩৩০
বঙ্গাব্দ, ২২ জমাদিউস সানি, বুধবার রাত ১০টায় আগলায় জন্ম হয়। জন্মের পর নাম
রাখা হয় আবু নসর আলী আশরাফ। পরবর্তীতে তিনি সৈয়দ আলী আশরাফ নামে পরিচিতি লাভ করেন।
তার বংশের ধারাবাহিক সুত্র শাহ আলী বাগদাদ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি পর্যন্ত পাওয়া গেছে।
তিনি খুলনা বিভাগের মাগুরা জেলার বগরা উইউনিয়নের আলোকদিয়া গ্রামে সৈয়দ পরিবারের একজন
বিখ্যাত মনীষী হিসেবে প্রসিদ্ধ। বগিয়া ইউনিয়ন খুলনা বিভাগের মাগুরা জেলার সদর উপজেলার
অন্তর্গত। মাগুরা সদর উপজেলার মাগুরা- মুহাম্মদপুর আঞ্চলিক সড়কের ৯ কিলোমিটার পশ্চিম
দিকে আলোকদিয়া বাজার নামক স্থানে ৪নং বগিয়া ইউনিয়ন পরিষদটি অবস্থিত। এই ইউনিয়নের
আয়তন ২০ বর্গ কিলোমিটার।
প্রফেসর ড. সৈয়দ আলী আশরাফ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি
এর নাম আবূ নছর আলী আশরাফ। পিতার নাম সৈযদ আলী হামেদ এবং মাতার নাম সৈয়দা কামরূন্নাহার।
দাদার নাম সৈয়দ কাসেম আলী ও নানার নাম সৈয়দ মুকাররাম আলী। তারা পাঁচ ভাই ও পাঁচ বোন । যথা –
সৈয়দ আলী আহসান,
সৈয়দ আলী আশরাফ,
সৈয়দ আলী রেজা,
সৈয়দ আলী নকী ও
সৈয়দ আলী তকী।
বংশধারা (সৈয়দ আলী আশরাফ ইবনু সৈয়দ আবু হামেদ ইবনু সৈয়দ আবুল কাসেম ইবনু সৈয়দ
শাহ সাযেফ আলী ইবনু সৈয়দ শাহ হাফিয আলী ইবনু সৈয়দ শাহ আব্দুর রশিদ ইবনু সৈয়দ শাহ ওসমান
ইবনু সৈয়দ শাহ আলী বাগদাদী)
![]() |
আল হাদীস বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ মাকসুদুর রহমান সৈয়দ আলী আশরাফ রহ. এর বংশধর |
শিক্ষা জীবন
তিনি ১৯৪০সালে ঢাকা আরমানীটোলা সরকারী ইংরেজি হাই
স্কুল থেকে মেট্রিক পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ৫ম স্থান অধিকার করেন। ১৯৪২ সালে ঢাকা
ইন্টারমিডিয়েট (বর্তমান ঢাকা কলেজ ) থেকে মেধা তালিকায় ৬ষ্ঠ স্থান অধিকার করেন। তারপর
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন
করেন এবং কেমব্রিজের ফিটজউইলিয়াম কলেজ থেকে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স এবং পিএইচডি অর্জন
করেন। মুলত পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর (Masters)
শেষ করে উচ্চতর শিক্ষার জন্য কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে
যান। তিনি ফিট্জউইলিয়াম কলেজ (Fitzwilliam College, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান) থেকে
অনার্স (Honours) এবং PhD (Doctor of Philosophy) ডিগ্রী অর্জন
করেন।
কর্মজীবন :
তিনি পূর্ব পাকিস্তানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা
শুরু করেছিলেন। তিনি নিম্নলিখিত পদগুলিতে অধিষ্ঠিত ছিলেন:
*ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির প্রভাষক (১৯৪৯)
*রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রধান
(১৯৫৪-৫৬)
*পাকিস্তানের করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের
প্রধান ও অধ্যাপক (১৯৫৬-৭৩)
*বাদশাহ আবদুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়, মক্কার ইংরেজি বিভাগের প্রধান ও অধ্যাপক (১৯৭৪-৭৭)
*জেদ্দায় বাদশাহ আবদুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
(১৯৭৭-৮৪)
*হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক (১৯৭১)
*নিউ ব্রান্সউইক বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৭৪) এর পরিদর্শন
অধ্যাপক
সৈয়দ আলী আশরাফ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি ছিলেন ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক। সৌদি আরব, মধ্যপ্রাচ্য, ক্যামব্রিজ, হার্ভার্ড প্রভৃতি এলাকায়/বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচিত ও বিখ্যাত হন।
বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তিনি অন্যতম প্রবক্তা এবং দারুল ইহসান
বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর দ্বারা প্রতিষ্ঠিত।
আলোকদিয়া গ্রামের কৃতিবিদ্যা ব্যক্তিত্ব
*কবি সৈয়দ আলী আহসান
*অধ্যাপক ডঃ সৈয়দ আলী আশরাফ
*কবি গোলাম হোসেন
*পীর সৈয়দ জাফর ছাদেক
*বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মীর তৈয়ব হোসেন
*বিশিষ্ট শিক্ষক ও শিক্ষানূরাগী মরহুম এম এ গফুর
*বিশিষ্ট শিল্পপতি মীর আকতার হোসেন
*বিশিষ্ট শিল্পপতি মীর নাসির হোসেন
*বিশিষ্ট রাজনীতিবীদ সৈয়দ শরিফুল ইসলাম
অবদান
প্রফেসর ড. সৈয়দ আলী আশরাফ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি
মনে করতেন যে, , ইসলামের বিশ্ব দৃষ্টি ও এর শিক্ষা দর্শনের ভিত্তিতে
একটি নুতন পৃথিবী নির্মাণ যার সারমর্ম হবে বস্তুগত অগ্রগতি, নতুন ধরনের বৈজ্ঞানিক জ্ঞান আহরণ ও যুক্তিবাদী ব্যবস্থার
পাশাপাশি আল্লাহর দেয়া জীবন বিধানের প্রতি বাধ্যবাধকতাও থাকবে। এক্ষেত্রে তিনি ইমাম
গাজ্জালী ও আধুনিক ইসলামিক দার্শনিক পথ অনুসরণ
করেন।
মানুষের কল্যাণের জন্য জ্ঞানের উৎস বিশ্বাসের পুন:প্রতিষ্ঠা
জরুরী বলে মনে করেছেন। জ্ঞানের ইসলামীকরণ করতে তিনি তৎপর ছিলেন। এক কথায় islamization
of knowledge থিওরী প্রচার প্রসারের জন্য কাজ করেছেন। তিনি নিজেকে একজন বিশ্ব নাগরিকতাবাদী মনে করতেন।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
یٰۤاَیُّہَا النَّاسُ اِنَّا
خَلَقۡنٰکُمۡ مِّنۡ ذَکَرٍ وَّ اُنۡثٰی وَ جَعَلۡنٰکُمۡ شُعُوۡبًا وَّ قَبَآئِلَ
لِتَعَارَفُوۡا ؕ اِنَّ اَکۡرَمَکُمۡ عِنۡدَ اللّٰہِ اَتۡقٰکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ
عَلِیۡمٌ خَبِیۡرٌ ﴿الحجرات _۱۳﴾
হে মানুষ, আমি তোমাদেরকে এক নারী ও এক পুরুষ থেকে সৃষ্টি করেছি আর তোমাদেরকে
বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি। যাতে তোমরা পরস্পর পরিচিত হতে পার। তোমাদের মধ্যে
আল্লাহর কাছে সেই অধিক মর্যাদাসম্পন্ন যে তোমাদের মধ্যে অধিক তাকওয়া সম্পন্ন। নিশ্চয়
আল্লাহ তো সর্বজ্ঞ, সম্যক অবহিত।
ইসলামের বিশ্বদৃষ্টি তাকে হাত ধরে নিয়ে গেছে ক্ষুদ্রতর
গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিকতার বৃত্তে। এইভাবেই তিনি বিশ্বের সঙ্গে মৈত্রী গড়ে তুলবার
চেষ্টা করেছেন এবং সেই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়তে চেয়েছেন যা মানুষের স্বাধীনতা কেড়ে
নেয়, আর এক গোলামীর শিকলে বেঁধে ফেলে। সৈয়দ আলী আশরাফ
এখানেই একটি পথের নির্দেশ রেখে গেছেন একালের মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের
তিনি একজন বিশিষ্ট লেখক এবং সম্পাদক ছিলেন এবং বিভিন্ন
বই এবং অনেক নিবন্ধ সম্পাদনার পাশাপাশি লিখালিখি করেছেন।
It
is impossible to compromise between Islam and Secularism. Where Secularization
means a modern scientific approach to knowledge and way of life no adjustment
is acceptable. What the Qur'an says in a similar context is true. Muslims can
not be modern in the above sense. They can not be a compromise between kufr and
iman, faithlessness and faith, secularism and Islam." [New Horizons in
Muslim Education]
তাঁর মৃত্যুর পর মূল্যায়ন করতে গিয়ে প্রফেসর ড.
আব্দুল মাবুদ বলেন,
অধ্যাপক আশরাফ ছিলেন বুদ্ধি বৃত্তিক চিন্তাশীল এবং
আধ্যাত্মিক দূরদৃষ্টি সম্পন্ন আক্লান্ত পরিশ্রমী একজন মানুষ। এরপরও সাদামাটা জীবনই
ছিল তাঁর পছন্দ। তিনি ছিলেন প্রকৃত বিশ্বাসের মূর্ত প্রতীক; যে বিশ্বাস জ্ঞান ও ভালোবাসায় লালিত। তিনি ছিলেন
অত্যন্ত সুহৃদয়বান ও স্নেহময়। তিনি দয়া ও সহমর্মিতায় ছিলেন সিক্ত; সবসময়ে সাধ্যমত অন্যকে সহযোগিতা করতেন। তিনি পৃথিবীর
বিভিন্ন প্রান্তের যাদের সাথেই মিশেছেন সবাইকে ভালবেসেছেন, তাঁকেও সবাই ভালবেসেছেন। তিনি ছিলেন জ্ঞান ও প্রজ্ঞায়
পরিপূর্ণ এক ভাণ্ডার; তাঁর কাছ থেকে আমরা সবাই উপকৃত হয়েছি। আমরা তাঁকে
স্মরণ করব শুধুমাত্র একজন মহান শিক্ষক, একজন ভাল বন্ধু বা একজন বিচক্ষণ পরামর্শ দাতা হিসেবেই নয়, একজন প্রখ্যাত ইসলামি গবেষক হিসেবেও যিনি তাঁর পুরোটা
জীবন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ইসলামের বাণী প্রচারে নিবেদিত করেছিলেন। তাঁর মৃত্যু
অপূরণীয় এক বৈশ্বিক ক্ষতি; পৃথিবী এক মহান ইসলামি চিন্তাবিদ, শিক্ষাবিদ এবং আধ্যাত্মিক গুরু হারাল। উপরন্তু, তাঁর মৃত্যু তাঁর বন্ধু-বান্ধব ও সহকর্মীদের জন্য
নিদারুন এক বেদনাদায়ক ঘটনা।
তাঁর মরদেহ ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং দারুল ইহসান
বিশ্ববিদ্যালয় কাম্পাসে ১০ ই অগাস্ট, ১৯৯৮ সালে দাফন করা হয়। মহান আল্লাহ তাঁর সহায় হোক।
আন্তর্জাতিক সভায় অংশ গ্রহণ
*অধ্যাপক ড. সৈয়দ আলী আশরাফ ১৯৭৭ সালে মক্কায় অনুষ্ঠিত
ইসলামিক শিক্ষা ব্যবস্থার উপর সর্ব প্রথম বিশ্ব সম্মেলনের সংগঠন সচিব (Organizing
Secretary )ছিলেন।
*ইসলামিক শিক্ষা ব্যাবস্থার উপর আরও পাঁচটি বিশ্ব
সম্মেলনের ব্যবস্থাপনার দায়িত্তে ছিলেন তিনি ।
*বিশ্ব সম্মেলনের দ্বিতীয়টি অনুষ্ঠিত হয় ইসলামাবাদে (১৯৮০),
তৃতীয়টি
অনুষ্ঠিত হয় ঢাকায় (১৯৮১) ,
*চতুর্থটি
অনুষ্ঠিত হয় জাকারতায় (১৯৮২)
* পঞ্চমটি অনুষ্ঠিত হয় কায়রোতে (১৯৮৭)
এবং সর্ব শেষটি অনুষ্ঠিত হয় দক্ষিণ আফ্রিকায় (১৯৯৭)।
তিনি World centre for
Islamic Education এর প্রথম মহাপরিচালক ছিলেন; সংস্থাটি গঠিত হয়েছিল মক্কায় আশির দশকের শুরুর দিকে
OIC (Organisation of Islamic Conferences) এর তত্ত্বাবধায়নে।
গ্রন্থ রচনা
প্রফেসর ড সৈয়দ আলী আশরাফ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি
অনেক বিষয়ে গ্রন্থ রচনা করেন । তার প্রসিদ্ধ গ্রন্থ হলো -
১/ ক্রাইসিস ইন মুসলিম এডুকেশন (মুসলিম শিক্ষায় সংকট), ১৯৭৯, লন্ডন: হজদার অ্যান্ড স্টাফটন (সৈয়দ আলী আশরাফ এবং সৈয়দ সাজ্জাদ
হুসেন )
২/ নিউ হরাইজনস ইন মুসলিম এডুকেশন (মুসলিম শিক্ষায় নতুন দিগন্ত), ১৯৮৫, লন্ডন: হডার এবং স্টাফটন ইসলাম – টিচার'স ম্যানুয়াল – দি ওয়েস্টহিল প্রজেক্ট (ইসলাম - শিক্ষকের ম্যানুয়াল - ওয়েস্টহিল প্রকল্প), ১৯৮৯, লেকহ্যাম্পটম: স্ট্যানলি থমাস
৩/ রিলিজিওন এন্ড এডুকেশন: ইসলামিক এন্ড খ্রীষ্টান এপ্রোচেচ (ধর্ম ও শিক্ষা: ইসলামি এবং খ্রিস্টান পদ্ধতি), ১৯৯৪, কেমব্রিজ: ইসলামিক একাডেমী (সৈয়দ আলী আশরাফ এবং পল এইচ. হার্ট এডিএস)
কবিতার বই
*চৈত্র যখন
*বিসংগতি
*প্রেমের কবিতাতে "ইভানকে ক্লেয়ার গল"
*হিজরত ‘রাবাইয়াতে জাহীনি
*সমালোচনামূলক গ্রন্থ
*কাব্য পরিচয়
*নজরুল জীবনে প্রেমের এক অধ্যায়
ইন্তিকাল
৭ই আগস্ট ক্যামব্রীজস্থ নিজ বাড়ীতে রাতে ঘুমন্ত
অবস্থায় ১৯৯ ৮ সালে তিনি ইন্তিকাল করেন। মৃত্যুর সময় তার বযস হয়েছিল ৭ ৪ বছর। মৃত্যুর
পূর্বে তার স্থাবর-অস্থাবর সকল সম্পত্তি আশরাফ চেরিটেবল ট্রাস্ট দান করেন।
উপসংহার
উপরের আলোচনা থেকে এ কথা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে
যে তিনি প্রফেসর ড. সৈয়দ আলী আশরাফ নামে সৌদি আরব, মধ্যপ্রাচ্য, ক্যামব্রিজ, হার্ভার্ড প্রভৃতি এলাকায়/বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচিত ও বিখ্যাত হন।
বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তিনি অন্যতম প্রবক্তা এবং দারুল ইহসান
বিশ্ববিদ্যালয় তার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। সমগ্র বিশ্বে ইসলামি শিক্ষা পদ্ধতির অনন্য বৈশিষ্ট্যগুলো
উপলব্ধি করানোর কাজটি ছিল। আল্লাহ তাআলা তার সকল খেদমত কবুল করে নেন এবং তাকে জান্নাতুল
ফিরদউস দান করুন, আমীন।
।। প্রফেসর ড. সৈয়দ মাকসুদুর রহমান।।
চেয়ারম্যান
আল হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
বাংলাদেশ
0 coment rios:
You can comment here