ঈদুল আজহায় কোরবানির মাংস বিতরণের যারা সাহায্য করেছেন তাদের প্রতি আর রহমান এডুকেশন ট্রাস্ট এর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
আর-রাহমান এডুকেশন ট্রাষ্ট ইউকে’র ব্যবস্থাপনায় ২০২১ সালের ঈদুল আযহার কুরবানির মাংস বিতরণে যারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, তারা হলেন-
যুক্তরাজ্যে প্রবাসী মোহাম্মদ ইকবাল– ম্যানসফিল্ড, আলতাবুর রহমান খাঁন ও তিনির পরিবর ম্যানসফিল্ড, মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম লুটন, আলহাজ্ব হাবিব উল্লাহ লুটন, আবদুর রশিদ লুটন , হাফিজ ইমাম হাসান ইবনে রফিক আহমদ বারমিংহাম ,হাজী চমক আলী বারমিংহাম লুটনের হাজী মোহাম্মদ গোলাম – লুটন, ইমাম এম নুরুর রহমান– লুটন, মাওলানা সিদ্দিক রহমান ও হাজীয়া সপ্না খাতুন এবং আব্দুল মুকিত গং অনেক।
আর রহমান এডুকেশন ট্রাস্ট একটি দাতব্য সংগঠন; যারা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে দেশে এবং বিদেশে বিভিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের কাজকে সহজ করেছেন যে সকল মহান দাতাগণ তাদের প্রতি আর রাহমান এডুকেশন ট্রাস্ট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে। সম্মানিত দাতাগণের সাহায্যের হাত প্রসারিত না হলে নিঃসন্দেহে ট্রাস্টের কোন কাজই সহজ হত না। সম্মানিত দাতাগণের বদান্যতা আর আর রহমান এডুকেশন ট্রাস্ট এর সুন্দর সুপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনায় গরিব দুঃখীগণ খুব সহজে সাহায্য পেয়ে যাচ্ছে। গরিব-দুঃখীদের মুখে ফুটছে তৃপ্তির হাসি। এজন্য আর রহমান এডুকেশন ট্রাস্ট পরিবার সকল দাতাগণ এর দান যেন মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কবুল করেন সেই প্রার্থনা করছে। ভবিষ্যতে আর-রাহমান এডুকেশন ট্রাস্ট এর সকল কর্মসূচীতে বরাবরের মত সম্মানিত দাতাগণ এর দানের হাত প্রসারিত হবে সেই আশা করছে আর রাহমান এডুকেশন ট্রাস্ট। দাতাগণ এর মর্যাদা যেমন সমাজের সকলের কাছে সমাদৃত তেমনি আল্লাহর কাছেও তারা অনেক সম্মানিত মহিমান্বিত।
দান- সদকা করতে আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দিয়েছেন। রসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দান-সদকা করার জন্য উম্মতদের উৎসাহ দিয়েছেন। কারণ দান-সদকা করলে আল্লাহর রোষ প্রশমিত হয়, আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়, গোনাহ মোচন হয়, আল্লাহ হেফাযত করেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহর আরশের ছায়া হবে, জান্নাত লাভ হবে, বিপদ-আপদ দূর হয়, দান-সদকার সওয়াব বৃদ্ধি হয়, সম্পদের বরকত হয়, জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ হয়, মৃত্যুর পরেও দান-সদকার সওয়াব জারী থাকে ইত্যাদি।
আল্লাহ তাআলা কোরআনুল করীমে ফরমানঃ হে ঈমানদারগণ! আমার দেওয়া রিজিকের কিয়াদাংশ দান করে দাও এমন এক মহা সংকটপুর্ণ দিন আসার পূর্বে যে দিন না কোন বেচা কিনা চলবে, না কোন বন্ধুত্ব কাজে আসবে এবং আল্লাহর অনুমতি ভিন্ন না কোন সুপারিশের সুযোগ হবে। –সুরা বাকারা, আয়াতঃ ২৫৪।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেনঃ এবং তোমরা যারা আল্লাহর রাস্তায় দান করবে উহার প্রতিদান তোমাদিগকে পুরাপুরি দেয়া হবে। আর তোমাদের প্রতি কোনপ্রকার জুলুম করা হবে না। -সুরা আনফাল, আয়াতঃ৬০।
আল্লাহপাক আরও ইরশাদ ফরমানঃ আল্লাহ তাআলা সুদকে ধ্বংস করে দেন এবং সদকাকে বর্দ্ধিত করে দেন। -সুরা বাকারা, আয়াতঃ ২৭৬।
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ যারা আপন ধন-সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় দান করে তাদের দৃষ্টান্ত হলো ঐ দানার মত যেখান হতে এরূপ সাতটি ছড়া বের হলো যার প্রত্যেকটিতে একশত করে দানা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা যাকে ইচ্ছা বহুগুণে বৃদ্ধি করে দেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ। -সুরা বাকারা, আয়াতঃ ২৬১।
আল্লাহ তাআলা চিরন্তন সত্য কোরআনুল করীমে ফরমানঃ যাহারা আল্লাহর মাল আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে অতঃপর দান গ্রহিতার প্রতি কোন প্রকার খোঁটাও দেয় না অথবা কটু কথাও বলে না, স্বীয় প্রতিপালকের নিকট তাদের জন্য প্রতিদান রয়েছে। কেয়ামতের দিন তাদের কোন ভয় নেই এবং কোন প্রকার চিন্তাযুক্তও হবে না। -সুরা বাকারা, আয়াতঃ ২৬২
আল্লাহপাক আরও ইরশাদ ফরমানঃ এবং তোমরা স্বীয় প্রতিপালকের তরফ হতে ক্ষমা প্রাপ্তির দিকে এবং এমন জান্নাতের দিকে দৌড়াতে থাক যার প্রশস্ততা হবে সপ্ত আসমান ও জমীনের সমতুল্য যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে এমন সব মোত্তাকীনদের জন্য যারা সুখ-দুঃখ উভয় হালতেই আল্লাহর রাস্তায় দান খয়রাত করে থাকে এবং রাগ আসলে উহা হজম করে লয়; মানুষের অপরাধ ক্ষমা করে দেয়। বস্তুত আল্লাহ তাআলা পরোপকারী লোকদের ভাল বাসেন। -সুরা আল ইমরান, আয়াতঃ ১৩৩-১৩৪।
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ শয়তান তোমাদিগকে অভাব অনটনের ভীতি প্রদর্শন করে এবং অশ্লীলতার আদেশ দেয়, আর আল্লাহ তাআলা দান করার বিনিময়ে ক্ষমা করা ও সম্পদ বৃদ্ধি করার ওয়াদা করেন। বস্তুতঃ আল্লাহপাক সমৃদ্ধিশালী, সর্বজ্ঞানী। -সুরা বাকারা, আয়াতঃ ২৬৮।
আল্লাহ তাআলা আরও ইরশাদ ফরমানঃ যারা স্বীয় ধন-সম্পদ রাত্রে এবং দিনে, গোপনে এবং প্রকাশ্যে দান করে থাকে তাদের প্রতিদান আপন প্রতিপালকের নিকট সুরক্ষিত থাকবে, আর তারা ভয়শূন্য ও চিন্তা মুক্ত থাকবে। -সুরা বাকারা, আয়াতঃ ২৭৪।
হাদীসে আছে, সাখাওয়াত এবং ভাল স্বভাব এ দুটি জিনিস ব্যতিরেকে কেহই আল্লাহর ওলী হতে পারে নি। অর্থাৎ আল্লাহর ওলীদের মধ্যে সাখাওয়াত ও সৎস্বভাব নিশ্চয়ই বিদ্যমান থাকে। -দায়লামী।
সাল্লাহু আলাইহি রসূলে করীম ওয়া সাল্লাম ইরশাদ ফরমানঃ সদকা দেওয়ার ব্যাপারে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ কর। কেননা মছীবত সদকাকে ফেড়ে অগ্রসর হতে পারে না। -মেশকাত।
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ সদকা সম্পদকে হ্রাস করে না, ক্ষমা করা দ্বারা আল্লাহ বান্দার ইজ্জত বৃদ্ধি করেন; আর কেউ আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে তাওয়াজ্জু বা বিনয় অবলম্বন করলে আল্লাহ তার মর্যাদাকে উঁচু করে দেন। -মুসলিম, তিরমিযি।
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আল্লাহ তাআলা ফরমানঃ হে আদম সন্তান! তুমি দান কর, আমি তোমাকে দান করব। -বুখারী, মুসলিম।
হযরত আদি ইবনে হাতিম (রাঃ) বলেন যে, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি- তোমাদের মধ্যে যার পক্ষে সম্ভব একটা খেজুরের টুকরা দান করে হলেও জাহান্নাম থেকে আত্মরক্ষা করুক। - বুখারী, মুসলিম।
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে, নামায, রোযা, সদকা ও সৎ কাজের আদেশ এবং মন্দ কাজ থেকে বারণ (এ সব আমল) মানুষের পরিবার, ধন-সম্পদ, সন্তান-সন্ততি ও প্রতিবেশী সংক্রান্ত গোনাহসমূহ মোচন করে দেয়। -বুখারী।
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন যে, রসূলে আকরাম সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ যে ব্যক্তি একটা খেজুর বরাবর সদকা করবে পবিত্র উপার্জন থেকে- আর আল্লাহ পবিত্র উপার্জন ব্যতীত কবুল করেন না, তাহলে আল্লাহ তার সদকাকে কবুল করবেন। অনন্তর সেটা বর্দ্ধিত করবেন, যেমন তোমাদের কেউ তার অশ্বশাবককে লালন-পালন করে বড় বানাতে থাকে ( এভাবে আল্লাহ তার সদকাকে বৃদ্ধি করতে থাকেন) এমনকি তা পাহাড় সমান হয়ে যায়। -বুখারী, মুসলিম।
হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন যে, নবী করীম সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদুল আযহা বা ঈদুল ফিতরের দিন বের হয়ে মহিলাদের কাছে গেলেন এবং (তাদের লক্ষ্য করে) বললেন, হে মহিলা সমাজ! তোমরা সদকা কর। কেননা, আমাকে দেখান হয়েছে যে, জাহান্নামের সিংহভাগ হল নারী। মহিলাগণ জিজ্ঞাসা করল, তার কী কারণ ইয়া রসূলুল্লাহ! তিনি বলেন, তার কারণ হল, তোমরা বেশী বেশী অভিশাপ দাও এবং স্বামীর না-শোকরী কর। - বুখারী।
হযরত আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) বলেন যে, নবী আকদাস সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ দান আল্লাহ তাআলার রোষ প্রশমিত করে এবং খারাপ মৃত্যু রোধ করে। - তিরমিযী।
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন যে, নবী করীম সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ যখন মানুষ মারা যায়, তার সমস্ত আমল বন্ধ হয়ে যায়। তবে তিনটি আমল (এর সওয়ব) বন্ধ হয় না। তা হল- সদকায়ে জারিয়া, ইলম-যা দ্বারা অন্যরা উপকৃত হয় এবং তার নেককার সন্তান যে তার জন্য দুআ করে। -মুসলিম, তিরমিযী।
তাবেই হযরত মারছাদ ইবনে আব্দুল্লাহ (রহঃ) বলেন, আমাকে নবী সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জনৈক সাহাবী বলেছেন যে, তিনি নবী সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছেন, কেয়ামতের দিন মুমিনের ছায়া হবে তার দান-সদকা। -মুসনাদে আহমদ, সহীহ ইবনে খুযায়মা।
হযরত আবু সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ যে কোন মুসলমান অন্য কোন মুসলমানকে বস্ত্র দান করবে, আল্লাহপাক তাকে জান্নাতের সবুজ কাপড় পরিধান করাবেন। যে কোন মুসলমান অন্য কোন ক্ষুধার্ত মুসলমানকে আহার করাবে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের ফল থেকে আহার করাবেন। যে কোন মুসলমান অন্য কোন পিপাসার্ত মুসলমানকে পানি পান করাবে, আল্লাহ তাকে ‘রহীকে মাখতুম’ থেকে পান করাবেন। -আবু দাউদ।
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, আমি নবী করীম সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, যে কোন মুসলমান অন্য কোন মুসলমানকে কাপড় পরিধান করাবে, সে আল্লাহর হেফাজতে থাকবে যতক্ষন পর্যন্ত সেই কাপড়ের একটি টুকরাও তার শরীরে থাকবে। - তিরমিযী।
হযরত আসমা বিনতে আবুবকর (রাঃ) হতে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ (হে আসমা!) তুমি দান করতে থাকবে এবং হিসাব করবে না। অন্যথায় আল্লাহও তোমাকে দেয়ার ব্যাপারে হিসাব করবেন। আর (সম্পদ) ধরে রাখবে ন, অন্যথায় আল্লাহ তোমার ব্যাপারে ধরে রাখবেন। তোমার শক্তি অনুসারে সামান্য হলেও দান করবে। -বুখারী, মুসলিম।
হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ যদি কোন মুসলমান একটি বৃক্ষ রোপন করে কিংবা শস্য বপন করে, অতঃপর তা হতে কোন মানুষ, পাখী বা জানোয়ার ভক্ষণ করে, তাহলে অবশ্যই তা তার জন্যে দান রূপে পরিগণিত হবে। - বুখারী, মুসলিম।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহর ইবাদত কর, (দরিদ্রকে) খাদ্য দান কর এবং উচ্চ শব্দে সালাম কর। নিরাপত্তা সহকারে জান্নাতে প্রবেশ কর। - তিরমিযি, ইবনে মাযাহ।
একটি হাদীসে আছে- রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ তোমরা সদকা কর এবং সদকা দ্বারা রোগীর রোগ চিকিৎসা কর। কেননা, সদকা রোগ এবং বালা-মুসিবত দূর করে এবং আয়ু ও নেকী বৃদ্ধি করে। -বায়হাকী।
হযরত হারেছা ইবনে নোমান (রাঃ) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ মিসকীনকে নিজ হাতে দেয়া খারাপ মৃত্যু হতে রক্ষা করে। -তাবারানী,
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট আরজ করেন, ইয়া রসূলুল্লাহ! কোন সদকা উত্তম? তিনি বললেন, সে সদকা উৎকৃষ্টতম সদকা, যা গরীব ব্যক্তি আপন উপার্জন থেকে করে। আর প্রথমে তাদের উপর ব্যয় করে সে যাদের জিম্মাদার (অর্থাৎ আপন স্ত্রী ও সন্তানাদির উপর) –সুনানে আবু দাউদ, মাআরিফুল হাদীস।
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তি হুযুর সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর নবী! কোন অবস্থায় দান ফলাফলের দিক দিয়ে সর্বোত্তম? রসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তোমার সুস্থ ও উপার্জনক্ষম অবস্থার দান। যখন তোমার দরিদ্র হওয়ারও ভয় থাকে এবং ধনী হওয়ারও আশা থাকে। তুমি নিয়তই দান-খয়রাত করতে থাকবে। এমনকি তোমার প্রাণ গ্রীবাদেশে পৌঁছা পর্যন্ত বলতে থাকবে অমুকের জন্যে এটা, অমুকের জন্যে এটা; আর তোমার বিশ্বাস আছে যে, তা পৌঁছান হবে। -বুখারী, মুসলিম।
দাতা ও কৃপণ ব্যক্তি সম্পর্কে হাদীস
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ যখনই আল্লাহর বান্দারা প্রত্যুষে শয্যা ত্যাগ করে, তখনই দুজন ফিরিশতা অবতীর্ণ হন। তন্মধ্যে একজন বলতে থাকেন, হে আল্লাহ! তুমি দাতা ব্যক্তিকে প্রতিদান দাও। আর অন্যজন বলতে থাকেন, হে আল্লাহ! তুমি কৃপণ ব্যক্তিকে লোকসান দাও। -বুখারী, মুসলিম।
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ ফরমানঃ দাতা ব্যক্তি আল্লাহরও নিকটে, জান্নাতেরও নিকটে, মানুষেরও নিকটে; অথচ জাহান্নাম থেকে দূরে। পক্ষান্তরে কৃপণ ব্যক্তি আল্লাহ থেকেও দূরে, জান্নাত থেকেও দূরে, মানুষ থেকেও দূরে; অথচ জাহান্নামের নিকটে। নিশ্চয়ই মূর্খ দাতা, কৃপণ ইবাদাতকারীর চেয়ে আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়। -তিরমিযী।
হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী করীম সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ ধোকাবাজ, কৃপণ ও যে ব্যক্তি দান করে খোঁটা দেয় জান্নাতে দাখেল হবে না। -তিরমিযী।
প্রিয় জিনিস দান-সদকা করা
আল্লাহ তাআলা কোরআনুল করীমে ইরশাদ করেনঃ তোমরা কখনও নেকীর মধ্যে পূর্ণতা হাসিল করতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা নিজেদের প্রিয় জিনিস হতে কিছু খরচ না করবে।। সুরা আল ইমরান, আয়াতঃ ১৩
আল্লাহজাল্লাশানহু আমাদেরকে বেশী দান-সদকা করার তৌফিক দিন! ওমা তৌফিকি ইল্লাহ বিল্লাহ।
0 coment rios:
You can comment here