Friday, July 30, 2021

সত্যের সন্ধানে পর্ব- ৩৪ ইলম

 


সত্যের সন্ধানে পর্ব- ৩৪ ইলম

ইমাম নূরুর রহমান

 ইলম - জ্ঞানঃ

জ্ঞানার্জন ফরজ। সকল ফরজের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফরজ কারণ জ্ঞান ব্যতিত মহান আল্লাহ তায়ালাকে চেনা যায় না তার বিধান জানা যায় না  এবং আল্লাহর কোন ইবাদত করা যায় না। যেমন মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন-

সুরা আলাক ১নং আয়াত ঃ (প্রথম ওহী) পড় তোমার প্রতিপালকের নামে যিনি সৃস্টি করেছেন (সবকিছু)

সুরা আর রাহমান ১ নং আয়াতঃ  অতি বড় মেহেরবান (আল্লাহ) এ কুরআন শিক্ষা দিয়েছেন।

সুরা যুমার ৯নং আয়াতঃ বল, যারা জানে আর যারা জানেনা তারা কি সমান হতে পারে?

সুরা ইসরা ৩৬ নং আয়াতঃ এমন কোন বিষয়ের পিছনে লেগে যেওনা, যে সম্পর্কে তোমার জ্ঞান নেই।

সুরা মুজাদালাহ ১১ নং আয়াতঃ তোমাদের মধ্যে থেকে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে আল্লাহ তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছেন।

সুরা ফাতের ২৮ নং আয়াতঃ আল্লাহকে একমাত্র তারাই ভয় করে যারা তার শ্রেষ্ঠত্বের জ্ঞান রাখে।

সুরা তোহা ১১৪ নং  আয়াত ঃ  এবং বল হে আমার রব! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দাও।

হাদীস ঃ আনাস (রা.) থেকে বর্নিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- জ্ঞানার্জন করা প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর উপর ফরজ। (বিশেষ করে দ্বীনের জ্ঞান) (বায়হাকী শরীফ)

হাদীসঃ মুয়াবিয়া (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন আল্লাহ যা কল্যাণ চান তাকে দ্বীনের তত্ব জ্ঞান করেন। (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)

হাদীসঃ আব্দুল­াহ ইবনে উমর (রা.) হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- ইলম (জ্ঞান) তিন প্রকার ১. প্রকাশ্য আয়াত ২. প্রতিষ্ঠিত সুন্নত ৩. ন্যায্য ফরজ কাজ। এছাড়া সবাই অতিরিক্ত। (দারেমী, আবু দাউদ শরীফ)

হাদীসঃ  আব্দুল­াহ ইবনে আস (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- আমার নিকট থেকে একটি বাক্য পেলেও তা লোকদের কাছে পৌঁছে দিও। (বুখারী শরীফ)

হাদীসঃ ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন যে ব্যক্তি কুরআনের অর্থ তার মতানুযায়ী বলবে, সে যেন জাহান্নামে তার বাসস্থান ঠিক করে নেয়। (বুখারী শরীফ)

হাদীসঃ আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- জ্ঞান মুমিনের হারানো সম্পদ। অতএব, যেখানেই তা পাওয়া যায় মুমিনগন তার সবচেয়ে বেশী হকদার। (তিরমীযি শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফ।

হাদীসঃ আব্দুল­াহ ইবনে মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত তিনি বললেন রাসুল­াহ (সা.) ইরশাদ করেছেন- দু ব্যক্তি ব্যতিত আর কারোর উপর ইর্ষর কারার অধিকার নেই। এক ব্যক্তি হচ্ছে যাকে আল্লাহ ধন সম্পদ দিয়েছেন এর পর তাকে ঐ ধন সম্পদ আল্লাহর পথে খরচ করার সুযোগ দান করেছেন। আর দ্বিতীয় ব্যক্তি হচ্ছে যাকে আল্লাহ (দ্বিনের) ইলম দান করেছেন সে সেই অনুযায়ী মিমাংসা করে এবং লোকদেরকে তা শিক্ষা দেয়। (বুখারী ও মুসলিম শরীফ)

হাদীসঃ আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন যে ব্যক্তি ইলম (জ্ঞান) অর্জন করার জন্য কোন পথে চলে (এর বিনিময়ে) মহান আল্লাহ তার জন্য বেহেস্ত গমনের পথ সহজ করে দেন। (মুসলীম শরীফ)

হাদীসঃ আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন আদম সন্তান যখন মারা যায়, তার সকল আমল বন্ধ হয়ে যায়। তিনটি আমলের সওযাব জারি থাকে- ১. সদকায়ে জারিয়া ২. এমন ইলম যা থেকে লাভবান হওয়া যায় এবং ৩. সু সন্তান যে তার জন্য দোয়া করে। (মুসলীম শরীফ)

হাদীসঃ  আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ (সা.) কে বলতে শুনেছি দুনিয়ার অভিশপ্ত এবং দুনিয়ার মধ্যে যেসব বস্তু রয়েছে সে সব ও অীভশপ্ত। তবে অভিশপ্ত নয় কেবল আল্লাহর যিকির ও তার অনুগত্য এবং আলেম ও ইলম জ্ঞান অর্জনকারী। (তিরমীযি শরীফ)



চলবে

লেখক: বহুগ্রন্থ প্রণেতা

ইমাম মাওলানা এম. নুরুর রহমান

সেক্রেটারি:

শারীয়া কাউন্সিল ব্যাডফোরড ও মিডল্যনড ইউ কে- 

ইমাম ও খাতিব:

মাসজিদুল উম্মাহ লুটন ইউ কে

সত্যয়ান কারী চেয়ারম্যন:

নিকাহ নামা সার্টিফিকেট ইউ কে

 প্রিন্সিপাল:

আর রাহমান একাডেমি ইউ কে

পরিচালক:

আর-রাহমান এডুকেশন ট্রাস্ট ইউ কে

📞07476136772 📞 07476 961067

nrahmansky@googlemail.com

Arrahmaneducationtust@gmail.com

https://www.facebook.com/Imam.Nurur

https://www.facebook.com/ARET.OR.UK/

https://www.youtube.com/user/nurur9


শেয়ার করুন

Author:

0 coment rios:

You can comment here