Sunday, April 30, 2023

ড. সৈয়দ মকসুদুর রহমানের অধ্যাপনা জীবনের তেইশ বছরে পদার্পণে বিশেষ সাক্ষাৎকার

 


ড. সৈয়দ মকসুদুর রহমানের অধ্যাপনা জীবনের তেইশ বছরে পদার্পণে বিশেষ সাক্ষাৎকার

আপনার ছাত্র জীবন সম্পর্কে একটু বলবেন কি?

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া,বাংলাদেশ ১৯৯১-৯২ শিক্ষা বর্ষে আল হাদীস এণ্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রথম ব্যাচের ছাত্র হিসেবে আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহে অধ্যয়ন করার সুযোগ হয়। আমরা প্রথম ব্যচের ছাত্র হওয়ার কারণে আমাদেরকে যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হয়েছে এবং বিভিন্ন বিষয়ে লেখাপড়ার জন্য রেফারেন্স বুকস অধ্যায়ন করতে হয়েছে।

নিজেদের প্রয়োজনীয় উত্তর তৈরি করতে হয়েছে। সে কারণে অনেক বিষয় গুলো আমাদের কাছে কঠিন হলেও পরবর্তী প্রজন্মের কাছে এটা  সহজ হিসেবে উপস্থাপন করা সম্ভব হয়েছে।

আপনার কর্ম জীবন সম্পর্কে একটু  বলবেন স্যার,

সুদীর্ঘ ছাত্র জীবন শেষ করে আমার প্রিয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করার সুযোগও আল্লাহ তাআলার একান্ত রহমত।

২০০১ সালে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী বিভাগ আল-আল-হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করি। ২০০৩ সালে সহকারী অধ্যাপক এবং ২০০৮ সালে সহযোগী অধ্যাপকে উন্নীত হই।২০১৩সাল থেকে অদ্যাবধি অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছি।  ইতোমধ্যেই ১৯-১১-২০২০ বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করি। আমি  সর্বদা আল্লাহ্ তাআলার শুকরিয়াআদায় করি যাঁর একান্তই অনুগ্রহে সকল কিছু সম্ভব হয়েছে।

এ বিভাগ সম্পর্কে আপনার বলার কিছু আছে?

আমি আজকের এই দিনে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি প্রফেসর ড. আব্দুল হামিদ স্যারকে (সাবেক ভাইস চ্যানেসলর,ইবি) যিনি ভারত উপমহাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একমাত্র  উচ্চতর পাঠন পঠনের জন্য বিভাগটি চালু করতে সক্ষম হয়েছেন। আমি  গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ লুৎফর রহমান স্যারের প্রতি (সাবেক ভাইস চ্যানেসলর,ইবি) এবং আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক প্রফেসর ড. এম রুহুল আমিন স্যারের প্রতি (সাবেক চেয়ারম্যান,আল হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ))যাঁরা আমাকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বিভাগের খেদমত করার সুযোগ করে দিয়েছেন। এ ছাড়া গভীর কৃতজ্ঞতা  জ্ঞাপন করি,আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মণ্ডলীর প্রতি যাদের প্রকাশ্য তত্ত্বাবধানে আমার আজকের এই দিনটির আগমন। আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি ও দূআ আমার মুহতারাম মরহুম  পিতা মাতার প্রতি যাদের অফুন্ত ভালোবাসা  ও অকাল্ত পরিশ্রম আমাকে উৎসাহ যুগিয়েছে । আমি এই দীর্ঘ অধ্যাপনা জীবনে আমার গবেষণা ও পঠন পাঠন নিরন্তরভাবে করার চেষ্টা করেছি।ّস্মৃতিতে অম্লান হয়ে গেছে আমাদের বিভাগের  খ্যাতিমান গবেষক প্রফেসর ড. খোন্দকার আ ন ম আব্দল্লাহ জাহাঙ্গীর রহমাতুল্লাহ আলাইহি এবং আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মরহুম প্রফেসর ড মুহাম্মদ মুজাম্মিল আলী স্যার। আল্লাহ তাআলা উভয়কে জান্নাতেুল  ফিরদাউসের দান করুন।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব জায়গায় জড়িয়ে আছে আমার ভালোবাসা ও স্মৃতি এবং অনুভূতি। বিভাগের  প্রতিটি কর্মকান্ড আছে হাজারো স্মৃতি যার কোনটি  মুছে যাবে না। বিভাগের সকল অগ্রগতির ইতিহাসের স্বাক্ষী হিসেবে।

সব  চেয়ে বেশি স্মৃতি আমার সতীর্থদের সাথে যাদের ভালোবাসার প্রতিদান পরিশোধ করা যাবে না। হারাতে হয়েছে গেছে অনেক প্রিয় মানুষকে।

আমার স্পন্দন আমার অত্যন্ত স্নেহের ছাত্রছাত্রী যাদের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা আমাকে অভিভূত করেছে । প্রেরণার পেয়েছি সর্বদা সামনে যাওয়ার।

আপনার গবেষণা সম্পর্কে আমাদেরকে কিছু বলুন স্যার,

বিশ্ববিদ্যালয় মূলত জ্ঞান তৈরি করে এবং সেই  জ্ঞান বিতরণ করে ।এখানে জ্ঞান তৈরি উৎস স্থল বলা যায় সারা পৃথিবীতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জ্ঞান তৈরি করে । রাষ্ট্রের কল্যাণের কাজে ব্যবহার করা হয়। আমার গবেষণা কয়েকটি বিষয় হয়েছে যেমন গ্রন্থ রচনা এমফিল এবং পিএইচডি গবেষণা তত্ত্বাবধানে এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ জার্নালের মূল্যায়ন  করা।

এডিটার ও সদস্য হিসেবে রিসার্চ জানাল প্রকাশ করো। ইসরাত বিদেশি কয়েকটি রিসার্চ জার্নালের এডিটোরিয়াল বোর্ডের সদস্য হিসেবে কাজ করা শুরু হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অধীনে পরিচালিত গবেষণা প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করেছি এবং কতগুলো গবেষণা চলমান আছে এই অংশটুকু গবেষণা কাজের সাথে সংযোজন করতে হবে

ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে আপনার কিছু বলার আছে,

স্যার

আসলে বাস্তবতা হচ্ছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মৌলিক কাঠামোশিক্ষা ব্যবস্থার পরিস্থিতি নির্ভর করে। আর এর প্রান হচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা। সুতরাং ছাত্র-ছাত্রীদের যদি  সবার উপরে  উপরে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হয় তাহলে সেই বিশ্ববিদ্যালয় অবশ্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত হবে। আমি আমার ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বলতে চাই তোমাদের সময় জ্ঞান সততা এবং অধ্যায়ন সার্বক্ষণিকভাবে চালিয়ে যেতে হবে। দেশ ও জাতির সেবার জন্য নিজেদেরকে দক্ষতা অর্জন করার ক্ষেত্রে নতুন নতুন জ্ঞানের উন্মোচন অনুভূতি নব দিগন্তের সূচনা করতে হবে। দেশ জাতির কল্যাণী নিজেকে নিবেদিত করতে হবে। আধুনিক নাগরিক হিসেবে নিজেদেরকে দক্ষ ও যোগ্য গড়ে তোলায় তাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত।

আপনার কোন অনুভূতি ব্যক্ত করবেন স্যার,


পরিশেষে আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক,শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের প্রতি যাদের ভালোবাসার স্বীকৃতি আমার জন্য অপরিহার্য হয়ে গেছে। এ দীর্ঘ সময়ের স্মৃতি বার বার আমাকে  অনুপ্রাণিত করে। ইবি পরিবারের য়ে সকল সহকর্মীগন মৃত্যুবরন করেছেন তাদের মাগফিরাত কামনা করি।  ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অগ্রগতি কামনা করি ।আল্লাহ্ তাআলা  আমাদের সকলকে সুস্থ রাখুন,আমীন


শেয়ার করুন

Author:

0 coment rios:

You can comment here