--প্রফেসর ড. সৈয়দ মাকসুদুর রহমান
চেয়ারম্যান
আল হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের, কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ
।
ভূমিকা (introduction )
সাইয়েদ আলী হাসান আন নদভী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি
বিংশ শতাব্দীর প্রসিদ্ধ ইসলামিক স্কলার এবং চিন্তাবিদ, দেওবন্দ আদর্শের বিখ্যাত আলেম,খ্যাতিমান গবেষক লেখক ছিলেন।
তিনি ১৯১৩ হিজরিতে জন্ম ভারতের রায়বেরলিতে জন্ম
গ্রহণ করেন এবং১৯৯৯সালে ভারতের রায়বেরলিতে ৮৬ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন।
তিনি বিভিন্ন ভাষায় বিশেষ করে ইংরেজি, আরবী ও উর্দু ভাষায় ৫০টিরও বেশি গ্রন্থ রচনা
করেছেন। তিনি "আলী মিয়াঁ" নামেও পরিচিতি লাভ করেন । আলোচ্য প্রবন্ধে তার
জীবনী এবং গ্রন্থ রচনা তার অবদান সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
নাম ও বংশ পরিচিত
(Name and surname known:)
আবূল-হাসান ইবনে আবদুল-হাই ইবনু ফখরূদীন আল-হাসানী রাহমাতুল্লাহ আলাইহিম
তার বংশ শেষ হয় আব্দুল্লাহ আল-আষ্টার বিন মুহাম্মদ, জুন-নফসিজ জাকিয়া,
বিন আবদুল্লাহ আল মাহদ, বিন আল-হাসান আল মুসান্না সাথে আল-হাসান বিন আলী
ইবনে আবি তালিব। তাঁর দাদা আমির কুতুব-দীন
মুহাম্মদ আল-মাদানী
(মৃত্যু:
৬৭৭ হিঃ) সপ্তম শতাব্দীর প্রথম দিকে ভারতে হিজরত করেন।
তাঁর পিতা, আবদুল-হাই-ইবনু
ফখরূদীন আল-হাসানী একজন বিখ্যাত লেখক ছিলেন , "نزهة الخواطر وبهجة المسامع
والنواظر في تراجم علماء الهند
" আট খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে।
الإعلام بمن في تاريخ الهند من
الأعلام" এ গ্রন্থটি রচনা
করার জন্য তাকে ভারতের ইবনু খাল্লিকানে ভূষিত করা হয়। তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম এর প্রশংসা করে কবিতা রচনা করেছেন। তাঁর মা হলেন এক সুরকার, যিনি পবিত্র কুরআনের হাফিজা ছিলেন।
তিনি ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দের ৫ ডিসেম্বর ভারতের রায়বেরেলি
নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম আবদুল হাই এবং মাতার নাম খায়রুন্নেসা।
তাঁর পিতা-মাতা উভয়েই মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নাতি হাসান রাদিয়াল্লাহুর বংশধর ছিলেন। ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র ১০ বছরেরও
কম বয়সে তিনি পিতৃহারা হন। এমতাবস্থায় বড় ভাই মাওলানা আব্দুল আলী আল হাসানী রাহমাতুল্লাহ
আলাইহি এবং মা খাইরুন্নেসা তার শিক্ষার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। শৈশবে মায়ের কাছেই আলী
মিয়াঁ কুরআন, আরবি
ও উর্দূ ভাষার প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। আলী মিয়াঁ ১৯২৪ সালে শায়খ খলীল বিন মুহাম্মদ
আল আনসারীর কাছে আরবি ভাষা শেখা শুরু করেন এবং এই ভাষায় বুৎপত্তি অর্জন করেন। এছাড়া
তিনি তাঁর দুই চাচা শায়খ আযীযুর রহমান রাহমাতুল্লাহ
আলাইহি এবং শায়খ মুহাম্মদ তালহা রাহমাতুল্লাহ আলাইহি কাছেও আরবি ভাষা ও সাহিত্য পড়েন।পরবর্তীতে
১৯৩০ সালে নদওয়াতুল উলামাতে ড: তাকীউদ্দীন হেলালীর কাছে আরবি ভাষা ও সাহিত্যে সর্বোচ্চ
শিক্ষা সমাপন করেন।
* ১৯২৬
সনে তিনি কানপুরের (১২০৭ খ্রিস্টাব্দে কানহপুরিয়া বংশের রাজা কণ দেও কানপুর গ্রাম
প্রতিষ্ঠা করেন, পরে
তা কানপুর নামে পরিচিত হয় ।) নদওয়াতুল উলামাতে ভর্তি হন। এ সময়ে আরবি ভাষায় পারদর্শিতার
কারণে তিনি সবার কাছে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি আরবদেশ থেকে আগত মেহমানদের সাথে দোভাষী
হিসেবে তিনি বিভিন্ন জায়গায় সফর করেন।
*১৯২৭
সালে তিনি লখনৌ(এটি চৌদ্দতম জনবহুল শহর এবং ভারতের দ্বাদশ-জনবহুল শহুরে সমষ্টি। লখনউ
হ'ল বরাবরই একটি বহুসংস্কৃতির
শহর যা উত্তর ভারতীয় সাংস্কৃতিক এবং শৈল্পিক কেন্দ্র হিসাবে গড়ে ওঠে, এবং ১৮ ও ১৯ শতকে নবাবদের ক্ষমতার আসন ছিল। এটি
প্রশাসন, শিক্ষা, বাণিজ্য, মহাকাশ, অর্থ, ফার্মাসিউটিক্যালস, প্রযুক্তি, নকশা, সংস্কৃতি, পর্যটন, সংগীত এবং কবিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসাবে
অবিরত রয়েছে।) বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে উর্দূ ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক
ডিগ্রি অর্জন করেন।
শিক্ষকবৃন্দের
পরিচয়
*১৯২৮
সাল থেকে ১৯৩০ সাল পর্যন্ত তিনি ইংরেজি ভাষা অধ্যয়ন করেন। যা ইসলাম সম্পর্কে লিখিত
ইংরেজি বই থেকে সরাসরি তথ্য সংগ্রহে তার সহায়ক হয়। ১৯২৯ সালে তিনি আবার নদওয়াতুল
উলামায় ভির্তি হন এবং তিনি একনিষ্ঠভাবে আল্লামা মুহাদ্দিস হায়দার হোসেন খানের দরসে
অংশগ্রহণ করেন এবং তার কাছেই সাহিহাইন,সুনানে
আবু দাউদ এবং তিরমিজি শরিফ সমাপ্ত করেন। তার কাছে আলী মিয়াঁ তাফসীরে বায়জাভীরও কিছু
অংশ পড়েন। আলী মিয়াঁ তার শিক্ষক খলীল বিন মুহাম্মদের কাছেই নির্বাচিত কিছু সুরার
তাফসির পড়েন। এছাড়া আব্দুল হাই আল ফারুকীর কাছেও তিনি কূআনের কিছু অংশের তাফসির পড়েন।
তবে মাদ্রাসার সুনির্দিষ্ট পাঠ্যসূচী অনুযায়ী তিনি সম্পূর্ণ কুরআনের তাফসির অধ্যয়ন
করেন ১৯৩২ সালে লাহোরে আল্লামা মুফাসসির আহমাদ আলী লাহোরীর কাছে।
এ বছরই
তিনি দেওবন্দে শায়খুল ইসলাম আল্লামা হুসাইন আহমাদ মাদানীর কাছে কয়েক মাস থাকেন এবং
তার সহীহ বুখারী ও সুনানে তিরমিজির দরসে উপস্থিত থাকেন। আলী মিয়াঁ তাঁর কাছে উলুমুল
কুরআন এবং তাফসিরও পড়েন। এছাড়া আলী মিয়াঁ শায়খ ইজাজ আলীর কাছে ফিকহ এবং ক্বারী
আসগর আলীর কাছে তাজবীদ শেখেন।
কর্ম জীবন
আলী নদভী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর কর্ম জীবন
সাইয়েদ আলী হাসান আন নদভী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি
এর কর্ম জীবন অসংখ্য অভিজ্ঞতার চিত্র পাওয়া যাবে। যেমন -
*১৯৩৪
সালে তিনি দারুল উলুম নাদওয়াতুল উলামার শিক্ষক নিযুক্ত হন।
*১৯৩৯
সালে দ্বীনী মারকাজসমূহ সম্পর্কে জানার জন্য সফর করেন।
*১৯৪৩
সালে তিনি আঞ্জুমানে তালীমাতে কুরআন নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।
*১৯৪৫
সালে নদওয়াতুল উলামার ব্যবস্থাপনা পরিষদের রােকন নির্বাচিত হন।
*১৯৫১
সালে সুলায়মান নদভীর অনুমতিতে সহকারী পরিচালক নিযুক্ত হন।
*১৯৫৪
সালে সুলায়মান নদভীর মৃত্যুর পর সর্বসম্মতিক্রমে শিক্ষাসচিব নিযুক্ত হন।
*১৯৫৯
সালে মজলিসে তাহকীকাত ও নাশরিয়াতে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন।
*১৯৬১
সালে বড় ভাই ডাক্তার আবদুল আলীর মৃত্যুর পর নদওয়াতুল উলামার মহাপরিচালক নিযুক্ত হন।
*১৯৫৭
সালে দামেস্কের মাজমাউল লুগাতিল আরাবিয়া বা আরবী একাডেমীর সদস্য নির্বাচিত হন।
*১৯৬২
সালে রাবেতা আলমে ইসলামীর প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে মক্কা মুকাররমাতে প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত
হয়। তাতে যােগদানের জন্য আমন্ত্রণ লাভ করেন। উক্ত সম্মেলনে তিনি ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব
পালন করেন।
*১৯৬২
সালে জামেয়া ইসলামিয়া মদীনা মুনাওয়ারা প্রতিষ্ঠার সময় তাকে মজলিসে শূরার সদস্য
বানানাে হয়। মজলিসে শূরা কায়েম থাকা পর্যন্ত তিনি উক্ত পদে সমাসীন ছিলেন।
*১৯৮১
সালে জর্দানের মাজমাউল লুগাতিল আরাবিয়ার (জর্দানের আরবী একাডেমীর ) সদস্য করা হয়।
*১৯৮১
সালে কাশ্মীর ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে তাকে সাহিত্যে সম্মানসূচক পি.এইচ.ডি. ডিগ্রী
প্রদান করা হয়।
*১৯৮৩
সালে অক্সফোর্ডে ইসলামিক সেন্টার প্রতিষ্ঠার সময় তাকে আজীবন সভাপতিরূপে মনােনীত করা
হয়।
*১৯৮৪
সালে রাবেতায়ে আদবে ইসলামী আল আলামী প্রতিষ্ঠার সময় তাকে আজীবন সভাপতি মনােনীত করা
হয়।
*১৯৬৮
সালে সৌদী শিক্ষামন্ত্রণালয়ের দাওয়াতে শরীয়াহ অনুষদের পাঠ্যক্রম ও শিক্ষানীতি তৈরী
করার জন্য রিয়াদ যান। তখন রিয়াদ বিশ্ববিদ্যালয় ও কুল্লিয়াতুল মুআল্লেমিনে (টিচার্স
ট্রেনিং কলেজ) বক্তৃতা দেন।
*১৯৩২
সালে নদওয়াতুল উলামা থেকে আরবী পত্রিকা ‘আয-যিয়া’ ও ১৯৪০ সালে উর্দু পত্রিকা ‘আন-নদওয়া’ বের
করার ব্যাপারে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
*১৯৪৮
সালে আঞ্জুমানে তা'লীমাতে ইসলামের পক্ষ থেকে ‘তামীরে হায়াত’ নামে
উর্দু ভাষায় একটি পত্রিকা প্রকাশ শুরু করেন।
*১৯৫৮-৫৯
সালে দামেক থেকে প্রকাশিত ‘ আল-মুসলিমুন
পত্রিকায় প্রবন্ধ লেখা শুরু করেন।
*১৯৬৩
সালে লাখনৌ থেকে নেদায়ে মিল্লাত প্রকাশ হওয়া শুরু হলে তিনি এর পৃষ্ঠপােষক হন।
*১৯৫৫
সালে নদওয়া থেকে প্রকাশিত আরবী পত্রিক ও ১৯৫৯ সালে প্রকাশিত আরবী পত্রিকা “আর-রায়েদ এবং ১৯৬৩ সালে উর্দু পত্রিকা পাক্ষিক
তামীরে হায়াতের প্রধান পৃষ্ঠপােষক ছিলেন।
*১৯৬১
সালের ৮ ই জুন দারুল উলূম নদওয়াতুল উলামার নাযেম নির্বাচিত হন।
উল্লেখযোগ্য সম্মাননা
*১৯৮০
সালের ১২ই ফেব্রুয়ারী রিয়াদে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে নদভীকে শাহ ফয়সাল এওয়ার্ড প্রদান
করা হয়।
তার ভূমিকায় সীরাত গ্রন্থ পাকিস্তান পাকিস্তান
থেকে প্রকাশিত হলে প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক তাকে একলাখ রূপী সম্মানী প্রদান করেছিলেন।
*১৯৯৯
সালে দুবাইয়ে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে ইসলামী বিশ্বের মহান ব্যক্তিত্বের এওয়ার্ড প্রদান
করা হয়।
*১৯৯৯
সালে অক্সফোর্ড ইসলামী সেন্টারের পক্ষ থেকে ব্রুনাই ইন্টারন্যাশনাল এওয়ার্ড পুরস্কার
পান।
উল্লেখযোগ্য দায়িত্ব
সভাপতির দায়িত্ব পালন
*সভাপতি
- দ্বীনী তালীমী কাউন্সিল, উত্তর
প্রদেশ।
*সভাপতি
- অল ইন্ডিয়া মুসলিম পারসনাল ল বাের্ড।
*সভাপতি
- মজলিসে এন্তেজামী ও মজলিসে আমেলা, দারুল
মুছাফিীন আযমগড়।
*সভাপতি
- ইসলামিক সেন্টার , অক্সফোর্ড
ইউনিভার্সিটি লন্ডন।
*সভাপতি
- ফাউন্ডেশন ফর স্টাডিজ এন্ড রিসার্চ লুক্সেমবার্গ।
*সভাপতি
- মজলিসে তাহকীকাত ও নাশরিয়াতে ইসলাম লাখনৌ।
সভাপতি - রাবেতা আদবে ইসলামী আল - আলামী।
সদস্য - মুয়াসসাসাহ আল-বাইত, আম্মান, জর্দান।
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি - তাহরিকে পায়ামে ইনসানিয়্যাত
, লাখনৌ।
প্রতিষ্ঠাতা সদস্য - রাবেতা আলমে ইসলামী , মক্কা মুকাররমা।
সদস্য - মজলিসে শুরা , জামেয়া ইসলামিয়া মদীনা মুনাওয়ারা।
সদস্য - আরবী একাডেমী, দামেশক, কায়রাে
ও জর্দান।
সদস্য - একাডেমী অফ লেবারারস, দামেক ইউনিভার্সিটি, দামেশক।
সদস্য - মজলিসে আমেলা, মুতামার আলমে ইসলামী বৈরুত।
সদস্য - মজলিসে ইনতেজামী, ইসলামিক সেন্টার, জেনেভা।
সদস্য - মাজমাউল ফিকহিল ইসলামী, রাবেতা আলমে ইসলামী, মক্কা মুকাররমা।
সদস্য ও মজলিসে শূরা, দারুল উলুম দেওবন্দ।
সদস্য ও মজলিসে আমেলা, ইসলামিক ইউনিভার্সিটিজ ফেডারেশন, মরক্কো।
সদস্য - একাডেমী অব আরবী ল্যাঙ্গুয়েজ, ওমান।
সদস্য - ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ট্রানস্লেশন রিসার্চ
এন্ড স্টাডিজ, তিউনিসিয়া।
ভিজিটিং প্রফেসর - দামেশক ইউনিভার্সিটি।
দেশ ভ্রমণ
*১৯২৯
সালে দূর পথের প্রথম সফর করেন লাহাের। সেখানে কবি ড. আল্লামা ইকবালের সাথে সাক্ষাৎ
করেন।
*১৯৩৫
সালে দলিত নেতা ডঃ আম্বেদকরকে ইসলামের দাওয়াত দেওয়ার জন্য বোম্বে সফর করেন।
*১৯৪৭
সালে হজ্জ উপলক্ষে প্রথম সফর করেন এবং কয়েকমাস হেজায়ে অবস্থান করেন । এটাই তার প্রথম
বিদেশ সফর।
*১৯৫০
সালে হজ্জের দ্বিতীয় সফর করেন। এ বছর মিসর , সুদান
, সিরিয়া
ও জর্দান সফর করেন।
*১৯৫১
সালে মিসরে প্রথম সফর ছিল। উক্ত সফরে ফিলিস্তিন, বায়তুল
মুকাদ্দাস ও মসজিদে আকসা যিয়ারতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে জর্দানের আমীর শাহ আবদুল্লাহর
সাথে সাক্ষাৎ হয়।
*১৯৫৬
সালে প্রথম তুরস্ক সফর করেন। এ বছর লেবাননও সফর করেন।
*১৯৬০
সালে বার্মা সফর করেন।
*১৯৬২
সালে প্রথম কুয়েত সফর করেন। অতঃপর উপসাগরীয় দেশসমূহ সফর করেন। জর্দান ও ইয়ামনও সফর
করেন।
*১৯৬৩
সালে ইউরােপে প্রথম সফর করেন। এ সফরে তিনি লন্ডন, প্যারিস, কেমব্রিজ, অক্সফোর্ড
ও স্পেনের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলাে সফর করেন।
১৯৭৬ সালে মসজিদে আকসা সফর করেন।
*১৯৭৭
সালে আমেরিকায় প্রথম সফর করেন। এখানে দুই মাস দশ দিন অবস্থান করেন।
*১৯৭৭
সালে আফগানিস্তান, ইরান, ইরাক ও লেবানন সফরে রাবেতা আলমে ইসলামী প্রতিনিধি
দলের নেতৃত্ব দেন।
১৯৮৫ সালে বেলজিয়াম।
১৯৮৭ সালে তাশক, সমরকন্দসহ অন্যান্য শহর।
১৯৭৩ ও ১৯৮৪ সালে জর্দান।
১৯৭৩ সালে স্পেন, ১৯৭৩ সালে আফগানিস্তান এবং ১৯৭৪, ৭৬, ৮৩, ৮৮, ৯৩
ও সর্বশেষ ১৯৯৯ সালের সংযুক্ত আরব আমিরাত।
১৯৭৭ ও ১৯৯৩ সালে উত্তর আমেরিকা।
১৯৬৩, ৬৪, ৬৯, ৮৩, ৮৬, ৮৭, ৮৯, ৯২
ও ১৯৯৩ সালে ইউরােপ।
১৯৭৩ সালে ইরান।
১৯৫৯, ৬৪, ৭৮, ৮৪
ও ১৯৮৬ সালে পাকিস্তান।
১৯৮৬ সালে বুখারা।
১৯৬৩ ও ১৯৮৫ সালে ব্রিটেন।
১৯৮৪ ও ৯৪ সালে বাংলাদেশ।
১৯৫৬, ৬৪, ৮৬, ৮৯, ৯৩ ও ১৯৯৬ সালে তুরস্ক।
১৯৮২ ও ১৯৮৬ সালে আলজেরিয়া।
১৯৪৭, ৫১, ৬২, ৬৫, ৬৭ ও ১৯৬৯ সালে হেজায। এরপর আরাে অনেকবার।
১৯৭৯ ও ১৯৯৫ সালে কাতার।
১৯৭৬ ও ৮৬ সালে মরক্কো।
১৯৮২ সালে শ্রীলংকা।
১৯৯৩ সালে সমরকন্দ।
১৯৫১ সালে সুদান।
১৯৫১, ৫৬, ৬৪ ও ১৯৭৩ সালে সিরিয়া।
১৯৫৬ ও ১৯৭৩ সালে ইরাক।
১৯৫১, ৭৩, ৮৪ ও ১৯৯৮ সালে ওমান।
১৯৫১ সালে ফিলিস্তিন।
১৯৬২, ৭৮, ৮৩ ও ১৯৮৭ সালে কুয়েত।
১৯৫৬ ও ১৯৭৩ সালে লেবানন।
১৯২৯ সালে লাহাের।
১৯৮২ ও ১৯৮৭ সালে মালয়েশিয়া।
১৯৮৪ সালে ইয়ামান সফর করেন।
গ্রন্থ রচনা
আরবাআ’হ” এবং ১৯৮৮ সালে আলী রাদিয়াল্লাহুর জীবনী “মুরতাজা” রচনা
করেন। তার বেশির ভাগ বই বাংলায় অনূদিত হয়েছে।
সংগ্রামী সাধকদের ইতিহাস
মুসলমানদের পতনে বিশ্ব কী হারালো?
আলোর রাজপথ (ছোটদের ইতিহাসের গল্প)
অনুবাদ : অধ্যক্ষ মুহাম্মদ রওশন আলী
আমার আম্মা
অনুবাদ : আবু সাঈদ মুহাম্মদ ওমর আলী
আরকানে আরবাআহ
অনুবাদ : আবু তাহের মিসবাহ
আল্লাহর পথের ঠিকানা
অনুবাদ : শরীফ মুহাম্মদ
নবীয়ে রহমত
অনুবাদ : আবু সাঈদ মুহাম্মদ ওমর আলী
ইসলামের বৈপ্লবিক অবদান
ইসলামের রাজনৈতিক ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ
অনুবাদ : আবদুল্লাহ আল ফারুক
ইসলাম ধর্ম সমাজ সংস্কৃতি
অনুবাদ : আবু সাঈদ মুহাম্মদ ওমর আলী
ইসলাম ও অন্যান্য সংস্কৃতি
ইসলাম ও পাশ্চাত্য সভ্যতার সংঘাত
অনুবাদ : মাওলানা জুলফিকার নদভী
ইসলামী আন্দোলন পথ ও পাথেয়
অনুবাদ : মাওলানা লিয়াকত আলী
ইসলামী জাগরণের রূপরেখা
অনুবাদ: মাওলানা কবীর আহমাদ আশরাফী
ইসলামী জীবন বিধান
নয়া খুন
নারীদের দীনী খিদমাত
অনুবাদ: মাওলানা হাসান মুহাম্মাদ সানাউল্লাহ
ইলিয়াস রহ-এর দাওয়াতী চিঠিপত্র
অনুবাদ : মাসুম আবদুল্লাহ
নতুন দাওয়াত নতুন পয়গাম
নতুন পৃথিবীর জন্ম দিবস
নতুন প্রজন্মের শিক্ষা ভাবনা
অনুবাদ : আবদুল্লাহ মোকাররম
পথের পাড়ের পরশ পাথর (ইলিয়াস রহ এর জীবনী)
অনুবাদ : শফিউল্লাহ কুরাইশী
ঈমানের দাবী
ঈমান যখন জাগল
অনুবাদ : আবু সাঈদ মুহাম্মদ ওমর আলী
ঈমানদীপ্ত কিশোর কাহিনী
প্রাচ্যের উপহার
অনুবাদ : ওমর আলী র. মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ
ও মাওলানা ইসমাঈল ইউসুফ
পশ্চিমা বিশ্বের নামে খোলা চিঠি
অনুবাদ : মাওলানা জুলফিকার নদভী
উলামা-তালাবা
ভারতবর্ষে মুসলমানদের অবদান
অনুবাদ : আ ফ ম খালিদ হোসেন
মদীনার পথে
মধ্যপ্রাচ্যের ডায়েরি
অনুবাদ : মাওলানা সিরাজুল ইসলাম
মাওলানা আবদুল কাদের রায়পুরী রহ
অনুবাদ : আবদুল আলীম হুসাইনী
মাওলানা ইলয়াস রহ এবং তার দ্বীনি দাওয়াত
অনুবাদ : মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ
মুসলমানদের পতনে বিশ্বমানবতা কী হারালো
অনুবাদ : মাওলানা আবদুল মজীদ
অনুবাদ : আবু তাহের মিসবাহ
মুসলিম লেখক ও প্রাচ্যবিদদের ইসলাম বিষয়ক গবেষণামূলক
মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা
অনুবাদ : মুহাম্মদ সাদিক হুসাইন
শাইখুল হাদিস যাকারিয়া রহ জীবন ও কর্ম
অনুবাদ: মাওলানা আব্দুল আলীম
কাবুল থেকে ইয়ারমুক
কারওয়ানে মদীনা
কাদিয়ানী মতবাদ, তত্ত্ব ও ইতিহাস
অনুবাদ : জুবাইর আহমদ আশরাফ
কাদিয়ানি মতবাদ, ইসলাম ও নবিজির বিপক্ষে বিদ্রোহ
অনুবাদ : মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল আলীম
কুরআন অধ্যয়নের মূলনীতি
খুতুবাতে আলী মিয়া নাদাবী রহ. (৫ খণ্ড)
সভ্যতা ও সংস্কৃতিতে ইসলামের অবদান
সম্পাদনা : মাওলানা লিয়াকত আলী
সংগ্রামী সাধকদের ইতিহাস (১-৭)
অনুবাদ : আবু সাঈদ মুহাম্মদ ওমর আলী
সাত যুবকের গল্প
সীরাতে রাসূলে আকরাম সা.
অনুবাদক : আবু সাঈদ মুহাম্মদ ওমর আলী
হযরত আলী রা.
অনুবাদ : আবু তাহের মিসবাহ
দ্বীনি দাওয়াত : গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
অনুবাদ : আবদুল্লাহ আল ফারুক
বিধ্বস্ত মানবতা (আমেরিকা ও কানাডা সফরে প্রদত্ত
ভাষণ)
অনুবাদ : মুজাহিম
বিধ্বস্ত মানবতা
তারুণ্যের প্রতি হৃদয়ের তপ্ত আহ্বান
অনুবাদ : মুহাম্মদ সাদিক হুসাইন
তাজা ঈমানের ডাক
অনুবাদ : মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন
ছোটদের সীরাতুন্নবী
অনুবাদ : মাওলানা ইবরাহিম খলিল
তালিবে ইলমের জীবন পথের পাথেয়
অনুবাদ : মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ
দাওয়াত ও তাবলীগের অলৌকিক পদ্ধতি
অনুবাদ : মাওলানা আবু তাহের রহমান
দাওয়াত ও তাবলীগ
ফেকাহ সংকলন : প্রাসঙ্গিক কিছু কথা
অনুবাদ :আবদুল্লাহ আল ফারুক
কে তুমি নারী? কী
তোমার পরিচয়?
ধর্ম ও কৃষ্টি
অনুবাদ : মাওলানা লিয়াকত আলী
ধর্মত্যাগের নয়া রূপ
অনুবাদ : সাদিক হুসাইন
নদভী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর মৃত্যু
সাইয়েদ নদভী ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর, আরবি ১৪২০ হিজরির রমজান মাসের ২২ তারিখ, শুক্রবার জুমআর পূর্বে সুরা ইয়সীনের ১১ নং আয়াত
তিলাওয়াত করা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এ সময় তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তাকে রায়বেরলিতেই
দাফন করা হয়।
উপসংহার (conclusion )
তাঁর রচনাবলির সংখ্যা ৫ শতকেরও অধিক। তার কিছু রচনা বিশ্বের প্রায় সব ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং কিছু বই বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ আরব বিশ্বের প্রায় ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভূক্ত। তার মুসলমানদের পতনে বিশ্ব কী হারালো ? বইটি প্রকাশের পর তিনি আরব বিশ্বে প্রসিদ্ধি লাভ করেন। তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়, মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, আলীগড়, কায়রো, দামেস্ক, লন্ডন, গ্লাসগো, কলম্বিয়া সহ অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচার প্রদান করেছেন।
লেখক:
প্রফেসর ড. সৈয়দ মাকসুদুর রহমান
চেয়ারম্যান
আল হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের, কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ
।
0 coment rios:
You can comment here