সর্বশেষ

Wednesday, May 17, 2023

ইসলামি বক্তা আব্দুল হাই সাইফুল্লাহ র পিএইচডি সেমিনার অনুষ্ঠিত

ইসলামি বক্তা আব্দুল হাই সাইফুল্লাহ র পিএইচডি সেমিনার অনুষ্ঠিত



ইসলামি বক্তা আব্দুল হাই সাইফুল্লাহ র পিএইচডি সেমিনার অনুষ্ঠিত

 বুধবার (১৭ মে) সকাল ১১ টায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের থিওলজি এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের সভা কক্ষে "মানব কল্যাণে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খুতবাসমুহের ভূমিকা: পরিপ্রেক্ষিত বাংলাদেশ" আল-হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের তত্ত্বাবধানে এ পিএইচডি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। পিএইচডি গবেষক জনাব আব্দুল হাই মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

এ সময় বিভাগটির সভাপতি প্রফেসর ড. সৈয়দ মাকসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ধর্মত্বত্ত ও ইসলামী শিক্ষা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এইচ. এ. এন. এম এরশাদ উল্লাহ ও বিশেষ অতিথি হিসেবে গবেষণার তত্ত্বাবধারক প্রফেসর ড. সৈয়দ মাকসুদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও আলোচক হিসেবে ছিলেন বিভাগটির প্রফেসর ড. মোঃ সেকান্দার আলী ও প্রফেসর ড. মোঃ শফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপন করেন আল হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডি বিভাগের প্রফেসর ডঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ও প্রফেসর ডক্টর আ হ ম নুরুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডঃ মোঃ মুজাহিদুর রহমান ডঃ মোঃ নাসির উদ্দিন। সাবেক ডিন অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ আ ফ ম আকবর হোসাইন ও ডক্টর মোহাম্মদ আব্দুর রহমান আনোয়ারী উন্মুক্ত আলোচনা অংশগ্রহণ করেন।

 উক্ত সেমিনারে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ডঃ সৈয়দ মাকসুদুর রহমান বলেন, মানব কল্যাণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর খুতবাসমুহ একটি যুগান্তকারী প্রভাব রয়েছে।

 রাসূলুল্লাহ সাল্লাম এর বিদায় হজ্জের ভাষণ ও বিভিন্ন জুমআয় প্রদত্ত খুতবাসমূহ মানুষের কল্যাণের জন্য বক্তৃতা প্রদান করেন।

 এ সকল বিষয় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য গবেষকের প্রতি আহবান জানান।

Saturday, May 6, 2023

 পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করায় ডক্টর মুহাম্মদ জিয়াউর রহমানকে সম্মাননা প্রদান

পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করায় ডক্টর মুহাম্মদ জিয়াউর রহমানকে সম্মাননা প্রদান

পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করায় ডক্টর মুহাম্মদ জিয়াউর রহমানকে সম্মাননা প্রদান

গত ৫ মে ২০২৩ শুক্রবার সন্ধ্যায়

আম্বরখানাস্থ হোটেল ব্রিটানিয়া হল রুমে আল ফয়েজ ফাউন্ডেশন উদ্দ্যোগে ড. মুহাম্মদ জিয়াউর রহমানকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

আল ফয়েজ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, আমেরিকা প্রবাসী,প্রিন্সিপাল মাওলানা রশীদ আহমদ-এর সভাপতিত্বে এবং ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারী হাফিজ মাওলানা ইমরান হুসাইন সেলিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে কুরআনে কারিম থেকে তেলাওয়াত করেন হাফিজ মুস্তাফিজুর রহমান মাহদী, নাশীদ পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী আখলাকুল আম্বিয়া এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন আল-ফয়েজ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান হাফিজ সাজিদুর রহমান।সংবর্ধিত অতিথির জীবন বৃত্তান্ত পাঠ করেন গ্রীণ বার্ড একাডেমির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহিদ।

প্রধান অতিথি ছিলেন লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার শ্রীযুক্ত বনমালী ভৌমিক।তিনি বলেন, একে অপরের কল্যাণে কাজ করাই হলো মানবতা।আল-ফয়েজ ফাউন্ডেশন মানব সেবায় যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়।বিশেষ করে অর্থের অভাবে কোনো শিক্ষার্থীর পড়া-লেখা যেন বন্ধ না হয় সে লক্ষে আমাদের কাজ করতে হবে।তিনি উলামায়ে কেরামের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার দাবি জানান।তিনি আরো বলেন, আপনারা সবাই স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত।আমরা সবাই ধর্মীয় বিভেদ ভুলে একসঙ্গে কাজ করব। সংবর্ধিত অতিথিদের উদ্দেশ্যে বলেন, জ্ঞান অর্জন ও গবেষণায় আরো বেশি মনোযোগী হতে হবে। দেশ ও জনগণের কল্যাণে এগিয়ে যেতে হবে।

বিশেষ অতিথির হিশাবে উপস্হিত ছিলেন সিলেট

সরকারি মহিলা কলেজের

সমাজকর্ম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ জিল্লুর রহমান, ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি, সিলেট এর উপ-পরিচালক মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম,জামিয়া নয়াসড়ক মাদরাসার শায়খুল হাদিস,মাওলানা আতাউর রহমান কোম্পানীগঞ্জী,জামেয়া ক্বাসিমুল উলুম দরগাহ মাদরাসার শিক্ষাসচিব ও সিনিয়র মুহাদ্দিস,মাওলানা মাওলানা আতাউল হক জালালাবাদী,পাড়ুয়া আনোয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ এর সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল মালিক,সিলেট জেলা বারের বিশিষ্ট আইনজীবী ও মাওলানা আব্দুল মতিন ফাউন্ডেশনের সভাপতি এডভোকেট হাসান আহমদ, আল ফয়েজ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা

হাফিজ মাওলানা ফয়জুর রহমান।

অন্যান্যের মধ্যে সংক্ষিপ্ত অনুভূতি পেশ করেন;সিলেটস্থ কোম্পানীগঞ্জ সমিতির সভাপতি রফিকুল হক,বাগজুর মাদ্রাসার পরিচালক মুফতি মুফিজুর রহমান,সিলেট জেলা বারের বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট,আজমল আলী।পাড়ুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল খায়ের,আম্বরখানা জামে মসজিদের ইমাম ও খতীব মুফতি জিয়াউর রহমান,দৈনিক সিলেটের ডাকের সিনিয়র সাংবাদিক,সিরাজুল ইসলাম,মঈনুদ্দিন মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান,আজির হাসিব,সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার,ফখর উদ্দিন,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী,মাষ্টার রুহুল আমীন,পূবালী ব্যাংকের অফিসার কবি নজমুল হক চৌধুরী,ঘাসিটুলা আলিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ফখরুল ইসলাম,ভাইস প্রিন্সিপাল আখতারুজ্জামান সহকারী শিক্ষক,আলাউর রহমান,লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ,দরগা বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সেক্রেটারি আব্দুর রহমান দুদু,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী,সাহাব উদ্দিন,বিশ্বনাথ উপজেলা সমবায় অফিসার শরীফুদ্দীন,সালুটিকর মাদানিয়া মাদ্রাসার নাইবে মুহতামিম মাওলানা সোহেল আহমদ,ফুলকুড়ি আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল হক,কবি লোকমান হাকিম।

এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন;হাটখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কে এম রফিকুজ্জামান,জাতীয় ইমাম সমিতি,সিলেট জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা এহসান উদ্দিন,সোবহানীঘাট মাদ্রাসার নাইবে মুহতামিম মাওলানা আহমদ সগীর,সিলেট চেম্বার্স অব কমার্সের পরিচালক মুজিবুর রহমান মিন্টু,লিডিং ইউনিভার্সিটির সহকারী রেজিস্ট্রার

তাজ উদ্দিন আহমেদ,,একে নিউজ টুয়েন্টি ফর ডটকমের সম্পাদক সাংবাদিক আনোয়ার হোসাইন,ইসলামি ব্যাংক আম্বরখানা শাখার সিনিয়র অফিসার আব্দুল হাফিজ,

রাগিব রাবেয়া ফাউন্ডেশনের সচিব,ইঞ্জিনিয়ার লুৎফুর রহমান,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী,জালাল আহমদ,খাগাইল জামে মসজিদের ইমাম হাফিজ নুরুজ্জামান,শাহ জালাল জামেয়া পাঠানটুলার শিক্ষক,আব্দুর রাজ্জাক,ফুলবাড়ি আজিরিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল হান্নান,জৈন্তাপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত,শিক্ষক নুরুল ইসলাম,এডভোকেট, বীরেন্দ্র চন্দ্র নাথ।

শাহ জালাল জামেয়া পাঠানটুলার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা কমর উদ্দিন,৬নং দক্ষিণ রণিখাই ইউপি সদস্য ও আল-ফয়েজ ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ মাওলানা মাহবুবুর রহমান,আর-রশীদ ইসলামিক ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল মাওলানা সদিকুর রহমান,নন্দিরগাও মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা কুতুবউদ্দিন,তরুণ লেখক,মাওলানা ইলিয়াস মশহুদ,বিয়াম ল্যাবরেটরি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল

অসিথ চন্দ্র দাস,বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও ব্যবসায়ী আবু তাহের সুমন,হাফিজ আফতাব উদ্দিন আরিফ,আল-আমিন,ওলিউর রহমান,নাছির উদ্দিন,আলিম উদ্দিন,ইত্তেহাদুল উম্মাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান,মাওলানা সুলতান মাহমুদ,আল-ফয়েজ ফাউন্ডেশনের সদস্য মুফতি কয়েস আহমদ ও মাওলানা এখলাছুর রহমান,মুফতি নাজমুল ইসলাম,হাফিজ ফয়সল আহমদ,হাফিজ ওলিউর রহমান,মাওলানা আব্দুল্লাহ,সাংবাদিক কবির আহমদ,ইকরাম হুসাইন,ফখর উদ্দিন,পাপ্পু আহমদ,মারুফ আহমদ,শাহীন আলম,ফখর উদ্দিন,সাংবাদিক নাঈম আহমদ প্রমুখ।

পরিশেষে সভাপতি সবার মঙ্গল ও উন্নতি কামনা করে এবং মাওলানা আতাউর রহমান কোম্পানীগঞ্জীর দু’আর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।



Tuesday, May 2, 2023

 আল হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

আল হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

 


আল হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ


অদ্য  02/05/2023তারিখ সকাল ‌  ১:৩০  মিনিটটায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আল হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রথম বর্ষ ২০২০২১ ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্যোগে বিভাগীয় সৌন্দর্য বর্ধন ও একাডেমিক কার্যক্রমের জন্য বিভাগের সামনে বিভিন্ন ফুলের সম।রহ করা হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের এই উদ্যোগের শুভ উদ্বোধন  করেন আল হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডক্টর সৈয়দু মাকসুদুর রহমান  ।এ সময় বিভাগের  শিক্ষকবৃন্দ , কর্মকর্ত এবং   ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বিভাগীয় সভাপতি ছাত্রছাত্রীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, এটা একটি ব্যতিক্রম উদ্যোগ এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে নিজেদের পরিষ্কার নিজেরাই করতে হবে । তিনি আরো বলেন সৌন্দর্য বর্ধনের দায়িত্ব নিজেদেরই গ্রহণ করতে হবে ।

তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের আগামী দিনে রাষ্ট্রের দায়িত্ব গ্রহণ করার জন্য সবাইকে দক্ষ ও সৎ নাগরিক হওয়ার জন্য আহ্বান জানান। সময় উপস্থিত ছিলেন বিভাগের প্রফেসর ডঃ মুহাম্মদ অলি উল্লাহ।

Sunday, April 30, 2023

 ড. সৈয়দ মকসুদুর রহমানের অধ্যাপনা জীবনের তেইশ বছরে পদার্পণে বিশেষ সাক্ষাৎকার

ড. সৈয়দ মকসুদুর রহমানের অধ্যাপনা জীবনের তেইশ বছরে পদার্পণে বিশেষ সাক্ষাৎকার

 


ড. সৈয়দ মকসুদুর রহমানের অধ্যাপনা জীবনের তেইশ বছরে পদার্পণে বিশেষ সাক্ষাৎকার

আপনার ছাত্র জীবন সম্পর্কে একটু বলবেন কি?

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া,বাংলাদেশ ১৯৯১-৯২ শিক্ষা বর্ষে আল হাদীস এণ্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রথম ব্যাচের ছাত্র হিসেবে আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহে অধ্যয়ন করার সুযোগ হয়। আমরা প্রথম ব্যচের ছাত্র হওয়ার কারণে আমাদেরকে যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হয়েছে এবং বিভিন্ন বিষয়ে লেখাপড়ার জন্য রেফারেন্স বুকস অধ্যায়ন করতে হয়েছে।

নিজেদের প্রয়োজনীয় উত্তর তৈরি করতে হয়েছে। সে কারণে অনেক বিষয় গুলো আমাদের কাছে কঠিন হলেও পরবর্তী প্রজন্মের কাছে এটা  সহজ হিসেবে উপস্থাপন করা সম্ভব হয়েছে।

আপনার কর্ম জীবন সম্পর্কে একটু  বলবেন স্যার,

সুদীর্ঘ ছাত্র জীবন শেষ করে আমার প্রিয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করার সুযোগও আল্লাহ তাআলার একান্ত রহমত।

২০০১ সালে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী বিভাগ আল-আল-হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করি। ২০০৩ সালে সহকারী অধ্যাপক এবং ২০০৮ সালে সহযোগী অধ্যাপকে উন্নীত হই।২০১৩সাল থেকে অদ্যাবধি অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছি।  ইতোমধ্যেই ১৯-১১-২০২০ বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করি। আমি  সর্বদা আল্লাহ্ তাআলার শুকরিয়াআদায় করি যাঁর একান্তই অনুগ্রহে সকল কিছু সম্ভব হয়েছে।

এ বিভাগ সম্পর্কে আপনার বলার কিছু আছে?

আমি আজকের এই দিনে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি প্রফেসর ড. আব্দুল হামিদ স্যারকে (সাবেক ভাইস চ্যানেসলর,ইবি) যিনি ভারত উপমহাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একমাত্র  উচ্চতর পাঠন পঠনের জন্য বিভাগটি চালু করতে সক্ষম হয়েছেন। আমি  গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ লুৎফর রহমান স্যারের প্রতি (সাবেক ভাইস চ্যানেসলর,ইবি) এবং আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক প্রফেসর ড. এম রুহুল আমিন স্যারের প্রতি (সাবেক চেয়ারম্যান,আল হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ))যাঁরা আমাকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বিভাগের খেদমত করার সুযোগ করে দিয়েছেন। এ ছাড়া গভীর কৃতজ্ঞতা  জ্ঞাপন করি,আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মণ্ডলীর প্রতি যাদের প্রকাশ্য তত্ত্বাবধানে আমার আজকের এই দিনটির আগমন। আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি ও দূআ আমার মুহতারাম মরহুম  পিতা মাতার প্রতি যাদের অফুন্ত ভালোবাসা  ও অকাল্ত পরিশ্রম আমাকে উৎসাহ যুগিয়েছে । আমি এই দীর্ঘ অধ্যাপনা জীবনে আমার গবেষণা ও পঠন পাঠন নিরন্তরভাবে করার চেষ্টা করেছি।ّস্মৃতিতে অম্লান হয়ে গেছে আমাদের বিভাগের  খ্যাতিমান গবেষক প্রফেসর ড. খোন্দকার আ ন ম আব্দল্লাহ জাহাঙ্গীর রহমাতুল্লাহ আলাইহি এবং আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মরহুম প্রফেসর ড মুহাম্মদ মুজাম্মিল আলী স্যার। আল্লাহ তাআলা উভয়কে জান্নাতেুল  ফিরদাউসের দান করুন।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব জায়গায় জড়িয়ে আছে আমার ভালোবাসা ও স্মৃতি এবং অনুভূতি। বিভাগের  প্রতিটি কর্মকান্ড আছে হাজারো স্মৃতি যার কোনটি  মুছে যাবে না। বিভাগের সকল অগ্রগতির ইতিহাসের স্বাক্ষী হিসেবে।

সব  চেয়ে বেশি স্মৃতি আমার সতীর্থদের সাথে যাদের ভালোবাসার প্রতিদান পরিশোধ করা যাবে না। হারাতে হয়েছে গেছে অনেক প্রিয় মানুষকে।

আমার স্পন্দন আমার অত্যন্ত স্নেহের ছাত্রছাত্রী যাদের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা আমাকে অভিভূত করেছে । প্রেরণার পেয়েছি সর্বদা সামনে যাওয়ার।

আপনার গবেষণা সম্পর্কে আমাদেরকে কিছু বলুন স্যার,

বিশ্ববিদ্যালয় মূলত জ্ঞান তৈরি করে এবং সেই  জ্ঞান বিতরণ করে ।এখানে জ্ঞান তৈরি উৎস স্থল বলা যায় সারা পৃথিবীতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জ্ঞান তৈরি করে । রাষ্ট্রের কল্যাণের কাজে ব্যবহার করা হয়। আমার গবেষণা কয়েকটি বিষয় হয়েছে যেমন গ্রন্থ রচনা এমফিল এবং পিএইচডি গবেষণা তত্ত্বাবধানে এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ জার্নালের মূল্যায়ন  করা।

এডিটার ও সদস্য হিসেবে রিসার্চ জানাল প্রকাশ করো। ইসরাত বিদেশি কয়েকটি রিসার্চ জার্নালের এডিটোরিয়াল বোর্ডের সদস্য হিসেবে কাজ করা শুরু হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অধীনে পরিচালিত গবেষণা প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করেছি এবং কতগুলো গবেষণা চলমান আছে এই অংশটুকু গবেষণা কাজের সাথে সংযোজন করতে হবে

ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে আপনার কিছু বলার আছে,

স্যার

আসলে বাস্তবতা হচ্ছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মৌলিক কাঠামোশিক্ষা ব্যবস্থার পরিস্থিতি নির্ভর করে। আর এর প্রান হচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা। সুতরাং ছাত্র-ছাত্রীদের যদি  সবার উপরে  উপরে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হয় তাহলে সেই বিশ্ববিদ্যালয় অবশ্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত হবে। আমি আমার ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বলতে চাই তোমাদের সময় জ্ঞান সততা এবং অধ্যায়ন সার্বক্ষণিকভাবে চালিয়ে যেতে হবে। দেশ ও জাতির সেবার জন্য নিজেদেরকে দক্ষতা অর্জন করার ক্ষেত্রে নতুন নতুন জ্ঞানের উন্মোচন অনুভূতি নব দিগন্তের সূচনা করতে হবে। দেশ জাতির কল্যাণী নিজেকে নিবেদিত করতে হবে। আধুনিক নাগরিক হিসেবে নিজেদেরকে দক্ষ ও যোগ্য গড়ে তোলায় তাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত।

আপনার কোন অনুভূতি ব্যক্ত করবেন স্যার,


পরিশেষে আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক,শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের প্রতি যাদের ভালোবাসার স্বীকৃতি আমার জন্য অপরিহার্য হয়ে গেছে। এ দীর্ঘ সময়ের স্মৃতি বার বার আমাকে  অনুপ্রাণিত করে। ইবি পরিবারের য়ে সকল সহকর্মীগন মৃত্যুবরন করেছেন তাদের মাগফিরাত কামনা করি।  ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অগ্রগতি কামনা করি ।আল্লাহ্ তাআলা  আমাদের সকলকে সুস্থ রাখুন,আমীন

Thursday, April 27, 2023

সিলেট-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্যের সাথে এলাহাবাদ ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার কর্তিপক্ষের পবিত্র ঈদ-উল-ফিতার এর শুভেচ্ছা বিনিময়

সিলেট-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্যের সাথে এলাহাবাদ ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার কর্তিপক্ষের পবিত্র ঈদ-উল-ফিতার এর শুভেচ্ছা বিনিময়

 


সিলেট-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্যের সাথে এলাহাবাদ ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার কর্তৃপক্ষের সাথে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতার এর শুভেচ্ছা বিনিময় 

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মোকাব্বির খান এমপি মহোদয়ের সাথে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এর শুভেচ্ছা বিনিময় করেন, বিশ্বনাথ এলাহাবাদ ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার এডহক কমিটির প্রধান জনাব হাজী নিজামুল ইসলাম নৌশা, শিক্ষক প্রতিনিধি মাওঃ এটি এম নুর উদ্দীন স্যার ,এলাহাবাদ ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওঃ হরমুজ আলী , বাংলা প্রভাষক আলতাফুর রহমান , ইংলিশ প্রভাষক ফরিদুল ইসলাম , সিনিয়র শিক্ষক মাওঃফারুক আহমদ।

বিশ্বনাথের ২নং খাজাঞ্চী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকী , 

চরা দাখিল মাদরাসার সুপার ও আর- রাহমান এডুকেশন ট্রাসট বাংলাদেশ উলামা প্রধান মাওঃ ছালেহ আহমদ, এলাহাবাদ ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার প্রতিষ্টাতা পরিবার ও দাতা পরিবার এর সদস্য হাজী মোহাম্মদ আবদুস সবুর, এহসানুর রহমান, মোকাব্বির খান এমপির সহকারী অসিত রঞ্জন দেব ।

 মোকাব্বির খান এমপি বলেন- বিশ্বনাথ ওসমানীনগরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি মুক্ত হোক এবং পরিবরের প্রতিটি মানুষকে সুখী দেখতে চায়, উন্নত দেখতে চায়, সেবক হিসাবে মন নিয়েই আমি এই বাংলাদেশের জনগণের সেবা করি। বাংলাদেশের মানুষও যেন সুন্দর জীবন পায়, সেটাই আমি চাই। ব্যক্তিগত জীবনে আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। এদেশের মানুষ যদি ভালো থাকে, এদেশের মানুষ যদি সুন্দর জীবন পায়, তবে আমার শ্রম এবং আমার জীবনকে সফল ও সার্থক মনে করব।

Friday, April 21, 2023

 কুলাউড়ায় অসহায় ও দুস্থদের মাঝে ঈদ উপহার

কুলাউড়ায় অসহায় ও দুস্থদের মাঝে ঈদ উপহার

 


কুলাউড়ায় অসহায় ও দুস্থদের মাঝে ঈদ উপহার


মানবতার কল্যাণে আমরা আপনাদের পাশে এই শ্লোগান নিয়ে  পবিত্র মাহে রমযান শেষে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আর-রাহমান এডুকেশন ট্রাস্ট-ইউকে’র উদদৌগ্যে 

বিগত দিনের ন্যায়  বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরের উপজেলার দু:স্থ ও অসহায় মানুষদের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে সমাজসেবী সংগঠন আর-রাহমান এডুকেশন ট্রাস্ট-ইউকে

আজ ২১ এপ্রিল ২০২৩ শুক্রবার 

১০ নং হাজীপুর ইউনিয়ন কুলাউড়া মৌলভীবাজারের পরিচিত মুখ মাওঃ রফিক আহমদ সামাদের তত্বাবধানে 

তার আশপাশের এলাকার দুস্থ ও অসহায়দের পাশে থেকে অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করেন এবং দুস্থদের মাঝে ঈদ উপহার ২৪টি পরিবারের সদস্যদের মাঝে শাড়ি, লুঙ্গি ও শিশুদের নতুন জামা কাপড় বিতরণ করা হয়। 

আর- রহমান এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের পরিচালক,

ইমাম মাও নুরুর রহমান বলেন 

সমাজের প্রতিটি মানুষ যদি নিজের সাধ্যানুযায়ী এভাবে গরিব-অসহায় মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসেন, তাহলে অনেকেই স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদ উদযাপন করতে পারবেন। তারা সমাজের বিত্তবানসহ অন্যান্য লোকদের সাধ্যানুযায়ী এসব গরিব-অসহায় মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সহকারী অধ্যাপক মাওলানা হরমুজ আলীর ঈদ শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সহকারী অধ্যাপক মাওলানা হরমুজ আলীর ঈদ শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক

 

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সহকারী অধ্যাপক মাওলানা হরমুজ আলীর ঈদ শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক

এলাহাবাদ ইসলামিয়া আলীম মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সহকারী অধ্যাপক মাওলানা হরমুজ আলী দেশবাসী ও মুসলিম জাহানের সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ঈদে তিনি বিশ্ববাসীর নিরাময়, সুস্বাস্থ্য, নিরবচ্ছিন্ন শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সহকারী অধ্যাপক মাওলানা হরমুজ আলী ঈদ শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, ইসলাম ধর্মাবলন্বী মানুষদের অন্যতম প্রধান উৎসব ঈদ-উল-ফিতর। সকলের প্রতি "তাকাব্বাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম" এই শব্দ ব্যবহার করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে সকলের আহ্বান জানান। এছাড়া ঈদগাহের মাঠে যাওয়া এবং আসার সময় "আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ" পাঠ করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি আরো বলেন, মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর খুশি আর আনন্দের বার্তা নিয়ে আমাদের মধ্যে সমাগত হয় পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ সব শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে গড়ে তোলে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন। 

 মাওলানা হরমুজ আলী আরো বলেন, ঈদ মুসলমানদের জীবনে নিয়ে আসে অনাবিল আনন্দ। আমাদের জাতীয় জীবনেও ঈদুল ফিতরের গুরুত্ব অপরিসীম। ঈদের উৎসবে মুসলিম উম্মাহ শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত বিশ্ব গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণ করে। ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করতে দেশের দুঃস্থ, দরিদ্র ও সঙ্গতিহীন মানুষের প্রতি ভ্রাতৃত্ব ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে সমাজের বিত্তবান মানুষরা ঈদের আনন্দকে সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেবেন বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

শিক্ষানুরাগী মাওলানা হরমুজ আলী আরো বলেন,  ঈদুল ফিতরের মহিমান্বিত আহ্বানে শান্তি-সুধায় ভরে উঠুক বিশ্ব সমাজ। দেশপ্রেম আর মানবতাবোধের বহ্নিশিখায় জেগে উঠুক প্রতিটি মানব হৃদয়।

তিনি বলেন, আসুন সমাজের ধনী-গরিব ধর্ম-বর্ণ-গোত্র জাতি-গোষ্ঠী-সম্প্রদায় নির্বিশেষে সবাই পারস্পারিক সহযোগিতা ও সহর্মিমতার মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতরের খুশি ভাগাভাগি করে নিই। পরম করুণাময় আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করি- মানুষের জীবন থেকে দূরীভূত হোক সব মহামারি, দুঃখ-জরা, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধির ধারায় প্রবাহিত হোক বিশ্বলোক।